মুখফোড় এর ব্লগ

অরূপের চিত্রকর্ম নিয়ে গল্প

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: বুধ, ১০/০৫/২০০৬ - ৮:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

small

শিল্পী আলহাজ সালভাদর ঢালি মুগ্ধ বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকেন ছালতামিরা গুহার দেয়ালের দিকে। কী অপূর্ব সব ছবি! গুহার ভেতরে সূর্যের আলোর কড়া পরশ সেসব ছবির জেল্লা নষ্ট করতে পারেনি। শিল্পী ঢালি বিড়বিড় করে সৃষ্টিকর্তার প্রশংসা করেন। আহা, চিত্রকর্ম কতো যুগ ধরে মানুষের মনে বসত করে আসছে।

শিল্পী ঢালি হাঁটতে হাঁটতে গুহার আরো গভীরে এগিয়ে যান। এক জায়গায় আঁকা এক বি...


আদমচরিত ০৬

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: মঙ্গল, ০৯/০৫/২০০৬ - ১০:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

আদম হরকরা স্বর্গদূত গিবরিলকে ভাড়া করিয়াছে কিছু ফলমূলের বিনিময়ে। গিবরিল বর্তমানে বেকার, ভবিষ্যতে নাকি ঈশ্বর তাহাকে ঘনঘন পৃথিবীতে পাঠাইবেন বলিয়া আশ্বাস দিয়াছেন। তাই সে চৌপর আড্ডা ভাঁজে, স্বর্গ অপ্সরাদের পিছে লাইন ঠোকে। আদম এমনই এক আড্ডা হইতে তাহাকে গেরেফতার করিয়াছে।

গিবরিল অবশ্য জ্ঞানবৃক্ষের ফলের জন্য লালায়িত নহে, একটি মর্তমান কদলী পাইয়াই সে ভজিয়া গেলো। আদম তাহার হ...


ডোডোপুরাণ

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: সোম, ০৮/০৫/২০০৬ - ১:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেশী রাজনীতিতে নবডারউইনীয় বিবর্তন লইয়া একটি গুরুগম্ভীর পোস্ট ঝাড়িবার অভিপ্রায় পুষিতেছিলাম কয়েকদিন যাবৎ। নানা ব্যস্ততায় লিখিয়া উঠিতে পারি নাই। তবে ব্যস্ততা কাটিবার পর গুরুগম্ভীর ভাবখানিও মন হইতে বিলুপ্ত হইলো, একেবারে সেই ডোডো পক্ষীর ন্যায়। তাই ভাবিলাম, ডোডোদিগের গল্পই লিখি।

ডোডো পক্ষী বড় সুবোধ ও সুশীল ছিলো। জীববিজ্ঞানের শ্রেণীবিভাগের জনক Linneaus তাহার নাম হেলাভরে রাখিয়াছিলেন Didus Ineptus, পরবতর্ীতে বিজ্ঞানীরা পরম মমতায় ইহাকে পুর্নবাপ্তাইজ করেন Raphus Cucullatus, অনেকটা হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের কিসসা আর কি। তবে লাতিন নাম প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের মতো পরিবর্তনশীল হইলেও ডোডোর কিছু যায় আসে না, তাহার নিয়তি বহুকাল পূর্বেই লিখিয়া মুছিয়া ফেল


ধোবিয়ানার ড্রাগন

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: বুধ, ০৩/০৫/২০০৬ - ৫:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ধোবিয়ানা শহরের প্রান্তে খরতোয়া নদী, তার ওপরে এক সেতু। সেই সেতুর চারকোণে চারটা ড্রাগন। সেই কিংবদন্তীর রাজা কুতুব সিংহের আমলে তৈরি। কিন্তু আশ্চর্য সে ড্রাগনের মূর্তিতে কোন মরচে পড়েনি আজো, কুতুব মিনারের মতোই তারা মজবুত।

ড্রাগনদের সম্পর্কে অনেক কিংবদন্তী আছে। শোনা যায়, সেতুর ওপর দিয়ে কোন কুমারী মেয়ে পেরিয়ে গেলেই ড্রাগনদের লেজ নড়ে ওঠে। তাই সহজে কোন অবিবাহিতা মেয়ে এই সেতু পেরোতে চায় না, তারা আট আনা পয়সা খরচ করে নিচে খেয়া নৌকায় পার হয় খরতোয়া নদী। দু'একজন সাহসিনী অবশ্য এসব কিংবদন্তীর পরোয়া করে না, যেমন ধোবিয়ানার সরকারী স্কুলের হেডমাস্টার মহাশয়ের কন্যা গটগট করে হেঁটে সেতু পেরিয়ে স্কুলে যায়। ড্রাগনদের লোহার লেজ বাতাস লেগেও নড়ে না। বখা ছোঁড়ার


আদমচরিত ০০৫

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: সোম, ০১/০৫/২০০৬ - ৮:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

আদম নিজের ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে গলা খাকরায়।

"ভাইসব!" শুরু করে সে। "আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, ঘরে এখন জ্বালানি কাঠ পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ আছে। জ্বালানি কাঠের কোন সঙ্কট ঘরে নাই। আরো দুই পূর্ণিমা পার করা যাবে এই মজুদ করা কাঠ দিয়ে। কিন্তু, একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে এই কাঠের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করতে চাইছে! কাঠ নাই কাঠ নাই বলে তারা ঘরে অশান্তি সৃষ্টি করছে! কিন্তু এদের...


আদমচরিত ০৪

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: শুক্র, ২৮/০৪/২০০৬ - ৬:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আদম বিড়বিড় করে, "এই স্বর্গটা শালা পুরা দুই নাম্বার হয়ে গেছে!"

ঈভ বলে, "বিড়বিড় করে কী বলো? গালি দাও নাকি?"

আদম উষ্ণ হয়ে ওঠে, বলে, "ঐ, তোমারে বিড়বিড় কইরা গালি দিমু ক্যান? জোরে গাইল দিতে পারি না? আমার নাম আদম, কোন হালারে আমি পুইছা চলি না, বোঝলা? আর গাইল তোমারে দিমু না ক্যান, বাপের বাড়ি থিকা কিছু আনছো যে সোহাগ কইরা কথা কমু?"

ঈভ ক্ষেপে ওঠে, বলে, "অ্যাদ্দিন চিল্লাচিলি্ল করলা, আমার লাইগা তোমার সিনার হাড্ডি একটা শর্ট পড়ছে, বুকটা খালি খালি লাগে, শ্বাস ফালাইতে কষ্ট হয়, আর আইজকা কও বাপের বাড়ির কথা? আর খবরদার, বাপের বাড়ির খোঁটা দিবা না!"

আদম ঝাড়ি খেয়ে চুপ করে থাকে, আবার বিড়বিড় করেবলে, "দুই নাম্বার, সব দুই নাম্বার!"

আদমের রাগ


দারুবীণের দুষ্টু পুঁথি

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: সোম, ২৪/০৪/২০০৬ - ৬:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দারুবীণ বড় দুষ্টু ছেলে। ওর বাপটা ছিলো মদখোর। গলা পর্যন্ত মদ খেয়ে এসে সাপুড়েদের বীণ বাজাতে বাজাতে একদিন ঘরে ঢুকে শুনলো, পুত্র সন্তান হয়েছে। বীণটা মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ছেলেকে কোলে তুলে নিয়ে সে বললো, "য়্যাঁ? জমজ নাকি?" নেশার ঘোরে সে প্রায়ই একটা জিনিসকে দুটা দেখতো।

যাই হোক, যারা মানিকের "জননী" পড়েন নাই তারা হেসে নেন একটু, মুখফোড়ের মান রাখেন এট্টু।

দারুবীণ, এটাই ছেলের নাম রাখলো মাতালটা। যেমন বাপ, ছেলেও তেমন। উড়নচন্ডী। পোকামাকড় ধরে, লতাপাতা শোঁকে। গাঁয়ের পুরুত দেখে হাসে। বলে ওরে তুই দেখি জন্মেছিসই মাতাল হয়ে রে। তোর মজ্জায় মজ্জায় দারুস্রোত জাগ্রত। চাঁদের সাথে তাল ঠুকে জোয়ারভাটা হয়, তাই এইসব করিস।

দারুবীণ শোনে, কিন্তু কিছু বলে ন


আদমচরিত ০৩

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: শুক্র, ২১/০৪/২০০৬ - ৮:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আদম মনে মনে হাসে।

হুঁ হুঁ বাওয়া, একদম নিখুঁত পিলান! জ্ঞানবৃক্ষের ফল আদম খেয়েই ছাড়বে, সে ঈশ্বর যত 144 ধারা জারি করুন না কেন।

আদম নিজের ভবনে বসে হাওয়া খেতে খেতে অনেক গবেষণাই করেছে। জ্ঞানবৃক্ষের বিশ হাতের মধ্যে যাওয়া নিষেধ, এক ভীষণদর্শন তাগড়া স্বর্গদূত লাঠি হাতে সে বৃক্ষ পাহারা দেয়, পশুপক্ষী কারো সাধ্য নেই জ্ঞানবৃক্ষের কাছে গিয়ে তার ফলে মুখ দেয়।

আদম মহা বিরক্ত জ্ঞানবৃক্ষ নিয়ে এসব ফালতু বিধিনিষেধে। আরে বাবা, ফল যদি না-ই খাওয়া, তো ঐ ফল সৃষ্টির দরকারটা কী? জ্ঞানবৃক্ষের ফল খেলে তো জ্ঞানই বাড়ার কথা, আর জ্ঞান বেড়ে গেলে ঈশ্বরের সমস্যাটা কোথায়?

সেটাও ভেবে বার করেছে আদম। ঈশ্বর তাবৎ সৃষ্টিকে বোকাচো-- বানিয়ে রাখতে চান। কারো জ্ঞান প


ঠোলামঙ্গল ০১

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: বুধ, ১৯/০৪/২০০৬ - ৭:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আমরা এই মহৌষধ কিভাবে পাইলাম?

বৃটিশ আমল চলছে। সাল অজানা। তৎকালীন রাজধানী কলকাতার এক ক্যাথলিক গিজর্ার দৃশ্য।
এক সুন্দরী অ্যাংলো তরুণী পাদ্রীর কাছে পাপস্বীকার করতে এসেছে। পর্দার আড়ালে ফুঁপিয়ে উঠে সে বলছে, "ক্ষমা করুন পিতা, আমি অপরাধ করেছি।"

শ্বেতাঙ্গ পাদ্রী সস্নেহে বললেন, "কেঁদো না মাই চাইলড। ঈশ্বর পরম করুণাময়। তিনি ক্ষমাশীল। বলো, কী করেছো তুমি?"

তরুণী বললো, "ফাদার, আমি একটি যুবকের সাথে মিলিত হয়েছি, কিন্তু আমরা পবিত্র বিবাহবন্ধ


পুলিশবর্জন

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: রবি, ১৬/০৪/২০০৬ - ১০:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বৃটিশ শাসকের দোর্দন্ড ডালকুত্তা বাহিনীকে আজও পুষে চলছি আমরা, ট্যাক্সের পয়সায়। এই পুলিশ বেতনের পয়সায় খেয়ে বাতকর্মটি পর্যন্ত করে না, তার জিভে লালা ঝরে উৎকোচ-চান্দা-বখরার দিকে তাকিয়ে। এই পুলিশ বাজেয়াপ্ত করা অস্ত্র ভাড়া দেয় সন্ত্রাসীর কাছে, নিরীহ জনতার রোগা হোগা মেরে ফাটিয়ে দেয়, সুযোগ পেলে গণধর্ষণ করে অসহায় নারীকে, সাংবাদিক পিটিয়ে হাতের মাংসপেশীগুলোকে সচল রাখে, নিরীহ জনতার ওপর গুলি চালায় নির্বিচারে, আর গ্রামের পর গ্রাম লুটপাট করে। এই পুলিশ থানায় মামলা করতে গেলে পয়সা খায়, ক্রসফায়ারের পাঞ্জা দেখিয়ে যখন খুশি তখন কাউকে খুন করতে পারে, থানায় নিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারে যাকে খুশি তাকে। কিন্তু এদের ভিকটিম শুধু আমরাই, নিতান্ত গোবেচারা হোগায় বাড়ি খাওয়