একটি পোস্টার ও কিছু কথা

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি
লিখেছেন ফারুক ওয়াসিফ (তারিখ: শুক্র, ০১/০৮/২০০৮ - ১১:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পোস্টার
এই পোস্টারটি জাহাঙ্গীরনগরের প্রাক্তন কর্মীদের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। পোস্টারে ব্যবহৃত ছবির ওপরেরটি দৈনিক সমকালে প্রকাশিত আর নীচেরটি আবীর আবদুল্লাহ/দৃক নিউজ এর সৌজন্যে পাওয়া।

আমার কাছে এটাও একটা দলিল, যেমন দলিল একাত্তরের সেইসব ফটোগ্রাফগুলো।

যে দেশে একাত্তর ঘটেছে, সে দেশে ধর্ষণ যে একইসঙ্গে রাজনৈতিক ও সামাজিক একটা রীতি হিসাবে পুরুষালি সংস্কৃতিতে প্রতিষ্ঠিত ব্যাপার, তা আজ মনে হয় স্বীকার করা দরকার। ১৯৯৮ সালে, যে সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন তৈরি করা হয়েছিল, সেসময়ে দেশে নারীর ওপর যৌন নিপীড়ন মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। সেই সময়টা সন্ত্রাসের বাড়বৃদ্ধিরও মহেন্দ্রক্ষণ বলে চিহ্নিত। তাহলে কি সন্ত্রাসী রাজনৈতিক ক্ষমতা আর পুরুষালি যৌন-নিপীড়নের মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে?

আচ্ছা, নারী প্রাধান্যের সমাজে কি একইধারা ঘটতো?

আরকেটা কথা বলা দরকার, জাহাঙ্গীরনগরে এবার বা গত ৬/৭ বছরে যে অভিযোগ উঠেছে সেগুলো কিন্তু ধর্ষণের নয়, যৌন নিপীড়নের। ধর্ষণ যৌন নিপীড়নের চূড়ান্ত পর্যায় হলেও কথায়, আচরণে, ইঙ্গিতে বা স্পর্শেও যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটতে পারে। প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিষয়টি এভাবে দেখা হয়েছে :

১.১ যেহেতু হয়রানি ও নিপীড়ন, এবং যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন
-- একজন ব্যক্তিকে চিরজীবনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত করে,
-- তাঁকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে,
-- তাঁর উপর স্থায়ী মানসিক চাপ সৃষ্টি করে,
-- তাঁর মর্যাদাবোধ খর্ব হয়;
-- তাঁর আতœবিশ্বাস বা আতœপ্রত্যয়ে হানি ঘটায়,
-- শিক্ষা বা পেশার ক্ষেত্রে বিঘœ সৃষ্টি করে কিংবা তাঁকে চিরস্থায়ীভাবে শিক্ষা বা পেশা ত্যাগে বাধ্য করে,
-- এমনকি দেশত্যাগে বাধ্য করে;
-- জীবন সংশয় সৃষ্টি করে বা স্থায়ী শারীরিক ক্ষতির সৃষ্টি করে, এবং
-- এমনকি জীবনহানি ঘটায়; তাছাড়া এসব ঘটনা,
-- পরিবার ও স্বজনদের জীবন বিপর্যস্ত করে;
-- সমাজে, প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা এবং মর্যাদা নিয়ে জীবনযাপনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে।
সেহেতু এই বিষয়ে যথাযথ আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকা অতি আবশ্যক।

''১.২ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রতিষ্ঠানের সর্বস্তরে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ যেখানে সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারি কোনরকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই নিজ নিজ কর্মক্ষমতা ও সম্ভাবনা বিকশিত করতে পারবে। আর এর জন্য যে কোন ব্যক্তি যাতে এক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আইনগত ও প্রশাসনিক রক্ষাকবচ নিশ্চিত করতে এই বিশ্ববিদ্যালয় সচেষ্ট। বিদ্যমান বিধি ও ব্যবস্থাবলী যথেষ্ট প্রতীয়মান না হওয়ায় ‘(যৌন) হয়রানি ও নিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা’ প্রণয়ন করা হচ্ছে। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এরকম নীতিমালা এটাই প্রথম। আশা করা যায় যে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এরকম নীতিমালা প্রণয়নে উতসাহিত হবে।

২. হয়রানি ও নিপীড়ন: প্রকৃতি ও প্রকারভেদ
আপাতদৃষ্টিতে যা হাসি ঠাট্টা বা হালকা ব্যাপার মনে হয় কারও কাছে তা যখন অবাঞ্ছিত হয় এবং কেউ যদি সেই আচরণ বারবারই করতে থাকে তখন তা হয়রানি বা নিপীড়নের পর্যায়ভুক্ত হয়। কোন কোন হয়রানি বা নিপীড়ন আরও প্রকট। উদ্দেশ্যমূলকভাবে কাউকে অপদস্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত করবার জন্যই অনেকক্ষেত্রে হয়রানি বা নিপীড়ন করা হয়। এসব ঘটনার শিকার যিনি হন তাঁর জীবন নানা মাত্রায় বিপর্যস্ত হয়।

২.১ সাধারণ হয়রানি ও নিপীড়নের বিভিন্ন ধরনের মধ্যে আছে:
ক. বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাফেরাকালে কটূ বা অবাঞ্ছিত মন্তব্য।
খ. ক্লাশে বা বাইরে অবাঞ্ছিত স্পর্শ বা মন্তব্য দ্বারা ব্যঙ্গ বিদ্রুপ।
গ. চিঠিপত্র, ই-মেইল, এসএমএস, পোস্টার, দেয়াল লিখন, নোটিশ, কার্টুন ইত্যাদি মাধ্যমে হেয় বা উত্যক্ত করবার চেষ্টা।
ঘ. হুমকি প্রদান বা এমন আচার আচরণ যা ভীতি সৃষ্টি করে।
ঙ. শিক্ষা, খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক বা সাংগঠনিক তৎপরতা বা শিক্ষাবহির্ভূত ব্যক্তিগত কাজে বাধাপ্রদান।
চ. ক্লাশে বা ক্লাশের বাইরে শিক্ষক কর্তৃক অপ্রাসঙ্গিকভাবে কোন শিক্ষার্থীকে লক্ষ্য করে হয়রানিমূলক আচরণ করা।
ছ. ক্লাশে বা ক্লাশের বাইরে শিক্ষার্থী কর্তৃক কোন শিক্ষককে হয়রানি বা উত্যক্ত করা।
জ. কুৎসা, চরিত্রহনন চেষ্টা।
ঝ. শারীরিক নির্যাতন।
ঞ. র‌্যাগিং নামে নবীন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মাত্রায় হয়রানি।

২.২ সাধারণ হয়রানি ও নিপীড়ন বিশেষ মাত্রা নিলে তা যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন এর রূপ নেয়। এগুলো অনেকভাবে ঘটে থাকে। কথা, শারীরিক স্পর্শ, মানসিক বা শারীরিক আঘাত ইত্যাদিভাবে এবং অনেকসময় পরোক্ষভাবেও হয়রানি বা নিপীড়ন হয়ে থাকে। যথা:
ক. যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ/ বিদ্বেষমূলক অঙ্গভঙ্গী, কটূক্তি, টিটকারি এবং ব্যঙ্গবিদ্রুপ।
খ. প্রেম ও যৌন সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ কিংবা এমন আচার আচরণ বা হুমকি প্রদান যাতে ভীতি সৃষ্টি হয়। গ. মিথ্যা আশ্বাস, প্রলোভন বা প্রতারণার মাধ্যমে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা।
ঘ. যৌন আক্রমণের ভয় দেখিয়ে কোন কিছু করতে বাধ্য করা বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনযাপন, শিক্ষা বা কর্মজীবন ব্যাহত করা।
ঙ. যৌন উস্কানিমূলক, বিদ্বেষমূলক বা উদ্দেশ্যমূলকভাবে কুৎসা রটনার জন্য ছায়াছবি, স্থিরচিত্র, চিত্র, কার্টুন, প্রচারপত্র, উড়োচিঠি, মন্তব্য বা পোষ্টার ইত্যাদি প্রদর্শন বা প্রচার।
চ. স্থির বা ভিডিও চিত্র ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল চেষ্টা।
ছ. সম্মতির বিরুদ্ধে শরীরের যে কোন অংশ যে কোনভাবে স্পর্শ করা বা আঘাত করা।
জ. ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ বা স্থাপনের উদ্দেশ্যে বল বা চাপ প্রয়োগ, ব্ল্যাকমেইল, প্রতারণা, ভয় প্রদর্শন, জালিয়াতি, সুযোগ গ্রহণ বা আঘাত করা।
ঝ. ভয়, প্রলোভন দেখিয়ে বা নিজের সামাজিক বা প্রশাসনিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করে কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন।
ঞ. ধর্ষণ।

কতিপয় শিক্ষক খারাপ, বেশিরভাগ নিরীহ। ব্যাপারটা বোধহয় ওরকম না। নিপীড়ন সাধারণ ভাবে উচ্চতর ক্ষমতাসম্পর্কের জায়গা থেকে করা হয়ে থাকে। শিক্ষক মাত্রই সবসময় উচ্চতর ক্ষমতায়িত অবস্থান নাও হতে পারে। সেকারণে দেখা যায়, ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কিত শিক্ষক-ছাত্ররাই সাধারণভাবে বেশি নিপীড়ক হয়। এ থেকে তাদের এবং বিদ্যমান ক্ষমতার স্বরূপ; দুটোই বোঝা যায়। জাহাঙ্গীরনগরে এবার বা সববার সব জায়গাতেই অপরাধীকে শায়েস্তা করা সহজ হয় না কিন্তু ঐ নিরীহদের নিষকৃয় বা সক্রিয় বিরোধিতার কারণে। এবারও যারা বিষয়টিকে আটকে রেখেছেন সেই সিন্ডিকেটের সদস্যরা এমনিতে সমাজে সম্মানিত ও প্রিয়ভাজন মানুষ। তাহলে? মনে আছে, জাবির ১৯৯৮ সালের আন্দোলনকে সমালোচনা করে কলাম লিখেছিলেন ওয়াহিদুল হক এবং সন্তোষ গুপ্ত। তখন ক্ষমতায় আলীগ ছিল এবং তারা ছিলেন 'প্রগতিশীল'।

বাংলাদেশে এই প্রথম একটি সামাজিক আন্দোলন থেকে উত্থাপিত দাবি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়ে সরকারি বিধিতে (সকল উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা) পরিণত হচ্ছে। এটাও এক নতুন ঘটনা।


মন্তব্য

সুমন চৌধুরী এর ছবি

থাম্ব নেইল হিসাবে আসছে। প্রকৃত সাইজটা আমারে এ পাঠান।



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

পাঠানো হলো।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

সৈয়দ আবু তাহের মুহম্মদ মনিরুজ্জামান মুনির (জজ মিয়া) এর ছবি

এক পক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্তে আসা খুব কঠিন। অনেকে রাজনৈতিকভাবে বা ব্যক্তিগত শত্রুতার বসে আন্দোলনের সূচনা করতে পারে। তাছাড়া আদালতকর্তৃক দোষ প্রামণিত হওয়ার আগে কাউকে নিপীড়ক শিক্ষক বলাও ভদ্র সমাজের নীতি হতে পারে না। শিক্ষক সানির বক্তব্যও সবিস্তারে জানতে চাই।

পলাশ দত্ত এর ছবি

এই পোস্টারটি জাহাঙ্গীরনগরের প্রাক্তন কর্মীদের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।

আমার কাছে এটাও একটা দলিল, যেমন দলিল একাত্তরের সেইসব ফটোগ্রাফগুলো।

যে দেশে একাত্তর ঘটেছে, সে দেশে ধর্ষণ যে একইসঙ্গে রাজনৈতিক ও সামাজিক একটা রীতি হিসাবে পুরুষালি সংস্কৃতিতে প্রতিষ্ঠিত ব্যাপার, তা আজ মনে হয় স্বীকার করা দরকার।

ওপরে ইটালিকসে উদ্ধৃত তিনটা লাইনের মানে ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না।

বাকিটুকু আবশ্যিকভাবেই প্রয়োজনীয় মনে হইছে।।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

একাত্তরে ধর্ষণ শুধু পাকিস্তানীরাই করে নাই, দেশীয় রাজাকারেরাও করেছে। গ্রামাঞ্চলে শত্রুকে শারীরিক-মানসিকভাবে ধসিয়ে দেয়ার মোক্ষম অস্ত্র ভাবা হয় শত্রু পরিবারের নারীকে ধর্ষণ করা। এগুলো পরস্পর বিচ্ছিন্ন ব্যাপার নয়।

এছাড়া শান্তির সময়েও ধর্ষণ একটা সাধারণ ফেনোমেনা, হরহামেশাই ঘটছে। এবং সমাজ নীরব থেকে একভাবে একে অনুমোদন দিচ্ছে। সব ধরনের ধর্ষকদেরই এদেশে বিচার করা কঠিন। এ অর্থে বলেছিলাম ধর্ষণ এখানে পুরুষালি সংস্কৃতিতে প্রতিষ্ঠিত ব্যাপার।

ফুটনোটে উল্লেখ করি : একাত্তরে কিছু মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা কিছু বিহারি নারীও কিন্তু ধর্ষিত হয়েছিল। এ বিষয়ে ইয়াসমিন সাইকিয়া'র গবেষণামূলক কাজ আছে।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

মুজিব মেহদী এর ছবি

সন্ত্রাসী রাজনৈতিক ক্ষমতা আর পুরুষালি যৌন-নিপীড়নের মধ্যে একটা সম্পর্ক আমরা এখন দেখতেই পাচ্ছি। বর্তমান সমাজব্যবস্থা মানুষের ভোগলিপ্সাকে ভয়ংকর রূপ নেবার ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হয়। এই ইন্ধনকে যারা নিজ চারিত্রিক দৃঢ়তা দিয়ে প্রতিরোধ করতে পারে না, তাদের যৌন-নিপীড়ক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তখন দরকার হয় ক্ষমতার। ক্ষমতাটা বাগে পেলে তাকে আর রুখে কে? অবশ্য ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা গেলে ব্যক্তির এই স্খলনসম্ভাবনাকে সমাজ-রাষ্ট্র প্রতিরোধ পারে।

নারীপ্রাধান্যের সমাজে একইধারা ঘটত বলে ইতিহাস কোনো সাক্ষ্য দিয়েছে বলে তো মনে হয় না! (রাহুল সাংকৃত্যায়নের ভোলগা থেকে গঙ্গায় বোধকরি কিছু ভোগের দৃষ্টান্ত আছে, কিন্তু নিপীড়নের নেই। আমি ভুলও হতে পারি) এখন যেরকম পুরুষপ্রাধান্য দেখা যায়, এর ঠিক উলটোদিকে একইরকম নারীপ্রাধ্যান্য কখনো ছিল, এটা কি কোনোভাবে প্রমাণিত?

নিপীড়নবিরোধী নীতিমালাটি হোক, মনেপ্রাণে সেটা চাই। যদিও নিপীড়ন রোধের এটা একটা ভিত্তিই রচনা করবে মাত্র, নিপীড়ন রোধ করবে না। দেশে নানারকম অজস্র নীতিমালা আছে, যেসবের খুব কমই বাস্তবায়ন হয়।
................................................................
জেতা মৎস্য গিলে বকে মনুষ্য খায় বাঘ-ভালুকে
রহস্য বোঝে না লোকে কেবল বলে জয়।
(দীন দ্বিজদাস)

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

রাফি এর ছবি

নীতিমালায় rag এর প্রসঙ্গ দেখে ভাল লাগল। এই জিনিসটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটা বড় সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে এবং শিক্ষাঙ্গন এবং আবাসিক হলগুলোর পরিবেশ নষ্ট করছে।
যাবতীয় নিপীড়নবিরোধী আন্দোলনের সাথে একাত্বতা.

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।