একজন মুনিয়া

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২২/০৬/২০১১ - ৮:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


মুনিয়া ভালোবাসে গল্প লিখতে, কবিতা লিখতে, ওর কয়েকটা লিখা দৈনিক পএিকাতে ও ছাপা হয়েছে। ওর আজকাল তাই সাহিত্যিক হতে ইচ্ছে করে মাঝেমাঝেই। গরিবের ঘোড়ারোগ আর কি। কিন্তু এত সময় কই। ইদানীং আরও একটা টিউশানি বাড়িয়ে দিয়েছে, কি করবে, পুরো পরিবার যে ওরই দিকে তাকিয়ে আছে, অভাবের সংসারে মা আর কুলিয়ে উঠতে পারেন না। আজকাল তাই আর সময় করে উঠতে পারেনা মুনিয়া। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কলেজে, এরপর বাসায় এসে তড়িঘড়ি কিছু মুখে গুজে দিয়ে চলে যেতে হয় টিউশানিতে। টিউশানি থেকে এসে ও শান্তি নাই, ছোট ভাইবোনদের লেখাপড়া ও ওকেই দেখিয়ে দেয়া লাগে। সবচেয়ে ছোট বোনটাতো একেবারে বিচ্ছু, পড়া না দেখিয়ে দিলে চেঁচামেচি করে ঘরদোর উঠিয়ে ফেলে।সারাদিন ধরে পড়াশোনা করে প্রব্লেমগুলো মুনিয়ার জন্য তুলে রাখবে মিতুল, মুনিয়া বাসায় পা রাখতে না রাখতে ওর কাছে ছুটে আসবে তার প্রব্লেমের ভাণ্ডার নিয়ে।সব প্রব্লেমের সল্যুশন পাওয়ার পরেই মুনিয়ার নিস্তার মিলে। আর কোন দিন যদি কিছু একটা প্রব্লেম শলভ না করতে পারে, তাহলেই হয়েছে মুনিয়ার এতদিনের পড়াশোনার চৌদ্দগোষ্ঠি উদ্ধার করে তবেই ছাড়বে মিতু্ল ।মুনিয়ার এই রোজকার রুটিন ভালো লাগেনা। বাইরে থেকে এসে ওর আর কিচ্ছু করতে ইচ্ছে করেনা। মাঝেমাঝেই বিরক্ত হয়ে বলে এখন পারবোনা যাতো। কেঁদেকেটে সারাবাড়ী এক করে ফেলবে মিতুল, আমি আর পড়বোনা, কেউ আমাকে পড়া দেখিয়ে দেয়না। সেই কান্নাকাটিতে বাবা এসে মুনিয়াকে একটু বকে দিয়ে না গেলে ওর কান্না থামবেনা। মুনিয়াকে বাধ্য হয়ে মিতু্লের পড়াগুলো দেখিয়ে দিতে হয়। এরপর বসতে হয় নিজের পড়া নিয়ে। আর এসবের পর ওর গল্প কবিতা লিখার মত শক্তিটুকু অবশিষ্ট থাকেনা।

মুনিয়া ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়ছে।খুব শখ ছিলো ডাক্তারি পড়বে, সে আর হয়ে উঠেনি। বাবার ব্যবসা কেমন করে যেন হঠাৎ লাটে উঠলো। অনেক কষ্ট করে বাবা সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় মায়ের গয়না বেচা টাকায় ব্যবসাটা দাড় করিয়েছিলেন।সেই ব্যবসা ভালোই চলছিলো।তারপর বিশাল একটা লস হয়ে গেলে বাবা আর সেটা সামাল দিতে পারেন নি। অনেক দেনা হয়ে গিয়েছিলো।কাউকে না জানিয়ে বাবা তাই দোকানের পজিশনটা বিক্রি করে দিলেন, এক্সপোর্ট ইমপোর্ট এর ব্যবসা শুরু করলেন। সেটা ও লাভের মুখ দেখলোনা। সেই থেকে শুরু হোল ওদের অভাবের মুখ দেখা। এই অভাবের সংসারে বাবার পক্ষে সম্ভব হয়নি ওর মেডিকাল কোচিং এর জন্য বাড়তি টাকার ব্যবস্থা করা। তাই ডাক্তার হবার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়ে সাধারণ এই কলেজে ভর্তি হওয়া। সংসারের চাকা সচল রাখতে মুনিয়ার টিউশানি থেকে পাওয়া টাকা অনেক সময়ই মায়ের হাতে তুলে দিতে হয়। এভাবে কখন যেনো আস্তে আস্তে সংসারের অনেক দায়িত্ব মুনিয়ার কাঁধে চলে এসেছে ও টেরই পায়নি।


আজকে বাসায় পা দিতে না দিতেই মায়ের ভারকরা মুখের সামনাসামনি হতে হোল।মা বলে চললেন, “বাড়ীওয়ালা আজ ও একবার এসে গেছে, এমাসের ভাড়াটা এখন ও দেয়া হোলনা, কি করি বলতো”।মুনিয়া জানে মায়ের মন ওর কাছে বাড়িভাড়া শোধ করার একটু আশ্বাস চাইছে। মায়ের মুখটা দেখে কষ্টে ওর বুক ভেঙ্গে যায়। ওর যদি একটু ক্ষমতা থাকতো এই মুখটাতে হাসি ফোটানোর। মুনিয়া মাকে বললো, “বাড়ীওয়ালাকে বোলো মা পরশু দিয়ে দেব”। এরপর নিজের ঘরের দিকে ক্লান্ত পায়ে হেটে চলে গেলো। ঘর বলতে ওদের দুবোনের ছোট্ট একটা খাট, পাশেই লাগানো টেবিল, একটা ড্রেসিং টেবিল, আর এক স্টিলের একটা আলমিরা। ফ্রেশ হয়ে বিছানায় সটান হয়ে শুয়ে পড়লো।শুয়ে শুয়ে রোজই তো সিলিং এর দিকে তাকিয়ে থাকে। আজকে দেয়ালে জমে থাকা ঝুলগুলো বড্ডো বেশি চোখে পড়ছে যেন। মাথার উপর ঘুরতে থাকা পাখাটাকে ও ক্লান্ত মনে হচ্ছে, এত আস্তে আস্তে ঘুরছে। তবু ও ঘুরছেতো, না ঘোরার চেয়েতো অন্তত ভালো। মাকে বলতে হবে এগুলো পরিষ্কার করতে। এই বাসাটাতে এসেছে ওরা বেশিদিন হয়নি, আগের বাসার পরিবেশটা খুব খারাপ ছিলো। পাশের দোকানটায় এলাকার সব মাস্তানদের আড্ডা হতো। তিন তিনটা মেয়ে নিয়ে মায়ের সারাটাদিন খুব ভয়ে ভয়ে কাটতো। কিন্তু ভালো বাসায় ভালো পরিবেশে থাকার মত সামর্থ্য বাবার ছিলোনা। তবু ও মুনিয়ার উৎসাহেই এই বাসাটায় আসা। নতুন বাসাটার ভাড়া একটু বেশি। ফলাফল হোল এই যে বাবা এখন বাসা-ভাড়া দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। মাসের এই মাঝামাঝি সময়ে মুনিয়াই বা কোথা থেকে এতগুলো টাকা জোগাড় করবে ভেবে পাচ্ছেনা। টিউশানির টাকা পেতে পেতে সেই মাসের শেষ, এখন পরশু টাকাটা কোথা থেকে এনে দেবে মুনিয়া। এই টানাটানির সংসারে ওর অভক্তি এসে যায় প্রায়ি। মাঝেমাঝেই মুনিয়ার মরে যেতে ইচ্ছে করে, রোজরোজ মার অসহায় মুখটা দেখতে ভালো লাগেনা, ভালো লাগেনা ছোট বোনদের এটা না সেটা নাই এর কমপ্লেন শুনতে। মুনিয়া ভাবতে লাগলো কার কাছে টাকা ধার চাওয়া যায়। হঠাৎ করে ওর ছোটো মামার বন্ধু নুরুমামার কথা মনে হোলো, উনি একদিন এমনই কিছু একটা বলছিলেন, যেকোনো দরকারে যেন উনাকে বলা হয়। উনি মুনিয়াকে একটা বেশ ভালো টিউশানি ও দিয়েছেন।উনার বড় ভাইয়ের মেয়েকে পড়াই মুনিয়া। কালকেতো অই বাসায় যেতেই হবে মুনিয়াকে, উনাকে বলে কয়ে যদি কিছু টাকা ধার করা যায়, আপাতত হয়তো ঝামেলা মিটানো যাবে।

“আপু আম্মা তোমাকে খেতে ডাকছে” মিতুল এসে বলে গেলো। মুনিয়া মিতু্লকে ডেকে বলল, “আজকে কি রান্না হয়েছেরে”।মিতুল ভেংচি কেটে বললো, “কেন দুপুরে খাওনাই, সেই পাঙ্গাশ মাছ যা রোজই রান্না হয়”।মুনিয়া হেসে বলে উঠলো, “কেন আপনি কোন নবাবজাদি আসছেন যার রোজরোজ নিত্যনতুন খাবার ছাড়া মুখে রোচেনা”।“আপু তুমি আমাকে যন্ত্রণা করবানা, এমনিতে তোমাকে কিন্তু আজকে কোন প্রব্লেম দেইনাই, বেশী জ্বালাবাতো নতুন কোন প্রব্লেম তৈরি করে নিয়ে আসবো”।নিজের থেকে সাত বছরের ছোট এই বোনটার জন্য ওর অসম্ভব মায়া হয়, সবকিছুতেই ছুটে চলে আসবে মুনিয়ার কাছে। পড়াশুনায় বরাবরি ভালো মিতু্ল ।বাসার সবার ইচ্ছে ও যেনো ডাক্তারি পড়ে। আব্বা বাসার সবার আবদার না মিটাতে পারলে ও, তার এই ছোট্ট মেয়েটার কোন আবদারে কখনো না করেননা। দিনকে দিন মিতুল তাই একটু মেজাজি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মুনিয়ার পরপরই যে বোনটা মিথিলা, সে খুবি চাপা ধরনের । নিজের মত থাকতে ভালোবাসে। বাসায় থাকলে ওর কথাবার্তা খুব কমই শোনা যায়। ওর গান শেখার খুব শখ, কিন্তু এই সংসারে গান শিখার মত বিলাসিতা করা ওদের মানায় না। যখনই লোডশেডিং হবে, গলা ছেড়ে গান ধরবে মিথিলা । অদ্ভুত সুন্দর ওর কণ্ঠ। তখন ওর সাথে ওরা দুবোন ও চিৎকার করে গান করে।গানে গানে যুদ্ধ বলে একটা খেলা আছে, ওরা ওই খেলাটা খেলবে। মুনিয়ার একদিন যখন অনেক টাকা হবে, বাসার সবার সব ইচ্ছে পূরণ করে দেবে সে।“মুনিয়া মা খাবিনা, সব খাবার তুলে শুতে যাব, শরীরটা ভালো লাগছেনারে মা” মায়ের কথাগুলো ভেসে আসলো পাশের রুম থেকে। “আসছি মা “বলে মুনিয়া বিছানা ছেড়ে উঠলো। খেয়ে উঠে নিজের পড়াটা করতে হবে।সামনের উইকে ওর একটা পেপারের উপর টিউটোরিয়াল আছে। পাশ-টাতো করতেই হবে। আজ পড়বো কাল পড়বো বলে রোজই ঘুমিয়ে পড়ছে।কি করবে, সারাটাদিন এত ধকল যায়, এরপর আর কিচ্ছু পড়তে মন চায়না।


ভোরে উঠেই দৌড়াতে হোল স্যর এর বাসায়, সেখান থেকে কলেজে যাবে।এই একটা পেপার এর জন্য মুনিয়া হয়তো স্যর এর কাছে যেতনা। কিন্তু অন্য পেপারগুলোর নোটস পেতে হলে নিজের কিছু নোটস অন্যদেরকে দিতে হবে, এই জন্যই যাওয়া। আজকে ও কলেজ শেষ হোল দুপুর দুইটায়। বাসে করে ইস্কাটনে চলে এলো মুনিয়া। নুরুমামার ভাতিজিরা এই পাড়ায় থাকে। খুব তৃঞ্চা পেয়েছে, ওই বাসায় পৌঁছেই ওর ছাত্রী সামিয়ার কাছে পানি খেতে চাইলো।পানি এনে দিতেই ঢকঢক করে পুরা গ্লাসটা খালি করে ফেললো মুনিয়া। সামিয়া বললো, “আপু আর এক গ্লাস দেবো”।মুনিয়ার খুব খিদে ও পেয়েছে, সেই কোন সকালে বের হয়েছে। মাথা ঝাঁকিয়ে না করে দিলো মুনিয়া। এরপর ওকে বললো ওর পদার্থের বইটা নিয়ে বসতে।পড়া দেখিয়ে দিতে দিতে মুনিয়া জানতে চাইলো নুরুমামা বাসায় আছে কিনা। বাসায় নেই জেনে ওর ক্ষুধার্ত পেটের ভিতরটা যেনো একবার মোচড় দিয়ে উঠলো। মাকে কোথা থেকে টাকা এনে দিবে এই ভাবনায় কিছুটা অন্যমনস্ক হয়ে পরে মুনিয়া।“চাচ্চুকে ফোন করে দিলে চলে আসবেন, উনি আজকে বাবার সাথে বের হয়েছেন, আপনার কি খুব দরকার আপু”।সামিয়ার কথার উওরে মুনিয়া মাথা নেড়ে না বললো। ফোন করে ডেকে এনে ধার চাইতে ওর একদম মন চাইছিলোনা। কিন্তু ভাগ্যদেবী আজকে মুনিয়ার সাথে। পড়ানো শেষ হবার আগেই নুরুমামা বাসায় এসে ঢুকলেন।মুনিয়ার জানে যেনো পানি এলো। খিদেটাও এখন খুব একটা খারাপ লাগছেনা। সামিয়ার পড়া শেষে নুরুমামাকে গিয়ে বললো, ” মামা আপনার সাথে একটু কথা ছিলো”। মামা কি যেন ভেবে ওকে বললেন “চলো তোমাকে এগিয়ে দিতে দিতে শুনি”।বাসা থেকে বের হয়ে নুরুমামার সাথে হাটতে লাগলো মুনিয়া, কিভাবে শুরু করবে বুঝে উঠতে পারছেনা। মামা বললো, “চলো ঠাণ্ডা কিছু খেতে খেতে শুনি, তোমার মুখ এত শুকনা লাগছে কেন, দুপুরে কিছু খাওনি”। একটা ফাস্টফুডের দোকানে ঢুকে মুনিয়ার জন্য উনি বার্গার অর্ডার করে নিজে একটা কোক নিলেন। মুনিয়ার খুব লজ্জা লাগছিলো ধার চাইতে। শেষ পর্যন্ত সাহস করে বলে ফেললো তার কিছু টাকা দরকার। টাকাটা সে আস্তে আস্তে শোধ করে দিবে।ছোটবেলা থেকেই নুরুমামাকে দেখেছে ওদের বাসায় আসা যাওয়া করতে। উনার তাই অজানা নয় ওদের পরিবারের অবস্থার কথা। উনি ও জিজ্ঞেস করলেন না আর কিসের জন্য লাগবে। আস্তে আস্তে বলতে লাগলেন, “টাকাটা আমি তোমাকে দেবো, তুমি সময় বুঝে শোধ করে দিও। তোমাকে আমি ও কিছুদিন ধরে একটা কথা বলবো ভাবছিলাম। তুমি কি বিয়ে নিয়ে কিছু ভেবেছো। আমিতো তোমার আসল মামা নই, তোমার মামা আমার বন্ধু মানুষ।তাই ভাবছিলাম তোমার যদি আপত্তি না থাকে তোমার বাসায় বিয়ের কথা বলে পাঠাতাম। তোমাকে আমার ভালো লেগেছে, অন্য পাঁচটা মেয়ের চেয়ে তুমি অন্যরকম। বিয়ের পর ও তুমি তোমার পরিবারকে সাহায্য করতে পারবে, আমার তাতে কোন আপত্তি নাই। এখন তোমার কি মতামত ভেবেচিন্তে আমাকে জানিও”। মুনিয়ার হাত পা কেমন যেন কাঁপছিলো। ছোট্ট করে বললো, “এ হয়না মামা”। নুরুমামা যে এমন কিছু বলবে ও স্বপ্নে ও ভাবতেই পারেনি। ওনাকে ও মামার মতই দেখে। এই রিলেশন মেনে নেয়া ওর পক্ষে সম্ভব না। আর সবচেয়ে বড় কথা এই মুহূর্তে নিজের আপনজনদেরকে এভাবে অসহায় অবস্থায় ফেলে নিজের সুখের ব্যবস্থা করতে ওর মন একদমই সায় দেয়না। এই বয়স্ক লোকটা ওর অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে আজকে এই কথাগুলো বলতে পারলো। ওর কেমন যেনো বিশ্রী লাগছিলো লোকটাকে ।এই বিশ্রী লোকটার কাছ থেকে টাকা নেয়াটা ঠিক হচ্ছেনা। কিন্তু এটা ও ঠিক, এই টাকাটা না নিয়ে মুনিয়ার আর কোন উপায় নেই এই মুহূর্তে। হাত পেতে টাকাটা নিয়ে মুনিয়া ক্লান্ত পায়ে বাস স্টপেজের দিকে হাটতে লাগলো। এই টিউশানিটা ছেড়ে দিতে হবে।মাস গেলে এতগুলো টাকা আসা বন্ধ হয়ে গেলে কি হবে ওদের ।এই ধারের টাকাগুলো কিভাবে শোধ করবে সে। কেমন করে আজকে মুনিয়া হেরে গেলো। লোকটার মুখের উপর কেনো বলতে পারলোনা যে টাকাগুলো সে নিবেনা। মুনিয়ার চোখ ঝাপসা হয়ে এলো কান্নায়।সেই ঝাপসা হয়ে যাওয়া চোখে দেখতে পেলো একটা বাস এদিকেই আসছে।অফিস ছুটির এই সময়টাতে বাসে উঠতে অনেক ধাক্কাধাক্কি করা লাগে। এই সুযোগে বিশ্রী কিছু মানুষ গায়ে হাত দিবে।কিন্তু তবু ও, বাসটাতে মুনিয়াকে উঠতেই হবে। ওর যে আর ও একটা টিউশানি আছে। তারপরেই বাসায় ফেরা।

বন্দনা


মন্তব্য

guest_writer এর ছবি

দারুন... হাসি
nawarid nur saba

বন্দনা- এর ছবি

ধন্যবাদ সাবা হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

মুনিয়ারা ভালো থাকুক!!

বন্দনা- এর ছবি

আমার ও একি প্রত্যাশা তানিম।

আশালতা এর ছবি

চলুক

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

বন্দনা- এর ছবি

ধন্যবাদ আশালতাদি।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

মুনিয়া চরিত্রটার মধ্যে একটি স্ববিরোধীতা চোখে পড়লো। মুনিয়া ভালোবাসে গল্প-কবিতা লিখতে। তার তো ডাক্তারী নয় বরং ইংরেজী সাহিত্য নিয়ে পড়তে পারাটাই সুখের বিষয় হওয়া উচিৎ ছিল, তাই না? আপনি কি কোন সূক্ষ্ম স্যাটায়ার ব্যবহার করেছেন? যদি তাই হয় তবে গল্পের পরের অংশটুকুকে মনে হয় আরেকটু রিভাইজ করা প্রয়োজন।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

বন্দনা- এর ছবি

সাহিত্য ভালোবাসলে বিজ্ঞান ভালোবাসা যাবেনা ব্যপারটাতো এমন নয়। নিজের কথা বলতে পারি, ছোটবেলা থেকে স্কুলের ম্যগাজিনে লিখালিখি করতাম, গল্প পড়তে ভালোবাসতাম, কিন্তু ডিটারমাইন্ড ছিলাম যে ইঞ্জিনিয়ার হবো।এখন তো দুটোয় পাশাপাশি চলসে, কনফ্লিক্টিং মনে হয়না।আর ছোটবেলা থেকেই আমাদের দেশে ছেলেমেয়েদের মাথায় কেন যেন ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার হওয়া ছাড়া অন্যকিছু কাজ করেনা।অনেক সময়ই বাবামায়েরা যা ভাবেন ছেলেমেয়েদের বড় হয়ে সেটাই হবার স্বপ্ন দেখতে হয়।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

এই যে ছেলেমেয়েদের ঘাড়ে ধরে স্বপ্ন দেখাবার বিষয়টি কিম্বা আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের মাথায় কেন যেন ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার হওয়া ছাড়া অন্যকিছু কাজ করেনা, এই বিষয়টিই সুক্ষ্ম স্যাটায়ারে রূপ দিতে পারেন তো। তাছাড়া চরিত্র চিত্রণে দ্বৈরথ (কনফ্লিক্ট) থাকাটা তো দোষের কিছু নয়। বরং বিশ্বাসযোগ্যভাবে দ্বৈরথ ফুটিয়ে তোলায় মুন্সীয়ানা আছে। ডঃ জেকিল এণ্ড মিঃ হাইডের কথাই চিন্তা করুন। লেখা ভালো হলে প্রত্যাশা বেড়ে যায়, তাই এমন কাঠখোট্টা সত্যের মতো বদমাশ মন্তব্য করেছিলাম। আরো অনেক অনেক লিখুন।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

মৌনকুহর. এর ছবি

এই লেখাটায় 'লাইক' দিব?? মন খারাপ

মুনিয়াদের কল্যাণ হোক। অসম্ভব ভালো লিখেছেন।

বন্দনা- এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ মৌনকুহর। ভালো লাগলো জেনে আমার ও ভালো লাগলো।আমার ও সেটাই প্রত্যাশা যে মুনিয়ারা অনেক ভালো থাকবে। হাসি

বন্দনা- এর ছবি

না না রোমেল ভাই, আমি ও চিন্তা করছিলাম আপনার সাজেশনগুলোকে কিভাবে ব্যবহার করা যায়। চেষ্টা থাকবে প্রত্যাশা পুরন করার। অনেক অনেক ভালো লাগে যখন কষ্ট করে এসে মন্তব্য দিয়ে যান, অনুপ্রেরনা দিয়ে যান।

পাঠকMegherOnekRong এর ছবি

সু্ন ‍আমার নিজের নামের সাথে মিল আছে দেখে খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তে শুরু করেছিলাম, পড়তে পড়তে শেষ দিকে এসে মন খারাপ হয়ে গেল মন খারাপ

বন্দনা এর ছবি

মন খারাপ করানোর জন্য দুঃখিত মেঘের অনেক রঙ। নামে মিল থাকলেই বা কি আপনি অনেক ভালো আছেন এটুকু তো আশা করতে পারি। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগলো।
মুনিয়াদের জয় হোক।

------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।