ছবির নেশা

দীনহিন এর ছবি
লিখেছেন দীনহিন [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৮/০২/২০১৪ - ৩:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক মনে সবুজ দেখতে দেখতে হঠাৎ বিষম খান কামাল সাহেব। সাইড উইন্ডোতে ভেসে উঠে এক পঞ্চাশোর্ধ মহিলার প্রতিচ্ছবি, মস্ত এক বস্তা মাথায় করে কই যেন চলেছেন, ঝুঁকে ঝুঁকে, ধুকে ধুকে। কামাল সাহেবের দ্রুতগতির প্রাইভেট কার মাত্র এক ঝলক বন্দী করতে পেরেছিল এই আপাদমস্তক করুন দৃশ্যটির, পঞ্চাশোর্ধা দৃশ্যপট থেকে তিরোহিত হন নিমিষেই, কিন্তু রেখে যান এক দীর্ঘস্থায়ী ধারাপাত, কামাল সাহেবের কোমল অন্তঃকরণে। অচেনা-অজানা ঐ মধ্যবয়সী নারীর ভেঙ্গে যাওয়া চিত্র-বিন্দুগুলোকে জোড়া লাগানোর প্রাণপণ চেষ্টা করেন কামাল সাহেব; একজন পঞ্চাশোর্ধ মহিলা, কুচকুচে কালো গড়ন, বহুভাঁজ মুখ, ধূলিমলিন কাপড়, হেটে যাচ্ছেন, কার্পেট রাস্তার বর্ডারে যে সরু মেটে রাস্তাটি রয়েছে, তার প্রায় পুরোটা দখল করে।

কিন্তু মহিলাটি যাচ্ছেন কোথায় এই ভর দুপুরে? গন্তব্য নিশ্চয়ই খুব কাছে হবে না? হয়ত আরও অনেকটা পথ! কতটা হতে পারে? এক মাইল? দুই মাইল? আচ্ছা, মাথায় করে চলা বস্তাটির ওজন কত হবে? দশ কেজি? বিশ কেজি? তিরিশ? চল্লিশ? তাছাড়া আছেই বা কি বস্তাটির মধ্যে? আহা! নিশ্চয়ই বুড়িকে খাওয়ানোর মত কেউ নেই! হয়ত ছেলেপুলে থেকেও নেই! নইলে এ বয়সে বোঝা টানতে হয়?

নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসে কামাল সাহেবের! এমনটা হয় কামাল সাহেবের। দুঃখী মানুষের দুঃখে মনটা কাঁদে সবসময়! তীব্র অন্তর-ক্ষরণ মাঝে মাঝেই চোখের দুকুল ছাপিয়ে গড়িয়ে দেয় ক্ষীণ অশ্রু ধারা! এবং এ নিয়ে কোন অনুতাপ বা লোকলাজ নেই কামাল সাহেবের। মানুষের দুঃখ-দারিদ্র্যে সমব্যথী হয়ে বা নিপীড়িত মানুষের তরে দু ফোঁটা চোখের পানি ফেলে তিনি তো আর কোন অন্যায় করছেন না! বরং চোখের সামনেই তো দেখছেন কেমন পশুর মত আচরণ করা হয় এই হাড়-হাভাতেদের সাথে! চান্স পেলেই এদের উপর বীরত্ব ফলাতে শুরু করে না অধিকাংশ মানুষ? যে যাই বলুক না কেন, মানুষের দুঃখে সমব্যথী হওয়া একটি মহত কাজ নিঃসন্দেহে! তৃপ্তির একটি মৃদু ঢেকুর উঠে উঠে আসতে চায়, খুব সঙ্গোপনে, বুদ বুদ আকারে, কিন্তু বেশ ক্ষিপ্রতার সাথেই তাকে গলাচাপা দিতে সক্ষম হন কামাল সাহেব, দুঃখ-ক্রান্তি বজায় থাকে আগের মতই।

আস্তে আস্তে চিন্তার গভীর থেকে উঠে আসা একটা পূর্ণ দৈর্ঘ্য দুঃখ সম্পূর্ণ গ্রাস করে ফেলে কামাল সাহেবকে! মধ্যবয়সী মুটেনির দুর্দশা বিরতিহীন খিচিয়ে চলে তার হৃদয়ের নরম জমিন! শীতাতপ গাড়ি থেকে লেক ভিউ ফ্লাটটিতে স্থানান্তরিত হয়েও যা অব্যাহত থাকে। এক সময় অবসাদের ভারে দেহটা সম্পূর্ণ এলিয়ে দেন সৌখিন বেতের সোফায় আর ভাবলেশহীন চোখ দুটো পুঁতে রাখেন ৫৬ ইঞ্চি টিভির বিশাল পর্দায়। যদিও অন্তঃশীলা দহন তামা করে দিতে থাকে হৃদয়ের গোপন অলিন্দ।

অবশেষে কতিপয় নারী শ্রমিকের উপর পুলিশের বেধড়ক পিটুনি দৃশ্য সাময়িক খিচুনি-ভঙ্গ ঘটাতে সক্ষম হয় কামাল সাহেবের! ন্যাতানো চেতনা পরিপূর্ণ সজাগ হয়ে উঠে আবার! ন্যুনতম মজুরি বর্ধিত-করণের আন্দোলনে প্রথম থেকেই পূর্ণ সমর্থন রয়েছে কামাল সাহেবের। এইতো আজও ডাইনিং রুমে খেতে খেতে এক সহকর্মির সাথে জোরদার তর্ক হয়ে গেছে তার। যদিও অফিসের পরিবেশ রক্ষায় সার্বক্ষণিক সতর্কতা বজায় রাখতে হয়েছিল, এক বিন্দু ছাড় কিন্তু দেননি তিনি, করেননি এক ফোঁটা আপোষ! কামাল সাহেব বুঝে পান না, কেন প্রতিবেশী দেশের ষড়যন্ত্রের দিকে চোখ তুলে কিছু মানুষ, যখন চোখের সামনেই দেখা মেলে গার্মেন্টসের অসহায় মেয়েগুলির! এই খেটে-খাওয়া মেয়েগুলির উদয়াস্ত ঘামের উপরই কি দাড়িয়ে নেই আজকের বাংলাদেশ? এই মেয়েগুলির হাড়জিরজিরে হাত দিয়েই কি আসে না কড়কড়ে বৈদেশিক মুদ্রা?

স্ক্রিনশটগুলোর রিপ্লে কলজেসুদ্দু নাড়িয়ে দেয় কামাল সাহেবের! কেঁপে উঠেন প্রবল বিবমিষায়! ক্ষোভে ফেটে পড়তে চায় মন-মুনিয়া! গরিবদুঃখী মেয়েগুলির উপর এই নারকীয় তাণ্ডব কেন? পরিবারের মুখে একটুখানি হাসি দেখতে কি অমানুষিক পরিশ্রমই না করে মেয়েগুলি! অথচ ন্যায্য অধিকার চাইতে গেলেই মার খেতে হবে? এভাবে করে চিরটা কাল? দুঃখের ঢেউ কামাল সাহেবের হৃদয়কুলে আছড়ে পড়তে থাকে, তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে, তসনস করে দিতে থাকে অন্তরের কোমল পলিমাটি!

একসময় খিচুনিটা আবার ফিরে আসতে শুরু করে! আরামকেদারায় শরীরটা নেতিয়ে দেন আরও কিছুটা! ঝিমুনি ধরে যায় এক সময়, লাখে লাখে লাল মানুষ দেখতে পান চোখের সামনে, তবে কি দুনিয়ার সব মজদুর একজোট হয়েছে? খুশীর তুফান উঠে কামাল সাহেবের কোমল প্রাণে, কখনো ভাবেননি, জীবদ্দশাতেই দেখবেন মানুষের এই বিজয়! শোষিতরা আজ বুঝে গেছে, তাদের আর হারানোর কিছু নেই, শুধু কাঁধের জোয়ালটুকু ছাড়া, তাই দুনিয়া জোড়া বুর্জোয়া বুজুর্গদের কবর খুঁড়তে দলে দলে জড়ো হয়েছে প্রলেতারিয়েতরা! দুনিয়ার মজদূর এক হও! গগনবিদারী শ্লোগানে কানে তালা লেগে যায়! আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে কন্ঠনিনাদ পার হয়ে যেতে হয়ে থাকে সাগর-মহাসাগর! দুচোখ বেয়ে নেমে আসে অশ্রুধারা, বাঁধনহারা স্রোতের মত! এমন আনন্দের দিনে কাঁদতে নেই জেনেও নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন কামাল সাহেব!

অশ্রু-নদীতে ভাসছিলেন আকুল হয়ে, কিন্তু হঠাতই কোথা থেকে আসা এক হিমচড়ে আটকা পড়েন। বিদ্যুৎ গতিতে চোখ মেলেন, আরও একবার উপলব্ধি করেন, মানুষের ইতিহাস শ্রেণীসংগ্রামের ইতিহাস, যা চলতেই থাকবে শেষ দিন পর্যন্ত, বিজয় মিলবে না কোনদিন!

কিছুক্ষণ বাদেই টের পান এসি চালিয়ে দেয়া হয়েছে ঘরে, পূর্ন শক্তিতে। আর এদিকে হাসিমুখে ঘর মুছে চলেছে গৃহপরিচারিকা আসমা! এমনিতেই চলছে শৈত্য প্রবাহ! এই সময়ে স্রেফ পাগল ছাড়া কেউ এসি চালায়? আর এই রাতেই ঘর মোছার দরকার পড়ল? যেন বা কামাল সাহেবের মনের ভাষা বুঝতে পেরেই আসমা বলল: “মেহমান আইব দেইখ্যা খালায় ঘর মুছতে কইছিল। আপনি এট্রু পাশের ঘরে যাইয়া বহেন, খালুজান। শুকাইলে আবার আরাম কইরা টিবি দেইকখেন।”

কামাল সাহেবের হাড্ডিসুদ্দু কাপিয়ে দিচ্ছিল এসির ঠাণ্ডা হাওয়া! এদিকে হিমবাহের চাপে দুঃখাবেশ কেটে যাবার উপক্রম হচ্ছিল দেখে তড়িঘড়ি করে ড্রইং রুম থেকে বের হয়ে পাশের ঘরে যান। কিন্তু না, কপালে আজ দুঃখ নেই! কিছুক্ষণ বাদে, সেই ঘরেও উপস্থিত হয় আসমা। উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। কাল-বিলম্ব না করে এঘরেও চালিয়ে দেয়া হয় এসি। মেজাজটা এবার প্রায় সপ্তমে উঠতে যাচ্ছিল, কিন্তু পরক্ষনেই কি মনে হতেই গ্রাস করে এক রাশ অনুশোচনা! আহা! সে কিনা তার ঘরে মাত্র কয়েক মিনিটের ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারেনি, আর মেয়েটি এই শীতের রাতে প্রতিটি ঘরের ফ্লোর ভেজা কাপড়ে মুছে দিচ্ছে, আর সঙ্গে সঙ্গে শুকাতে ছেড়ে দিচ্ছে সুশীতল এসি!! কিন্তু চিরদিনই কি এমন হয়ে আসছে না? প্রলেতারিয়েতরা মোছার কাজ করে যায় শীতল ঘরে, আর বুর্জোয়ারা ভোজ-নিদ্রা সাড়ে নাতিশীতোষ্ণ ঘরে!

মেয়েটির জন্য তীব্র মর্মপীড়ায় ভুগেন কামাল সাহেব! তবে এ নিয়ে তিনি লজ্জিত নন! জগত দুঃখময়, গৌতম সেই কবে বলে গিয়েছেন! আর অপরাধ না করেও অপরাধ-বোধে ভোগে কয়জন? তৃপ্তির একটা সূক্ষ্ম ঢেকুর আবার উঠে আসতে চায়, অন্তরের গভীর থেকে, আর এই বেলা অনেক বেগ পেতে হয় তাকে তা সামাল দিতে! তবু শেষমেশ দুঃখ-ক্রান্তিরই জয় হয়। থাকে বহমান আগের মতই!

এর মাঝেই চলে বিরক্তিকর অতিথি আপ্যায়ন পর্ব। একটা কথা কিছুতেই বুঝে পান না কামাল সাহেব, মানুষ এত বেড়ানোর অবকাশ পায় কোথায়? দেশে এত্ত এত্ত সমস্যা, এগুলি কি মানুষকে একটুও স্পর্শ করে না! তবে তিনি জানেন, এ সবই বুর্জোয়াতন্ত্রের কুৎসিত অনুষঙ্গ!

অতিথি সৎকার শেষে আর শরীর চলতে চাইছিল না কামাল সাহেবের, হুড়মুড় করে ঝাঁপ দেন মখমলের নরম বিছানায়। সারাটা দিন তো অবসাদেই কেটে গেল, এক ফোটা অবসর পেয়েছেন? কিন্তু শুলেই কি আর ঘুম আসে! ছবিগুলো সব ভেসে বেড়ায়, তুলোর মত, একটার পর একটা!

এক সময় হাতে তুলে নেন একটি ম্যাগাজিন পত্রিকা, উল্টাতে থাকেন পেলব পাতা। ঘুম নিয়ে আসতে এর জুড়ি নেই! পাতা উল্টাতে উল্টাতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় একটি ছবিতে। একটি চৌদ্দ পনের বছরের কিশোরকে দেখা যাচ্ছে একটি বহুতল ভবনের গ্লাস ক্লিনিংয়ের কাজ করতে! এক কথায়, শ্বাসরুদ্দকর চিত্র! একটি দড়ির উপর দাড়িয়ে ক্ষীপ্রতার সাথে বহুতল বিল্ডিংয়ের গ্লাসে ব্রাশ চালাচ্ছে ছেলেটি! নীচে কোন নিরাপত্তা বেষ্টনী নেই। এক মুহূর্ত অসাবধান হলে পা ছিটকে পড়ে যেতে পারে শত ফুট নীচে!

আপাদমস্তক ধুলোয় ঢাকা কিশোরটির মুখমণ্ডল প্রায় দেখাই যায় না। অরিজিনাল কালারটিই ধরতে পেরেছে উন্নত মানের বিদেশী নিউজপ্রিন্টে, পাতাটা এত মসৃণ যে, শুধু হাত বুলোতে ইচ্ছে করে! আর ছবি এত ঝকঝকে, এত জীবন্ত! নিশ্চয়ই অত্যাধুনিক প্রিন্টিং মেশিনের যাদু! এত জীবন্ত একটি ছবি তোলার জন্য আলোকচিত্রীকেও মনে মনে ধন্যবাদ দেন কামাল সাহেব!

কয় ‌ টাকা পাবে? অথচ দড়ি বেয়ে তরতর করে ওরা উঠে যায় উপরের তলার উইন্ডো প্যানে! আচ্ছা, এত সাহস পায় কোথা থেকে ওরা? একটুও কি প্রাণের মায়া নেই? ধুর! কি বোকার মত চিন্তা করছেন তিনি! ওদের আবার প্রাণ আছে নাকি? কীটপতঙ্গের প্রাণ আছে বলাটাই কি রসিকতা না?

পাতা উল্টাতে উল্টাতে হঠাৎ কিছু ধুলো কামাল সাহেবের নাকে এসে পড়ে! মুহূর্তেই মেজাজটা তিরিক্ষি হয়ে যায়! সবকিছু সেরে কেবল শুয়েছিলেন, এখন আবার কষ্ট করে উঠতে হবে জীবাণুমুক্ত সাবান দিয়ে মুখ ধোয়ার জন্য। সব রাগ গিয়ে পড়ে আসমার উপর। হারামজাদি সারাদিন করে কি? বই-পত্রগুলিও একটু ঝেড়ে-পুছে রাখার সময় হয় না? রাগে কপালের রগগুলো টনটন করতে থাকে কামাল সাহেবের!

যাহোক, নাকমুখ পরিষ্কার করার পর পত্রিকার পাতাটিকেও একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ভালমতো পরিষ্কার করে নেন কামাল সাহেব! তারপর আবার বিছানায় ঢুকে পড়েন! ছবিটিতে ফিরে যান আবার! ভাল করে দেখার জন্য! ধুলো ঝাড়ার পর ছবির ধুলো যেন আরও জীবন্ত হয়ে উঠেছে! দেখাচ্ছে হান্ড্রেড পার্সেন্ট অরিজিনাল!

পাশাপাশি দুটো উইন্ডো গ্লাস আছে ছবিটিতে! ক্লিন গ্লাসটিই বলে দিচ্ছে কতটা ধুলো জমেছিল পাশের গ্লাসটিতে! পাশের গ্লাসের ধুলো ইতিমধ্যেই শুষে নিয়েছে কিশোরটি! খেটে খাওয়া মানুষের হাতে সভ্যতা বিনির্মাণের এক অদ্ভুত, অনবদ্য ছবি!

আবেগে ছবিটি একটু ছুঁয়ে দেখেন কামাল সাহেব। ধুলোমাখা ছেলেটার জন্য দরদ উথলে উঠে, অশ্রুর দুটি সরু রেখা নেমে আসে দুচোখ বেয়ে। অনিন্দ্যসুন্দর কারুকাজ তৈরি করে রেখা দুটি কামাল সাহেবের নিটোল অবয়বে!


মন্তব্য

আয়নামতি এর ছবি

কাহিনিতে কামাল আন্টি(কামাল সাহেবের স্ত্রী)কে আনলেন না যে! তাও ভালো কামাল সাহেবের চোখজোড়া পাথরের নয়!

দুর্দশা বিরতিহীন খিচিয়ে চলে তার হৃদয়ের নরম জমিন!

এখানে খুঁচিয়ে হতো নাকি?
নসনস= নছনছ, এমন কিছু টাইপো থেকে গেছে ভাই। লেখালেখি চলুক। শুভকামনা।

দীনহিন এর ছবি

এখানে খুঁচিয়ে হতো নাকি?

দেখুন, দুর্দশাগুলো কামাল সাহেবকে দুঃখ দেয় ঠিকই, কিন্তু এগুলো তার বেঁচে থাকারও খোরাক! তৃপ্তির ঢেঁকুর অবদমন করতে কষ্ট হয় বটে, কিন্তু এই দুর্দশা তার কাছে উপভোগ্যও বটে, মানুষের দুর্দশা নিয়ে দুঃখ পেতে ভীষন ভালবাসেন তিনি! নরম বিছানায় শুয়ে মানুষের দুঃখ-দারিদ্র-জীবন সংগ্রাম তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেন, লভেন স্বর্গীয় আনন্দ। এত কিছুর পরও 'খিচিয়ে' শব্দটার প্রয়োগ একেবারেই অনুচিত হয়েছে??

লেখালেখি চলুক। শুভকামনা।

শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ, আয়নামতি! শুভকামনা আজকাল খুব বিরল, তারপরও কিবোর্ডে শক্তি ও সময় খরচ করে যে উইশটুকু করলেন, তা মাথা পেতে নিলাম পাথেয় হিসেবে!

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

আয়নামতি এর ছবি

ভালো মানুষকে জিজ্ঞেস করেছেন ভাই! শব্দ প্রয়োগের উচিৎ অনুচিত নিয়ে বলবার মত আমি কেউ নই।
টাইপিংয়ে ভুল মনে হওয়া ভেবেই বলা আসলে। লেখালেখির বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আকাঠ পাঠক মাত্র।
কিছু না ভেবেই অনেক পটপট করি। করতে ভালো লাগে দেঁতো হাসি আর শুভকামনা বিরল মনে হলো কেন?
কোন কারণে হয়ত আপনার মন খারাপ তাই বলেছেন এটা। আপনি নিজেই ভেবে দেখুন মানুষের শুভটা কী আপনিও কামনা করেন না? আমরা সবাই আসলে সবার ভালোই চাই, ঠিক না? কেউ মুখ ফুটে বলেন কেউ বলেন না। এই যা পার্থক্য। এতসব ধুনপুন বাদ দিয়ে লিখুন আরো। আবারও শুভকামনা জানালাম(দেখেন আমি কত্ত মহৎ খাইছে )

দীনহিন এর ছবি

এতসব ধুনপুন বাদ দিয়ে লিখুন আরো।

এখানে 'ধুনফুন' হত নাকি? আর হ্যা, টাইপিংয়ে ভুল মনে হওয়া ভেবেই বলা আসলে। হাসি

আমরা সবাই আসলে সবার ভালোই চাই, ঠিক না? কেউ মুখ ফুটে বলেন কেউ বলেন না।

মুখ ফুটে বলার জন্য ধন্যবাদ, আয়না মতি! এবার কিন্তু আর মাথা পেতে নিচ্ছি না শুধু, আপনাকেও দিচ্ছি অনেক অনেক অনেক অনেক শুভ কামনা! (দেখেন, আমি আপনের চাইতে বেশী মহৎ!)

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

নামকরনটা ঠিক ধরতে পারি নাই। তবে লেখা ভালো লেগেছে দীনহীন। চলুক

যদিও গল্পটা কোন সমাপ্তির দিকে এগোয় নি, কিন্তু মানবতাবাদের সুস্বাদু রসগোল্লা চিবিয়ে চিবিয়ে খেয়ে আত্মতৃপ্তির ঢেকুরতোলা চরিত্রটা সুন্দর ফুটিয়ে তুলেছেন।

হ্যাঁ, টাইপোগুলো দেখে নিয়েন পোস্ট সাবমিট করার আগে।

____________________________

দীনহিন এর ছবি

ধন্যবাদ! হ্যাঁ, এরপর থেকে টাইপোগুলি দেখে নেব পোস্ট করার আগে!

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

এক লহমা এর ছবি

যা বলতে চাই খুব সুন্দরভাবে বলে দিয়েছেন প্রোফেসর হিজবিজবিজ।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

দীনহিন এর ছবি

আপনাকে যা বলতে চাইছিলাম, প্রফেসর হিজবিজবিজের উত্তরে তা ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছি, এক লহমা! হাসি

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।