শহীদ মিনারে ঈদ, যোগাযোগমন্ত্রীর পদত্যাগ..তারপর কি ?

থার্ড আই এর ছবি
লিখেছেন থার্ড আই (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/০৯/২০১১ - ৮:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


শহীদ মিনারে ঈদ , আমরণ অনশন, তারপর কি ? তারপর নিশ্চয়ই খোঁজা হবে কারা এতে মদদ দিয়েছেন? নিশ্চয়ই কয়েক দিনের মধ্যে অনেক সুশিল হয়ে যাবেন রাজাকার, শহীদ মিনারে যোগাযোগমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবী করে যারা কথা বলেছেন তাদের চরিত্র হননের জন্য নিশ্চিয়ই বাজেট বরাদ্দ হবে! তারেক মাসুদ আর মিশুক মুনীরের মৃত্যু , সাত দফা দাবী কিংবা একজন যোগাযোগমন্ত্রীর পদত্যাগ করলেই কি সমাধান মিলবে? রাজপথে দূর্ঘটনা কমে যাবে, রাস্তাঘাট সব ঠিক হয়ে যাবে ?

সাত দফা দাবী গুলো বাস্তবায়নরে জন্য আরো কয়েক দফা সুপারিশ মালাও ভাবতে হবে :

গাড়ী চালকরা যারা সড়ক পথে দূর পাল্লার গাড়ী চালাবেন তাদের সকলকে একটি নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে আবারও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে । অন্যথায় যাদের লাইসেন্স আছে তাদের লাইসেন্সও বাতিল হবে।

নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ( এস এস সি) না থাকলে দূর পাল্লার গাড়ীর লাইসেন্সের জন্য অযোগ্য বিবেচিত করা।
গাড়ীর চালক যদি অবৈধ লাইসেন্স ব্যবহার করে তাহলে গাড়ীর মালিকেরও শাস্তি হবে।

দূর্ঘটনায় মানুষ মারলে শাস্তির মেয়াদ কমপক্ষে ১০ বা তার অধিক করা। ছোট দূর্ঘটনার জন্য কমপক্ষে ২ বছররে জন্য লাইসেন্স স্থগিত করা। ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রচার করতে গণমাধ্যমের সহায়তা নেয়া।

১৫ বছর আগের পুরানো গাড়ীগুলো সড়ক পথে চলতে না দেয়া।

গাড়ীর ফিটনেস সনদ নিয়মিত চেক করার ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা। প্রকৃত লাইসেন্সধারীদের লাইসেন্স ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যেম পুলিশের কাছে ইলেকট্রনিক ডিভাইস দেয়া যেন পুলিশ চাইলেই সঠিক লাইসেন্স তাৎক্ষনিক যাচাই করতে পারে।

অন্যদিকে বিরোধীদল মন্ত্রীর পদত্যাগ আর সরকার বদলের হুমকি ধামকি না দিয়ে 'শ্যাডো সরকার' হিসাবে আর কি কি করতে পারেঃ

৩০০ আসনের যে সকল জনপ্রতিনিধি আছেন তারা তাদের নিজস্ব এলাকার সড়ক ও জনপথ গুলোতে খোঁজ খবর নিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করতে পারেন, কোন কোন সড়ক গুলো অগ্রাধীকার ভিত্তিতে মেরামত করা প্রয়োজন। কোন জায়গাতে ঠিক কত বাজেট হওয়া প্রয়োজন। কোনটিকে অগ্রাধীকার দেয়া দরকার। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ঠিক সেই বিষয়গুলোতে নজর দিচ্ছেন কিনা। নিয়মিত এই বিষয়গুলো সংসদে উত্থাপন করা এবং গনমাধ্যমকে অবহিত করা।

যে সকল স্থানে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে সতর্কতা মূলক আরকি ব্যবস্থা নেয়া যায় সেগুলো ভাবা। কোন কোন সড়কে ডিভাইডার প্রয়োজন সেগুলো নির্বাচনে সহায়তা করা।

দলীয় ঠিকাদার রাজনৈতিক বিবেচনায় কাজ পাচ্ছে কিনা সেটি খেয়াল রাখা , পেলেও সেই ঠিকাদার সঠিক ভাবে বরাদ্দকৃত অর্থ খরচ করে রাস্তা নির্মাণ করছে কিনা সেই দিকে খেয়াল রাখা। যেখানে পাথর ব্যবহার করার কথা সেখানে ৩ নং ইট দিয়ে গর্ত ভরাট করা হচ্ছে কিনা সেটি খেয়াল রাখা। কোথাও অনিয়ম হলে গনমাধ্যম কর্মীদের দূর্নীতি ও দায়িত্বে অবহেলার তথ্য ও উপাত্ত সরবরাহ করা।

সহনশীল মনোভাব নিয়ে সামাজিক আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে । সচেতনতা তৈরী করতে গিয়ে আমরা যেন সরকার বিরোধী হয়ে না উঠি সেটা খেয়াল রাখা জরুরী।' লংকায় যেই যায় সেই রাবণ হয়'। এমন কোন নিশ্চয়তা নেই সরকার কিংবা মন্ত্রীপরিষদ বদল হলে সব রাস্তা ভালো হবে। যোগাযোগমন্ত্রী পদত্যাগ করলে এতে লাভটা হবে, আরেকজন মন্ত্রর গাড়ীতে পতাকা উড়ানোর স্বাদ উপভোগ করবেন আর মোট দাগে ক্ষতিটা হবে জনগণের।

শহীদ মিনারে সুশীল সমাজের এই প্রতিবাদ দেখে বিরোধী দলের উল্লসিত হবার যেন সুযোগ তৈরী না হয়। এই ইস্যু যেন রাজপথে তাদের এজেন্ডা হয়ে না যায় সেটাও গনমাধ্যম কর্মী হিসাবে আমাদের খেয়াল রাখা উচিত।

ঈদে বাড়ী ফেরার এই যে একটা তাড়না, এটা কমাতে সরকারকে দীর্ঘ মেয়াদে বিকেন্দ্রীকরণের কথা ভাবতে হবে। মানুষজন যেন তার বাড়ীর কাছাকাছি কাজ পায় সরকারকে সেই পরিবেশের কথা ভাবতে হবে।

ঈদের শপিং করতে সব লোকজন ঢাকা চলে আসে। শহরতলীতে কেন পছন্দের শপিং সেন্টার নাই ? ভালো স্কুল, ভালো কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় , সরকারী অফিস, বাণিজ্যিক ব্যাংক, ডাক্তার , হাসাপাতাল সবই যেন রাজধানী ঢাকা ছাড়া উপায় নেই । এই সব কিছুর জন্য ঢাকা নির্ভরতা কমানেরা উদ্যোগটাও জরুরী। তাহলে সড়ক পথে মানুষের আসা যাওয়ার অহেতুক চাপটাও কমবে।

ছবি কৃতজ্ঞতা : প্রথম আলো

ছবি: 
30/06/2007 - 11:56pm

মন্তব্য

পাগল মন এর ছবি

এসব যদি সব বাস্তবায়িত হয় তাহলেতো সেটা আর বাংলাদেশ থাকবে না, সোনার বাংলাদেশ হয়ে যাবে। সুতরাং এগুলোর কোনটাই হবে না এ পোড়া দেশে। মন খারাপ

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

থার্ড আই এর ছবি

সোনার বাংলাদেশটারে বাংলাদেশ বানিয়েছে কারা সেই বাঙালিকে মানুষ করতে আবারও রবীন্দ্রনাথকে কবিতা লেখা দরকার।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

দ্রোহী এর ছবি

এক আবুলকে সরাতে আরেক আবুলের পেছনে গিয়ে দাঁড়াচ্ছি আমরা। মন খারাপ

আবুলদের হাত থেকে বাঙালির কোন নিস্তার নাই। মন খারাপ

থার্ড আই এর ছবি

আবুলে আবুলে ভরে গেছে দ্যাশটা ,

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

মাহবুবুল হক এর ছবি

আপনার সাথে সহমত। তবে দয়া করে বানানের ব্যপারে আরো সতর্ক হবেন। পড়তে গিয়ে বারবার হোঁচট খেয়েছি।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

থার্ড আই এর ছবি

ধন্যবাদ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

লেখাটায় অনেকগুলা ভাল যুক্তি পাইলাম।

দুইটা জায়গায় হালকা দ্বিমত জানাইলাম।

প্রথমত, বিরোধীদল সিভিল সোসাইটির সাথে একমত হইতেই পারে। যেকোনো সুস্থ বিরোধী দল সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মনোভাবকে আমলে নিবে। আসলে বিরোধীদল বা অন্য যেকোনো রাজনৈতিক দল সিভিল সোসাইটির থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চাইবেই কেন? সুতরাং যদি গণভিত্তি থাকে রাজপথে আন্দোলনও হবে। সেইটাই স্বাভাবিক।

দ্বিতীয়ত, আপনি বলছেন, "নিশ্চই কয়েক দিনের মধ্যে অনেক সুশিল হয়ে যাবেন রাজাকার"। রাজনৈতিক কালিমালেপনের সংস্কৃতিতে হয়ত এই আশঙ্কা ভিত্তি পায়। কিন্তু এইটাও সত্য যে অনেক রাজাকারই সুশীল সেজে বসে আছে। আপনি সেইটা জানেন আশা করি।

অনেকদিন পরে লিখলেন। চলুক দেখা হবে হাসি


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

থার্ড আই এর ছবি

অনিন্দ‌্য রহমান আপনার দ্বিমতের প্রথম অংশের জবাবে বলবো, বিরোধী দলের মতলব যদি হয় সরকারকে মাইনক্যা চিপায় ফালানোর জন্য কিছু সস্তা পাবলিক সেন্টিমেন্ট তাহলে তাদের উদ্দেশ্য ভালো নয়। তারা এই সেন্টমেন্টকে কাজে লাগিয়ে যদি সরকার পতন আন্দোলন করতে চায় , তাহলে তারা ক্ষমতায় গেলেও কিন্তু সাধারণ মানুষের দাবী গুলো আসলে উপেক্ষিতই থেকে যাবে। সেই অর্থে মতলববাজ বিরোধী দলকে সুযোগ নিতে না দেয়ার জন্য সতর্ক থাকা।

রাজাকার সুশীল হওয়া যেমন আমরা ঠেকাতে যেমন পারছি না এই যুক্ততি সুশীলকে রাজাকার বানিয়ে দেয়ার যুক্তিও মানতে পারছিনা।
আপনাকে ধন্যবাদ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

কল্যাণF এর ছবি

প্রিয় থার্ড আই, আপনার সুপারিশগুলো চমৎকার এবং দেশের চলমান পরিস্থিতিতে প্রয়জনীয় নিঃসন্দেহে। কিন্তু আমার মনে হল বড় সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ হবে এগুলো মনিটর আর নিয়মিত ফলোয়াপ করার ক্ষেত্রে। আমাদের সংবাদ মাধ্যমগুলো কিন্তু ইতিমধ্যে কেমন যেন সুবিধাবাদী খোলশের মধ্যে ঢুকে গেছে যেটা এখন দেশের মানুষের সামনে বেশ অনেকটাই উন্মোচিত। তাহলে আমরা কার কাছে যাব? দেখুন আমাদের দেশের প্রধাণমন্ত্রী হন এমন দুইজন যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রশ্ন সাপেক্ষ। একজন সহকারী প্রকৌশলী নিয়গে কিন্তু প্রকৌশলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী লাগে। চিন্তা করে দেখুন সেই সহকারী প্রকৌশলীর এক্সপোজার কতটুকু আর তুলনামূলক ভাবে প্রধাণমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রীদের কতটুকু। দেশের পাবলিক সার্ভিসে নিয়োগ পেতে যদি প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়, তাহলে দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাথায় বসে থাকতে এবং সংসদে প্রবেশ করতে আরোও শক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সংস্লিষ্ট অভিজ্ঞতা প্রয়োজন নয় কি? আমার মনে হয় আমাদের এই যে চালিয়ে নিচ্ছে একদল অশিক্ষিত-স্বল্প শিক্ষিত-অনভিজ্ঞ-কুভিজ্ঞ-স্বার্থপর মানুষ, এই ট্রেন্ডটায় পরিবর্তন আনতে না পারলে আমরা কোন কিছু থেকেই খুব একটা সুফল পাব না। আমাদের সমস্যা থেকে যাছে মূলে। আর আমাদের সুশীলরা? সেই জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই দেখছি তাদের একটা অংশ কিন্তু রাজাকারী মনভাব নিয়া ঘুরতেছে। তারা কিন্তু তাদের নেক্সট জেনারেশন মানে তাদের পোলাপানের মধ্যে সুবিধাবাদী মনভাব তৈরি করে দিতে অনেকটাই সফল হচ্ছে। ৭১ এর রাজাকারদের পাশাপাশি আমরা কিন্তু নব্য রাজাকারদের মুখোমুখি। কাউকে ছাড়া যাবে না।

(কিছু ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করছি বাধ্য হয়ে, সঠিক বাংলা শব্দ খুঁজে পাওয়ার পেছনে সময় দিতে পারলাম নাই, অফিসে আছিতো, অন্তঃত বউ এর পেটেতো আর লাথি মারতে পারি না, সে বেচারির দায়িত্ব আবার নিছি বিশাল বৈপ্লবিক অভিযান কইরা)

থার্ড আই এর ছবি

কল্যাণ F আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ফলোআপের বিষয়টাতো পরিকল্পনার মধ্যেই থাকবে। প্রথম শর্ত হচ্ছে আমরা এই প্রক্রিয়ায় পথ হাটবো কিনা, আমাদের সদিচ্ছাটা জরুরী আগে।

প্রধানমন্ত্রীর কিংবা বিরোধী দলীয় নেত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, কিংবা সংসদের প্রবেশের প্রক্রিয়া শক্ত হওয়া দরকার কিনা সেটা আপেক্ষিক। কেননা , সংসদীয় গনতন্ত্রে জন প্রতিনিধী নির্বাচিত হবেন জনগনের ভোটে। সেই অর্থে জনগন যদি এই স্বল্প শিক্ষতি , কিংবা কম যোগ‌্যতা সম্পন্ন লোকদের নির্বাচন করেন তাতে আপনার আমার আহত হবার কারণ দেখি না। আমি হয়তো বলবো যারা এই প্রতিনিধিদের নির্বাচন করছেন তাদের শিক্ষিত করে তোলাটা জরুরী।

প্রকৌশলীর এক্সপোজার দরকার নেই , যতটা দরকার প্রধানমন্ত্রীর। যে কৃষক ফসল ফলায় তার যেমন টিভিতে বাসমতি চালের বিজ্ঞাপনের মডেল হবার দরকার নেই, তেমনি নকশাবিদেরও সেতু উদ্বোধন করতে যাবার দরকার নেই।

আপনার সাথে আমি এই অংশে একমত, একদল অশিক্ষিত-স্বল্প শিক্ষিত-অনভিজ্ঞ-কুভিজ্ঞ-স্বার্থপর মানুষ নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে বসে আছনে। আমাদের সংবাদ মাধ্যমগুলো সুবিধাবাদী খোলশের মধ্যে ঢুকে গেছে না বলে বলা উচিত, জন্মটাই খোলসের মধ্যে। এগুলো হয়তো এখন প্রকাশিত হচ্ছে।
তবে আশাহত নই আমি, অনেক সৎ খোলসহীন গনমাধ্যম কর্মী আছেন, আমাদের সেই বৃক্ষগুলোকে সম্মান জানিয়ে বাঁচেয়ে রাখতে হবে ।

ধন্যবাদ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

ত্রিনিত্রি এর ছবি

একদম পয়েন্টে কথা বলেছেন। কিন্তু ১৫ বছরের আগের গাড়ি তুলতে বললে দেশ থেকে গাড়িই নাই হয়ে যাবে! তখন আবার ঘুষ দিয়ে সেই গাড়িগুলি কেই রঙ করে নামাবে রাস্তায়। ইয়ে, মানে...

অনেক ধন্যবাদ।

থার্ড আই এর ছবি

ভালো বলেছেন। ১৫ বছরের গাড়ী তুলে দিতে হবে মানে এই নয় যে সেগুলো ধোলাই খালে পাঠিয়ৈ দেয়া।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

guest_writer এর ছবি

আপনি সাত দফার সাথে কিছু সুপারিশ মালা পেশ করেছেন। এগুলোও প্রয়োজনীয় বটে। তবে এগুলো কতিদনের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে তার কোন সময়সীমা (টাইম ফ্রেম) নির্ধারণ করেন নাই। যদি সেটা ৩০ থেকে ৫০ বছর হয় তাহলে পূরণ হওয়ার আশা করলেও করা যায় (বর্তমান রাজনীতিকদের মানসিকতার বিচারে বলছি )।
মন্তব্য : প্রৌঢ়ভাবনা

থার্ড আই এর ছবি

প্রৌঢ়ভাবনা আপনাকে ধন্যবাদ।
টাইম ফ্রেমতো লাগবেই। হোক না সেটা ৩০ থেকে ৫০ বছর। আমরা ৪০ বছরে কি অর্জন করেছি। সেই ব্রিটিশদের করে দেওয়া রেল লাইনে নতুন কোন সংযোজন ঘটেছে ? না আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আধুনিকায়ন হয়েছে ?

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

রণদীপম বসু এর ছবি

যাক্ অন্তত স্বপ্ন তো দেখতে পারি ! একদিন হয়তো তা হতেও পারে, এই আশা করতে ভালোই লাগে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

থার্ড আই এর ছবি

জ্বি মশায় যারা ইয়োগা করে শুনেছি তাদরে নাকি দম আর ধৈর্য্য বেশী। আশা করতে ক্ষতি কি ?

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

মাহমুদুল হাসান  এর ছবি

আপনার প্রস্তাব গুলো ভাল লাগল কিন্তু সবার আগে দরকার ইচ্ছা আর আমার মনে হয় এই ইচ্ছাটাই আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে নেই। যদি থাকত তাহলে প্রতিটা ঘটনার সুষ্ঠ বিচার এবং দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেখা যেত। ছোট একটা উদাহরন, আমরা আগুনে হাত দেয় না কারণ আমাদের মনে আছে যে আগুনে হাত দিলে হাত পুরবে। রাষ্ট্র যদি ছোট বা বড় সব অপরাধের সুষ্ঠ বিচার এবং দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেয় তাহলে আমার মনে হয় এ অবস্থার উন্নতি হবে।

থার্ড আই এর ছবি

সহমত , আইনের যথাযথ প্রয়োগটাও জরুরী। ধন্যবাদ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

স্বপ্নহারা এর ছবি

অবাস্তব কল্পনা...মন খারাপ

ন্যূনতম যোগ্যতার প্রশ্নে আপত্তি...দুনিয়ার কোথাও এমন হাস্যকর কিছু নাই। আসল হইল ড্রাইভিং এর রুল এবং রোড টেস্টে পাশ করা...ভালমত পড়তে-দেখতে-বুঝতে পারাটাই দরকার...

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

থার্ড আই এর ছবি

আপত্তি অমূলক নয়, কিন্তু দূনিয়ার কোথাও না থাকলে যে আমাদের দেশে করা যাবে না এমন কোন কথাতো সংবিধানে নাই, আর এই যুক্তিতে পরামর্শ হাস্যকর কিংবা অবাস্তব হয়না।
ড্রাইভিংএর রুল এবং রোড টেষ্ট পাশ করতে হলে একটু ড্রাইভিংএর বইটা পড়তে জানতে হবে। আর শিক্ষা শুধু মানুষকে অক্ষরজ্ঞানই দেই না। ব্যক্তিকে নৈতিক ভাবে তৈরী হতে সহায়তা করে। তাই ড্রাইভারদের নৈতিক জ্ঞান আর মূল্যবোধটা শেখাটাও জরুরী, নইলে সে পাশ করার জন্য ড্রাইভিং শিখবে সেটার আর প্রয়োগ করবে না।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।