ছবি দেখি পদ্য লিখি ০১

রাসেল এর ছবি
লিখেছেন রাসেল (তারিখ: বুধ, ০১/০৮/২০০৭ - ৬:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাইসুর কিছু স্কেচ ছাপা হচ্ছিলো, সব স্কেচ যে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলো এমনও না, তবে এর ভেতরে ২টি স্কেচ আমার ভেতরে কবিত্বের অসহনীয় যাতনা তৈরি করেছিলো, উত্তরাধুনিক ঘারানার সূচনা, নগরায়ন এবং শিল্পের বাণ্যিজিকীকরণের যুগে মুফতে এই অনুপ্রেরণা ভালো লেগেছিলো)

প্রথমেই ছবির পটভুমি বলে নেই।

সময়টা ছিলো নভেম্বর,90, চারদিকে আন্দোলন চলতাছে, সবাই মিছিল করে আমি তেনা পেচাই,কিন্তু তেনাসঙ্কট আছিলো,এমনিতেআমি ঘরের মইধ্যে তখন জননাঙ্গ ঢাইক্যাই রাখতাম, কিন্তু সেই সঙ্কটকালে একবার ল্যাঙ্গোট ছিড়ে তেনা বানাইলাম, খুব ভালো লাগতেছিলো, শইলে আলোবাতাস খেলে, এর পর থেইক্যাই আমি ঘরের ভিতর দিগম্বর সাধু হইলাম, এখন শুধু বাইরে গেলে ঢাইকা বাইর হই। ভাবতাছি এখন ঘর আর বাইরের বিভেদ রাখবো না, কবিগুরুর মতো সব দেয়াল ভাঙবো, ঘরের আমি আর বাইরের আমিতে প্রভেদ থাকবে না কোনো।

যা কইতেছিলাম, এই ছবির গল্প, আমার তেনাসঙ্কট দিনের গল্প।

সবাই এরশাদের বিরুদ্ধে মিছিল করে, স্বৈরাচার বিরোধি আন্দোলনে সবাইরে ডাকাডাকি করতে আছে, আমি যাই না, আমারে কে কইছিলো দলবাজি ভালো না, সেই থেইকাই আমি নির্দলীয় মানুষ। আর এইটা সবাইরে জানাইতে আমি 19শে নভেম্বর 90 এ যাই এরশাদ সাহেবের লগে দেখা করতে, এরশাদ সাহেব, লোকে কয় স্বৈরাচার, কবি মানুষ, গান লিখে, সেই গান টেলিভিশনে দেখায়, আমারে বিস্তর সমাদর করলো, কইলো রাইসু সাহেব আপনেরে আমি সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের প্রধান করে দিবো যদি আমার সাথে থাকেন,

এরশাদের চটির কালেকশন ছিলো ভালো, বিদেশি ছবিওয়ালা চটিও আছিলো মাহাত্বনের কাছে, ঘন্টা দুই চটি পইরা আমি চইলা আসি।

স্ব ীকার যাই আমি চটি পড়ি তবে পারিবারিক ভাবে পড়ি না, একলা একলা পড়ি, কিন্তু ঘরের ভিতরে পরিবারের সামনে জননাঙ্গ ঢাইকা রাখি না, আলো বাতাস পাইলে নাকি গাছের বৃদ্ধি হয়, আগাছাও বাড়ে শুনছি, আমার আগাছাও বাড়লো না , গাছও বাড়লো না।

এরশাদ সাহেব এই 65 বছর বয়েসে যা করতে আছেন আমি তুঙ্গ 23এও তা করতে পারতেছি না,

পরের দিন আবার গেলাম , গিয়া কইলাম আপনের যৌবনের রহস্য কি? দেশের সব পুরুষের পুরুষত্ব নিয়া টানাটানি করতেছেন, এত মিছিল মিটিং চলতাছে, আপনি তাও যাইতেছেন নবাবগঞ্জ মসজিদে নামাজ পড়তে। আপনের কলিজা আছে,

এরশাদের পৌরুষের নিদর্শনস্বরূপ আমি প্রথম ছবিটা আঁকি। যারা জানেন না তাগো অবগতির জন্য জানাইতাছি, এরশাদের গুটিবসন্ত হইছিলো, সেই গুটিবসন্তের ছাপ পড়ছে প্রথম ছবিতে।

আমি শোবার ঘরের দেয়ালে টানাইছিলাম ছবিটা, দেইখা পৌরুষ বাড়াইতাম, এমন বড় বড় ঝোলা অন্ডকোষী এরশাদ সাহেবের ভক্ত আমি তখন থেইকাই।

তয় আমার পরিশীলিত রুচিতে বসন্তগুটিগুলান বেশী ভালো লাগে নাই, ওইগুলারে শৈল্পিক রূপ দিছি,

আর ঐ অন্ডকোষ ঝুলাইছি কীলকে, এইটা এরশাদীয় পৌরুষের সাইনবোর্ড।

সেই দিন আমি ভাবতেছিলাম সংস্কৃতি অধিদপ্তরের প্রধান হইতে কেমন লাগবো, অনেক বড় বড় নেতা সচিবও ওগো পৌরুষ বেইচা দিছিলো এরশাদের কাছে, একজনতও শুনছি বৌকেও দিয়া দিছিলো। আমিও মুখমেহনের নামে এই ছবিতে পোষা সারমেয়র মতো এরশাদের জননাঙ্গ দাঁতে কামড়ে আছি।

এটা একটা কবিতা, উত্তর আধুনিক ধারার, কারো কারো মনে হতে পারে এটা রগর, এটা আসলে এই ছবি দেখে অনুপ্রানীত হয়ে লেখা, কেউ ব্যাক্তিগত জীবনের সাথে এটাকে মিলাতে চাইলে লেখক নিরুপায়।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।