রুশ মিডিয়ার হাল-হকিকত

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি
লিখেছেন সংসারে এক সন্ন্যাসী (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/০১/২০০৮ - ২:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক সপ্তাহ আগে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র ও ব্যক্তিস্বাধীনতা চর্চার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা ফ্রিডম হাউস প্রকাশ করে তাদের বার্ষিক রিপোর্ট। রিপোর্টটিতে রাজনৈতিক অধিকার ও ব্যক্তিস্বাধীনতাকে বিবেচনায় এনে পৃথিবীর সব দেশকে Free, Partly free এবং Not freeক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। রাশিয়ার অবস্থান Not freeগ্রুপে - উজবেকিস্তান, আরব আমিরাত, তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তান, সিরিয়া, সুদান, সোমালিয়া, সৌদি আরক, কাতার, পাকিস্তান, ওমান, উত্তর কোরিয়া, লিবিয়া, ইরান, ইরাক আর কিউবার মতো দেশগুলোর কাতারে। বাংলাদেশ পড়েছে Partly freeগ্রুপে। তবে প্রাকজলপাই যুগের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান নিম্নগামী। চার্ট দেখুন (পিডিএফ ফরম্যাট)।

আন্তর্জাতিক কোনও সংস্থা রাশিয়ার সমালোচনা করলেই যাঁরা তাতে পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পান, তাঁরা এ-ক্ষেত্রেও হয়তো হৈ-হৈ করে উঠবেন। তাঁদের সেই অবস্থান থেকে সরানোর কোনও উপায় কারুর জানা আছে বলে মনে হয় না।

রিপোর্টটি আপাদমস্তক নিখুঁত, তা বলাটা অনুচিত হবে। তবে বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিস্বাধীনতার গতিবিধি ও প্রবণতার একটি বাস্তব চিত্র তাতে পাওয়া যায়।

বছর দেড়েক আগে রাশিয়ার মিডিয়ার দুরবস্থা বিষয়ে আমার অপ্রকাশিত একটি লেখা সচলায়তনে প্রকাশ করছি।

‍~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

রুশ মিডিয়ার হাল-হকিকত

সোভিয়েত আমলে, যখন টিভি চ্যানেলের সংখ্যা ছিলো সাকুল্যে গোটা তিন-চারেক, সেই সময়ে প্রচলিত একটি কৌতুক:

কাজ থেকে ঘরে ফিরে এক লোক টিভি চালু করে দেখলো ব্রেঝনেভ বক্তৃতা দিচ্ছে। নব ঘুরিয়ে চ্যানেল বদলাল সে। সেখানেও ব্রেঝনেভের বক্তৃতা। নব ঘোরালো সে আবার। সেই চ্যানেলেও ব্রেঝনেভ। বিরক্ত হয়ে সে শেষ ভরসা চার নম্বর চ্যানেল খুললো। সেখানে কেজিবির এক অফিসার শ্যেনদৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে বলছে:
- চ্যানেল বদলানো হচ্ছে! মজা বের করে দেবো!

বর্তমান রুশ মিডিয়ার অবস্থা অনেকটা ওরকমই।

বিপন্ন বাকস্বাধীনতা
টেবিলের দু’পাশে বসে আছে দু’জন। একজনের বসার ভঙ্গি বিনীত। উত্তরদাতা সে। অন্যজন প্রশ্নকর্তা। অথবা বলা চলে, জেরাকর্তা। বিনীত ভঙ্গির ব্যক্তিটি রাশিয়ার কোনও এক মন্ত্রী। তাঁর মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডের জবাবদিহি করছেন। আর অন্যজন - পুতিন।

রাশিয়ার প্রায় প্রতিটি টিভি-সংবাদ শুরু হয় ক্রেমলিনে অনুষ্ঠিত এই সাজানো নাটকের দৃশ্য অথবা পুতিনের কোনও ভ্রমণ-বৃত্তান্ত বা বক্তৃতা দিয়ে। প্রথম খবরটি হবে পুতিন সংক্রান্ত - এটা রুশ টিভি চ্যানেলগুলোর ঐতিহ্যে পরিণত হয়ে গেছে বহু বছর ধরে। পুতিন- আর সরকার-বন্দনা পুরোদমে চলছে সোভিয়েত স্টাইলে।

সম্প্রতি ‘রুশ পেশাদার সাংবাদিক সংস্থা’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার পাঁচটি প্রধান টিভি চ্যানেলের সংবাদ অনুষ্ঠান চার সপ্তাহব্যাপী পর্যবেক্ষণ করে। এ জন্যে তারা বেছে নেয় ‘প্রাইম টাইম’ অর্থাৎ সন্ধ্যে ছ’টা থেকে রাত বারোটা। সংক্ষিপ্ত ফলাফল এই: ক্রেমলিনের কর্মকাণ্ডের ব্যাপক প্রচার আর সুর - মূলত ইতিবাচক।

সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘চ্যানেল ওয়ানে’ সংবাদ অনুষ্ঠানের ৯১% (না, ভুল পড়েননি। একানব্বই ভাগই।) সময় ব্যয় হয়েছে পুতিন আর সরকারের গুণকীর্তনে। ‘রাশিয়া’ চ্যানেলে এই সময়ের পরিমাণ ৮৮%। এই দুটি চ্যানেলেরই মালিকানা রাষ্ট্রের। মস্কো শহর কর্তৃপক্ষের চ্যানেল ‘টিভি সেন্টার’ও পিছিয়ে নেই প্রশস্তিগাথায় - ৯০%। সরকার নিয়ন্ত্রিত একায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ‘গাজপ্রোম’-এর (রাশিয়ার গ্যাস ও তেল বিক্রি ব্যবস্থাপনার একচ্ছত্র অধিকারী) কিনে নেয়া চ্যানেল ‘এনটিভি’ যশোগাথায় উৎসর্গ করেছে ৮৮% সময়। বিনোদনধর্মী চ্যানেল ‘রেন টিভি’ পুতিন অ্যান্ড কোম্পানির স্তুতিগানে মাত্র (!) ৬৪% সময় ব্যয় করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।

চ্যানেলগুলো বিরোধী দলের সংবাদ একেবারেই প্রচার করেনি, তা কিন্তু নয়। তবে ‘চ্যানেল ওয়ান’ - ২%, ‘রাশিয়া’ - ০,৬% সময় বিরোধী দলগুলোর জন্য বরাদ্দ করলেও তা ব্যয় করেছে নেতিবাচক সংবাদ প্রচারে।

রুশ টিভি চ্যানেলগুলোয় (রেডিও-পত্রিকাও ব্যতিক্রম নয়) সেন্সরের কড়াকড়ির কারণে অনেক টিভি-ব্যক্তিত্ব স্বেচ্ছানির্বাসন নিয়েছেন। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক অনুষ্ঠান। জনপ্রিয় পলিটিক্যাল লাইভ টক শো ‘বাকস্বাধীনতা’ উপস্থাপকসহ রাশিয়া ছেড়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে ইউক্রেনে।

রাশিয়ায় গণতন্ত্র ম্রিয়মান হয়ে এসেছিল ইয়েলৎসিনের পদত্যাগের পর থেকেই। এতে তাঁর প্রত্যক্ষ ভূমিকাও ছিলো। পদত্যাগের সময় তিনি পুতিনকে নিজের উত্তরাধিকারী হিসেবে ঘোষণা করেন। পদক্ষেপটি কোনও বিচারেই গণতান্ত্রিক নয়। এর পরেই শুরু হয়েছিল মিডিয়া প্রোপাগান্ডা। উদ্দেশ্য - রাজনৈতিক অঙ্গনে আনকোরা এবং অপরিচিত পুতিনকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে যথাযথ সহায়তা করা।

ঐতিহ্যটি বজায় রেখেছেন পুতিনও। তাঁর শাসনামল শেষ হবার আগেই তাঁর দুই সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই ইভানভ এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী দমিত্রি মেদভেদেভ, রীতিমতো কল্কে পেতে শুরু করেছেন টিভি চ্যানেলগুলোয়। শুধু ‘রাশিয়া’ চ্যানেলেই চার সপ্তাহে একেকজন কাভারেজ পেয়েছেন প্রায় আধঘণ্টার।

ইলেকট্রনিক মিডিয়া পুরোটা কব্জা করেও তৃপ্তি হয়নি পুতিনের। রাশিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী পত্রিকা ‘ইজভেস্তিয়া’ নিয়ন্ত্রণ করে ক্রেমলিন-নিয়ন্ত্রিত ‘গাজপ্রোম’। সম্প্রতি পত্রিকাটির সঙ্গে ক্রেমলিনের সমর্থনপুষ্ট দল ‘ইউনাইটেড রাশিয়া’ তথ্য আদান-প্রদানমূলক সহযোগিতার চুক্তি করে। দলটির প্রোপাগান্ডা বিভাগের প্রধান ইলিয়া কিসিলিওভ অধিষ্ঠিত হন ‘ইজভেস্তিয়া’-র প্রধান সম্পাদক পদে।

রাশিয়ায় মত প্রকাশের একমাত্র মুক্তাঙ্গন এখন ইন্টারনেট। চোদ্দ কোটি তিরিশ লাখ জনসংখ্যার দেশটির আড়াই কোটি লোক এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তা-ও হয়তো অচিরেই সেন্সরের আওতায় পড়বে। গোয়েন্দা বিভাগকে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্মক ক্ষমতা দানের একটি আইন রাশিয়ার পার্লামেন্টে আলোচিত ও পাশ হবার অপেক্ষায় আছে। সেক্ষেত্রে সেন্সর আরোপিত হবে পর্নোগ্রাফিক এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক সাইটগুলোয়, নাকি বাকস্বাধীনতায়, তা জানে শুধু ক্রেমলিন।

পুতিন - মুক্ত সাংবাদিকতার শত্রু
৩ মে, আন্তর্জাতিক মুক্ত স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে, দুই প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সংস্থা, Reporters Sans Frontieres এবং ‘সাংবাদিক স্বার্থ রক্ষা কমিটি’ প্রকাশ করেছে তাদের বার্ষিক রিপোর্ট। তাদের "মুক্ত সাংবাদিকতার শত্র" তালিকায় গত কয়েক বছরের মতো এবারেও স্থান পেয়েছেন পুতিন। আর তাঁর দৌলতে রাশিয়ার স্থান হয়েছে "মুক্ত সাংবাদিকতার জন্যে সবচেয়ে প্রতিকূল দেশ" নামের লজ্জাজনক তালিকার শীর্ষ দশে।


মন্তব্য

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

আনা পোলিতোভ্‌স্কায়া-রে তো শুনি পুতিন-ই খুন করাইলো।

তবে আমার প্রশ্ন অন্যখানে। ইয়েলতসিন আমলের খুবই বাজে শাসনের পরে পুতিন নাকি বর্তমানে রুশ আম-জনতার কাছে বেশ জনপ্রিয়?
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

নিশ্চিতভাবেই আন্না পোলিৎকোভ্স্কায়াকে জার পুতিনের নির্দেশে/ইঙ্গিতে/খায়েশে খুন করা হয়েছে। এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা যেতে পারে শুধু একটা কারণেই যে, অকাট্য প্রমাণ এখনও কেউ দাখিল করতে পারেনি।

পুতিন আম-জনতার কাছে আসলেই বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু জনপ্রিয়তাই কি সবকিছুর মাপকাঠি? হিটলারও কি জনপ্রিয় ছিলেন না জার্মানিতে? স্তালিনের মৃত্যুসংবাদ শুনে বহু সোভিয়েত নাগরিক হাউমাউ করে কেঁদেছে বলেই তাঁকে মহান বলতে হবে?

মিডিয়া সম্পূর্ণ দখলে আনতে পারলে আম-জনতাকে কব্জা করা কঠিন কোনও কাজ নয়। এক সোভিয়েত কৌতুকের শেষ লাইন ছিলো এরকম: নেপলিয়ন বলছেন, "আমার যদি প্রাভদা-র মতো একটা পত্রিকা থাকতো, তাহলে ওয়াটারলুতে আমার পরাজয়ের কথা আজও কেউ জানতে পারতো না।"

এক রুশ বুদ্ধিজীবী কয়েকদিন আগে বলছিলেন, গণতান্ত্রিক ব্যাপার-স্যাপার রুশদের ধাতে সয় না। তারা চায় কেউ তাদের শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করুক।

সারা ইয়োরোপে গ্যাস আর তেল সরবরাহ করে যেই দেশ, সেই দেশের লোকজনের থাকার কথা রাজার হালে। কিন্তু বাস্তবে কী দেখা যায়? সরকারের প্রচ্ছন্ন সহযোগিতায় গুটিকতক লোক কাঁড়ি-কাঁড়ি পেট্রোরুবল কামিয়ে চলেছে (পুতিনও এদের দলে আছেন বলে ধারণা করা হয়), আর মাঝে-মধ্যে কিছু পেট্রো-কোপেক জনগণকে দিয়ে তাদের তুষ্ট রাখা হচ্ছে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

"এক রুশ বুদ্ধিজীবী কয়েকদিন আগে বলছিলেন, গণতান্ত্রিক ব্যাপার-স্যাপার রুশদের ধাতে সয় না। তারা চায় কেউ তাদের শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করুক।"

এই কথাটা আরো কয়েক জায়গায় পড়লাম। যে ৯১-এর পরে প্রাইভেটাইজেশানের নামে সব কানেকশান-ওয়ালা লোকদের কাছে পানির দামে সব রাষ্ট্রীয় মনোপলি বিক্রি করায় অলিগার্কদের জন্ম হয় - বেরেজোফ্‌স্কি টাইপের - কিন্তু সাধারণ মানুষের দিকে কোন নজর দেওয়া হয় নাই। পুতিন যেহেতু একটু স্থিতিশীল, নিশ্চিত পরিবেশ দিতে পারছে (যদিও সেইটা গণতন্ত্রের হোগা মাইরা), তাই পাবলিক তাতেই খুশী। শক্তের ভক্ত আর কি।

আর national glory জিনিসটাও আছে। এমনিতেই তো রুশরা অসম্ভব দাম্ভিক, বর্ণবাদী**, প্রচন্ড মাত্রায় ইহুদী-বিদ্বেষী - সম্ভবত আরবদের থেকেও বেশী। (বড় বড় অলিগার্করা আবার সবাই ইহুদী - আব্রামোভিচ, খোদোর্কোফ্‌স্কি, বেরেজোফ্‌স্কি। পুতিনের এইদিকে সুবিধা কইরা দিছে।) সেই যে বিরাট দাপটে রাশিয়া অর্ধেক ইউরোপ শাসন করছিলো, ইউক্রেন, তিন বাল্টিক, পোল, চেক সহ সবার উপর ছড়ি ঘুড়াইতো, সেই সুখ স্মৃতি রুশরা এখনো ভুলতে পারে নাই। এখন পুতিন আবার সেই আশা দেখাইতেছে, আগে আছিলো ট্যাংক আর মিসাইল, এখন তার বদলে আছে তেল আর গ্যাস। ইউক্রেনের গলায় পারা অলরেডি একবার পড়ছে, যত দিন যাইবো, তেল যত ফুরায় যাইবো, পুতিনের দাপট তত বাড়বো। National glory আবার ফেরত আইবো।

আবার এই দিকে কিন্তু ঠিকই ভোদকা খাইয়া খাইয়া গড় আয়ু কমতাছে। জনসংখ্যাও তরতর কইরা নিম্নমুখী। অন্য "-স্তান" দেশগুলি থেকা লেবার আইনা কভার দেওয়া লাগে এখন।

**রুশদের হাতে অনেক বিদেশী স্টুডেন্ট গত কয় বছরে খুন হইছে, আর অপদস্ত তো প্রতিদিন। বিবিসির রিপোর্ট - এক, দুই, তিন
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

এই অঞ্চলে না থেকেও আপনি যতো খবরাখবর রাখেন, আপনাকে আমি আর নতুন কী বলবো?

অলিগার্ক বিষয়ে আমার পর্যবেক্ষণ বলে, ইহুদি-ফিহুদি কোনও ফ্যাক্টর নয় পুতিনের কাছে। টাকা বানাচ্ছো, বানাও, কিন্তু আমার লেজে পা দিও না - এই হচ্ছে তাঁর নীতি। তাঁর চারপাশেই রয়েছে একগাদা অনুগত অলিগার্ক। আর সরাসরি পুতিন বিরোধিতার কারণে বেরেজোফ্‌স্কিকে আশ্রয় নিতে হয়েছে লন্ডনে, বিরোধী দলকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জেলের ভাত খাচ্ছেন খোদোর্কোফ্‌স্কি, এক সময়ের স্বাধীন টিভি চ্যানেলের মালিক অলিগার্ক গুসিন্সকিকে চলে যেতে হয়েছে ইজরায়েল। কারণ তাঁর চ্যানেলে প্রচার করা হতো পুতিনের সমালোচনা।

... প্রচন্ড মাত্রায় ইহুদী-বিদ্বেষী - সম্ভবত আরবদের থেকেও বেশী...

আমার ধারণা, মাত্রা (অথবা প্রকাশটা) এতোটা প্রবল নয় আরবদের মতো।

আজকের খবর শোনেন। ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হবার পরিকল্পনা করছে শুনে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিলো, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিলে রাশিয়া যথাযথ প্রতি-পদক্ষেপ নেবে। কারণ, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদান রাশিয়ার কাছে সামরিক হুমকির শামিল।

বক্তব্যটাকে যুক্তিযুক্ত বলা যেতে পারতো, যদি রাশিয়ার সীমান্তবর্তী আরও দুটি দেশ - পোল্যান্ড আর বুলগেরিয়া - ন্যাটোর সদস্য না হতো।

এই হচ্ছে রাশিয়ার আলগা দারোগাগিরি!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- রেন টিভি বিনোদনধর্মী চ্যানেল?
আমি তো জানতাম খাইষ্টা জিনিষ দেখানোর লাইগ্যা ওস্তাদ হালারা।
না-আউযুবিল্লাহ!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

একটা সিরিয়াস টাইপের লেখা দিলাম, ভাবসিলাম। আপনে এর মধ্যেও না-আউযুবিল্লাহ কওনের স্কোপ বাইর কইরা লইলেন হো হো হো পারেনও আপনে!

হে বান্দাগণ, হাশরের ময়দানে আল্লাহপাক যখন তোমাদিগকে প্রশ্ন করিবে, জীবনে তুমি কতোবার না-আউযুবিল্লাহ বলিয়াছ...

তখন দেখা যাবে, আমার লেখাগুলোর কল্যাণে আপনার বেহেশতবাস নিশ্চিত হয়ে গেছে চোখ টিপি

একখান প্রশ্ন। খাইষ্টা সিনেমা কি বিনোদনের পর্যায়ে পড়ে না?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বস, ঐযে ঢেঁকি আর স্বর্গ নিয়া কী একটা কথা আছে না!
ঐটাই আরকি!! চোখ টিপি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সুজন চৌধুরী এর ছবি

বলেন কী?? !!! এই অবস্থা ঐ দিকে !!! আর আমরা বাংলাদেশের জন্য লজ্জা বোধ করি
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

রাশিয়ার অবস্থা আমাদের চেয়ে সঙ্গীন বলে আত্মতৃপ্তিতে ভোগার অবকাশ আমাদের নেই। রাষ্ট্র হিসেবে রাশিয়া কোনওক্রমেই কোনও দেশের জন্য অনুকরণীয় হবার যোগ্যতা রাখে না।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

সুপোস্ট।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

ধন্যবাদ। আমি তো ভেবেছিলাম, এই পোস্টটি বড়ো জোর ১৫-২০ বার পঠিত হবে। সংখ্যাটি পঞ্চাশোর্ধ দেখে খুব ভালো লাগছে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আড্ডাবাজ এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।