তিতাস কোন নদীর নাম নয় ৪র্থ পর্ব

শ্যাজা এর ছবি
লিখেছেন শ্যাজা (তারিখ: সোম, ০৯/০৭/২০০৭ - ১২:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

-4-

আকাশ আজো ঢেউয়ের মুখোমুখি,
নদীর উজান ভেজায় ক'টি তারা৷
অন্ধকারে স্রোতের কশাঘাতে
হটাত্ বুঝি বুকের মাঝে নেই,
আমার পাশে চলার ছিল যারা৷ ( নির্মলেন্দু গুণ )

একে একে অনেকগুলো অঘটন ঘটে গেল এই পাড়ায়৷ সখিনার স্বামী বুড়ো হাসন আলি হঠাত্ করে মরে গেল ৷ বিকেলবেলা উঠোনে বসেছিল হঠাত্ অসুস্থ বোধ করে ৷ খানিকক্ষণের মধ্যেই মাটিতে গড়াগড়ি ৷ তার কি কষ্ট হচ্ছে সেটুকুও সে বলতে পারে নি ৷ ধড়ফড় করতে করতে শেষ ৷ উঠোনে হাত পা ছড়িয়ে বুক চাপড়ে কাঁদছিল সখিনা, তার ছেলে মেয়ে তিনটে এক কোণে বসে আছে বুড়ো মইজুদ্দিনের কাছে৷ মইজুদ্দিন চুপ করে বাচ্চা তিনটেকে আগলে বসে আছে ৷ আশে পাশের বাড়ির মেয়েরা এসে সখিনাকে উঠোন থেকে তুলে ঘরের ভিতরে নিয়ে চলে গেল৷ সখিনার স্বামীর এখন দাফন কাফন হবে, পাড়ার পুরুষেরা এসে সে বন্দোবস্ত করতে লাগল৷ ঘরের ভেতর থেকে শুধু সখিনার হেঁচকির আওয়াজ ভেসে আসছে৷ আহাদালির মা বুবু আমার হাত ধরে বলল চলেন আম্মা, ঘরে যাই, আফনের দাদি আবার খুঁজতে আরম্ভ করব ৷

ওপাড়ার মুসা লস্করের ছেলে লিয়াকত চাচা মরে গেল সাপের কামড় খেয়ে৷ পাশের বেতঝাড়ে বেত কাটতে গিয়েছিল সে৷ বিষাক্ত সাপে ছোঁবল দেয় তাকে৷ কিচ্ছু করা যায়নি লিয়াকত চাচার জন্যে ৷
ক্বালা আলক্বিহা ইয়া মূসা ৷৷
ফাআলক্বাহা ফাইযা হিয়া হাইয়্যাতুন তাস্আ ৷৷
ক্বালা খুয্হা ওয়ালা তাখাফ্ সানুয়ীদুহা সীরারাহাল ঊলা ৷৷ ( সূরা তা-হা, 19-21 আয়াত)
[ আল্লাহ বলেছেন, হে মুসা, তুমি লাঠি নিক্ষেপ কর৷ তিনি তা নিক্ষেপ করলেন, তখন তা অজগর সর্প হয়ে বিচরণ করতে লাগল৷ আল্লাহ বলেছেন, তুমি এটাকে ধর ভয় পেয়োনা; আমি প্রথম বার একে লাঠিতে পরিণত করে দিচ্ছি ]
ওঝা এসে অনেক চেষ্টা করেছে বিষ নামানোর, কিছুই করতে পারেনি সে৷ গোটা শরীর ক্রমশ নীল হয়ে গেছে লিয়াকত চাচার, মুখ দিয়ে গ্যাজলা উঠছে আর চোখ দুটো উল্টে যাচ্ছে খুব দ্রুত৷ চার হাত পা মাটিতে দাঁপিয়ে দাঁপিয়ে ধীরে ধীরে শান্ত হয়েছে সে৷ এদিকে যতখানি দাঁপিয়েছে লিয়াকত চাচা তার চাইতে বেশি বুক চাপড়ে মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে কেঁদেছে তার মা,বাবা৷ বড় কাকা খবর পেয়ে সাইকেল নিয়ে বাজারের হাসপাতাল থেকে ডাক্তার নিয়ে এসেছে কিন্তু তখন আর কিছু করার ছিল না কারও ৷

ছেলের শোকে পাগল হয়ে গেল বুড়ি মা ৷ আর শোকে শোকে কয়েক মাসের ভেতর মরে গেল মুসা লস্কর৷ পাশের বাড়ির সুজন তার বউ বাচ্চা নিয়ে এসে দখল নিল তার চাচার বাড়ি বাগান আর পুকুরের৷ জমি-জমার দখল আগেই নিয়েছিল সে৷ মুসা দাদার অত সাধের বাগান শুকিয়ে যেতে লাগল অযত্নে ৷ বুড়ি দাদি সারাদিন ঘুরে বেড়ায় এ বাড়ি ও বাড়ি, যেখানে সন্ধ্যে হয় সেখানেই আঁচল বিছিয়ে শুয়ে পড়ে ৷ সুজনের বউ সাফিনা সরাদিন বাড়িতে পাড়ার মেয়েদের নিয়ে আড্ডা দেয় পান খায় আর মোড়লি করে৷ মুসা লস্করের বাগানে বসে পাড়ার ছেলে ছোকরাদের নিয়ে জুয়া খেলে সুজন ৷

ইসমাইল লস্করের মেয়ে রওশন আরা পালিয়ে গেল বাড়ি থেকে ৷ একদিন সকাল বেলায় তাকে আর কেউ খুঁজে পেল না ৷ মেয়েদের গলার কান্নার আওয়াজে ওবাড়িতে গিয়ে দেখা গেল চম্পা চুপ করে বসে আছে চৌকির উপরে আর তার মা বিলাপ করে কাঁদছে আর বলছে মেয়ে এভাবে চুনকালি দিল সবার মুখে! ইসমাইল লস্কর ঝগড়া ভুলে এসে আমাদের বাংলা ঘরের বারান্দার বেঞ্চে এসে বসে রইল৷ দাদাজি তাকে বললেন, কি করবা মিঞা অহন আর? খোঁজ কর মাইয়া কই গ্যাসে, শাদি বিয়া হইসে না কি এমনিই আছে, খোঁজ পাইলে আইন্যা মান সম্মানের সাথে বিয়া দিয়া বিদায় কর৷ আর কিসু করনের নাই অহন ৷

সখিনার আবার ছেলে হল৷ হাসন আলি মরে যাওয়ার কিছুদিন পরেই সখিনা আবার বিয়ে করে৷ পূবপাড়ার কাশেমকে৷ যার সাথে সখিনার বহু বছরের "পিরীত' ৷ এবারেও সে শ্বশুর বাড়ি যায় না ৷ তবে এবার আর তার স্বামী ঘর জামাই হয় না ৷ সে তার নিজের বাড়ি আর মইজুদ্দিনের বাড়ি দু বাড়িতেই থাকে ৷ তার নিজের বাড়িতেও তার একটা বউ আছে৷ মইজুদ্দিন এখন আর উঠোনে বসে বাঁশ চেঁছে বেত তোলে না ৷ বেশির ভাগ সময়েই নিজের ঘরের সামনে হুকো হাতে ঝুম মেরে বসে থাকে৷ সখিনা ঠেলে তুললে উঠে গিয়ে স্নান করে, খায় আবার এসে ঝুম মেরে বসে৷ কারও সাথে কথা বলে না ৷ এখন আর ওদের উঠোনের উপর দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় ছেলের দল ভয় পায় না, মইজুদ্দিন যে ওদের আর হাঁক দেয় না ৷

আমাদের বাড়িতে বিয়ে ৷ ছোটফুফুর৷ দাদাজি হজ্বে যাবেন তার আগেই ছোটফুফুর বিয়ে সেরে রেখে যেতে চান৷ দাদি গাছ কাটিয়ে লাকড়ি করাচ্ছেন নজু চাচাকে দিয়ে৷ পাড়ার মেয়ে বৌ রা ঢেকিতে মশলা গুড়ো করছে সারাদিন ধরে৷ গামলা ভর্তি ধনে,জিরে পুকুরের জলে ধুয়ে এনে রোদে শুকানো হয়েছে পাটি পেতে, ঝাল ঝাল লাল লংকা রোদে শুকিয়ে মুচমুচে করা হয়েছে যাতে করে গুড়ো ভাল হয়, মিহি হয়৷ ঢেকিতে লংকা গুড়ো করার সময় নাকে মুখে কাপড় বেঁধে নেয় যারা গুড়ো করে তা সত্বেও হ্যাচ্চো হ্যাচ্চো চলতেই থাকে৷ বড় ফুফু মেজ ফুফুরা সব তাদের শ্বশুর বাড়ি থেকে এসেছে৷ ছোটফুফু সারাদিন উত্তরের ঘরে মাথায় ঘোমটা টেনে বসে থাকে, ঘরে কেউ এলে মাথার ঘোমটা আরও টেনে দেয়৷ কাকিমা এসে বলে, কি গো, তুমি যে অ্যাত্তো বড় ঘোমটা বাপের বাড়িতেই দিসো তো জামাইর বাড়ি গিয়া কি করবা? অহন বহুত সময় আছে, ঘাড় ব্যাঁকা হইয়া যাইব ঘোমটা দিয়া বইয়া থাকতে থাকতে! অহন সোজা হও আর এট্টু ঘুইরা ফিরা বেড়াও! ছোট ফুফু আরও ঝুঁকে বসে৷ রাতে ছোটফুফু আমাকে জিজ্ঞেস করে, তুই দেখছস তারে? আমি বলি, হ, দেখছি, সুন্দর না! ছোটফুফু আর কিছু বলে না৷

সতীর শীতল শব বহুদিন কোলে লয়ে যেন অকপট
উমার প্রেমের গল্প পেয়েছে সে; চন্দ্রশেখরের মত তার জট
উজ্জ্বল হতেছে তাই সপ্তমীর চাঁদে আজ পুনরাগমনে; ( জীবনানন্দ দাশ)

লাল নীল সবুজ হলুদ কাগজের ফুল কেটে কেটে সব দেওয়ালে লাগানো হল, দরজায় জানালায় ঝুলছে ঐ একই কাগজের কাটা ঝালর, রঙীন কাগজের শেকল বানিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হল সারা বাড়িতে৷ সবকটা ঘরের মেঝেতে আল্পনা আঁকল কাকিমা৷ আজকে ছোটফুফুর গায়ে হলুদ৷ সারা বাড়ি ভর্তি আত্মীয়-স্বজন৷ কাকিমা বসে হলুদ বাটছে শিলে, এই হলুদ ছোটফুফুকে মাখানো হবে৷ পাশেই গোল হয়ে বসে মেয়েরা সব বিয়ের গীত গাইছে ৷
তুমি পান বাটো, হলদি বাটো তুমি ক্ষীরা বাটো রে ৷৷
মেথি বাটো মেন্দী বাটো তুমি শুন্দা বাটো রে ৷৷
হাঁটু পানিত নাইম্যা কইন্যায় হাঁটু মান করে রে ৷৷
পূর্ণিমার চাঁন নামলো পানিত, দেখো নয়ন মেইল্যা রে ৷৷
কোমর পানিত নাইম্যা কইন্যায় কোমর মান করে রে ৷৷
পূর্ণিমার চাঁন নামলো পানিত দেখো নয়ন মেইল্যারে ৷৷
তুমি পান বাটো, হলদি বাটো তুমি ক্ষীরা বাটো রে ৷৷

ওদের মধ্যে আছে মেজফুফু৷ এক হাতে নিজের বা ঁকান চেপে রেখেছে আর ডাঁন হাত দিয়ে ধরে রেখেছে পাশে বসে গীত গাইতে থাকা জমজম ফুফুর গলা৷ একই ভাবে জমজম ফুফুও নিজের বা ঁহাতে কান চেপে রেখে ডাঁন হাতে জড়িয়ে রেখেছে তার পাশের জনের গলা৷ উঠোনে কলাগাছ কেটে এনে বিয়ের গোসলের "মাওরা' সাজানো হয়েছে৷ চারকোনায় চারটে কলাগাছ পুঁতে ঘিরে দেওয়া হয়েছে রঙীন কাপড়ে, কলাগাছে জড়ানো হয়েছে লাল নীল সবুজ কাগজের শেকল আর ছোট ছোট তেকোনা করে কাটা কাগজ৷ সেই মাওরার ভেতরে আছে ছোট্ট চৌকি, সেটাও কাগজ আর আল্পনায় সাজানো৷ সেখানে বসিয়ে ছোটফুফুর গায়ে হলুদ মাখানো হবে আর তারপরে বিয়ের গোসল৷ লালপাড় হলুদ শাড়ি বুকের উপরে গিঁট দিয়ে পেঁচিয়ে পরা৷ হাতে৷ গলায়৷৷ কানে মাথায় হলুদ গাঁদা আর লাল গোলাপ দিয়ে বানানো গয়না পরা ছোটফুফুকে ছোটকাকা কোলে করে সেই মাওরার ভেতরে নিয়ে বসিয়ে দিল সাজানো চৌকির উপরে৷ প্রথমে দাদি তারপরে মা, কাকিমা আর তারপরে ফুফুরা সব একে একে ছোটফুফুর মুখে হাতে পায়ে খানিকটা করে হলুদ মাখিয়ে দিল, হাতে হলুদ নিয়ে প্রথমে সেই হলুদ নিজের কপালে ছুঁইয়ে তারপরে সেই হলুদ কনের মুখে হাতে পায়ে মাখিয়ে দিল সবাই৷ আমিও এক খাবলা হলুদ নিয়ে আগে নিজের কপালে ছুঁইয়ে নিলাম যেমন করে দাদি আর অন্য সকলে করেছে, আর তারপরে ছোটফুফুকে মাখিয়ে দিলাম সেই হলুদ ৷ মাওরার বাইরে গোল হয়ে বসে পাড়ার মেয়ে বউরা তখনো গাইছে বিয়ের গীত৷ সাথে আছে মেজফুফু আর তার সই জমজম ফুফু ৷
তোল তোল পালকি তোল রে, আমি যামু তোমার দেশে ৷৷
তোমার দেশে গেলে রে আমি পানি কোথায় পাব রে??
আমার বাপের আছে জোড়াদীঘি হে আমি পানি সেথায় পাব ৷৷
তোল তোল পালকী তোল রে আমি যাব তোমার দেশে রে ৷৷
তোমার দেশে গেলে আমি খানা কোথায় পাব রে??
আমার বাপের আছে জোড়া হোটেল আমি খানা সেথায় খাব রে ৷৷
তোল তোল পালকী তোল রে আমি যাব তোমার দেশে রে ৷৷

(আগামী পর্বে সমাপ্য)


মন্তব্য

শ্যাজা এর ছবি

ইচ্ছে করল না!


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

শ্যাজা এর ছবি

কিন্তু এখন তো দেখছি প্রথম পাতাতেই আছে! এডিট অবশ্য করেছিলাম কিন্তু 'আমার ব্লগে প্রকাশিত'তেই ক্লিক করে সংরক্ষনে দিয়েছিলাম!!


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

নজমুল আলবাব এর ছবি

নিরব পাঠকদের কোন দাম আছে আপনার কাছে শ্যাজাদি?

আগের পর্বে যে ঝাড়ি দিলেন! তাই একটু সরব হলাম। হাসি

শ্যাজা এর ছবি

তাহলে খুব শিগগরি শেষটা দিয়ে দিচ্ছি! সমালোচনা পাবার আশায় হাসি

মনটা ভার। এক প্রায় অচেনা অজানা মানুষের চলে যাওয়া যেন বুকের পরে চেপে বসে আছে।


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

শ্যাজা এর ছবি

নজমুল,
আমি লিখি খুব খুব কম। বছরে দু-তিনটা হয়ত গল্প লিখলাম আর মাঝে মাঝে একটু ব্লগব্লগানি। আগে মজলিশ বলে একটা জায়গায় নিয়মিত লিখতাম মাঝে মাঝে গুরুচন্ডা৯ তেও। এখন শুধু ব্লগিং-এই সীমাবদ্ধ। কম লিখি বলেই হয়ত পাঠকের কাছে প্রত্যাশাও বেশি। নিজের এই স্বল্প সংখ্যক লেখা নিয়ে আমি তাই বেশ একটু স্পর্শকাতরই বলতে পারেন। ওরকম রিয়্যাক্ট করেছিলাম বলে এখন বেশ লজ্জাই পাচ্ছি!

নীরব-সরব সকল পাঠকই অমূল্য।


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

নজমুল আলবাব এর ছবি
সুমন চৌধুরী এর ছবি

পড়ছি।
শেষ কইরা কমু। হাসি
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

কারুবাসনা এর ছবি

বাহ। ভাল ভাল।

আরো লেখ। হাতে কত ঢপের কাজ বলত।তবু তার মাঝেই লিখতে হয়।ওই কথা-টথা বলে একটু সময় কাটানোর মত।

লেখ। আরো লেখ। অনেক লেখা পড়তে চাই। নিরাশ করো না।
জ্বর কমলে বরং লিখতে বোসো।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

??? এর ছবি

শ্যাজা, আপনি শেষ করতে চাইছেন কেন লেখাটা? আমার তো ধারণা এটা আরো অনেক দূর যাবে!

শ্যাজা এর ছবি

লেখাটা অলরেডি শেষ। এটা গতবছর পুজোর সময়কার লেখা। যারা ছেপেছিল তাদের আর্কাইভ নেই বলে লেখাটা ওয়েবে নেই। ভাবলাম ব্লগে তুলে দিই। ওয়েবে থাকলে লিংক দিয়ে দিলেও হত। বড় লেখা বলে ভেঙে ভেঙে দিলাম।

ছাপতে দেওয়ার পরে আমারও মনে হয়েছিল যে এটা আরও বড় হতে পারত!


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

??? এর ছবি

এটা একটা খুব অথেনটিক এথনোগ্রাফি, তিতাস পারের জীবনের। যত বড় হয় তত সুবিধা। শেষ করে ফেলেছেন সমস্যা নাই। পরে আবার কখনো ইচ্ছা করলে লিখবেন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।