বইমেলা প্রতিদিন ৪

আহমেদুর রশীদ এর ছবি
লিখেছেন আহমেদুর রশীদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০২/২০০৯ - ৯:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আহা এই লেখাটি লেখার জন্য যদি প্রতিদিন ৩টায় ঢুকতে পারতাম মেলায় আর সাড়ে ৯টায় বাতি বন্ধ করার পর বেরুতাম।প্রতিটি স্টলে স্টলে দাঁড়াতাম,নেড়ে-চেড়ে দেখতাম বইগুলি।যদি খেয়াল করতে পারতাম লেখক মঞ্চে আগত সেলিব্রেটিদের,তথ্যকেন্দ্রের ঘোষনাগুলি যদি শুনা যেত কান লাগিয়ে-তাহলে এই সিরিজটি হয়তো কিছুটা হলেও রিপোর্টের মর্যাদা পেত।তিন দিন পর এই প্রশ্নটি আমার নিজেকেই করতে হচ্ছে।কিন্তু আমিতো কোন রিপোর্ট লিখতে বসিনি।আমি যা লিখছি তা একান্তই একটা ব্যক্তিগত জার্নাল।
রাখালগিরি শেষ করে মেলায় ঢুকতে ঢুকতে আমার আসলেই দেরী হয়ে যায়।যদিও আমি আপডেট থাকি ৩টা থেকেই।সময় কম থাকলেও আমি একটা ঢু মারি,নতুন কি কি বই আজ মেলায় এল -তার খবর নেই।আমার পরিচিত কারো বই এখনো মেলায় দেখিনি।আরো ৪/৫দিন অপেক্ষা করতে হবে এর জন্য।বইমেলায় এখন যারা আসছেন-তারা শুধু দেখছেন আর শুনছেন।বইকেনা শুরু করেননি।আমি ভেবেছিলাম নতুন বই আসার আগে কিছু পুরনো বই বিক্রি হয়ে যাক।বিশেষ করে পূর্ণমুঠি' মেলা থেকে কিনলে ২৫% কমিশন পাওয়া যাবে।
লিটলম্যাগ চত্বরেও এখনো জমে উঠেনি আড্ডা।সেদিক থেকে শুদ্ধস্বরের সামনে সচলাড্ডা অনেক বেশি জমজমাট।বিশেষ করে গতদুদিন থেকে কবি মুজিব মেহেদির স্পন্সরে হাওয়াই মিঠাই সবাই হাতচেটে সাবাড় করছেন।
রাত বাড়ে,ভাঙ্গে মেলা কিন্তু ভাঙ্গে না মানুষের মেলবন্ধন।টিএসসি থেকে শাহবাগ অব্দি আরো অনেকক্ষন পর্যন্ত থেকে যায় জটলা..আড্ডার রেশ।


মন্তব্য

সবজান্তা এর ছবি

২৫% ডিসকাউন্ট !

আর সচলদের জন্য নিশ্চয়ই ২৫% এর উপর আরো ২৫% ডিসকাউন্ট, তাই না চোখ টিপি

আচ্ছা এমনিতে এবার ডিসকাউন্ট রেট কত ?


অলমিতি বিস্তারেণ

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

গতকাল মেলা ঘুরে দেখলাম প্রিয় লেখক এবং পরিচিতদের নতুন বই এখনো খুব একটা আসেন। তবে গতকাল শহিদুল জহিরের নতুন উপন্যাস পেলাম। কিনেছি সাথে সাথেই।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ভালো লাগছে...

অমিত আহমেদ এর ছবি
নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

চলুক

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

সেইরকম হইতেছে বস। রিপোর্টের মর্যাদা দরকার নাই। কালকে একুশে টিভি-তে আসলাম সানী আঙ্কেলের উপস্থাপনায় ধারাবাহিক দিনতামামির যে খাজনা-বাজনা আয়োজন দেখলাম বইমেলা নিয়ে, কী যে হাস্যকর তার প্রেজেন্টেশন! চ্রম ব্রক্তিকর! মন খারাপ
তার চে' বস আমাদের এই জার্নালই ভালো। চালায়া যান। আমরা নিচে নিচে আপনার পিছে ঠিকই উলু দিয়া যামু।
বেশ ভালো লিখছেন। আপনার হাসিটার মতোই ঝিলিক মারা সুন্দর হয় আপনার এমন সহজ উপস্থাপন। সত্যিই।
আসা তো হবেই মাঝেমধ্যে। পূর্ণমুঠি-টা কিনবো নেকস্ট দিন। কালকে একটু ইতিউতির মধ্যে ওইটা মিস করছি।
আর, হায় রে, মুজিব ভাইয়ের হাওয়াই মিঠাইও তো মিস করলাম আমি! মন খারাপ

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি কাল অনেকবার চেষ্টা করেও আপনাকে ছবিগুলো মেইল করতে পারলাম না টুটুল ভাই, নেট স্পিড খুব কম। আজ নিয়ে আসতেছি।
ডায়েরি চলুক... দেখি আজ থেকে আমিও যোগ দিবো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

এনকিদু এর ছবি

দুঃখিত টুটুল ভাই, গতদিনের ছবি মেইল করতে দেরি করে ফেললাম । আপনার ইনবক্স দেখেন, ছবি পাঠিয়ে দিয়েছি । এখানে ফিট করে দিতে পারেন চাইলে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মাহবুব লীলেন এর ছবি

তুমি স্টলে একটা ল্যাপটপ নিয়ে সরাসরি পোস্ট লিখতে পারো বইমেলা থেকে

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

স্যার গরীব বলে মস্করা করলা!
পয়সা বাঁচানোর জন্য দুপুরে ভাত খাই না স্যার..
তয় কেউ গিফট করতে চাইলে-আমি কখনোই না করি না।

---------------------------------------------------------

আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

মাহবুব লীলেন এর ছবি

অন্যপ্রসঙ্গ: প্রিপ্রেস: লেখকের অংশ

নাম এবং নাম

লেখায় নামের প্রধান ক্যাটাগরি দুইটা: এক. বাস্তব নাম (ব্যক্তি স্থান জিনিসপত্র) দুই. কাল্পনিক নাম (চরিত্র, স্থান এবং বিষয় আশয়)

বাস্তব নামের মধ্যে ব্যক্তি নামটা একটু আলাদা
এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি যেভাবে তার নামটা লেখে সেটাই লিখতে হয়
কিন্তু এখানেই ঝামেলটা বাঁধে। একেকজন একেকরকম করে লেখে একই নাম (মুহম্মদ মুহাম্মদ মুহাম্মাদ মোহাম্মদ মোহাম্মাদ)

বাস্তব ব্যক্তির নাম সে ভুল লিখুক আর শুদ্ধ লিখুক ওটাই লেখা চেষ্টা করা দরকার
এক্ষেত্রে নামটা যদি একাধিকবার আসে তাহলেই বিপদ বাড়ে। এই ঝামেলা এড়ানোর জন্য তার নিয়ম অনুযায়ী সঠিক বানানটা কোনো এক জায়গায় লিখে রেখে পরে চেক করে নিতে হয়

০২

স্থান এবং অন্যান্য জিনিসপত্র কিংবা পশুপাখির নামের ক্ষেত্রেও একই বিষয়
অনেক সময়ই স্থানের নামের ক্ষেত্রে বানান উল্টাপাল্টা থাকতে পারে
কিন্তু কিচ্ছু করার নেই

এটাও চেক করে নিতে হয় পরে

০৩

চরিত্রের নাম হয় কয়েক ধরনের
ক. প্রচলিত নাম; যেগুলো বাংলা শব্দ নয় কিন্তু বাংলা ভাষায় নাম হিসেবে ব্যবহৃত (ফিরোজ রহিম টম জলি হ্যাপি)

এই ধরনের নামগুলোতে সাধারণ বানান রীতি এবং প্রচলিত বানা রীতি ফলো করাই উচিত আজাদকে য়াজাদ্ কিংবা আযাদ এবং হ্যাপিকে হ্যাপী না লেখাই ভালো

খ. বাংলা শব্দের নাম; যেগুলো সাধারণ কথাবর্তায় কিংবা লেখায় অর্থবোধক শব্দ হিসেবে ব্যবহার হয় (রাজেন্দ্র- রাজা- আনন্দ - নিশি- পলাশ- শিমুল- তোতা- ময়না। কিংবা কাউয়া নাসির- মুরগি মিলন)

এক্ষেত্রে সরাসরি মূল শব্দের বানানটাই ফলো করলে ঝামেলা কমে যায়

গ. ভাঙা নাম; বেশ কিছু নাম আছে যেগুলো কোনো একটা মূল শব্দ থেকে রূপান্তরিত কিংবা ভাঙা (রাজা-রাজু। আনন্দ-আনন্দি। অপূর্ব-অপু। মল্লিকা-মলি)

এই রূপান্তরিত নামগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো অর্থ বহন করে না।
এসব ক্ষেত্রে সিম্পল বানান ফলো করাই ভালো (অপূর্ব থেকে এসছে বলে অপূ লিখলে বিপদই বাড়বে)

ঘ. ধ্বনিনির্ভর নাম

প্রচুর নাম আছে যেগুলো কোনো মূল শব্দ থেকেও আসেনি। বিদেশিও না। এই নামগুলো মূলত কিছু ধ্বনির যোগফল (টুম্পা তিন্তি মন্টু টুটুল লীলেন মুমু)

এসব ক্ষেত্রে সিম্পল বানান করলেই ঝামেলা চুকে যায় (যদিও আমি যে কেন নিজের নামের দীর্ঘ ইকার দিলাম বলতে পারি না)

ঙ. বানানো নাম

সবচেয়ে বেশি ভুল হয় নিজের বানানো নামে। ছোট মিয়া- ছোটমিয়া- ছোটমিঞা- ছোট মিঞা

একই লেখায় এইনামগুলোর মধ্যে যে কোনো একটা শুদ্ধ। বাকিগুলো ভুল।

বাবানো নামগুলো লেখার অভিজ্ঞতা কম থাকার কারণে (কারণ একটা গল্পেই হয়তো একটা নাম ব্যবহার করা হয়)এই বানাগুলো একই লেখার মধ্যে দৌড়াদৌড়ি করে বিভিন্ন দিকে

এক্ষেত্রে যে কোনো একটা বানানকে স্ট্যান্ডার্ড ধরে সেটা আলাদা একটা তালিকায় রেখে দিয়ে পরে একসঙ্গো শুধু নামটা চেক করে নিলে ঝামেলা কমে যায়

(পিসিতে ফাইন্ড রিপ্লেস ইউজ করেও করা যায় খুব সহজে)

ক্রিয়েটিভ লেখায় ডাকনামগুলো আরেক্টা ভুলের খনি
ক যদি খ কে চাচ্চু ডাকে তাহলে বিশেষ কারণ ছাড়া আগাগোড়াই তাকে দিয়ে চাচ্চু ডাকাতেই হয়। চাচু চাচা এইগুলা লেখা মানেই বানান ভুল

ঙ.

সংলাপে চলতি বাংলার বাইরের আঞ্চলিক শব্দের বানান আরেকটা ঝামেলা
করতেছি করতাছি কর্তাছি কর্তেছি

দেখা যায় একেক জায়গায় একেক রকম লেখা
এক্টা ছাড়া বাকি তিনটা ভুল এক লেখায়

...................

লেখার হেডিং সাধারণত চোখ এড়িয়ে যায়। পরে দেখা যায় টেক্সটে ভুল নেই কিন্তু হেডিংয়ে ভুল। বইয়ের প্রচ্ছদেও নামে ভুল দেখেছি আমি

সুতরাং হেডিংগুলা আলাদাভাবে দেখে নেয়া দরকার পড়ে

মাহবুব লীলেন এর ছবি

হাঁটতে হাঁটতে এক্টু দাঁড়িয়ে আবার হাঁটা শুরু করলে কমা
হাঁটতে হাঁটতে পেছন দিকে ফিরে তাকালে সেমিকোলন
হাঁটতে হাঁটতে একটু দাঁড়িয়ে সামনে তাকালে কোলন
আর হেঁটে গিয়ে কোথাও বসে পড়লে দাঁড়ি

এইগুলারে মনে হয় সূত্র বলে। বাংলা গ্রামারের সূত্র অনুযায়ী বোধহয় যতি ব্যবহার করা প্রায় অসম্ভব বা কেউ করে না (সবগুলোর আদৌ দরকার আছে কি না কে জানে)

আমি নিজে খুবই কম যতি ব্যবহার করি
কমা বিস্ময়চিহ্ন বিসর্গ (অনেকে বলেন এটা যতি চিহ্ন না। অক্ষর)লোপ চিহ্ন এগুলো ব্যবহার করিই না প্রায়

আমি প্রশ্ন দাঁড়ি সেমিকোলন ডট আর ড্যাশ কিংবা হাইফেনই বেশি ব্যবহার করি (ড্যাশ আর হাইফেন একই অর্থে)

তবে একটা ইউনিফর্মিটি রেখে

আমার হিসেবে যতি চিহ্ন লেখকরা পছন্দ করার অধিকার রাখেন
তবে যা করা হয় ইউনিফর্মিটি না রাখলে হয়েপড়ে ভুল

বিস্ময় চিহ্নের বিষয়টা আমার কাছে ঘোলাটে লাগে
কবি মোহতিলাল মজুমদার প্রতি লাইনে লাইনে এই বস্তু ব্যবহার করতেন
মাঝে মাঝে এক লাইনের মধ্যে দু তিন বার

বাংলাদেশে এক বুদ্ধিজীবি নাকি একটা বিশাল গবেষণা করেছেন। তার গবেষণার বিষয়: মোহতিলাল মজুমদারের কবিতায় বিস্ময় চিহ্নের ব্যবহার
(খেয়েদেয়ে আর কাজ নেই বোঝাই যায়)

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

যতি চিহ্ন ব্যবহার না করলে কি ব্যাকরনগত ভুল হবে না?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

১০০ বাগ বুল

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

তাহলে জানতে ইচ্ছে করছে আপনি যতি চিহ্ন কম ব্যবহার করেন কেন?
এছাড়া কিছু বিশেষ শব্দ ও অলাদা বানানে লিখেন।
যতটুকু মনে পড়ে
আসলে > আসোলে
বৃহস্পতি বার>বিষ্যুদ বার (অবশ্য সচলে ও এটা এই বানানে লিখা হয়)
এটা কি কথ্য ভাষার বিশেষ ব্যবহার হিসেবে করা হয়?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমি কোনোভাবেই বানানের স্ট্যান্ডার্ড না

এখানে যে কথাগুলো বলছি সেগুলো আমার নিয়ম না
প্রচলিত নিয়ম আর আমার অভিজ্ঞতা থেকে যোগ করছি কোন কোন জায়গায় ঝামেলা থাকতে পারে

এগুলো খেয়াল থাকে না বলে অনেক ভুলের খেসারত টানতে হয় প্রকাশনায়

০২

ক্রিয়েটিভ লেখায় যে কেউ তার নিজের একটা স্টাইল বেছে নিতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি
আমার পয়েন্টটা হলো যে যাই করুক তা যদি আগাগোড়া একই রকম করে তবে সেটা হয়ে উঠে তার স্টাইল
কিন্তু একেক যায়গায় একেক রকম করলে টেকনিকেলি তাকে ভুলই বলতে হবে

০৩

যতি চিহ্ন নিয়ে আমার নিজের কিছু যুক্তি আছে
কিন্তু সেগুলো বানান সম্পর্কিত বিষয় না। বিষয় সম্পর্কিত এবং আমার কিছু ধারণা সম্পর্কিত
তাই সেগুলো এখানে আনতে চাচ্ছি না। কারণ ওগুলো কোনো স্ট্যান্ডর্ড নিয়ম না

তবে এটুকু বলতে পারি যে আমি যদি আমার কোনো প্যারার শেষে দাঁড়ি দেখতে পাই তবে সেটাকে (শুধু আমার লেখায়) আমি ভুল হিসেবেই ধরি

০৪
আমার লেখার বাক্যের কম্পোজিশন আর কথা বলার বাক্য মোটামুটি একই
আমি মূলত কথা বলতে বলতেই লিখি
যে শব্দ আমি কোনোদিন কথা বলার সময় বলি না সেই শব্দ আমি লিখিও না

আমরা কিন্তু কথা বলার সময় অনেক শব্দকে সংক্ষিপ্ত করে বলি
এবং সেগুলোকে গ্রহণ করতেও কারো আপত্তি থাকে না
আমি ট্রাই করি সেভাবেই লিখতে

০৫

আসল বানান একটা হলেও শব্দ এবং উচ্চারণ কিন্তু দুটো

আসল = মূল (উচ্চারণ আসোল)
আসল = এলো (উচ্চারণ আসলো)

এই দুইটা শব্দই বহুল প্রচলিত সাধারণ শব্দ। কিন্তু বানান রীতি অনুযায়ী একই বানান

এখন বাক্যের মাঝখানে আসল থাকলে অনেক সময় অর্থ বুঝতেই সমস্যা হয়- এটা কোন আসল?
এজন্য আমি আসল (মূল) অর্থের শব্দটাকে আসোল লিখি শ্রেফ অর্থ পরিষ্কার করার জন্য

এটা আমি কাউকে ফলো করতে বলি না কারণ এটা নিয়মের মধ্যে নেই
তবে আমি সব জায়গাতেই এইভাবেই লিখি

০৬

বৃহস্পতিবার
শুধু এই নামের কারণেই এই দিনটাকে আমার সাপ্তাহিক চৈত্রমাস মনে হয়
এতই খটোমটো
আমি এটা বলিও না। আমি বিষুদবারই বলি (বিষ্যুদবার নয়)

লিখিও তাই

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

শব্দ ও উচ্চারণ নিয়ে আপনার ব্যাখ্যাটা খুব ইন্টারেস্টিং।
তবে সৃষ্টিশীল লেখা ছাড়া যে কোন ফরমাল লেখা বা অফিসিয়াল কাজে কি আপনার নিজস্ব নিয়ম অনুসরণ করেন?যেমন বৃহস্পতিবার কে বিষুদবার বলা?
যতিচিহ্নের বিষয়ে কৌতুহল টা থেকেই গেল।
এখানেও আপনি দাঁড়ি ব্যবহার করেছেন কোন বাক্যের শেষে কিন্তু প্যারার শেষে নয়।
সম্ভব হলে অন্য কোথাও এ নিয়ে আপনার ব্যাখ্যা জানতে চাই।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

যতির ব্যাপারে আমি মহামতি লীলেনকেই গুরু মানি ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কম্প্রেসড এবং আনকম্প্রেসড ভার্ব
(তথ্যসূত্র জিগাইয়েন না কেউ)

সাধু বাংলা ব্যবহার বাদ দিলেও চলতি বাংলার ভার্বে সাধু বাংলা ভূত পুরোপুরি চেপে বসে আছে এখনও
১০০% চেপে আছে উচ্চারণে আর ৯০% চেপে আছে বানানে

চলতি বাংলায় আমরা যে ভার্বগুলো ব্যবহার করি তার বেশিরভাগই সাধু বাংলার ভার্বের (আনকম্প্রেসড) সংক্ষিপ্ত বা কম্প্রেসড রূপ

(করিয়া= করে। ভুলিয়া=ভুলে। বলিয়া=বলে...)

সাধু বাংলায় কিন্তু একইসাথে ভার্বের কম্পেসড আর আনকম্প্রেসড দুটোই আছে (সে খোঁজে না- খুঁজিয়া গিয়াছে। বলে না- বলিয়া গিয়াছে)

এগুলোকে চলতি বাংলায় লেখার সময় লিখি= সে খোঁজে না- সে খুঁজে গেছে। বলে না- বলে গেছে

উচ্চারণের সময় কোন দুই বলে'র মধ্যে কোনটা বোলে আর কোনটা ব(অ)লে হবে সেটা যেমন বের করতে হয় মনে মনে সাধু বাংলা আনকম্প্রেসড ভার্ব হিসেব করে (আগ্রহীরা বাংলা উচ্চারণসূত্র ঘাঁটতে পারেন নিয়ম দেখার জন্য। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের (নিমকো) উচ্চারণ অভিধানটা সবচে ভালো। বাংলা একাডেমিরটায় কিছু ঝামেলা আছে)

তেমনি খোঁজে আর খুঁজে লেখার আগে মনে মনে সাধু বাংলার আনকম্প্রেসড ভার্ব খুঁজে হিসাব করতে হয় বানানটা কী হবে? খোঁজে নাকি খুঁজে

এখানে ভার্বের বানানগুলো হয় উচ্চারণরীতিকে ফলো করে
উচ্চারণরীতি অনুয়ায়ী কোনো অক্ষরের পরে যদি ইকার ই (আরও আছে)থাকে তাহলে প্রথম চিহ্নবিহীন অক্ষরটা ওকার দিয়ে উচ্চারণ করতে হয়
(করিয়া= কোরিয়া। বলিয়া= বোলিয়া)

সেই সূত্র ধরে চলতি বাংলার কম্প্রেসড ভার্বগুলোও উচ্চারণ করার নিয়ম
বলে= বোলে (বলিয়া) করে= কোরে (করিয়া)

এই দুটোরই কিন্তু আনকম্প্রেসড রূপ্ও আছে। সেক্ষেত্রে চলতিতে উচ্চারণও হয় আনকমপ্রেসড রীতিতে (বলে= ব(অ)লে। করে= ক(অ)রে

সুতরাং সাধু বাংলা না লিখলে না পড়লেও
চলতি বাংলার বানান করার জন্য সাধু বাংলায় মনে মনে হলেও উঁকি দিতে হয় প্রতিক্ষণ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বাংলায় কিন্তু একার দুটো
একটা মাত্রা ছাড়া আর একটা মাত্রাসহ

শব্দের শুরতে যে একার বসে ে সেটার সাথে মাত্রা নেই

কিন্তু বিজয় কিবোর্ডে এই জিনিসটা অটোমেটিক্যালি হয় না সব সময়
একটা স্পেস দিয়ে একার দিলে তবে মাত্রা ছাড়া একার আসে

ইউনিতে কোথাও কোথাও আসে কোথাও না (এখনও বুঝে উঠতে পারিনি পুরোপুরি)

০২

ইউনিতে যতি চিহ্ন এবং স্পেস নিয়ে একটু সাবধান থাকবেন; বিশেষত যারা ইউনি থেকে বিজয়ে কিংবা অন্য ভার্সনে কনভার্ট করে প্রকাশনায় যেতে চান

ইউনি থেকে লেখা কনভার্ট করলে শব্দের মাঝখানের স্পেস এবং যতি চিহ্নগুলো কিন্তু কনভার্ট হয় না
ওগুলো ইউনিকোডেই থাকে
ফলে স্পেসিং এবং পজিশনিংয়ের বেশ ঝামেলা হয়

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আপনার লেখায় ছবি কি পাওয়াই যাবে না? মন খারাপ

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

নিজের ক্যামেরা না থাকার এই যন্ত্রণা।দেখি লোকজন যদি দয়া করে!!!

---------------------------------------------------------

আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

দ্রোহী এর ছবি

আহারে বইমেলা। তিন বছর হয়ে গেল বইমেলা দেখি না। মন খারাপ

অমিত এর ছবি

মাহবুব লীলেন লিখেছেন:

০৪
আমার লেখার বাক্যের কম্পোজিশন আর কথা বলার বাক্য মোটামুটি একই
আমি মূলত কথা বলতে বলতেই লিখি
যে শব্দ আমি কোনোদিন কথা বলার সময় বলি না সেই শব্দ আমি লিখিও না

কেন ?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।