নীতি আর জরুরী আইনের সালসা

অপালা এর ছবি
লিখেছেন অপালা (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৭/২০০৭ - ৩:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম আলো আজ আলোকিত করে কনে দেখা আলোয় হাস্যজ্জল মুখ করে একটু বাকা হয়ে প্রথম পাতায় বসে আছেন তিনি। নীচে জ্বল জ্বল করছে নীতি বাক্য।পড়ার ইছ্চে হয়নি। হেডলাইন দেখে ই খুশি। আমি জানি কি বলবেন। প্রতিদিনের পাতাটা তার মতো আমিও দেখি তাই আমি ও জানি।তবে তার আর আমার মাঝে পার্থক্য হলো সে এখন পাতা খুলে এটা জানে আর অবাক হয়, আমি এখন জানি কিন্তু অবাক হইনা। কারন এমন টা হবে এটা আগে ই ধারনায় ছিল। কয়দিন পর যদি ওনার বাসায় গিয়ে ছুড়ি ধরে টাকা পয়সা নিয়ে আসে তাইলে ও আমি অবাক হবো না।

ওনারা উপদেস্টা, ওনাদের কিছু বলা বারন, কিন্তু ওনারা ফল নিয়ে এতো চিন্তিত কিন্তু বীজ নিয়ে না। এই ছিচকে অপরাধের বীজ যে ওনারা ই রোপন করেছেন এটা তো ভুলে গেলে চলবে না। যখন ফুটপাথ, রাস্তার পাশের দোকান পাট উচ্চেদ করেছেন তখন কি তারা জানতেন না যে তারা সরকারী বা বেসরকারী আমলা না,তাদের জন্য প্রভিডেন্ড ফান্ড নেই, ভাতা নেই,মোটা অংকের বেতন নেই যে ব্যাংক এ জামায়ে রেখেছে, তারা ঋনখেলাপী ও না।ওনি যেমন এক কাজ থেকে অবসর নিয়ে আরেক কাজে ঢুকে গিয়েছেন তাদের সে অবস্থা ও নেই। আর এরা হচ্ছে সমাজের বড় অংশ।তাদের রুটি রুজিতে যদি লাত্থি মারা হয় তারা কি করবে। তারা কি গণ ফাসি নিবে,ওনাদের গাড়ির নিচে পড়ে জান দিবে, না এই বন্যার পানিতে ভাসিয়ে দিবে নিজেদের।তাদের ও তো বেচে থাকতে হয়।নাকি তারা হাওয়া খেয়ে বাচবে। চুরি ডাকাতি তো করবে ই। এটা নিয়ে এতো কথা বলার কি আছে।নীতি আর জরুরি আইনের সালসা দিয়া অপরাধের বীজ বপন করেছ, এখন কেন এর ফল খেতে তীতা লগে মুখে?

তার পর ও নিজেদের ভুল স্বিকার করবে না।


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি
নজমুল আলবাব এর ছবি

আমিও কিছু বলবোনা

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ধরা যাবেনা ছোঁয়া যাবেনা বলা যাবেনা কথা,
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার আজব স্বাধীনতা...

-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

কেমিকেল আলী এর ছবি

ধরা যাবেনা ছোঁয়া যাবেনা বলা যাবেনা কথা,
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার আজব স্বাধীনতা...

অপালা এর ছবি

স্বাধীনতা!!!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।