ট্রান্সফর্মারস দেখে..

অরূপ এর ছবি
লিখেছেন অরূপ (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৭/২০০৭ - ২:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


গতবছরে প্রায় প্রতিটা উইকএন্ডে গেছি মুভি দেখতে। এবছর নানাকারনে হলে যাওয়াটা হয়ে উঠছে না। দুটো ফ্রী টিকেট তামাদি হয়ে গেল, কতো মুভি এলোগেলো। এইভাবে যাচ্ছিল। হঠাৎ ট্রেলর দেখলাম ট্রান্সফর্মারস এর। স্পিলবার্গ এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার, ডিরেক্টর মাইকেল বে। তো? স্পিলবার্গ সাহেবের ওয়ার অব দ্য ওয়ার্ল্ডস দেখে ভালো লাগেনি। আর সাইফাই শিবিরে ভালোমুভি হয়ও না সচরাচর। তাই গা করিনি।

কদিন বাদে শুনলাম ছবি নাকি মেগাহিট। পর পর তিন সপ্তাহ জিএসসি গোল্ডেন স্ক্রিনস এর বিশাল লাইন দেখে সন্দেহের অবকাশ থাকেনি। লাইনে দাড়ালে টিকেট পাওয়া নিয়ে সন্দেহ ছিল। ইন্টারনেটের কল্যাণে কোনমতে বেঁচে গেলাম, উইকডে তে রাত সাড়ে বারোটার শো-র টিকেট পাওয়াটাও তখন বড় ব্যাপার।

হলে গিয়েও অবাক। প্রচুর মানুষ। সহজ শিশুতোষ কাহিনীতে পরতে পরতে অ্যাকশান মেখে আড়াই ঘন্টার টানটান ছবি। মাথা না খাটিয়ে বিনোদনের এর চেয়ে ভালো উপায় কি হতে পারে!

পুরো ছবিটাই হাঁ করে দেখেছি, শুধু আটকে গেলাম দুটো জায়গায়। বিষয়টায় আটকাতাম না যদি না গতবছর এসময় সিএনএন-এ যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে লু ডবস এর কমেন্টারী শোনার সুযোগ হতো। তখন মার্কিনিরা বেশ ক্ষ্যাপা বিশেষত মেক্সিকো থেকে পালিয়ে আসা অবৈধ অভিবাসীদের উপর। লু ডবস দর্শকদের পাঠানো চিঠি পড়ে শোনাচ্ছিলেন। একটা চিঠি ছিল এরকম, "এরা পালিয়ে ঢোকে এদেশে (আমেরিকায়)। এদেশের টাকায় চলে। আর মেক্সিকোর পতাকা উড়ায়। ইংরেজী শেখার কোন চেষ্টা নেই, পারলে স্প্যানিশে স্টার স্প্যাঙ্গাল্ড ব্যানার গাইতে চায়"। পুরো অনুষ্ঠান ধরে মেক্সিকানদের মুন্ডুপাত চললো, আর তাতে একটা বড় বক্তব্য ছিল এদের ইংরেজী শেখার প্রতি উৎসাহহীনতায়। ট্রান্সফর্মারস এ দেখলাম এই বিষয়টাকে ইঙ্গিত করা হল এক ফাঁকে। "স্প্যানিশ না ইংরেজী বলো", মার্কিনিরা কি চিন্তিত? দ্বিতীয় যে বিষয়টা, তা নিয়ে মার্কিনিদের ক্ষোভের শুরু অনেকদিন ধরে, আউটসোর্সিং। ছবিতে ব্যঙ্গ করা হল ভারতীয় কল-সেন্টার এজেন্টকে। আউটসোর্সিং এর কল্যাণে ভারত আজ ফুলে ফেঁপে উঠেছে, মার্কিনিরাও দেদারসে কাজ পাঠিয়ে দিচ্ছে বাইরে। এতে বানিজ্যিক সুবিধা হলেও, যুক্তরাষ্ট্রে চাকরীর বাজার বহুগুনে পড়ে গেছে। একটা সময় তীব্র অসন্তোষ গেছে। মন্ট্রিয়লেই একবার পাশের এক সহকর্মীকে বলতে শুনলাম, "দে উইল ব্রিং আ ফাকিং ইন্ডিয়ান টু ডু দিস.." (বেচারা বুঝতে পারেনি ভারতের পাশের দেশের মানুষ আমি, খেয়ালও করেনি আমি পাশে)। কিন্তু বিষয়টা যখন এমন একটা ছবিতেও হাজির হয় তখন কিছুটা হলেও অবাক হতে হয়।

গিয়েছিলাম সুপারডুপার অ্যাকশানপ্যাক্ড মুভি দেখতে, হল থেকে বের হয়ে মনে মনে বললাম, "হুমম"। ভাবনা থামিয়ে তখন আমার ট্যাক্সি খোঁজার ধান্দা, কাল সকালে কামলা দিতে হবে সেটা ভুললে কি চলে?


মন্তব্য

সুমন চৌধুরী এর ছবি

দেখি নাই এখনো...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

হাসিব এর ছবি

ব্যাপারটা আমারও চোখে পড়ছে খট করে ।


আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে

ফারুক হাসান এর ছবি

এখনও দেখিনি, দেখতে হবে।

-----------------------
জানেনিতো, ইহা নিতান্তই নিজস্ব মতামত

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হ আমেরিকান অনেক দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ব্যাপারগুলা নিয়া। এই নিয়া পোস্টামু একদিন। তবে চিকানো (আমেরিকান বর্ণ মেক্সিকান) গুলা আসলেই ডেঞ্জারাস। অপরাধ প্রবনতা সবচেয়ে বেশী এদের মধ্যে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

হাসিব এর ছবি

কোন জাতিগোষ্ঠিকে বিচারের জন্য অপরাধের স্টাটিসটিকস ভালো সূচক বলে মনে করি না । কিরকম আর্থ সামাজিক অবস্হার পরিপ্রেক্ষিতে ওরা এসব স্টাটিসটিকসের জন্ম দেয় সেটাই বিবেচ্য হওয়া উচিত বলে আমার ধারনা ।


আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে

অপালা এর ছবি

এখন ও দেখি নাই

অমিত এর ছবি

ডিভিডি বাইর হইলে দেখুম। আপাতত "রেসকিউ ডন" কিভাবে দেখবো সেই চিন্তায় আছি।
______ ____________________
suspended animation...

অরূপ এর ছবি

এই সিনেমা গোল্ড ক্লাস কিংবা ডিভিডিতে দেখলে মজা নাই, আনলেস বাসায় ৬২ইঞ্চি প্লাজমা এইচডি স্ক্রীন আর ৬.১ চ্যানেল হোম থিয়েটার থাকে চোখ টিপি
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!

অমিত এর ছবি

এই ছোট বাসায় ৬২ ইন্চি ঢুকালে আমি থাকুম কই ?
______ ____________________
suspended animation...

অরূপ এর ছবি

গুরুজনেরা বলেছেন বারো ডলার দিয়ে হলে দেখাই ভালো
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সাড়ে সত ইউরোতে কয় ডলার?
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

দ্রোহী এর ছবি

গত ৭ জুলাই দেখে ফেলেছি। অরূপ যে কথাগুলো বলেছে তা চিন্তা করে দেখিনি। এখন মনে হচ্ছে চিন্তা করা উচিৎ ছিলো!


কি মাঝি? ডরাইলা?

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

সিনেমা দেখার গল্প হলেও অরূপ লিখেছে দারুণ। অনেকদিন অরূপের এমন লেখা পড়ি না। এত বড়ো লেখাও পড়ি নাই।

সিনেমা আলোচনাটায় অবশ্য বিশেষ বিশেষ দুয়েকটা দিকে আলো ফেলছে অরূপ। ব্লগের আঙ্গিকের সমস্যা এইটা।

স্প্যানিশ ভাষার সাথে দ্বন্দ্ব হওয়ারই কথা। ইউএসএ-তে ইংরেজি ভাষাভাষি মানুষের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যাবে স্প্যানিশ ভাষাভাষিরা আর কয়েক বছরের মধ্যেই।
ডলারের দাম কমছে। ইউরোর সাথে মার খাচ্ছে। আজকের খবর।

মার্কিনিরা চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
ক'দিন পর ডিভি ডিভিও খেলবে না।

তবে ভারত ফুলছে না। সদ্য গ্র্যাজুয়েটরা বেশি বেতনে চাকুরি পাচ্ছে। বৈষম্য বাড়ছে।

এতো কথা বলার কোনো কারণ নাই। বলতে এসেছিলাম, অরূপের নিজেরই আবার এই লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়া উচিত। এবং ভাবা উচিত তার কাছ থেকে আমরা আরো ভালো ভালো লেখা পেতে পারি।

শুভেচ্ছা।

-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

ধুসর গোধূলি এর ছবি
মাশীদ এর ছবি

নেয় নাই মানে???
এইটা একা দেখলে মাশীদের Megatron-এ ট্রান্সফর্ম হয়ে একটা গৃহযুদ্ধ বাঁধাতে কতক্ষণ!


ভাল আছি, ভাল থেকো।


ভাল আছি, ভাল থেকো।

অপটিমাস প্রাইম এর ছবি

২ ঘন্টা লাইনে খারায়া টিকিট পাইছিলাম। কাপানি ছবি একটা। ছবিটা দেইখা নতুন গাড়ী কেনার ইচ্ছা শেষ। একটা পুরান গাড়ী কিনুম।

রাসেল এর ছবি

উগ্রজাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা কিংবা বর্ণবাদের পেছনে সব সময়ই অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা কাজ করতে থাকে-

কোনো না কোনো ভাবে কিছু মানুষ কৌশলে এটা প্রতিষ্ঠিত করতে চায় এবং বেশীরভাগ সময়ই এটা প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয় যে নির্দিষ্ট কোনো জাতিগোষ্ঠি কিংবা নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের মানুষ আসলে অনৈতিক ভাবে কিছু অনুগ্রহ পাচ্ছে কিংবা তারাই আসলে অর্থনীতির সর পান করছে- এবং
বর্ণবাদের চর্চা করা যারা এবং বর্ণবাদের উদ্যোক্তা যারা তারা সামাজিক ভাবে ভিন্ন স্তরের দুটি জনগোষ্ঠির অন্তর্ভুক্ত-
মজাটা এখানেই মার্কিনি সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং বেকারত্বের দায় আউট সোর্সিং আর অবৈধ অভিবাসীদের উপরে চাপিয়ে মার্কিনীরা নিজেদের অনেক দুর্বলতা আড়াল করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে-
বর্ণবাদের অস্তিত্ব সব সময়ই ছিলো এখানে তবে এখন এই বর্ণবাদের শিকার হচ্ছে বাদামী চামড়ার মানুষেরাও- এবং বেকারত্ব এবং বহিরাগত অধিকতর যোগ্য মানুষেরা যতক্ষণ পর্যন্ত অর্থনীতির মূল স্রোতে চলবে এবং সাধারণ মার্কিনীরা নিজেদের অযোগ্যতায় নিম্নস্তরের চাকুরিতে কম বেতনে কাজ করতে থাকবে কোনো কোনো উচ্চ বিত্ত মানুষ উইক এন্ড পার্টির মতো করে আরও কিছু উচ্চবিত্তকে নিয়ে তাদের সাম্প্রতিক প্রতিপক্ষ ভারতীয় চীনা এবং অন্যান্য বাদামী চামড়াদের বিপক্ষে এই সাম্প্রদায়িক বর্ণবাদের চর্চা করবে এবং এটার প্রসারে সাহায্য করবে-
হলিউড একই কারণে এই উচ্চবিত্ত মানুষগুলোর প্রচারণার মূল কেন্দ্র হতে বাধ্য- এই একটা মাধ্যমে অনায়াসে সমস্ত আমেরিকার মানুষের মনস্তত্বে বর্ণবাদের ভুত ঢোকানো সম্ভব- এবং সামনে এই অর্থনৈতিক মন্দা আরও দীর্ঘ সময় অব্যাহত থাকলে আরও বেশী রাজনৈতিক ভাবে অশুদ্ধ এবং সীমিত এবং প্রকাশিত মাত্রায় বর্নবাদী ছবি আমাদের দেখতে হবে-

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

ইনি কি ডটু রাসেল নাকি?

কনফুসিয়াস এর ছবি

অরূপদা সিনেমাটার একটা দিক ফোকাস করছেন। এইরকম কমেডির মাঝখান দিয়ে সাদারা তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে ফেলেছে বলে যদি মনে হয়, তবে আমি নিজে তার মধ্যে খুব বেশি দোষের কিছু দেখি না। কেন দেখি না?
এইখানকার ফোন কোম্পানীগুলার আউটসোর্সিংএর উপর, এমনকি আমাদের যাদের গায়ের চামড়া সাদা না, তারাও বিরক্ত। সারাদিনের কাজের পরে বাসায় রিল্যাক্স করার সময় যদি কেউ ফোন করে, আর হ্যালো বলার আগেই কিম্ভুত উচচারণে বলা শুরু করে, কনগ্রাচুলেশান! ইউর নাম্বার'স বিন সিলেক্টেড ফর এ ... ব্লা ব্লা ব্লা। আমি মহা বিরক্ত হই। তার সেই ফ্রি জিনিস আমি চাই না, এই কথা বলার পরেও যখন বারবার কথা টেনে ধরে, একসময় বিরক্ত হয়ে মুখের উপর খট করে অভদ্রের মতন ফোন রেখে দিই। নিরূপায় হয়েই দিই। সুতরাং প্রতিনিয়ত এইরকম বিরক্তির পরে সিনেমায় যখন একই ঘটনার প্রতিফলন দেখায়, আমার তাতে খুব খারাপ লাগে না, বরং এইরকম ক্রিটিসাইজ করা হচ্ছে দেখে প্রাণ ভরে হাসি।
একই কথা সেই 'ইংলিশ ড্যুড' এর জন্যেও। নিজেদের আড্ডায় হলে ঠিকাছে, কিন্তু কাজের জায়গায়, যেখানে অনেক দেশের লোকেরা উপস্থিত, ঐখানে কেউ নিজেদের ভাষায় কথা বলে , বাকিদের অস্বস্তিতে পড়াটা কি খুব ভুল কিছু হবে?
আমার তা মনে হয় না।
-----------------

এমনিতে সিনেমাটা দেখে মজা পাইছি। লোকে সাই-ফাই একশান ম্যুভি বললেও, আমি তার সাথে আরেকটা শব্দ নির্দ্বিধায় জুড়ে দিতে পারি, সাই-ফাই একশান কমেডি!
আরেকটা কথা না বললেই নয়, নায়িকাটা ঝাক্কাস! কই পাইলো? চোখ টিপি

-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

রাসেল এর ছবি

মিউনিখ ছবিটাতে একটা চমৎকার কৌতুক ছিলো- ইউ ক্যান ফিড দ্যা হোল বাংলাদেশ উইথ ইট-

তবে আমি ঠিক এইটার আনন্দটা উপভোগ করতে পারি নি- বরং নিজের সামান্য অপমানিত লেগেছে- কৌতুক বিষয়টা সবসময়ই কাউকে না কাউকে আক্রমন করে- রেসিজমও কৌতুককর সময় সময়- ইউ গ্রীক আর ডাম্ব- ইউ স্প্যানশ স্টিংক্ট- ইউ ইটালিয়ান অলওয়েজ ফাইন্ড সাম ওয়ে টু স্লীপ উইথ গার্লস- স্কটিশ আর চিপ- আইরিশ আর ড্রাঙ্ক- বাংলাদেশীজ আর চীপ আন্ড হাঙ্গরী- ডে অলওয়েজ ওয়েন্ট আউট ফর বেগিং- এইসব কৌতুক আসলে ওয়েল ওফদের জন্য বেশ আনন্দজনক বিনোদন তবে আমার কাছে না-

টেলিফোন মার্কেটিং বিষয়ে অভিজ্ঞতা এবং তিক্ততা সত্ত্বেও আসলে মেনে নিতে পারছি না-
এনি ওয়ে ইট ইস অনলি মাই ভিউজ-

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

কনফুসিয়াস এর ছবি

রাসেলের মন্তব্য বুঝলাম।

আমি অবশ্য মিউনিখ ছবির কৌতুকটার সাথে ট্রান্সফর্মারের কথাগুলোকে এক লাইনে ফেলতে পারি নি। নিজের সংখ্যালঘু পরিচয়টা কখনো মাথায় রাখি না, এটা একটা কারণ হতে পারে, এবং হয়ত নিজেকে হুটহাট আক্রান্তের দলে ফেলতে না পারাটাও আরেকটা কারণ।
তবে, কল সেন্টারের বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার কথা সিনেমায় দেখে আনন্দ পেলেই আমাদের দেশাত্মবোধ নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে, এই ব্যপারটা বিশ্বাস করি না। নিজেকে এবং দেশটাকে এখনো এত ঠুনকো বলে ভাবি না।

আপনার নিজস্ব ভিউয়ের প্রতি শ্রদ্ধা রইলো।
-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অরূপ এর ছবি

বাপ্রে!
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- খাড়াও, নাইকাটার লাইগ্যা হইলেও দেখতে হইবো মনে হইতাছে।
কুংফু ক্যারাটে, যদি সেইরম না হইছে তাইলে কি করুম সেইটা আর কইলাম না।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

নিশাত এর ছবি

arup bhai,ami shochol hobo khokon?ekhane lekhalekhi korar jonno amar hat nishpish kortase....

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।