জুম চাষ: একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা

বিপ্লব রহমান এর ছবি
লিখেছেন বিপ্লব রহমান (তারিখ: শুক্র, ১০/০৪/২০০৯ - ৯:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

..

(ও ভেই যেই বেক্কুনে মিলি জুম কাবা যেই/পূব ছড়া থুমত বর রিজেভ' টুগুনোত/ পুরান রাঙ্গা ভূঁইয়ানি এবার বলি উত্যে হোই চেগার/ সে জুমোনি এ বঝরত মিলিমুলি খেই।...চাকমা কবিতা...ও আমার ভাই বন্ধুরা চল চল সকলে মিলে জুম কাটতে যাই/ বড় বড় পাহাড়ের চূড়ায়/ দূরের পূর্ব ছড়ার শেষ সীমানায়/আগে জুম করা ভূমিগুলো উর্বর হয়েছে/এ বছর মিলে-মিশে সেগুলো চাষ করে খাবো।...জুম কাবা, সলিল রায়, রান্যাফুল।।)

জুম চাষ হচ্ছে পাহাড়ের ঢালে এক বিশেষ ধরণের চাষাবাদ পদ্ধতি। পাহাড়ি মানুষের ঐতিহ্যবাহি এই 'জুম' শব্দটি থেকে চাকমা ভাষায় 'জুমিয়া' (জুম চাষী) ও জুম্ম (পাহাড়ি জনজাতি) শব্দটির উৎপত্তি। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান-এই তিন জেলা নিয়ে গড়ে ওঠা পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় ৯০ শতাংশ পাহাড়িই জুম চাষী।

এদেশের পাহাড় ও বনাঞ্চল হচ্ছে সরকারি খাস জমি। যুগ যুগ ধরে বংশপরম্পরায় সেখানে বসবাসরত পাহাড় ও অরণ্যচারী মানুষের এ সব জমির বন্দোবস্ত কোনো সরকারের আমলেই দেওয়া হয়নি। তাই পাহাড় ও বনাঞ্চলের ওপর আদিবাসী মানুষের এখনো কার্যত জন্মেনি কোনো অধিকার।

এক সময় নেত্রকোনা ও শেরপুর অঞ্চলের গারো পাহাড়ে মান্দি (গারো) ও হাজং এবং শ্রীপুর, কুলাউড়া ও মৌলভীবাজার সীমান্তের খাসিয়া পাহাড়ে খাসি বা খাসিয়ারাও জুম চাষ করতেন। কিন্তু প্রায় একশ বছর আগে বৃটিশ আমলে বন বিভাগ গারো পাহাড় এবং মধুপুর-গাজীপুর ভাওয়াল গড় এলাকার প্রাকৃতিক বনাঞ্চলকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল (রিজার্ভ ফরেস্ট) হিসেবে ঘোষণা করে। একই সঙ্গে তারা বন ও পরিবেশ সংরক্ষণের নামে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জুম চাষ ও শিকার।

এ কারণে গারো পাহাড়ে জুম চাষ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। খাসিয়া পাহাড়েও সাধারণ জুম চাষ অনেক আগেই বিলুপ্ত। তবে নানা প্রতিকূলতার ভেতরেও খাসিয়ারা পানজুম চাষ করছেন।

এদিকে ১৯৬২ সালে বন বিভাগ রাঙামাটিতে সদর দফতর করে কৃষি প্রধান অঞ্চল পার্বত্য চট্টগ্রামে 'জুম নিয়ন্ত্রন প্রকল্প' চালু করে। এর উদ্দেশ্য ছিলো, জুমিয়াদের জুম চাষে নিরুৎসাহিত করে সমতলের জমিতে বনজ ও ফলজ চাষে তাদের উৎসাহিত করা। এক দশক আগেও বন বিভাগের এই প্রকল্প খাতে সরকারি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হতো। কিন্তু বাস্তবতার কারণেই এই প্রকল্প কখনোই সফল হয়নি। এখন এই প্রকল্পখাতে সরকারি অর্থ বরাদ্দও নেই।

*
..
জুম চাষের ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের পুরনো। পার্বত্য চট্টগ্রাম, গারো ও খাসিয়া পাহাড়ের বাইরে ভারতের অরুণাচল, আসাম, মেঘালয়, মনিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও ত্রিপুরা--'সেভেন সিস্টার্স' খ্যাত এই সাতটি রাজ্যে জুম চাষ ব্যাপকভাবে প্রচলিত। এছাড়া চীন, নেপাল, মায়ানমার, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন মঙ্গোলিয় জনগোষ্ঠির পাহাড়ি অঞ্চলে জুম চাষের প্রাচীন ঐতিহ্য রয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের নিজস্ব শাসনরীতি ও ঐতিহ্য অনুযায়ী কার্বারি (গ্রাম প্রধান) ও হেডম্যান (মৌজা প্রধান) নির্ধারণ করেন কোন পাহাড়ে কোন কোন জুমিয়া পরিবার কখন জুম চাষ করবেন। এ কারণে এ চাষাবাদ নিয়ে বিরোধ হয় না।

পাহাড়ের এই চাষ পদ্ধতি বেশ কষ্টসাধ্য। জুম চাষে একটি পরিবারের পাহাড়ি নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর সকলেই অংশ নেন। আবার কোনো একটি বড় পাহাড়ে কয়েকটি গ্রামের জুমিয়ারা ঐক্যবদ্ধভাবে জুম চাষ করে থাকেন।

চাষের মৌসুমে প্রথমে নির্বাচিত পাহাড়টির জঙ্গল ও আগাছা বিশেষ কৌশলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কৌশলে আগুন ধরানো হয় বলে বনাঞ্চলে এই আগুন যেমন ছড়িয়ে পড়ে না, তেমনি টিকে থাকার স্বার্থেই পাহাড়িরা জুম চাষ করতে গিয়ে বন ও চাষ এলাকার কোনো বড় বা দামি গাছের ক্ষতি করেন না।

বৃষ্টির পর নির্বাচিত জুমের জমিতে পুড়ে যাওয়া জঙ্গল ও আগাছার ছাই সারের কাজ করে। এর পর বিশেষ ধরণের ছোট দা'এর মাধ্যমে ছোট্ট ছোট্ট গর্ত করে একই সঙ্গে কয়েক ধরণের ফসল বোনা হয়। ধান, গম, ভূট্টা, আলু, কলা, তরমুজসহ জুমের জমিতে প্রায় সব ধরণের খাদ্য শষ্য ও শাক-সব্জি চাষ করা হয়। জুমের ফসলের বীজ সমতলের চেয়ে ভিন্ন। এসব ফসল উৎপাদনে কোনো ধরণের সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়না। আর জুমের শষ্য, ফল-মূল ও তরি-তরকারির আকার-আকৃতি সমতলের উৎপাদিত কৃষিজ পণ্যের চেয়ে ভিন্ন; এগুলো খেতে খুবই সুস্বাদু।

জুমের ফসল পরিচর্যার জন্য চাষাবাদের পাহাড়ে জুমিয়ারা গড়ে তোলেন অস্থায়ী মাচাং ঘর (চাকমা ভাষায়, মোনঘর)। এই মনঘরে চাষাবাদের মৌসুমে জুমিয়ারা একই সঙ্গে যেমন ফসলের দেখভাল করেন, তেমনি বুনো শুকর বা অন্য জীব-জন্তু ও পাখ-পাখালি যেনো ফসলের ক্ষতি করতে না পারে, সেদিকেও তারা লক্ষ্য রাখেন। জুমের জমি ঘিরে এ জন্য 'কাবুক'সহ নানা ধরণের ফাঁদ পাতা হয়। তঞ্চঙ্গা জুমিয়াদের আবার এসব ফাঁদ পাতার সুখ্যাতি রয়েছে।

জুম চাষ নিয়ে পাহাড়ি লোকগাঁথা, গান ও ছড়া গান, প্রবাদ-প্রবচনও খুব সমৃদ্ধ। মোনঘর নিয়েও চাকমাদের নানা স্মৃতিকথা জড়িয়ে আছে জীবন-যাপনে।...

*
.
পাঁচ-ছয় দশক আগেও একবার কোনো পাহাড়ে জুম চাষ করার পর অন্তত ১৫-২০ বছর সেখানে আর জুম করা হতো না। সেখানে এই দীর্ঘ সময়ে প্রাকৃতিক বনাঞ্চল গড়ে ওঠার সুযোগ দেয়া হতো; রক্ষা পেতো পাহাড়ি জমির উর্বরতা।

কিন্তু ৬০ দশকে কাপ্তাই বাঁধের কারণে বিপুল সংখ্যক পাহাড় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সংকুচিত হয় জুমের জমি। আর ৮০ র দশক থেকে এখনো পাহাড়ে সমতল অঞ্চল থেকে অপরিকল্পিতভাবে বাঙালিদের অভিবাসন গড়ে উঠছে।

এছাড়া পাহাড়ে ছয়টি সেনা নিবাস ও প্রায় সাড়ে চারশ অস্থায়ী সেনা ছাউনি এবং বিডিআর, ড়্যাব, পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, বন বিভাগসহ নিরাপত্তা বাহিনীর অসংখ্য স্থায়ী এবং অস্থায়ী ছাউনির কারণেও বিপুল সংখ্যক পাহাড় ও বনাঞ্চল অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

এমনিভাবে দিন দিন জনসংখ্যার চাপে ও বন বিভাগের নানা নিয়ম-কানুনের ফলে সংকুচিত হচ্ছে জুমের জমি। তাই জুমিয়ারা অনেক জায়গাতেই এখন বাধ্য হয়ে মাত্র পাঁচ-ছয় বছরের ব্যবধানে একই পাহাড়ে আবারো জুম চাষ করছে। এতে প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে যাচ্ছে পাহাড়ের উর্বরতাও। তাই বিচ্ছিন্নভাবে অনেক জুমিয়া এখন চাষের জমিতে ধুপ সার বা ইউরিয়া ব্যবহার করছেন; যা আগে কখনোই দেখা যায়নি।

বলা ভালো, জুম চাষীরা হচ্ছেন সকলেই প্রান্তিক চাষী ও সাধারণতভাবে হত দরিদ্র। তাই জুম চাষ করা ছাড়া অন্য কোনোভাবেই তাদের টিকে থাকার উপায় নেই।

অন্যদিকে বহুবছর ধরে পাহাড়ে কল-কারখানা গড়ে না ওঠায় সৃষ্টি হয়নি বিকল্প আয়ের পথ।

*

আগেই বলা হয়েছে, বহিরাগতদের অব্যহত জনসংখ্যার চাপ, জুমের জমি সংকুচিত ও পাহাড়ের উর্বরতা নষ্ট হওয়া, বিকল্প আয়ের অভাব, চার দশক ধরে জুম নিয়ন্ত্রনের নামে বন বিভাগের মিথ্যে মামলাসহ নানা হয়রানী --- এসব কারণে অর্থনৈতিকভাবে মার খেতে খেতে প্রান্তিক চাষী জুমিয়াদের জীবন এখন বড়ই বিপন্ন।

রাঙামাটির বিশিষ্ট পরিবেশবিদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ কমিটির নেতা গৌতম দেওয়ান এ বিষয়ে এই লেখককে বলেন, জুম নিয়ে জনমনে তো বটেই, এমন কি সরকারি মহলে রয়েছে নানা ভ্রান্ত ধারণা। এরমধ্যে জুমের আগুনে পাহাড়ের বনজ ও প্রানীজ সম্পদ ধ্বংস, জুমের কারণে পাহাড়ের ভূমি ক্ষয় বৃদ্ধি, জুম একটি পরিবেশ বিরুদ্ধ অবৈজ্ঞানিক চাষ পদ্ধতি --- ইত্যাদি প্রধান।

তিনি বলেন, কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, প্রকৃতির সন্তান জুমিয়ারা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থেই জুমের আগুনে কখনো আগাছা বাদে কোনো বনজ বা প্রাণীজ সম্পদ নষ্ট করে না। এ ছাড়া জুম চাষে লাঙ্গল বা কোদাল ব্যবহৃত হয় না। জুমিয়ারা পাহাড়ে একটি ছোট্ট গর্ত খুঁড়ে একই গর্তে নানা রকম বীজ এক সঙ্গে বপন করেন বলে ভূমি ক্ষয় হওয়ারও প্রশ্ন আসে না।

গৌতম দেওয়ান বলেন, বরং এখন পাহাড়ে অপরিকল্পিত নির্মাণ ও পাহাড় কাটার ফলে ভূমি য় তথা পাহাড় ধ্বসের হার অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশী। কিন্তু জনসংখ্যার চাপে জুমের জমি কমতে থাকায় অন্তত পাহাড়গুলোকে ১৫ -- ২০ বছর অনাবাদী রাখা হচ্ছে না বলে প্রাকৃতিক বনের সংখ্যা হৃাস পাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে চাষযোগ্য সমতলভূমির সংখ্যা খুবই কম বলে পাহাড়ে জুম চাষের বিকল্প এখনো গড়ে ওঠেনি।

পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা বলেন, ৬০ দশকে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ করে প্রথম আঘাত হানা হয় বনাঞ্চলের ওপর। এই বাঁধের কারণে প্রায় ৫৪ হাজার একর জমি পানিতে তলিয়ে যায় বলে চাষের জমিও হয়ে পড়ে সংকুচিত। বাংলাদেশ আমলে পাহাড়ে জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে।

তিনি বলেন, এছাড়া শান্তিচুক্তির (১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়) যথাযথ বাস্তবায়ন হয়নি বলে পাহাড়ে এখনো হয়নি ব্যাপক ও বড় ধরণের অর্থনৈতিক উন্নয়ন। আড়াই দশকের অশান্ত পাহাড়ে কৃষির বিকল্প কোনো আয়ের ব্যবস্থাও গড়ে ওঠেনি। তাই ভূমিহীন দরিদ্র মানুষ জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে জুম চাষ করছে।

সাবেক গেরিলা নেতা সন্তু লারমা বলেন, আসলে যে ভাবে পাহাড়ে দিন দিন জনসংখ্যা বাড়ছে, ভবিষ্যতে এখানে হয়তো আর জুম চাষ সম্ভব হবে না। প্রায় সাত লাখ ভূমিহীন এসব জুম চাষীদের এখনই পুনর্বাসনের জন্য সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন। এ জন্য প্রাথমিকভাবে তাদের কিছু অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে এবং হর্টিকালচার, ফিসারিজ, কি ছোট ছোট প্রকল্প খাতে সুদমুক্ত ঋণ দিয়ে পুনর্বাসন করা জরুরি। শান্তিচুক্তি অনুযায়ী জমির বন্দোবস্তি দিতে হবে এই সব বিপন্ন জুম চাষীদের।

বান্দরবানের পরিবেশ কর্মি জুমলিয়ান আমলাইয়ের রয়েছে জুমচাষের নিজস্ব অভিজ্ঞতা। বম জনজাতির এই নেতা বলেন, পাহাড়ি এলাকায় জুম চাষের এই বিজ্ঞান সম্মত চাষাবাদ নানা দেশেই প্রচলিত। এসব দেশের তুলনায় আমাদের দেশের পাহাড়গুলো অনেক উর্বর। আমাদের জুম চাষীরা শত শত বছর ধরে শুধুমাত্র প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে ফলিয়ে আসছেন পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফসল, সাক-সব্জি, ফল-মূল। নিতান্ত নিরুপায় হয়ে এখন তারা জুমের জমিতে ব্যবহার করছেন রাসায়নিক সার।

---
ছবি: ১. জুমের জন্য পাহাড়ে আগাছা পোড়ানো হচ্ছে, বান্দরবান, দিদারুল আলম। ২. জুম চাষ, বীজ বপন, ফিলিপ গাইন, সেড। ৩. জুম চাষ ও মোনঘর, গড়ে উঠেছে কলাবাগান, রাঙামাটি, লেখক।
---
তথ্যসূত্র: নিজস্ব সরেজমিন অনুসন্ধান, জুমলিয়ান আমলাই, বান্দরবান এবং সত্রং চাকমা, রাঙামাটি।।


মন্তব্য

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

জুমের ফসলের বীজ সমতলের চেয়ে ভিন্ন।

জানা ছিলো না।

আপনার পাহার সংক্রান্ত লেখাগুলো পড়ে ধারণা হয়েছিল আপনি সম্ভবত‍ পাহারে মতোই হেইয়ো মার্কা কেউ হবেন। ফেইসবুকে আপনার ছবি দেখে অবাক হলাম হাসি ..... .... ছোটখাটো এই মানষটাই কি না পাহার পর্বত নিয়ে কাপিয়ে দিচ্ছে!

হাসি ভালো থাকুন।‍‌
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

মুস্তাফিজ এর ছবি

আপনার পাহার সংক্রান্ত লেখাগুলো পড়ে ধারণা হয়েছিল আপনি সম্ভবত‍ পাহারে মতোই হেইয়ো মার্কা কেউ হবেন।

হাহ্‌ হাহ্‌ হা

...........................
Every Picture Tells a Story

বিপ্লব রহমান এর ছবি

...তাই বলে কাঁপিয়ে দিচ্ছি?...
কস্কি মমিন!
---
পাঠের জন্য ধন্যবাদ।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

মাহবুব লীলেন এর ছবি

পাহাড়িদের পুনর্বাসন ঠিকমতো না হলে আমার ধারণা আবারও অস্থিরতা শুরু হবে পাহাড়ে...

বিপ্লব রহমান এর ছবি

একধরণের চাপা অস্থিরতা তো চলছেই। তবে আপনি যে অর্থে বলেছেন, তা বোধহয় অনিবার্য। ...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

বন্য রানা এর ছবি

প্রিয় বিপ্লব রহমান, আপনার চমৎকার তথ্যবহুল লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। লেখা পড়েই বোঝা যায় আপনি বই পড়ে নয়, দেখে লিখেছেন। কিছু কিছু তথ্য অনেক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধেও আসে না। একটা কথা বলা দরকার, জুম চাষ জুমিয়াদের সংস্কৃতি ও ঐতিহে্যর অংশ একথা যেমন সত্যি, এটা একটা টেক্ সই (এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে যুৎসই) প্রডাকশন সিস্টেম না এটাও সত্যি। এই দুটোর সমন্বয়টা গুরুত্বপূর্ন।

দয়া করে এরকম লেখা আরো দেবেন আশা করি।

তবে নানা প্রতিকূলতার ভেতরেও খাসিয়ারা পানজুম চাষ করছেন।

শ্রিমঙ্গলের খাসিয়াদের পানজুম-এর দুটো ছবি দিলাম।

ছবি ১: বনের গাছে পান চাষ।
ছবি ২: পান সংগ্রহ।

বন্য রানা এর ছবি

দুঃখিত, ছবিগুলো আপলোড করতে পারি নি। আমি আসলে কখনো ছবি যুক্ত করিনি তাই বুঝতে পারছিনা কিভাবে করতে হয়। কেউকি জানাবেন দয়া করে?

বিপ্লব রহমান এর ছবি

একটা কথা বলা দরকার, জুম চাষ জুমিয়াদের সংস্কৃতি ও ঐতিহে্যর অংশ একথা যেমন সত্যি, এটা একটা টেক্ সই (এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে যুৎসই) প্রডাকশন সিস্টেম না এটাও সত্যি। এই দুটোর সমন্বয়টা গুরুত্বপূর্ন।

জুম কিন্তু মাত্র পাঁচ-ছয় দশক আগেও টেকসই/ অর্থনৈতিকভাবে যুৎসই উৎপাদন পদ্ধতি ছিলো। অর্থাৎ প্রতিটি জুমিয়া পরিবারই ছিলো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, স্বচ্ছল। এমন কি পরিধেয় তাঁতের কাপড়ের যোগানও হতো জুমের তুলা থেকে।

আর এখন অবশ্য পরিস্থিতি ভিন্ন। আর তা এই ছোট্ট লেখাটিতে তুলে ধরতে চেষ্টা করা হয়েছে। তো যে সমন্বয়ের কথা বলেছেন, তা কি অর্থে এবং কিভাবে, তা পরিস্কার নয়।..

এ মুহূর্তে আমার মনে পড়ে যাচ্ছে, বিদেশি দাতা গোষ্ঠির অর্থ হাতিয়ে নেয়ার স্বার্থে, খাগড়াছড়ির আলুটিলার পাহাড়ে একটি এনজিও ট্রাক্টর দিয়ে 'বৈজ্ঞানিক উপায়ে জুম চাষ' করার পরীক্ষা চালিয়েছিলো!

বলা বাহুল্য, সেটি তখন একেবারেই ভেস্তে গেছে।
---
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
---
লেখায় ছবি যোগ করার জন্য সচলের প্রথম পাতার একেবারে নীচে দেওয়া 'সাহায্য' বিভাগটি পড়ে দেখতে পারেন।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

বন্য রানা এর ছবি

একটা উৎপাদন ব্যবস্থা টেকসই (Sustainable) হয় যদি তা তিনটি প্রধান শর্ত মেনে চলে-

১) সামাজিক গ্রহনযোগ্যতা থাকে
২) অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হয়
৩) পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট না করে

এই তিনটি শর্তের মধে্য (১) তো আছেই জুমিয়াদের মধে্য; বাকি (২) আর (৩) এর সমন্বয়ের কথা বলেছিলাম।

জুম এর পরিবর্তে অন্য কোনো কিছু যদি সফল না হয়, তা যত বৈজ্ঞানিকই হোক না কেন, তাহলে বুঝতে হবে কোনো একটি শর্ত পূরণ হয়নি।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

এইবার বুঝেছি। ধন্যবাদ।।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

রণদীপম বসু এর ছবি

পাহাড়ে এখন কি কেবল পাহাড়িদের কান্নাই প্রতিধ্বনিত হয়...!!!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

বিপ্লব রহমান এর ছবি

১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি এবং ১৯৯৭ সালের পার্বত্য শান্তিচুক্তি অনুযায়ী 'পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি উপজাতীয় অধ্যূষিত অঞ্চল'। বাস্তব পরিস্থিতি অবশ্য তা আর বলে না।...আর শোষণ-নিপীড়নই যেখানে চরম সত্য, তা-ই বিভিন্ন প্রতিবেদন ও লেখায় আমি তুলে ধরতে চেষ্টা করি। ...

তাই বলে পাহাড়িদের আনন্দ-হাসি-উৎসব একেবারে ম্লান হয়ে যায়নি। এ নিয়ে এই প্রথম সচলে একটি সচিত্র-ছোট্ট লেখা দিয়েছি। এখন বাকিটা হের নজুর নববর্ষের ই-ছবি ব্লগ ভরসা।...

অন্যদিকে পাহাড়ে অভিবাসিত বাঙালি সেটেলারদেরও দু:খ-দূর্দশা কম নয়। এ নিয়ে দৈনিক যুগান্তরে এক সময় সরেজমিন ধারাবাহিক প্রতিবেদন করেছিলাম। ইচ্ছে আছে, এ নিয়ে সচলে একটি লেখা লেখার।...

অনেক ধন্যবাদ।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

তারেক এর ছবি

জুম চাষের অনেক কিছুই জানা ছিলো না... ধন্যবাদ বিপ্লবদা লেখাটার জন্য।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

আনিস মাহমুদ এর ছবি

এসব পড়ে মন খারাপ করা ছাড়া আর কিছুই কি করার নেই?

নব্বই দশকের শুরুতে প্রথমবারের মত রাঙামাটি যাই। কাপ্তাই লেকের দুঃখের কাহিনী জানা ছিল; তারপরও মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম সেই ছোট্ট শহরের সৌন্দর্যে। তখন পুরো শহরে বাজার বলতে ছিল তিনটি: তবলছড়ি, রিজার্ভ বাজার আর বনরূপা। রাস্তাঘাট ছিল প্রায় জনশূন্য। মাঝে মাঝে দেখা যেত ঐতিহ্যবাহী বর্ণিল পোশাক পরা আদিবাসী নারী-পুরুষ।

তারপরে আরো অনেকবার গিয়েছি সেখানে। আর প্রতিবারই দেখেছি রাঙামাটি তার রূপ হারাচ্ছে। শুরুর দিকে গতিটা ছিল 'একটু একটু' আর এখনকার পরিবর্তনের গতিটা প্রায় 'জোয়ার'।

গত বছর গিয়ে মনে মনে সেই প্রথমবারের দেখা রাঙামাটির সাথে এখনকার রাঙামাটির তুলনা করলাম। আগে রাঙামাটি শহরে ছিল তিনটি বাজার, আর এখন পুরো শহরটাই বাজার। আগে হঠাৎ একটা-দুটো বাঙালি মুখ দেখা যেত (যেমন দেখা যায় বিদেশের কোনো শহরে গেলে), আর এখন পুরো শহরটাই বাঙালি মুখে ভরা; আদিবাসী যা-ও দেখা যায়, তাদের নিজস্ব বর্ণিল পোশাক আর নেই; তারা সবাই পরে সমতলবাসীদের পোশাক। আর তাদের সুখী-পরিতৃপ্ত চেহারা এখন হয়েছে দুশ্চিন্তাবিহ্বল।

আমার বাড়িওয়ালার মেয়ে মৌরি বলেছিল পাহাড়িদের তৈরি আচার আনতে। পুরো শহর ঢুঁড়েও সেটা আমি পাইনি। পরে শুনলাম (এবং দেখলাম), ঢাকা থেকে যাওয়া আধুনিক প্যাকেটের ব্র্যান্ডেড আচার আর চট্টগ্রাম থেকে যাওয়া বার্মিজ আচারের দৌরাত্ম্যে পাহাড়ি যারা আচার তৈরি করত তারা হয় অন্য পেশায় ঢুকে গেছে আর না হয় বাঙালি অভিবাসীদের চাপে পাহাড়ের আরো গভীরে সরে গেছে।

বান্দরবানে গিয়ে দেখি একই অবস্থা। পাহাড়িদেরকে স্বপ্ন দেখতে বলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে: নতুন নতুন রাস্তা হলে তারা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ভাল বাজার পাবে। তাদের এলাকার উন্নয়ন হবে। কিন্তু আসল কথাটা কী? আসল কথাটা শুনলাম বগা লেকের লালখুনাই-এর মুখে: এই রাস্তাগুলো তাদের উপকারের চেয়ে ক্ষতি করছে অনেক বেশি। এই রাস্তা ধরে তাদের পণ্যের বিপণন হচ্ছে বটে, কিন্তু সেটার লাভ চলে যাচ্ছে বাঙালি বেপারিদের পকেটে। আর এই রাস্তা ধরেই দলে দলে বাঙালি আসছে। আর এই রাস্তা ধরেই লুট হয়ে যাচ্ছে কাঠ আর পাহাড়ের আরো সব সম্পদ। সবচেয়ে বেশি লুট হচ্ছে আদিবাসীদের নিজস্ব জীবনধারা।

.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...

.......................................................................................
Simply joking around...

বিপ্লব রহমান এর ছবি

আপনার পর্যবেক্ষনটি ঠিকই আছে। এটি নির্মম হলেও সত্যি বটে। এরই সূত্র ধরে আমি মনছবিতে দেখি এক ভবিষ্যত দুঃস্বপ্ন--'গ্রিন ডেজার্ট'। এ নিয়ে একটি লেখা লেখার ইচ্ছে আছে। ...

খুব খুশী হবো, আপনার টুকরো টুকরো পর্যবেক্ষণগুলো নিয়ে সচলে একটি লেখা দিলে।

তবে আমার জানা মতে, পাহাড়িরা কিন্তু কখনোই আচার তৈরি করে না। সেখানে বরাবরই মায়ানমার ও সমতল থেকে আচার যায়। তা-ও এই প্রবনতা অতি সম্প্রতি যোগ হয়েছে।

আন্তরিক ধন্যবাদ।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

বন্য রানা এর ছবি

আপনার 'গ্রিন ডেজার্ট'এর অপেক্ষায় রইলাম কিন্তু।

পুতুল এর ছবি

অনেক কিছু জানা হল। জুম চাষ একটা বিশেষ আবাদ পদ্ধতি সেটাই জানতাম না। ভাবতাম কোন বিশেষ ফসল! ধন্যবাদ বিপ্লব দা।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

Ashok K. Chakma এর ছবি

Biplab Bhai
Adab!
Sorry I don't have Bangla font to write my comments in Bangla. I don't know whether you could recognise me. When I was a student of Dhaka University, we very often dropped into your Office for press release.Anyway, first I would like to thank you very much for your writing about Jum.
First, there are many debates for and agaist Jum. However, many of the practical issues like the Kaptai dam, population boom, government's jumia rehabilitation (control) policy and so on, have been discussed in your write-up. Whatever might be the reasons, jum cultivation seems to be no longer sustainable, yet many of the indigenous communities, especially in Bandraban district are largely dependent, and will continue to be dependent upon jum cultivation for livelihood; because they do not have plough land to cultivate.With this backdrop, your writing can give some insights againts the general preoccupied ideas about jum.

Secondly,what are alternatives to jum? Government tried to implement projects to rehabilitate jum cultivators. In this regard, the rehabilitation programmes by Jhum Control Division of the Department of Forest, and rubber plantation programme by the CHT Development Board deserve to be mentioned. But the questions are: how do the best rehabilitation programmes look like? what were the gaps between those programmes, and jumias? I think, you can explore to answer these sorts of questions. Of course, you mentioned in your comments that you have a plan to write on 'green desert', I mean, you are talking about rubber plantation.You should write through a field investigation. Why rubber plantation could not be successful economically,let alone environmental debates? What do common people think about - 'what could be the best possible options?' Views must come from the grassroots.

Thirdly, I have come across a point you mentioned that 'an NGO did an experiment on jum cultivation at Alutila by using Tactor' to cultivate land.' This was not done by an NGO. It was done by the CHT Development Board supported by ICIMOD (International Centre for Integrated Mountain Development).But I question to the role of CHTDB? Well, they did experiment, but what were the results? Could they find out any viable model for hill cultivation?

I hope, you can explore to find out answers rather than only focusing on the issues.

With best regards
Ashok

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ@ পুতুল @ অশোক চাকমা।

প্রিয় অশোক,

আপনার মতামতের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। আপনি যথার্থই বলেছেন। আর আমি নিজেও এই ছোট্ট লেখাতে এ সব কথাই বলতে চেয়েছি।

আসলে বিকল্প কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন না করে এখনই জুম চাষ বন্ধ করে দিলে পাহাড়ে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। তবে কোনোভাবেই এই বিকল্প পন্থা পাহাড়ে রাবার চাষ বা ব্রিটিশ-আমেরিকান কোম্পানীর অর্থায়নে তামাক চাষ নয়।

...এই প্রসঙ্গটি দীর্ঘ আলোচনার দাবি রাখে। সুচিন্তিত মতামতের জন্য কৃতজ্ঞতা।
---
অপ্রসঙ্গ: আপনি কী ফেসবুকে আছেন? থাকলে অনুগ্রহ করে বন্ধু তালিকায় আমাকে যোগ করে নিন। বিজুর শুভেচ্ছা।।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

ফারহানা [অতিথি] এর ছবি

ভালো

ফারহানা [অতিথি] এর ছবি

আচ্ছা বিপ্লব তুমি এতো তথ্যবহুল লেখা কিভাবে লেখো?তুমি কি জানো যে এই সব লেখা প্রত্যেকের সংরক্ষ্ণ করা উচিত?

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ধণ্যবাদ ফরহানা। ভালো থেকো। হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

Taskina Yeasmin  এর ছবি

Valo akti lekha, ata pore pathok onek kichu janbe.

pathanor jonno dhonnobad.

Taskina Yeasmin Amey

নাছরিন আকতার এর ছবি

অসাধারণ শব্দের গাঁথুনিতে জুম এবং জুমিয়াদের জীবন ও জীবিকার সুস্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন। অনেককিছু জানলাম আর খুউব উপকৃত হলাম।
ধন্যবাদ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।