হায়! এমনো হয়, চাঁদ নেমে আসে ঘাসের ডগায়, মানুষ চাঁদ হয়ে যায়।...

বিপ্লব রহমান এর ছবি
লিখেছেন বিপ্লব রহমান (তারিখ: বুধ, ২৯/০৮/২০০৭ - ২:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক.এসএসসি পরীক্ষার পর আমার স্কুলের বন্ধুরা কেউ স্পোকেন ইংলিশ,কেউ বেসিক ইংলিশ কেউ বা শর্টহ্যান্ড-টাইপরাইটিং কি কম্পিউটার কোর্সে ভর্তি হয়ে গেলো। তখন আমেরিকা যাওয়ার খুব ক্রেজ। আর মাইকেল জ্যাকসন।...

আমি এ সব কিছুর কোনোটাই করিনি। একেবারে সিরিয়াস পরীক্ষার্থীর মতো সকাল বেলাতেই খাতা-কলম গুছিয়ে চলে যাই পাবলিক লাইব্রেরিতে। তারপর একেবারে টানা চলতে থাকে গভীর অধ্যায়ন।

সেই সময় আমি খুঁজে পাই আরেক সিরিয়াস পাঠককে। নাম জাহিদ হাসান পাপ্পু। বয়সে আমার চেয়ে বছর চারেক বড়। আশ্চর্য সুন্দর ঝাঁ চকচকে তরুন। আয়নার মতো জ্বলজ্বলে চোখ। তার মেধার গভীরতা আর ক্ষুরধার যুক্তি আমাকে টানে। খুব দ্রুত আমাদের বন্ধুত্ব হয়। আমি মোহিত হই।...

দুনিয়ার নানান বিষয়ে আমাদের কথা হয়। বই পড়ি, আর তর্কে মাতি। তুমুল চেঁচামেচি করে একেকটি বিষয়ে একেবারে হাতাহাতি করার উপক্রম।

দুই.পাবলিক লাইব্রেরির পর আমরা আরো বইয়ের সন্ধানে হানা দেই বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের লাইব্রেরিতে। একেবারে আক্ষরিক অর্থেই গোগ্রাসে গিলতে থাকি বঙ্কিম, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শরত, মানিক, জীবনানন্দ, বোদলেয়ার, চেখভ, তলস্তয়, দস্তভিস্ক, গোর্কি, কামু, কাফকা, সক্রেটিস, প্লেটো, রুশো, ভলতেয়ার, মার্কস, এঙ্গেলস, লেনিন, মাোসেতুং, দেরিদা, বেকন, জ্যাক লন্ডন, মম, মার্ক টুয়েন...এবং আরো অনেক...

আমার বাবা বলতেন, মানুষের জীবন খুব ছোটো। এই জন্য বই পড়তে হবে বাছাই করে, ভেবেচিন্তে। আর জাহিদ ভাই বলেন, যা পড়তে ভাল লাগে, তার সবই পড়ে ফেলতে-একেবারে মার্কস থেকে শুরু করে মাসুদ রানা পর্যন্ত।

আমি জাহিদ ভাইয়ের কথাটাই গ্রহণ করি। বাবার পরেই জাহিদ ভাই হলেন আমার দ্বিতীয় ঈশ্বর। আমি তার সাথে উড়াল দেই।...

তিন.সেই সময় দেখতাম জাহিদ ভাই খুব সুন্দর কবিতা লিখতেন। পিজি হাসপাতাল ঘিরে জমে ওঠা লিটল ম্যাগের নানা গ্রুপ তার কাছ থেকে দু-একটা কবিতা চেয়ে নিতো। আর কি যে সুন্দর তার হাতের লেখা! মনে হয়, একেকটি অক্ষর ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি।

অনেক কবিতাকেই উনি আবার নিজেই সুর দিয়ে গান বাঁধেন। সবই বাউল ঘরনার গান। আর গান কম্পোজ হতো সন্ধ্যায়, চারুকলার শুকনো পুকুর পাড়ে-পেশাদার ঢুলির ঢোলের বোলে।

(কিছুদিন আগে বাংলা ব্যান্ডের আনুশেহ জাহিদ ভাইয়ের একটা গান গেয়ে খুব জনপ্রিয় করেছেন...তোমার ঘরে বাস করে কারা, তুমি জান না, তোমার ঘরে বসত করে কয়জনা?...)

তখন বিখ্যাত সব বাউলদের সঙ্গে দেখি তার অদ্ভুদ সখ্যতা। বাউল গানের সন্ধানে আমরা কুষ্টিয়ার ছেঁউরিয়ায় লালন সাঁইয়ের মাজারে, ঘোড়াশালে লেঙটা পীরের ওরশে, মাতাল রাজ্জাকের আসরে, চট্টগ্রামে মাইজভান্ডারী শরীফে, এমনকি হাইকোর্টের মাজারেও ঘুরে বেড়াতে শুরু করি আমরা। পরিচয় হয় বাউল সম্রাট খ্যাত মহিম সাঁই,হিরু সাঁই আর অতি গুনি শিল্পী রব বাউল প্রমুখর সঙ্গে। ...মাঝে মাঝে সিগারেটের ভেতরে কি কল্কে দিয়ে গাঁজা টানাও চলতো। আশ্চর্য সোনালী সুন্দর সেই সব দিন।...

চার. তো কলেজে উঠে আমি পুরোপুরি জড়িয়ে পড়ি এরশাদ সরকার বিরোধী ছাত্র রাজনীতিতে। জাহিদ ভাইয়ের সঙ্গে আমার যোগাযোগ কমতে থাকে। কলেজ শেষ করে আমি পেশাদার সাংবাদিকতায় ব্যস্ত হই। দিনের পর দিন জাহিদ ভাইয়ের সেঙ্গ আমার দেখা হয় না।

বহু বছর পর একদিন গভীর বেদনায় আমি আবিস্কার করি, পাবলিক লাইব্রেরির বারান্দায় আমার কবিতার মাস্টার জাহিদ ভাইকে! উনি এখন বদ্ধ উন্মাদ, পুরোপুরি হেরোইন আসক্ত। মাথায় জট পাকানো চুল, পরনে শতছিন্ন নোঙরা পোষাক। দেখলে থুতু দিতে ইচ্ছে করে। ...বেঁচে আছেন মানুষের দয়াদক্ষিণায়।

কতোজনে তাকে ফেরাতে চেষ্টা করেছে। শুনেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাকে কয়েকবার রিহ্যাবে দিয়েছিলো। কিন্তু কোনোটাতেই কাজ হয়নি। আর আমি তো সামান্য অক্ষরজীবী মাত্র; আমি আর কোন ছাড়!

পাঁচ. এখনো মাঝে মাঝে তার সঙ্গে দেখা হয়। কখনো আমাকে চিনতে পারেন, কখনো পারেন না। তো চেনাচেনির এক পর্বে তাকে বলি আমার হিংসার কথা। বলি, আপনিই আসলে সফল। কি চমৎকার সব কিছু ছেড়েছুঁড়ে দিয়ে বসে আছেন।...জগতে যা কিছু আছে কিছু নেই তার অনুসঙ্গে।...আর আমরা? দিনরাত শুধু ইঁদুর দৌড়ে ব্যস্ত...অথবা যেনো তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে উঠে যাওয়ার আস্ফালনে মত্ত।...

শুনে জাহিদ ভাই হাসেন। ভাঙা গলায় ধরেন আমাদের সোনালী দিনে লেখা তার নিজের গান--

আমি যারে ভালবাসি, তারে আবার বাসি না,
তারে ভাল লাগে না, লাগে না, গো...
আমি যারে ভালবাসি গো...

যে মোরগের আজান শুইনা
রোজ সকালে ঘুম ভাঙিলা,
তারে আবার না খাইলে
তোমার মগজ বাড়ে না,

আমি যারে ভালবাসি গো...

পুনশ্চ: ক. ভয়ঙ্কর রকম আসক্তিতে জাহিদ ভাই বেশীর ভাগ সময়ই পরিচিতজনদের চিনতে পারেন না; এ কথা আগেই বলেছি।

কিছুদিন আগে সেই পাবলিক লাইব্রেরির ক্যান্টিনের সামনে দেখা। আমি ডাকি, জাহিদ ভাই, জাহিদ ভাই।...উনি ঘুরে তাকান। মৃত মাছের মতো দৃষ্টিশুন্য চোখ; উনি আমাকে চিনতে পারেন না।

আমি একটা সিগারেট ধরিয়ে তার হাতে ধরিয়ে দিলে জগত-সংসারের কী এক কঠিন গুঢ় তত্ব নিয়ে উনি উদাসী ভাবনায় মাতেন। যাকে বলে, বাহ্যজ্ঞানশুন্য, তার একেবারে সেই অবস্থা।

আমার বুকের ভেতর থেকে কী দারুন এক কষ্ট উঠে এসে দলা পাকিয়ে গলায় আটকে যায়। আমি তাকে একসঙ্গে হরবর করে অনেক কথা বলতে চাই;কিন্তু কিছুই বলতে পারি না।...

খ. লেখাটি এর আগে সামহোয়ারিনে প্রকাশিত।


মন্তব্য

আরিফ জেবতিক এর ছবি

নতুন জিনিষ দেন বিপ্লব ভাই।পুরানা লেখা পড়বো কেন?
আমি দেখছি ইদানিং অনেক ব্লগার তাদের পুরনো লেখা এখানে জমা করছেন।সেটা প্রথম পাতায় না দেয়াই বোধহয় ভালো।
এটা আমার ব্যক্তিগত মত।

-----------------------------------
ঢাকার ভূমে ফিরেছে একাত্তর/প্রস্তুতি নে,সময় হলো তোর..

বিপ্লব রহমান এর ছবি

আমি দেখছি ইদানিং অনেক ব্লগার তাদের পুরনো লেখা এখানে জমা করছেন।সেটা প্রথম পাতায় না দেয়াই বোধহয় ভালো।
এটা আমার ব্যক্তিগত মত।

আরিফ ভাই,

আপনার মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, নতুন লেখা তো লিখছিই, লিখবো।

পুরনো লেখা প্রথম পাতায় জমা করার আমিও পক্ষপাতি নই। কিন্তু আমার খুব প্রিয় কিছু পুরনো লেখা যদি এখানে দেই, সেটা কী খুব দৃষ্টিকটু দেখায়?

তাছাড়া সামহোয়ারিনের সব লেখক-পাঠকই কী এখানে ভীড় করেছেন?

আনাড়ি ব্লাগার, সত্যিই এ সব প্রশ্নের জবাব জানি না।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

আরিফ জেবতিক এর ছবি

কিছু কিছু লেখার আবেদনটি অবশ্য চিরন্তন।তেমন কিছু লেখা মাঝে মাঝে বোধহয় দেয়াই যায়।:)

-----------------------------------
ঢাকার ভূমে ফিরেছে একাত্তর/প্রস্তুতি নে,সময় হলো তোর..

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

হায় জাহিদের এই দুরবস্থা শুনে খূবই খারাপ লাগছে। খূব একটা বন্ধুত্ব বা পরিচয় ছিল তা না। কিন্তু টিএসসি বা পাবলিক লাইব্রেরি এলাকায় দেখা হয়ে যেত।
হেরোইন আসক্তি নিয়ে ওকে আমরা জ্বালিয়েছিও। বিপ্লবের লেখা পড়ে মনে পড়লো একদিন ভর দুপুরে হেরোইন টেনে এসে ঢুলতে থাকায় আমরা দুষ্টামি করে ওকে রিক্সায় করে মেডিক্যাল পাঠিয়েছিলাম স্টমাক ওয়াশ করতে।
আহা ছেলেটা, ভালবাসার অভাবে একদম শেষ হয়ে গেল।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

রেজওয়ান এর ছবি

ধন্যবাদ বিপ্লব রহমান, আপনার লেখাটির জন্যে। আমি সামহোয়ারইনে আগে লেখাটি পড়িনি। কাজেই এখানে না দিলে অবশ্যই মিস করতাম। আরিফের উপদেশটিতে তাই সায় জানাতে পারছি না।

"তোমার ঘরে বাস করে কারা গানটি টিএসসিতে প্রথম কার কন্ঠে শুনেছি মনে নেই।" তবে মনে হয় পথিক নবী, যখন তার নাম ডাক হয়নি। এটি যে জাহিদ ভাইয়ের সেটি জানতাম না। তার সম্পর্কে আরও জানার ইচ্ছা রইল।

************************************
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

লেখাটার জন্য ধন্যবাদ, বিপ্লবদা। কষ্ট লাগলো পড়ে। সামহোয়্যারে পড়িনি তেমন কিছুই। এখানে না দিলে পড়া হত না। ধন্যবাদ। এত সুন্দর গানের লেখকের এই পরিণতি জেনে দুঃখ লাগছে। আরিফ ভাইয়ের সাথে একমত হতে পারলাম না আমিও একই কারণে। প্রথম পাতায় না হলেও পুরনো লেখাগুলো নিজের ব্লগে নিয়ে আসুন। নতুন পোস্ট অনুসরণ করে এসে পড়ে নিবো।

অমিত এর ছবি

এটাতো আগে পড়া ছিল না। জেবতিক ভাইয়ের ফতোয়ার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ।
জাহিদ হাসানের কবিতা/ গান গুলা যদি আপনার সংগ্রহে থাকে, তাহলে এই ব্লগে তুলে দিতে পারেন।
বিপ্লব চোখ টিপি
______ ____________________
suspended animation...

আরিফ জেবতিক এর ছবি

বিষয় কী?
এতো পাচঁ দেয়ার পরও বিপ্লব ভাই'র লেখা আপনারা আগে মন দিয়ে পড়েন নি?
হায় নিষ্ঠুর ব্লগসমাজ।
---------------
যাক,জনদাবীর মুখে ফতোয়া প্রত্যাহার করা হলো।:)

অমিত এর ছবি

খালি আজেবাজে প্রশ্ন !!! খাড়ান আগে চৌধুরিদের সাফা করি, এরপর জেবতিক বংশ

______ ____________________
suspended animation...

বিপ্লব রহমান এর ছবি

নিষ্ঠুর ব্লগ সমাজ আরিফ ভাইয়ের ফতোয়া মেনে নেয়নি, পুরনো লেখা দিয়েছে এবং নতুন পাঠকরা তা পড়ছেনও। হা...হা...হা...চোখ টিপি

অমিত,

জাহিদ ভাইয়ের কবিতার কিছু খাতাপত্র আমার দখলে ছিলো বেশ কিছুদিন। ১৯৯৬ সালের মে-জুন মাসে যখন ঢাকার রাজপথে ট্যাঙ্ক নামে, তখন নিরাপত্তার স্বার্থে আমি বেশ কিছু দলিলপত্র, ছবি, নেগেটিভ পুড়িয়ে ফেলি। দূর্ভাগ্যক্রমে এর মধ্যে জাইদ ভাইয়ের কবিতার খাতাগুলোও ছিলো। এখন সে জন্য মাথাকুটতে ইচ্ছে করে!

আমি স্মৃতি থেকে তার গানের কিছু লিরিক তুলে দিতে পারি; তবে সেখানেও ভুলভাল হওয়ার আশঙ্কার থেকেই যায়।

একটু ঝুঁকি নিয়েই আপনার জন্য জাহিদের গানের দুটি পংতি:

পূর্নিমারই রাতটি ছিলো
জ্যোৎস্না ছিলো কাল
জোনাকীরা দেয় পাহারা
রাত হতে সকাল

ভালবাইসা বন্ধু আমায়
নষ্ট নাম দিলি
ভালবাইসা বন্ধু আমায়
পাগল নাম দিলি
ভালবাইসা বন্ধু আমায়
ছিনাল নাম দিলি...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

সত্তুরটা হুরপরীতে আমার দরকার নাই, আমি দোযখে যাবো...
এই গানটা কি জাহিদের লেখা।

জাহিদের গানগুলো লিখে ব্লগে রাখার একটা উদ্যোগ আমরা নিতে পারি।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

বিপ্লব রহমান এর ছবি

শোমচৌ,

জাহিদের গানগুলো লিপিবদ্ধ করার বিপদ আছে। আগেই বলেছি, স্মৃতি প্রতারণা করতে পারে। আর অনেক গানের কলি পুরোপুরি মনেও নেই।

আর আপনি যে গানটির কথা বলছেন, সেটি সম্ভবত ওনার নয়। তবে-

অন্তরের চাক কাইটা দিলাম
সেই মধু তুই খাইলি না
আমার মধুতে বন্ধু ভেজাল ছিলো না
আমার প্রেমেতে বন্ধু ভেজাল ছিলো না
আমার ফুলেতে বন্ধু কাঁটা ছিলো না...

বন্ধু রে, ও বন্ধু রে...

-এটি জাহিদের গান।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি যারে ভালোবাসি তারে আবার বাসি না... এই গানটা প্রথম শুনি বোধহয় ৯৩/৯৪-তে... বুয়েটের শুভ্র ভাইদের আড্ডায়। তখন নিজেই খুব গাইতাম হেড়ে গলায়। অপরিচিত গান বিধায় আড্ডায় চমক থাকতো।
আমার ফুলেতে বন্ধু কাঁটা ছিলো না... এইটা আমরা গাইতাম ভালোবাইসা মনটা দিলাম সেই মন তুই লইলি না... আমার ভালোবাসাতে ফাঁকি ছিলো না...
কোনটা আসল কোনটা নকল জানি না...
জাহিদ ভাইরে দূর থেকা বহুত দেখছি... জানছি শুনছি... আলাপ পরিচয় ছিলো না...
নারী হয় লজ্জাতে লাল ফাল্গুনে লাল শিমূল বন, এ কোন রঙে রঙিন হইলা বাউল মন...
এইটা তো জাহিদ ভাইয়েরই গান তাই না?
আমার বড় প্রিয় গান... এইটার পুরা লিরিক আমার মনে আছে এখনো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বিপ্লব রহমান এর ছবি

এটি আসল বা নকলের প্রশ্ন নয়, এটি হচ্ছে স্রেফ বিভান্তি। জাহিদ ভাইয়ের গানগুলো তো কখনোই সংরক্ষিত হয়নি। তাই তার গানের কথা ও সুর বিকৃত হতেই পারে। এমন কী তার বেশকিছু গান বেওয়ারিশ হয়ে যাবে--এটিও স্বাভাবিক।

'নারী হয় লজ্জাতে লাল' গানটি খুব সম্ভবত একটি পুরনো লোকগীতি। তবে জাহিদ-গ্রুপের অনেকেই সে সময় এই গানটি গাইতো। ধন্যবাদ।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

senjuti jui এর ছবি

জাহিদ ভাইকে আমি চিনি না...কিন্তু তার জন্য আমারও যেনো বুকের মধ্যে কেমন মোচড় দিয়ে উঠলো। তুমি বলেছো- এক পর্বে তাকে বলি আমার হিংসার কথা। বলি, আপনিই আসলে সফল। কি চমৎকার সব কিছু ছেড়েছুঁড়ে দিয়ে বসে আছেন।...জগতে যা কিছু আছে কিছু নেই তার অনুসঙ্গে।...আর আমরা? দিনরাত শুধু ইঁদুর দৌড়ে ব্যস্ত...অথবা যেনো তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে উঠে যাওয়ার আস্ফালনে মত্ত।...
না তোমার কথা আমি মানি না শুধু জীবন থেকে পালিয়ে বাচাঁর জন্য এমন নির্বাসিত জীবনের কোনো মানে নেই, একটা মানুষ এভাবে হারিয়ে যাবে তা মেনে নেয়া যায় না........জীবনে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকাইতো জীবনের সার্থকতা...নির্বিকার বেঁচে থাকায়তো কোনো বৈচিত্র নেই.........এভাবে ভাবলেই যুদ্ধটা অনেক সহজ হয়......অঅর জীবনের প্রতি আসে না বিতৃষ্ণা.......যুদ্ধ করেইতো টিকে আছি এখোনো.....যারা এই যুদ্ধ মেনে নিতে পারে না হয়তো তারাই পরাজিত হয় হারিয়ে যায়.......................

তুমি আর একবার চেষ্টা করে দেখো না তাকে ফিরিয়ে আনা যায় কিনা........নিজেকে ক্ষুদ্র কেনো ভাবছো......?

খুব ভালো লাগলো লেখাটা.....তোমার লেখায় জোর আছে...চালিয়ে যাও বন্ধু.................

ar.rahman এর ছবি

”সত্তরটা হুরপরীতে বন্ধু আমার তো কাম নাই” এটা কার লেখা গান ও কোথায় পাওয়া যাবে কেউ কি বলতে পারেন? থাকলে আওয়াজ দিন>>>>>>>>>>>>>>

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।