গাড়িতে বসে সীট বেল্ট লাগাতে লাগাতে আসাদ সোজাসুজি বলে ফেলে, আমার শ’পাঁচেক টাকার দরকার, রশিদ ভাই।
চায়ে চুমুক দিয়ে রশিদ রিমোট টিপে টিভি অন করে। কাপ নামিয়ে রেখে সিগারেট ধরিয়ে বলে, তাইলে যা, রেডি হইয়া আয়।
আসাদ উঠে দাঁড়ায়, হ যাই।
রশিদ কাজে যাওয়ার জন্যে তৈরি হয়ে নিচে নেমে আসছিলো। সিঁড়ি থেকেই জিজ্ঞেস করে, কে ফোন করছিলো রে, আসাদ?
চোখে একটাও বাড়তি পলক না ফেলে এবং এক মুহূর্ত না ভেবে আসাদ গল্প বানিয়ে ফেলতে পারে। এই দক্ষতাও তাকে অর্জন করতে হয়েছে। নিজের দরকারে। রশিদকে জানায়, আমার ম্যানেজারে কল করছিলো, আজ কাজে যাইতেছি কি না জানতে।
ফোন এসেছে। কেউ একজন সাঈদকে চায়। আসাদ মোটামুটি অনুমান করেছে, তবু জিজ্ঞেস করে, কোন সাঈদ? এ বাসায় দু’জন সাঈদ আছে।
সৈয়দ আসাদুল আলমের খোঁজে ফোন করা হয়েছে জেনে অকম্পিত গলায় বলে দেয়, এই মুহূর্তে সে এখানে নেই। কোনো মেসেজ থাকলে বলো, ফিরলে জানিয়ে দেবো।