সেনাবাহিনী, যুদ্ধকৌশল ইত্যাদি

দুর্দান্ত এর ছবি
লিখেছেন দুর্দান্ত (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৫/১২/২০১১ - ৩:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভারত ও পাকিস্তান – এই দুই দেশের নিয়মিত সামরিক বাহিনীর সিংহভাগ পদাতিক। বিমান বা নৌবাহিনীর গুরুত্ব বাড়ছে, কিন্তু সংখ্যার দিক থেকে পদাতিক বাহিনীই মূখ্য। ব্যাক্তি সৈনিকের পরে পদাতিক বাহিনীর ক্ষুদ্রতম একক ৪-৫ জনের একটি সশস্ত্র দল বা ‘ফায়ার-টিম’ দিয়ে গঠিত হয়। এর নেতৃত্বে একজন নন কমিশন্ড অফিসার (এন সি ও) অথবা অভিজ্ঞ সৈনিককে দেখা যায়। কয়েকটি ফায়ারটিম একসাথে হয়ে একজন বয়োজ্যেষ্ঠ এন সি ও’র অধিনে একটি স্কোয়াড গঠিত হয়।

এরকম ৫-১০ টি ফায়ার-টিম বা মোটামুটি ৩০-৫০ জনের একটি কাঠামো নিয়ে একটি প্লাটুন গঠিত হ্য়। চেষ্টা করা হয় যে ফায়ারটিম আর স্কোয়া অভিগ্গতা, অস্ত্রপরিচালনা, ব্য়াক্তিত্ব ইত্য়াদির মিশ্রণ করার চেষ্টা করা হয়, এবনং এই চার পাঁচ জন নিজেদের অবিচ্ছেদ্য় হিসাবে দেখতে শেখে। একটা সুপ্রশিক্ষিত স্কোয়াডে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কে দলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে, কে দলের পেছনে চোখ রাখবে, কার কভারে কে গুলি ছুড়বে, সামনে এগুবে, অস্ত্রব্য়াবহারের ক্রম কি হবে এবনং কোন সহকরমীর অবররতমানে কে তার জায়গা নেবে বা, প্রশিক্ষন কালে সৈনিক নিজস্ব দক্ষতার সাথে সাথে এইসব কাঠামোগুলোর ঠাসবুনোট আরো পাকা করা হয়।

অফিসার প্রশিক্ষণ শেষে একজন লেফটেন্যান্ট সাধারনত প্লাটুন বা বড় স্কোয়াডের অধিনায়কত্ব দিয়ে তাদের কর্মজীবন শুরু করে। তারপর একজন ক্যাপ্টেন/মেজর এর অধিনে ৩-৫টি প্লাটুনের একটি কোম্পানি, একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল বা আস্ত কর্নেলের অধিনে একটি ৩-৫টি কোম্পানির একটি ব্যাটালিয়ান, একজন কর্নেল বা ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের অধিনে একটি ৫-১০টি ব্যাটালিয়ানের একটি রেজিমেন্ট এবং এর ওপরে একজন মেজর জেনারেলের অধিনে ৩-৪ টি রেজিমেন্টের বা ৪০-৫০ হাজার সইন্যের এক একটি ডিভিশন কে দেয়া হয়। এর ওপরের মেজর জেনারেলের পরে লেফ্ট্য়ানেন্ট জেনারেল, জেনারেল ইত্যাদি পদগুলি ব্যাবস্থাপনায় বেশী ও সরাসরি সইন্য পরিচালনায় কম জড়িত থাকে। বড় আকারের সামরিক কার্যক্রমে পরিস্থিতি বুঝে ফিল্ড মারশাল বা তারও ওপরে কিছু কাঠামো বসানো হতে পারে। আমেরিকা যেমন পুরো দুনিয়াটাকেই বাহিনীভেদে কয়েকটি সামরিক অঞ্চলে ভাগ করে নিয়েছে।

১৯৭১ এ ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পূর্ব ও পশ্চিমের দুটি যুদ্ধক্ষেত্রকে দুটি সতন্ত্র সামরিক প্রশাসনের নিচে পরিচালিত করেছিল।

এযাবত যে কথাগুলো হল, এগুলো নিয়মিত বাহিনী নিয়ে। নিয়মিত সেনাবাহিনীর কাজ খোলাখুলি যুদ্ধ করা। মানে যুদ্ধের সময়ে দুইদিকের সইন্যদের কদেরা প্রকাশ্য়ে একে অন্য়ের ওপর আধিপত্য় বিস্তারের চেষ্টা করবে। এই আধিপত্য় আসলে দুইটি আন্তরজাতিক ভাবে স্বঈক্রিত স্বআধীন রাষ্ট্রের মধ্য়ে কোন একটি কাইজা মেটানোর সবচাইতে হিনংসাত্মক উপায়। প্রথম ও দ্বইতীয় বিশ্বযুদ্ধগুলোর পরে আন্তরজাতিক আইন মোটামুটি নিয়মিত সেনাবাহিনী ও নিয়মিত যুদ্ধ(!) কে ভাল করে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছে। এখন, যুদ্ধ যতই নিয়মিত হোক, যে দুই দেশের মধ্য়ে যুদ্ধ লাগবে, তাদের সেনাবাহিনীর আকার সবসময়ে সমানে সমান হবে, তার তো কোন নিশ্চয়তা নেই। এই অসমতা শ্রেফ সইনিকের সনংখ্য়ার দিক থেকে হতে পারে, আবার দুই দিকের সামরিক প্রশিক্ষন ও অস্ত্রাদির আধুনিকতা ও প্রযুক্তিগত পারথক্য় থেকেও হতে পারে। দ্বইতীয় বিশ্বযুদ্ধে স্থানীয় ভাবে এই অসমতা থেকে একটি নতুন ধরনের যুদ্ধের ব্য়াবহার শুরু হয়।

একটি আধুনিক সামরিক বাহিনী অসম যুদ্ধ নিয়ে কি ভাবে জানতে হলে এখানে দেখতে পারেন।


মন্তব্য

মরুদ্যান এর ছবি

হুমম পড়লাম, ইনফরমেশন গুলা ভাল। কিন্তু বানানের এই অবস্থা কেন? বিশেষ করে শেষ প্যারার অবস্থা ভয়াবহ। সফটওয়্যারের ঝামেলা?

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।