নারী

ফকির লালন এর ছবি
লিখেছেন ফকির লালন (তারিখ: সোম, ০৮/০২/২০১০ - ৩:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মধ্যদুপুরে শ্রাবণের ফুটন্ত পুকুরে
সরীসৃপ কিশোরী সাবলীল -
বৃষ্টি কিংবা ভেজা চুল তার
কী ভীষন চমৎকার।

দ্যাখো, কইমাছের মতো নতুন
বৃষ্টির গানে তার কিশোরী শরীর
কেমন মাতাল হয় অনাগত মিলনের ঘ্রানে,
জলে খুঁজে ফেরে বাৎসায়নের বীজ।

যতটা সে চেনে শ্রাবণ
তারও চেয়ে বেশী চেনে
দীঘির আপামর লাজুক শালুক
তবু তারা যেন হতভাগা ট্যান্টালাস,
আকন্ঠ বানে, শরীরে তাদের কেন জাগেনা স্পন্দন -
নাভীমূল থেকে ...মধ্যদুপুরে শ্রাবণের ফুটন্ত পুকুরে
সরীসৃপ কিশোরী সাবলীল -
বৃষ্টি কিংবা ভেজা চুল তার
কী ভীষন চমৎকার।

দ্যাখো, কইমাছের মতো নতুন
বৃষ্টির গানে তার কিশোরী শরীর
কেমন মাতাল হয় অনাগত মিলনের ঘ্রানে,
জলে খুঁজে ফেরে বাৎসায়নের বীজ।

যতটা সে চেনে শ্রাবণ
তারও চেয়ে বেশী চেনে
দীঘির আপামর লাজুক শালুক
তবু তারা যেন হতভাগা ট্যান্টালাস,
আকন্ঠ বানে, শরীরে তাদের কেন জাগেনা স্পন্দন -
নাভীমূল থেকে উঠে আসা কোন সে বোধ
কেন শুধু বালিকাকে দেয় নারীর প্রস্তুতি।

কবি, তুমি তাকে বলো জলপরী
আমি কেটে লিখি রাজহাঁস,
ঠিক অতটা কাব্যিক না বলে
তুমি ফের লেখো – মারমেইড।

অথচ দ্যাখো,
আমাদের কবিতার সব উপমা ছাড়িয়ে
তার সারাটা জীবন কেমন ঠিক ভিজে যাবে এ বর্ষণে -
দূরাগত রাতে রতিক্লান্ত সে পাশ ফিরে শুলে
কপোলের স্বেদে স্মৃতি হয়ে ফিরে যাবে আজকের জলকনা সব,
ফের মনে হবে, আবারো নামুক তেমন বৃষ্টি উথাল,
আবার আসুক সে শ্রাবণ দুপুর,
যখন গাভীন জলে থাকেনা তফাত, কিশোরী ও কইমাছে।


মন্তব্য

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

ভাল্লাগছে ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বস্‌ একটু মাস্টারী করি।

১. t এর পর দুইবার ` চাপুন। এই ` হচ্ছে সেটা যা ~ এর সাথে একই চাবি-তে থাকার কথা। তাহলে "বাৎসায়ন" লিখতে পারবেন।
২. "কেঁটে" আর "ভিঁজে" থেকে চন্দ্রবিন্দু বাদ দিন। "সরিসৃপ"-এ দীর্ঘ-ঈ কার দিন। "হর্মোন"কে "হরমোন" লিখুন, এতে মাত্রার পতন হয়না।
৩. যেই অনুচ্ছেদে "যখন গাভীন জলে থাকেনা তফাত" বলেন সেই অনুচ্ছেদে যদি "কবিতার সব বাহাস ছাড়িয়ে" বলেন তাহলে একটু কানে লাগে। বস্তুতঃ গোটা কবিতার প্রেক্ষিতেই "বাহাস" শব্দটা কানে লাগে।

কবিতায় চিত্রকল্প ও দৃশ্যকল্প দুটোই স্পষ্ট। এমন স্বতঃস্ফূর্ত কবিতাই ভালো লাগে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ফকির লালন এর ছবি

ঠিক করলাম, অনেক ধন্যবাদ। বাহাস, বদলে কি করা যেতে পারে, ভাবছি।

কবিতার নাম রাখতে চেয়েছিলাম, অংকুরোদগম , বানানের ভয়ে অন্য নাম দিয়েছি, এই বানান টা কি ঠিক আছে?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বাংলা একাডেমির হুজুরদের বানানো একটা প্রমিত বানানের বুকলেট আপনাকে পরে মেইল করবো। উনাদের মতামতে আপনার দ্বিমত থাকতে পারে (কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমার দ্বিমত আছে), তবে অনুসরণ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে নির্দ্বিধায় লিখতে পারবেন। কেউ কিছু বললে উনাদের দোহাই দেবেন, যদিও উনারা নিজেরাই নিজেদের প্রকাশিত বইয়ে সেসব নিয়ম আকছার বরখেলাপ করেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল্লাগছে আপনার কবিতা
একটু টাইপো হইছে যা ষষ্ঠম বলে দিযেছেন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।