কবির মৃত্যু: বৃন্ত ছেঁড়া জলপাই পাতার উড়াল

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি
লিখেছেন ফারুক ওয়াসিফ (তারিখ: সোম, ১১/০৮/২০০৮ - ৩:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সন্ধ্যার বাতাসে ঝরে যাওয়া জলপাই পাতা তুমি, আলতো করে শয়ান নিলে মাটিতে। পৃথিবীর বুকে পোঁতা হলো আরো একটি শোকের পাহাড়। এখন ঐ মাটি আর ঐ মা পৃথিবী তোমাকে টেনে নেবে তার মায়ার কন্দরে। ঐ বাতাস সব মৃত ভাইদের অন্তিম নিঃশ্বাসের দমক হয়ে আছড়ে পড়বে তোমার কবরে। বিধবা বোনদের হুতাশন মরুর লু হওয়া হয়ে তোমার শিয়রে জানাবে নালিশ। আর পৃথিবীর বুকের হাপর থেকে উঠে আসবে ঝড় : ইন্তিফাদা। অযুত অযুত হারানো-খোয়ানো মানুষদের হাড়-পিঞ্জিরার ডুগডুগির তালে বেজে উঠবে জেরুজালেমের সকল মিনার, গির্জার সকল ঘন্টা। রক্ত উগলানো গিরিগর্জনে তারা ডাকবে: মাহমুদ মাহমুদ!

হ্যাঁ, তারা তোমাকেই ডাকবে। কেননা তুমিই, তুমিই তো দখলের থাবার নীচ থেকে তোমার দেশের আকাশ-মাটি-ঝরণা-জলপাই-শৈশব আর মুক্তির স্মৃতিকে ছিনিয়ে এনে লুকিয়ে রেখেছিলে অক্ষরে-শব্দে-কবিতায়।

যখন পৃথিবীতে তোমার ভাইদের-বোনেদের স্মৃতিও লুপ্ত হবে, যখন থাকবেনা কোনো ফিলিস্তিনী গ্রাম; তোমার নামে নাম এমন মানুষ, তখন জগতের খোদা নামবেন আবার। তোমার প্রতিটা কবিতার প্রতিটি হরফ নিংড়ে নিংড়ে তিনি আবার বানাবেন সেই দেশ: সেই স্বপ্নের মতো মায়াবি করুণ নহরসিক্ত প্রতিশ্রুত উপত্যকা।

তোমার কবিতার নামে নাম হবে সেই দেশের: ফিলিস্তিন।

মাহমুদ দারবীশের দুটি কবিতা থেকে অনুবাদ

বৈরুত
ঘনকৃষ্ণ ধাতব পাতে বানানো প্রকাণ্ড এক গম্বুজ যেন বৈরুতের আকাশ। এক মহাদুপুর হাড়ে হাড়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে তার অবকাশ। আকাশ হিরোশিমাময়। দিগন্তু যেন ঝকঝকে ধুসর এক স্লেট, যে রংই লাগাও খেলুড়ে জেটগুলো আড়াল পাবে না। যদি ইচ্ছা করি, তবে চক ঘষে যা খুশি লিখে ফেলতে পারি আমি সেই স্লেটে। কী এক ঝোঁক চেপে বসে আমার মাথায়। যদি উঠে যেতে পারি খুব উচা কোনো দালানের ছাদে, কী লিখব আমি তখন, আকাশে? 'ওরা তোমাকে যেতে দেবে না'। হ্যাঁ, এটাও তো বলা হয়েছে। 'হয়তো মৃত্যু এসে নিয়ে যাবে আমাদের কিন্তু অমর হোক জন্মভূমি'? এও তো আগে বলা। 'হিরোশিমা'? তাও তো পুরনো কথা। আমার স্মৃতি থেকে, আমার আঙুল থেকে ঝরে ঝরে পড়ছে শব্দগুলো। আমি ভুলে গেছি হরফ। কেবল স্মৃতিতে অক্ষয় হয়ে আছে ছয়টি অক্ষর: B-E-I-R-U-T .
(From Memory Of Forgetfulness)

বন্দিদশায়

এখানে পাহাড়ের ঢালে, সময়ের কামান আর গোধূলির দিকে চেয়ে
চুরমার হওয়া ছায়াদের বাগিচা ঘেঁষে,
আমরা তা-ই করি, বন্দিরা যা করে
আমরা তা-ই করি, বেকারেরা যা করে:
আমরা ফলিয়ে যাই আশার আবাদ।

*

মেঘকে শুধায় নারী: আমার প্রিয়কে তুমিই ঢেকে রেখো
আমার পোশাক যে সিক্ত তার রক্তে

*
এবং প্রভাতের যা কিছু বাকি, তার মধ্যে আমি হেঁটে যাই আমার বাইরে
এবং রাত্রির যা কিছু রয়, পদশব্দ শুনি আমার ভেতরে।

*

বন্ধুরা কেবলই আমার জন্য সাজিয়ে যায় চিরবিদায়ের সভা,
ওক গাছের ছায়ায় এক কোমল কবর
সময়ের মার্বেল এপিটাফ
এবং সর্বদাই সেই শোকমিছিলে আমি আগাম হাজির:
কে তবে মরে গেল..কে?


মন্তব্য

কীর্তিনাশা এর ছবি

কিছু বলার ভাষা নেই ...........
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

দল বেঁধে মানুষেরা শুনতে যাচ্ছে কবিতা ! খোলা ময়দানে ! কবিতাও এমন শক্তি জোগায়,আর কবি ও - আর কে প্রমাণ করেছে ওঁ ছাড়া ! গলায় রক্ত উগলানো গিরিগর্জনে তারা তো ডাকবে ই : মাহমুদ মাহমুদ!

---------------------------------------------------------

আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

১.
আমরা তা-ই করি, বন্দিরা যা করে
আমরা তা-ই করি, বেকারেরা যা করে:
আমরা ফলিয়ে যাই আশার আবাদ।
২.
তারা তোমাকেই ডাকবে। কেননা তুমিই, তুমিই তো দখলের থাবার নীচ থেকে একে একে তোমার দেশের আকাশ-মাটি-ঝরণা-জলপাই-শৈশব আর মুক্তির স্মৃতিকে ছিনিয়ে এনে ঢেকে রেখেছিলে অক্ষরে-শব্দে-কবিতায়।

-----কোথায় যেন মিলে যায় আমারই সাথে..... আমাদেরই সাথে। ফিলিস্তিনের খরতাপ শুকাক এই কান্নার জল শুষে নিয়ে----কামনা করি।

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

কোথায় যেন মিলে যায় আমারই সাথে..... আমাদেরই সাথে। ফিলিস্তিনের খরতাপ শুকাক এই কান্নার জল শুষে নিয়ে----।

কিন্তু আমাদের তেমন কবি কোথায়? যিনি রচনা করবেন আমাদের ‌'দেশে ফেরার খাতা'।
.........................................................................................
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

কী অসাধারণ সব উক্তি! ফারুক ওয়াসিফ আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই লেখাটার জন্য।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

ধন্যবাদ আখতারুজ্জামান সায়েব।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

মুজিব মেহদী এর ছবি

এ এক যথার্থ শ্রদ্ধা
মরণোত্তরে।

কিন্তু আমাদের তেমন কবি কোথায়? যিনি রচনা করবেন আমাদের ‌'দেশে ফেরার খাতা'।

একজন মাহমুদ দারবীশ কিংবা এমে সেজায়ার সৃষ্টি করে সময় এবং পরিস্থিতি।
................................................................
আমরা তা-ই করি, বন্দিরা যা করে
আমরা তা-ই করি, বেকারেরা যা করে:
আমরা ফলিয়ে যাই আশার আবাদ।
(মাহমুদ দারবীশ)

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

যে দেশে এমন অকহতব্য বাস্তবতা, যে দেশের পশ্চাতে আছে সোয়া দুইশ বছরের উপনিবেশিক পীড়ন আর যে দেশের জন্ম একাত্তরের চুল্লির ভেতর দিয়ে, সে দেশে সময় আর পরিস্থিতি আর কবে আসবে?

একসময় আমিও সময় আর পরিস্থিতির দোষ দিতাম, এখন দেই আমাদের_যারা করবে করবে করে, কিন্তু করে না। পারে না।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

মুজিব মেহদী এর ছবি

ঠিক জানতাম যে আপনি এই দুটো প্রসঙ্গ টানবেন, টানবেনই। কিন্তু ঠিক জবাব আমি জানি না।

দুটো অধ্যায়েই কিছু ভালো কবিতা তো লিখিত হয়েছে, কিন্তু সেসব 'দেশে ফেরার খাতা' হয় নি বৈকি। আসলে ওই একটি 'দেশে ফেরার খাতা'ই আমাদের সবার। আমরা বলতে পারি, সেটা কেন একটি ফরাসি উপনিবেশ থেকে এল, কেন ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে এল না, আরো সুনির্দিষ্টভাবে কেন ভারতবর্ষ থেকে এল না। আসতে হয়ত পারতই, কিন্তু আসে নি।

আপনি তো জানেনই, সময় আর পরিস্থিতি দুটো শব্দমাত্র নয়, সময়ে অজস্র কণাসময় আর পরিস্থিতিতে অজস্র কণাপরিস্থিতি বিরাজ করে। সেসবের কায়কারবার কখন যে কোনদিকে কাজ করে, কে জানে?

তবে হ্যাঁ, 'আমরা ফলিয়ে যাই আশার আবাদ' যদি, তবে ভাবতে দোষ কী যে কেউ একজন এসে জীবনবাবুর মতো জানান দিয়েই শুরু করবেন যে, 'কেহ যাহা বলে নাই কোনো এক বাণী/আমি বহে আনি।'
সে বাণী শোনার লাগি আমিও তো কান পেতে আছি।

................................................................
আমরা তা-ই করি, বন্দিরা যা করে
আমরা তা-ই করি, বেকারেরা যা করে :
আমরা ফলিয়ে যাই আশার আবাদ।
(মাহমুদ দারবীশ)

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

মনজুরাউল এর ছবি

আপনাদের দু'জনের কথোপকথন অন্য আর একটা প্রকান্ড সম্ভবনার জরায়ূ হতে পারে। সময় আর পরিস্থিতি অনেক বড় ব্যাপকার্থতা বহন করে।এ নিয়ে হতে পারে উজ্জিবীত আলোচনা।
আমি দিনকয়েক আগে লন্ডনে আমার এক ভাইয়ের কথা বলছিলাম...
ক্রসফায়ারের মৃত্যু বিষয়ে। ও-ই বলছিল_বাংলাদেশ চিলির পথে এগোচ্ছে।বললাম_এখানে কাউন্টার করার শক্তি কই?সেই সাহস নিয়ে কোন শ্রেণী তৈরি হচ্ছে ?ও বলল_সময় আর পরিস্থিতি তৈরি করে দেবে।
এখন আমি এ ভাবে বুঝি_যে পরিমান নিপীড়ন থাকলে প্রতিবাদীর জন্ম হয় , হয় সেই পরিমান নিপীড়ন হচ্ছে না,অথবা তারচে' ভয়াবহ নিপীড়ন হচ্ছে,কিন্তু তাকে সুকৌশলে বোধে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। নিপীড়িতরা 'নসীব','আমাদেরই লোক','অমুকরা এলে বদলে যাবে'র মত আপ্তবাক্য শিখতে বাধ্য হচ্ছে।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

সেটা কেন একটি ফরাসি উপনিবেশ থেকে এল, কেন ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে এল না, আরো সুনির্দিষ্টভাবে কেন ভারতবর্ষ থেকে এল না।

এটাই আসল কথা। কোনো ব্রিটিশ উপনিবেশে কিন্তু লাল বা কমলা কোনো বিপ্লবই হয়নি। ব্রিটিশদের সাজানো অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং মধ্যবিত্তনির্ভর শ্রেণীকাঠামো তা করতে দেয়নি।

অজস্র কণাসময় আর পরিস্থিতিতে অজস্র কণাপরিস্থিতি বিরাজ করে।

এই কথাটা ভাল লাগলো। আরেক কবি পাস্তরনাক এমনকি আমাদের বিভূতিভূষণও এভাবেই ইতিহাস দেখতেন।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এই এলিজি কেবল শোকের নয়,শক্তি এবং সম্ভাবনার ও বটে । দুর্দান্ত ।

RITA AND THE RIFLE এর অনুবাদ কি আছে আপনার কাছে?

তার আরেক কবিতার
So leave our country
Our land, our sea
Our wheat, our salt, our wounds
Everything, and leave
The memories of memory
those who pass between fleeting words!
এই লাইনগুলো পড়লেই আমার কেনো জানি মনে পড়ে

'তুমি আমার জলের স্থলের আকাশ থেকে নামো
তুমি বাংলা ছাড়ো.......................................... '
-------------------------------------
"এমন রীতি ও আছে নিষেধ,নির্দেশ ও আদেশের বেলায়-
যারা ভয় পায়না, তাদের প্রতি প্রযোজ্য নয় "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

বৈরুতটা আগে করা ছিল আমার ‌আমি আরব গেরিলাদের সমর্থন করি পোস্টের জন্য। বাকিটা গতকালই করা তড়িঘড়ি করে। প্রতিটি ছত্রে ছত্রে অঙ্গার হওয়ার ছাপ খুব কম কবিই পারেন।

তুলনাটা দারুণ মিলেছে।
''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

কবিকে শ্রদ্ধা



অজ্ঞাতবাস

শেখ জলিল এর ছবি

আর পৃথিবীর বুকের হাপর থেকে উঠে আসবে ঝড় : ইন্তিফাদা। অযুত অযুত হারানো-খোয়ানো মানুষদের হাড়-পিঞ্জিরার ডুগডুগির তালে বেজে উঠবে জেরুজালেমের সকল মিনার, গির্জার সকল ঘন্টা। রক্ত উগলানো গিরিগর্জনে তারা ডাকবে: মাহমুদ মাহমুদ!

..অনন্য! অসাধারণ লেখা।
সাথে কবির কবিতা থেকে অনুবাদ দুটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

ফারুক -মুজিব -মনজুরাউল ত্রয়ীদের মন্তব্যগুলো দুর্দান্ত লাগল
এর বেশি বলতে পারব না
মুর্খ হওয়ার বিপত্তি আমি ভালই টের পাচ্ছি ।

নুরুজ্জামান মানিক
************************************

বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আমি তো অকাট মূর্খ, মানিক ভাই। কাজেই...ইয়ে, মানে...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

কাজেই, ভাল ব্লগ লেখেন, এই আর কি!

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

তানবীরা এর ছবি

মেঘকে শুধায় নারী: আমার প্রিয়কে তুমিই ঢেকে রেখো
আমার পোশাক যে সিক্ত তার রক্তে

হুমম

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।