শন ইয়েট ও একজন

ইমরুল কায়েস এর ছবি
লিখেছেন ইমরুল কায়েস (তারিখ: শুক্র, ১১/০৪/২০০৮ - ২:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া সদ্য আঠারো বছরের তরুন আমি একটা কাজ করে ফেললাম,লিখে ফেললাম একটা সায়েন্স ফিকশন।আজ পাঁচ বছর পর সচলায়তনের পাঠকদের জন্য টাইপ করতে চাচ্ছি লেখাটি।জানিনা এরকম সায়েন্টেফিক ভূতের গল্প(হূমায়ূন আজাদের ভাষায়)জানিনা কেমনভাবে নেবেন সচলের পাঠকরা।
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
ডেট লাইন ৩০ সেপ্টেম্বর ২৫২০
আরও একটি ক্ষুদ্র বইয়ের সন্ধান লাভ

আরিজোনা রাজ্যের অধিবাসী কৃষক টমাস ডালসন সম্প্রতি একটি ক্ষুদ্র বইয়ের সন্ধান পেয়েছেন। ইয়েট মাইক্রোস্কোপে১ পরীক্ষা করে দেখা গেছে ডালসনের বইটির দৈর্ঘ্য ১ সেঃমিঃ এবং প্রস্থ মাত্র ০.৫ সেঃমিঃ। বইটি কোন ভাষায় লেখা হয়েছে সেটা অনুমান করা যায় না। এতে রুকটাইল২ কালি ব্যবহার করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচেছ। তবে বইটির অস্পষ্টতাহেতু এর প্রায় কোন অংশই পড়া যায় না। আশ্চর্যের বিষয় হল বইটিতে যে কাগজ ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রচলিত কোন কাগজের সাথেই সাদৃশ্যপূর্ণ নয়। বয়েল সোসাইটিতে বইটির একটি নমুনা পৃষ্ঠা দেয়া হলেও তারা পুরোপুরি এর উপাদানসমূহ সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে পারেনি। টমাস ডালসনের বক্তব্য হতে জানা যায় তিনি তার বাড়ির গাড়িবারান্দায় একটি পরিত্যক্ত হিওটিটের৩ প্রাইসম৪ অংশ থেকে বইটি পেয়েছেন।
-wso স্পেশাল জার্নাল
৩০ সেপ্টেম্বর, ২৫২০
----------------------------------------------
ষ্টিফেন রজার্স
সায়েন্টিফিক এডিটর
wso স্পেশাল জার্নাল
ষ্টিফেন,
আমি শন ইয়েট। আপনাদের পত্রিকায় ৩০ সেপ্টেম্বরে বইয়ের সন্ধান লাভ বিষয়ক একটা খবর পড়লাম। আমি বইটির সম্বন্ধে জানতে আগ্রহী। টমাস ডালসনের ঠিকানা জানালে উপকৃত হব। সেই সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি এধরনের একটি খবর আমাকে না জানিয়ে কিভাবে জার্নালে ছাপা হল তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না । আমার উইরিয়াল সিগনাল P2SO54।
শন ইয়েট
প্রফেসর শন,
আপনার উইরিয়াল সিগন্যালটি আমরা পেয়েছি। আপনার মত একজন মহান বিজ্ঞানী আমাদের সাথে নিজেই যোগাযোগ করেছেন ব্যাপারটা আমাদের কাছে খুব লজ্জার বলে মনে হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে পত্রিকায় ছাপানোর পূর্বেই আপনাকে জানানো আমাদের উচিত ছিল যা আমরা আগেও করেছি। তবে ক্ষমা করবেন ,আপনার আগের রিসার্চগুলো সফল না হওয়ায় আমরা আপনাকে তথ্যটা আগে জানানোর সাহস পাইনি। প্রফেসর সাইমন বেল এ বিষয়ে আমাদের পূর্বেই বলেছিলেন এজন্য আমরা তাকেই এবার প্রথম বলেছি। অবশ্য আপনি যদি ধরে নিয়ে থাকেন যে বর্তমান এমিটিক শাসন ব্যবস্থায় শুধুমাত্র আমাদেরকেই পত্রিকা প্রকাশের অধিকার দেয়া হয়েছে বলে আমরা সেটার অপব্যবহার করছি তবে আমরা অবশ্যই তার প্রতিবাদ করব। আপনাকে এর আগেও দুটি বই সংগ্রহ করে দেয়া হয়েছিল যা রিসার্চে আপনি ব্যর্থ হয়েছেন। তাই সাইমন বেলকেই এবার আমরা বইটি প্রথম দিলাম। আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।
টমাস ডালসনের উইলিয়াল সিগন্যাল NP205LT,নিউ আরিজোনা, ওয়ার্ল্ডএরিয়া- ৫৭ । আমরা আশা করছি আপনার কাছে যে বইগুলো আছে সেগুলোর রহস্য আপনি শীঘ্রই খুঁজে পাবেন। আপনার সিগন্যালের জন্য ধন্যবাদ।
ষ্টিফেন রজার্স
সায়েন্টিফিকএডিটর ,wso
ষ্টিফেন রজার্সের পাঠানো সিগনালটি যখন শন ইয়েট পেলেন তখন প্রায় সন্ধ্যা হয় হয়। ইয়েট বাড়ীর পার্শ্ববর্তী লেকে হাটতে বেড়িয়েছেন। সুতরাং এই সময়ে তিনি রজার্সের সিগনালটি নিয়ে ভাবতে চাইলেন না। প্রকৃতির এই অসাধারণ মুহূর্তে রজার্সের সিগনালটি নিয়ে ভাবা অর্থহীন ইয়েট মনে মনে ভাবলেন। তারচেয়ে বরং wso এর বিগত মাসের সংখ্যার একটা প্রবন্ধ নিয়ে ভাবা যাক মনে মনে ভাবলেন শন।
" মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর শন ইয়েটকে বলা হয় বর্তমান শতাব্দীর পদার্থবিজ্ঞানের পুরোধা। তিনি শুধু পদার্থবিদই নন একাধারে ভাষাবিদ, গণিতবিদ এবং দার্শনিক। এই যে আজকের দিনের ইয়েট যন্ত্র থেকে শুরু করে অজিওটিক ভাষা আবিস্কার পর্যন্ত যা কিছু হয়েছে তা তার একক কৃতিত্বেরই ফসল। রুকটাইল কালির ন্যায় দীর্ঘস্থায়ীত্বের কালি অবিস্কার করে তিন একবিংশ ও দ্বাবিংশ শতাব্দির মুদ্রণ শিল্পকে যেমন উন্নত করেছেন তেমনি উইরিয়াল সিগন্যালের ন্যায় অতি উচ্চ মাত্রার প্রযুক্তি আবিস্কারের পেছনে তার অবদানের কথা বর্তমান সভ্যতার কোন মানুষই কখনও ভুলে যাবে না। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকের ইন্টারনেট৬ নামক অতি নিচু প্রযুক্তিকে যে আজ ব্যবহার করতে হচ্ছে না এজন্যই আমরা সবাই তার কাছে ঋনী। উইরিয়াল সিগনালের৭ আবিস্কার শুধু মানবজাতির বিকাশকেই নয় বরং গোটা সভ্যতার বিকাশকেই এগিয়ে নিয়ে গেছে কয়েকগুন। তার আবিস্কৃত অজিওটিক ভাষাও আজকাল ওয়ার্ল্ড এরিয়া- ৩ ও ওয়ার্ল্ড এরিয়া- ৭ এর মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রধান ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে । মাত্র বিশটি বর্ণ ব্যবহার করে সৃষ্ট এ ভাষা আধনিক ভাষাবিজ্ঞানের শুধু বিষ্ময়ই নয় বরং গবেষনার বিষয়ও বটে। হয়ত এই দিনও খুব বেশী দূরে নয় যখন পৃথিবীর সকল ওয়ার্ল্ড এরিয়া সার্কেলেই এই ভাষা ব্যবহৃত হবে। মূলত তার এ সকল অবদানই তাকে সভ্যতার মানুষের কাছে অমর করে রাখবে। সাথে সাথে এটাও আগাম বলে রাখছি যে, তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে প্রাপ্ত অদ্ভুত সব ক্ষুদ্রাকৃতির বই নিয়ে যে রিসার্চ করছেন তা সফল হলে হয়ত মানব জাতি আরো অনেক কিছুই জানতে পারবে। আমরা এখন কেবল সেই সময়টারই অপেক্ষায় ।"
দিমিত্রি ত্রিদিব
wso স্পেশাল জার্নাল সংখ্যা ১১২
পত্রিকায় শন ইয়েট তাকে নিয়ে লেখা এ ধরনের স্তুতিমূলক রচনা প্রায়ই দেখেন। বিষয়টা তার কাছে খানিকটা অস্বস্তিকর মনে হলেও ভালই লাগে। এই যে তাকে বহুভাষাবিদ, গবেষক, পদার্থবিজ্ঞানী বা গণিতবিদ বলে ডাকা হয়, এইযে তিনি শুধু মাত্র পদার্থবিজ্ঞানের উপরই পর পর তিন তিন বার নোবেল পুরুষ্কার পেয়েছেন তার পরও তিনি নিজেকে গত শতাব্দির সেরা পদার্থবিদ বলে মনে করেন না বা এমন ও বলা যায় ওরকম কিছু ভাবতে চাননা। ব্যপারটা মূলত শুরু হয়েছে এভাবে-
সময়টা ছিল মাত্র বছর দশেক আগের। তিনি সবেমাত্র স্পেশাল মুভমেন্ট অব ফ্লোটন অন এটমের উপর গবেষনার জন্য নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তত্ত্বটির ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য আমন্ত্রন আসছে । সময় সুযোগমত কিছু কিছু তিনি রক্ষাও করছেন। এরই অংশ হিসাবে দক্ষিন কোরিয়ার লি চুং বিশ্ববিদ্যালয়ে গমন। একদিন ইউনিভার্সিটিতে সবে লেকচার দিয়ে হোটেলে এসে বিশ্রাম নিচ্ছেন এমন সময় তার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী এসে খবর দিল যে তাং চুন নামক একজন লোক তার সাথে দেখা করতে চান। ইয়েট অনিচ্ছা সত্বেও তাকে আসার অনুমতি দিলেন। শন ইয়েট যে রকম লোককে দেখবেন বলে ধারনা করেছিলেন দেখা গেল লোকটি তার সম্পূর্ন উল্টো। একেবারে অতি সাধারন পোষাকের আদিবাসী একজন কোরিয়ান এসে বসল তার সামনে।
- শুভ অপরাহ্ন প্রফেসর শন।
- শুভ অপরাহ্ন । আপনার জন্য কি করতে পারি।
-আমার পরিচয় দেযার কিছু নেই। আমি তাং চুন একজন সাধারন কৃষক। তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে আমার একধরনের আগ্রহ আছে। আমি অত্যন্ত আগ্রহসহকারে আপনার লেখা পদার্থবিজ্ঞানের সব বইই পড়েছি। সাথে এটাও বলে রাখি আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন পদার্থবিজ্ঞানের গ্রাজুয়েট কিন্তু আমি কৃষিকাজেই আমি বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। হয়ত ভাববেন যে আমি নিজেই নিজের প্রশংসা করছি তার পর ও বলতে বাধ্য হচ্ছি যে কৃষিকাজে কীটপতঙ্গ দূরীকরনের জন্য যে অপিয়াল ইনসেক্টকিলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় সেটা আমারই আবিষ্কার।

-আপনি সেই তাং চুন। আপনাকে আমার আগেই চেনা উচিত ছিল। wso এর ৩৭ তম সম্মেলনে মন্ট্রিলে আপনাকে আমি দেখেছিলাম। আমি দুঃখিত যে আপনাকে চিনতে পারিনি। অনুতপ্ত হওয়ার একটা ভঙ্গি করলেন প্রফেসর শন।
-আপনার কাছে আমি একটি জরুরি কাজে এসেছি। আশা করি আমি আপনার বৈজ্ঞানিক গবেষনায় সামান্য অংশ হতে পারব।
এই বলে তাং চুন তার বুক পকেট থেকে একটি ক্ষুদ্র বই বের করলেন । বইটির দৈর্ঘ্য বা প্রস্থ ৫ সেমিঃ এর বেশী সম্ভবত হবে না।
-এটি কি? উৎসুকভাবে জিজ্ঞেস করলেন শন ইয়েট।
-এটি সম্ভবত একটি বই তবে এটা প্রচলিত কোন ভাষায় লেখা নয়।
-আশ্চর্যতো। যেন খুব একটা আশ্চর্য কিছু এইমাত্র শুনলেন এমন একটা ভঙ্গি করলেন শন।
-শুধু এটাই নয় । এখানে যে কালি ব্যবহার করা হয়েছে আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি তাও কোন প্রচলিত কালি নয়।
-আসলেই। আরো কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলেন প্রফেসর।
-এই বইটা বছরখানেক হল আমার কাছে আছে। আমি চেষ্টা করেছি বইটাতে কি আছে তা জানার । এজন্য আমি ভাষা বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে অনেক সাধু দরবেশেরও শরনাপন্ন হয়েছি। কিন্তু এটার একটা শব্দ বা কোন রহস্যই আমার পক্ষে উদঘাটন সম্ভব হয়নি। আপনি বইটি দেখেন কিছু করতে পারেন কিনা।
(চলবে)
------------------------------------------------------------
(পরিশিষ্ট)
১. ইয়েট মাইক্রোসকোপ : এক ধরনের বিবর্ধক যন্র যার সাহায্যে ছোট কোন জিনিসকে বড় করে দেখা যায়।
২. রুকটাইল কালি :এক ধরনের দীর্ঘস্থায়ীত্বের কালি। (কল্পনা)
৩. হিওটিট : রোবটদের উন্নত সংস্করণ। (কল্পনা)
৪. প্রাইসম : রোবটদের মস্তিস্কের একটি অংশ। (কল্পনা)
৫. WSO : World scientific organization।
৬. ইন্টারনেট : তথ্য ও প্রযুক্তি বিনিময়ের একটি মাধ্যম।
৭. উইরিয়াল সিগনাল : মানুষের মস্তিস্কের নিউরনের মাধ্যমে তথ্য ও প্রযুক্তি বিনিময়ের একটি মাধ্যম। (কল্পনা)
৮. ফ্লাবিশ ষ্কিন : এক ধরনের পর্দা যা আপতিত আলোর উপযুক্ত প্রতিচ্ছবি সৃষ্টি করতে পারে। (কল্পনা)
৯. অটোমেটিক লিন্ডিকার: রিমোটের ন্যায় এক ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস। (কল্পনা)
১০. নিউরন : মানুষের মস্তিস্কের একটা অংশ যা সংবেদন পরিবহনের কাজ করে। মানুষের মস্তিস্ক কোটি কোটি নিউরন নির্মিত।
১১. ডাই অপিনাইল : এক ধরনের ট্যাবলেট যা মৃত স্নায়ু বা কোষকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাগিয়ে তুলে স্বল্প সময়ের জন্য জীবিত রাখতে পারে। (কল্পনা)
১২. ওথাল হোম : অজিওটিক ভাষায় সম্বোধনবাচক শব্দ। (কল্পনা)
১৩. থায়োডেজাট্রোব্লুটানেট : এক ধরনের যৌগ। (কল্পনা)
১৪. ওয়াল্ড্রল মাদার : ক্লোন শিশুদের যারা রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকে। (কল্পনা)
১৫. ব্লোনাড : ক্লোন শিশু। (কল্পনা)
১৬. লিওবিট টিউব : কলিংবেলের মত একধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস। (কল্পনা)
১৭. রিসাইকেলএবল : পূনরায় ব্যবহারযোগ্য করা যায় যা।
১৮. লেন্টালিন : এক ধরনের রাসায়নিক তরল যা অবশ স্নায়ুকে সংবেদন গ্রহনে সাহায্য করে। (কল্পনা)
১৯. ডুকাইল :ফ্লিজ জাতীয়। (কল্পনা)
২০. বিট্রিওল : এক ধরনের পিল। (কল্পনা)
২১. মিলকিওয়ে : পৃথিবী যে গ্যালাক্সীতে আছে তার নাম।
২২. গ্যালাক্সী : ছায়াপথ। প্রতিটি গ্যালাক্সীতে সূর্যের ন্যায় অসংখ্য নক্ষত্র থাকে।
২৩. নেবুলা : মহাকাশে ঘণীভূত হয়ে থাকা ভস্ম, গ্যাস, গলিত পদার্থ ইত্যাদি।
২৪. অক্টোবিট ভেইকল : এক ধরনের যানবাহন। (কল্পনা)
২৫. FSO: Federal Scientific organization
২৬. এলোবেশিয়ান : কুকুর ও বিড়ালের সংকর প্রজাতি। (কল্পনা)
eru

-------------------------------------------------
সুগন্ধ বিলোতে আপত্তি নেই আমার
বস্তুত সুগন্ধ মাত্রই ছড়াতে ভালবাসে।


মন্তব্য

শিক্ষানবিস এর ছবি

ভার্সিটি জীবন শুরু হওয়ার প্রথমেই এরকম বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখা শুরু করাটা বেশ আশার বিষয়। কল্পবিজ্ঞান হয়তো এখনও উঁচুমানের সাহিত্যের মর্যাদা পায়নি। কিন্তু এর চর্চা অব্যাহত রাখা উচিত। কারণ বিজ্ঞানকে কল্পবিজ্ঞানের মাধ্যমে চমকপ্রদভাবে তুলে ধরা যায়।
একটা জিনিস দেখবেন, বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণে নিবেদিতপ্রাণ প্রায় সবাই কখনও না কখনও বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লিখেছেন। আসিমভ বা কার্ল সাগান এর উদাহরণ। আমাদের দেশে জাফর ইকবালও বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের সাথে জড়িত।
তাই আপনার লেখাটি হারিয়ে যাবে না। পুরোটা টাইপ করে ফেলুন। দিতে থাকুন ধীরে ধীরে।
আমি আজই শুরু করলাম পড়া। আপনার পুরো গল্পটাই পড়ার ইচ্ছা আছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।