আমার উত্তর বাংলা, আমি তো তোমার দিকেই যেতে চাই। আমার বাড়ি ফেরার গান।

ইমরুল কায়েস এর ছবি
লিখেছেন ইমরুল কায়েস (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/১১/২০০৯ - ৪:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:



১.

বছর দুয়েক আগের ঘটনা। ধানমন্ডি থেকে পলাশীতে ফিরছি। ধানমন্ডি সাতাশ নাম্বার রোড থেকে রিকসা নিলাম। রিকশাওয়ালাকে পরিচিত মনে হল। যদিও সচরাচর রিকশায় চড়ে কখনও রিকশাওয়ালার সাথে তেমন কোন কথা বলা হয় না, তারপরও ভাবলাম জিজ্ঞাসা করে দেখি বাড়ি কোথায়।

-ভাইয়ের দেশের বাড়ি কৈ?
-দিনাজপুর।
যাক লাইনেই আছে তাইলে। দিনাজপুর, মানে উত্তরবঙ্গে। দিনাজপুরের বহু থানায় যাওয়া হয়েছে। ভাবলাম দেখি পরিচিত কোন থানায় বাড়ি?

-দিনাজপুরের কোন থানা?
-ঘোড়াঘাট।
আরে, ঘোড়াঘাট তো আমাদের পাশের থানা। গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানায় আমার বাড়ি। পলাশবাড়ির পাশের থানাই দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট। ঘোড়াঘাটে আমার প্রচুর বন্ধু-বান্ধব আছে। বাড়িতে গেলে দিন কয়েক আমি ঘোড়াঘাটেই কাটাই। এটার অলিগলি আমার চেনা। ভাবলাম ভালই হল, খুব চেনা এলাকারই লোক। কথোপকথন চলতে থাকল।
-ঘোড়াঘাটে আমি অনেক গেছি। আপনার বাড়ি ঘোড়াঘাটের কোন জায়গায়?
-আসলে ঘো্ড়াঘাটে ঠিক নয়। পলাশবাড়িতে।
-পলাশবাড়ি তো দিনাজপুরের থানা নয়। গাইবান্ধার থানা।
-হু, পলাশবাড়ি গাইবান্ধাতেই পড়ছে।
-আচ্ছা। তো পলাশবাড়ির কোন গ্রাম।
-পলাশবাড়িও চেনেন নাকি আপনি?
-হ্যাঁ, পলাশবাড়িও আমি চিনি। আপনার গ্রামের নাম বলেন।
-নূরপর।
-নূরপুরের সাহেব মিয়ারে চেনেন? আমি জানতে চাই।
-চিনি মানে ভাল করে চিনি? আপনে চেনেন ক্যামনে?
-আমার বাড়িও পলাশবাড়ি। আপনার গ্রাম থেকে আধামাইল হাঁটলেই আমার বাসা পাওয়া যাবে।

তাইতো বলি এই লোকটিকে আমার এত চেনা চেনা কেন লাগে। আমাদের বাসার পাশের যে রাস্তাটা গ্রামের দিকে চলে গেছে সেদিকে কিছুক্ষণ হাঁটলেই প্রথম যে গ্রামটা পাওয়া যায় তার নাম নূরপুর। সাহেব মিয়া নামের আমার বন্ধুর গ্রাম। হাইস্কুলে থাকতে প্রায়ই বিকেলে হাঁটতে হাঁটতে এই গ্রামে চলে যেতাম। বন্ধুর সাথে আড্ডা দিয়ে ফিরে আসতাম সন্ধ্যায়। রিকশাওয়ালা লোকটিকে সম্ভবত বহুবার আমি ঐ গ্রামে দেখেছি। বহু বছর হয়ে গেলেও স্মৃতি আমার সাথে প্রতারনা করে নি।

কিন্তু বাড়ি নিয়ে প্রাথমিক কথাবার্তায় এই লোক আমাকে ভুল তথ্য দিল কেন? প্রশ্নটা আমার মাথায় থেকে যায়। আরো দু-চারটা নানান কথাবার্তা বলতে বলতে পলাশীতে চলে আসি। ভাড়া মিটিয়ে দেওয়ার সময় বিষয়টা তার কাছে জানতে চাই।
-তো ভাই, আপনি শুরুর দিকে আপনার বাড়ি গাইবান্ধা না বলে দিনাজপুর বললেন কেন?
লোকটি এবার খাঁটি আঞ্চলিকতার সূরে বলে,
- উত্তরবঙ্গ শুনে এমনি মানসে দাম দিবার চায় না। গাইবান্ধা শুনে তো আরও দিবার চায় না। এইজন্যে বাড়ির কথা শুনবের চালে দিনেজপুর কই। মানসম্মান এনা হলেও বাঁচে।

লোকটি চলে যান। কে জানে, নিজের দেশ দিনাজপুর বলে পরবর্তিতেও হয়ত তিনি এভাবে "এনা" (সামান্য) হলেও মানসম্মান বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। উত্তর বাংলা গরীব। গাইবান্ধা গরীবের মধ্যে গরীব।




২.

আমার উত্তর বাংলা, তোমার অনেক দুর্নাম। তোমার এলাকার মানুষেরা মঙ্গায় ভোগে, পেট পুরে খেতে পারে না, অনাহারে থেকে কচু-ঘেচু খেয়ে বাঁচে। বন্যা, খরা, নদীভাঙন তোমার গায়ে আঁচড় কেটে যায় প্রতিবছর। তোমার লোকদের তুমি ধরে রাখতে পার না। যতই তুমি এদের মুঠি ধরে আঁকড়ে ধরতে চাও ততই তারা তোমার দুর্বল মুঠি থেকে ফস্কে যেতে থাকে। এরা ঢাকায় এসে রিকসা চালায়। মৌসুমি মজুর হয়ে কোদাল-ডালি নিয়ে অপেক্ষা করে থাকে বাসষ্ট্যান্ডে, ঐ দূরগামী ট্রাক আসলো বলে!

তোমার লোকেরা তোমার পরিচয় দিতে কুন্ঠিত বোধ করে, তাদের মানসম্মান খোয়া যাওয়ার ভয় আছে। তোমার পরিচয়ে তাদের মানসম্মান ধসে যায়, তারা অন্য মানুষের কাছে সম্মানহীন পঙ্গুতে পরিনত হয়। কেননা তুমি উত্তর বাংলা সম্মানহীন। উত্তর বাংলা মানেই ঋতুতে ঋতুতে মঙ্গা, শীত বস্ত্রহীন শীতার্ত মানুষ, নদী ভাঙনের শিকার আশ্রয়হীন মানুষ । উত্তর বাংলা মানেই ভুখা-নাঙা মানুষ, সভ্য জগতে ' মফিজ ' নামে বেঁচে থাকা।

তবুও আমি যেতে চাই। আমার উত্তর বাংলা, আমি শুধু তোমার দিকেই যেতে চাই। এই শীত রাত্রিতে এই ভেবে খুশি হই আর তো মাত্র অল্প কিছুক্ষণ। কয়েক ঘন্টা বাদেই সকালের আলো ফুটলে আমি তো ছাড়ছিই এ নগর। রওয়ানা হচ্ছি তোমার দিকে। সম্মানহীন হয়েও আমি তোমার দিকে যেতে ভালবাসি, বস্তুত কারই বা নিজের মায়ের দিকে যেতে খারাপ লাগে?


মন্তব্য

উজানগাঁ এর ছবি

সম্মানহীন হয়েও আমি তোমার দিকে যেতে ভালবাসি, বস্তুত কারই বা নিজের মায়ের দিকে যেতে খারাপ লাগে?

সুন্দর ।

কনফুসিয়াস এর ছবি

মনের কথাটা বলে দিলেন। পাঁচ তারা।

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

ইমরুল কায়েস এর ছবি

পাঁচ তারার জন্য ধন্যবাদ।
......................................................
পতিত হাওয়া

অবকাশ [অতিথি] এর ছবি

ভাল লাগল ,সুন্দর।

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলেই তাই।
নিজের বাড়ি নিজের দেশের চেয়ে আপন বোধহয় আর কিছুই নেই।
সুন্দর লিখেছেন।

ত্রেয়া।।

ইমরুল কায়েস এর ছবি

ঠিক ধরছেন। আসলেই নিজের দেশ বা বাড়ির চেয়ে আপন কিছু নেই।

আপনার নামটা কিন্তু বেশ অদ্ভুদ। প্রথমবার এরকম নাম শুনলাম।
......................................................
পতিত হাওয়া

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভালো হয়েছে লেখাটা।
...............................
নিসর্গ

ইমরুল কায়েস এর ছবি

ধন্যবাদ।
......................................................
পতিত হাওয়া

শিহরণ [অতিথি] এর ছবি

হুমমমম ... ভালই হয়েছে. পাঁচ তারা।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কোনো এক বিচিত্র কারণে উত্তর বঙ্গকে, উত্তর বঙ্গের মানুষগুলোকে আমার অন্যরকম ভালো লাগে। কেমন জানি একটা ফ্যাসিনেশন কাজ করে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ইমরুল কায়েস এর ছবি

আপনার এই ভাললাগার কথা জানতে পেরে ভাল লাগল। ধন্যবাদ।
......................................................
পতিত হাওয়া

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

ভালো লাগলো।
নদী ভাঙনের স্বীকার - (শিকার) হবে বোধহয়
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

ইমরুল কায়েস এর ছবি

ধন্যবাদ দেবুদা। ঠিক করে দিয়েছি। কিবোডিং মিসটেক ছিল।
......................................................
পতিত হাওয়া

এনকিদু এর ছবি

মফিজ টফিজ কত কিছু মনে করায় দিলি রে ! মনটা খারাপ হয়ে গেল ।

দোস্ত তুই বিড়ি খাস ? আয় একটা বিড়ি ধরাই ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ইমরুল কায়েস এর ছবি

খাই মানে! গত বইমেলায় তোর কাছে পাইপ দেখে পরামর্শ নিছিলাম কোত্থেকে পাইপ কিনতে পাওয়া যায়। মনে আছে?

যাহ, ধরালাম একটা বিড়ি।
......................................................
পতিত হাওয়া

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আজকে এতো সুন্দর সুন্দর লেখা আসছে সব- পাঁচ তারাও কমহয়ে গেলো মালুম হচ্ছে। ...

শেষ তিনটে অনুচ্ছেদ স্মরণে থাকবে অনেকদিন...

______________________________________________________

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

শরীফ হাসান এর ছবি

এই ভ্রমন আর কিছু নয় কেবল তোমার কাছে যাওয়া-

তিথীডোর এর ছবি

উদ্ধৃতি
'এ ভ্রমণ আর কিছু নয়,
কেবল তোমার কাছে যাওয়া'
ঠিক এই লাইনটাই মনে পড়ছিলো...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

উত্তর বাংলা সম্পর্কে একটা মজার তথ্য উত্তর বাংলার এক বন্ধুর কাছেই শুনেছি। ওইদিকের মানুষের আয়োডিনের অভাবে বুদ্ধি কম হয়। যদিও যে বন্ধু বলেছে, তার মেধা সেইরকম ক্ষুরধার।

আর আমি উত্তর বাংলার সহজ-সরল মানুষদের ভাল পাই।
অবস্থানগত কারণে দেশের দক্ষিণ দিকটা একটু ভাল হওয়াতে সারা বাংলার কুটিল জটিল মানুষেরা এখানে এসে ঘাঁটি গেড়েছে(আমার ধারণা)।

সূর্যবন্দী মেঘ...

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে এখনই দৌড় দেই। কিন্তু উপায় নেই, কবে যে যা আবার?

স্বপ্নদ্রোহ

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

এত ছুঁয়ে গেল লেখাটি। অনেক ধন্যবাদ।

অর্জুন মান্না [অতিথি] এর ছবি

পড়ে খুব খারাপ লাগল। আবার ভালও লাগল।
যা-ই হোক আপনিত আপনার মায়ের কাছে যেতে চান।

ভ্রম এর ছবি

পড়ে খারাপ লাগলো...ভালোও লাগলো।

হিমু এর ছবি

উত্তরবঙ্গে আমি কাজের সূত্রে বেশ কিছুদিন ছিলাম। পঞ্চগড় বাদে গোটা উত্তরবঙ্গই আমার বেশ ঘুরে দেখা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের যারা সাধারণ মানুষ, তাদের মধ্যে একটা অদ্ভুত সারল্য আছে, খুব ভালো লাগে।

উত্তরবঙ্গের রিকশাচালকরা আরোহীর সাথে কথা বলতে খুব ভালোবাসে হাসি । একবার এক রিকশাচালক তার প্রেমিকার গল্প বলা শুরু করলো, তার বিয়ে হয়ে গেছে অন্য জায়গায়। গল্প বলতে বলতে একসময় তার সে কী বুকভাঙা কান্না! রাস্তার পাশে রিকশা থামিয়ে সিটে মাথা রেখে একেবারে হাউমাউ করে কাঁদলো কিছুক্ষণ। খুব দুঃখ লেগেছিলো বেচারার জন্য।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

বইখাতা এর ছবি

খুব ভালো লাগলো। উত্তরবঙ্গ তো আমারও । যাচ্ছি সেখানেই ঈদের একদিন পর। হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

আমার মায়ের দিকের সবাই উত্তরবঙ্গের, তবে দাদু কর্মসূত্রে কলকাতায় চলে আসায় ওদিকে বেশি যাওয়া হয় নি। এখন জীবন বয়ে গেছে অন্য খাতে, মরা নদীতে আর জল বয় না তাই আপনার গল্প শুনে খানিক হুতাশ করা ছাড়া আর কিছু করার নেই। ভালো লাগলো খুবই, আন্তরিক এই লেখা।

রানা মেহের এর ছবি

খুব সহজ সরল লেখা
উ্ত্তরবঙ্গের মতোই
ভালো লাগলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

হাসিব জামান এর ছবি

দোস্ত অ-সাধারণ লাগল। তুই আবার নিয়মিত লিখতেছিস দেখে ভাল লাগসে। হাসি

কায়েস এর ছবি

সুন্দর লেখা। লেখাট পড়ে এক পরিচিত বড় ভাই এর কথা মনে পড়ে গেল। যিনি বর্তমানে বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্য। উনি যখন ছাত্র জীবনে লন্ডনে ছিলেন তখন অপরিচিতদের বলতেন, আই আম ফ্রম মুম্বাই। হয়তো দেশ নিয়ে ঐ রিকশাওয়ালাটার মতই তারও একটা হীনমন্নতা কাজ করতো।

অতিথি লেখক এর ছবি

তোমার কালেকশনের ভান্ডার আমি যতই দেখছি ততই মুগ্ধ(!) হচ্ছি।কই পাও এদের?

দময়ন্তী এর ছবি

বা:
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

অতিথি লেখক এর ছবি

ইমরুল নামটিও কিন্তু মজার যদিও অনেকবার শুনেছি আমি।
আর আমার নামের কথা বললে বলব,,আমি নিজেও প্রথমবার এই নাম শুনেছি নিজের নাম হসেবেই।
ঈদ মোবারক।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

তবুও আমি যেতে চাই। আমার উত্তর বাংলা, আমি শুধু তোমার দিকেই যেতে চাই। এই শীত রাত্রিতে এই ভেবে খুশি হই আর তো মাত্র অল্প কিছুক্ষণ। কয়েক ঘন্টা বাদেই সকালের আলো ফুটলে আমি তো ছাড়ছিই এ নগর। রওয়ানা হচ্ছি তোমার দিকে। সম্মানহীন হয়েও আমি তোমার দিকে যেতে ভালবাসি, বস্তুত কারই বা নিজের মায়ের দিকে যেতে খারাপ লাগে?

খুব সুন্দর করে বললেন ভাই। আমার জীবনের অর্ধেক সময় কেটেছে উত্তরবঙ্গে, রাজশাহী বিভাগে থাকি এ নিয়ে খুব গর্ব বোধ করতাম। খালি গুনতাম কত্ত কত্ত ভালো জিনিস, সবই রাজশাহীতে, কাগজ কল, চিনি কল, আম-লিচু বাগান, দর্শনিয় স্থান ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার এই কথা শুনে সবাই এখনি যার যার বিভাগের সুনাম নিয়ে ঝাপিয়ে না পড়লেই হয় :S।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।