চা ও অনামা মুক্তিযোদ্ধা

সংসপ্তক এর ছবি
লিখেছেন সংসপ্তক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২২/১০/২০০৯ - ৩:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“আমি তখন ভারতের মিজোরামে, দেমাগিরি ট্রেনিং ক্যাম্পে।২ মাস ধরে কোনো অপারেশনে যাই না, মনি ভাইয়ের (শেখ মনি) নির্দেশে ক্যাম্পে পলিটিকাল অ্যাডভাইসরের কাজ করি আর ইন্ডিয়ান আর্মির ট্রেনিং এ ছেলেপেলেদের নিয়ে অংশ নেই। তখন সম্ভবত নভেম্বর, যুদ্ধের প্রায় শেষের দিকে। বিরক্ত হয়ে গেছি ক্যাম্পে বসে থাকতে থাকতে, খালি মনে হয় এই কাজের জন্য তো যুদ্ধে আসি নাই। ফ্রন্টে আবার যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে আছি। হঠাৎ করেই একদিন সুযোগ মিলে গেলো।”

গলা খাঁকারি দিয়ে আমার আব্বু একটু উশখুশ করতে লাগলো। “বাবা, দেখ না, তোর মাকে বলে এক কাপ চা’র ব্যবস্থা করা যায় নাকি।”

গেলো মেজাজ খারাপ হয়ে, এমন জমাট গল্পের মধ্যে চা বিরতি! ভদ্রলোক ছুটির দিনে অন্ততঃ ২০ কাপ চা খান। আম্মু, ছোট বোন থেকে কাজের লোক সব অস্থির হয়ে যায়। চুলার ভাত নামিয়ে চা’র ব্যবস্থাও করতে হয়েছে অনেকদিন।

“আবার চা! শেষ করো না গল্পটা!”
“আরে আজকের কাহিনীতে চা’র ভূমিকা অনেক। তুই যা না। নিয়ে আয়, বলছি।”
এই ব্যক্তির অনেক কাজ-কারবারেই আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। নতুন কিছু না।গেলাম, কি আর করা! ঠেকা আমারই।
নিজের বাবা দেখে বলছি না, ভদ্রলোকের গল্প বলার ক্ষমতা অসামান্য। সম্ভবত গত ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ বছর ধরে প্রতিদিন অফিসের পর রাত ১০ টা-১১টা পর্যন্ত প্রেস ক্লাবে আড্ডাবাজীর ফসল।

ধৈর্য ধরে ৫ মিনিট বসে থাকা ছাড়া গতি নাই।
“একদিন দেখলাম নতুন কিছু লোক এসেছে। ইন্ডিয়ান আর্মির মাউন্টেন ডিভিশন। অবাক হয়ে দেখলাম, সব ব্যাটাই চাইনিজ টাইপ।পরে ঘটনা শুনলাম, এরা তিব্বতী। ভারতে দালাই লামার সাথে চলে আসা দলের লোক।স্পেশাল কমান্ডো ডিভিশন। জঙ্গল যুদ্ধে ইন্ডিয়ান আর্মির ভিতর নাকি এদের সমান কেউ নাই।পরে শুনেছি এরা সিআইএ’র ট্রেইন্ড কমান্ডো। পাকিস্তান বাঁচাতে আমেরিকা তো তখন চীনের চামচা। এদের তিব্বত পুনরুদ্ধারের আশায় ছাই দিয়ে চলে গেছে।”

“তিব্বতী! বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে! কোথাও তো জীবনে শুনি নাই।”
“কত কিছুই তো শুনো নাই। আমাদের জেনারেশন মরে গেলে আর শুনবাও না। যাই হোক।এদের আগমনে ক্যাম্পে বেশ উত্তেজনা তখন। এদের অংশগ্রহণটা নাকি ভলান্টারি।ইন্দিরা গান্ধীর বিশেষ অনুরোধে তারা এসেছে।অস্ত্র-শস্ত্র ও নতুন, অচেনা। খুব সুন্দর একটা ওয়েপন ক্যারি করতো ওরা, এ-কে ফর্টিসেভেন এর বুলগেরিয়ান একটা মডেল। আমার সামনেই এক মেজর একদিন বলে উঠলো, ‘কেয়া ভাই, ইতনি সাল ইন্ডিয়ান আর্মিমে হুঁ, এইসা ওয়েপন কাভি নেহি মিলা!’

এদের কমান্ডার ছিলেন জেনারেল এস এস উবান (ফ্যান্টমস অফ চিটাগং এর রচয়িতা) । স্যার আমাকে খুব পছন্দ করতেন। নাম ঠিক মত উচ্চারণ করতে পারতেন না, অন্যদের মত শামস্ বলতে পারতেন না, বলতেন ‘শামাস!’। যুদ্ধের পর স্যার দেশে এসেছিলেন ২-৩ বার। একবারো কেন যেন দেখা করার সময় করে উঠতে পারি নি।

সে যাই হোক। কি বলছিলাম? ও, হ্যাঁ, ক্যাম্প এদের আসায় বেশ গরম। এর মধ্যে ঠিক হয়েছে এই তিব্বতি সোলজাররা মুক্তিবাহিনীর অংশ হিসেবে গণ্য হবে, রেগুলার ইন্ডিয়ান আর্মির সাথে এদের কাজ নাই।প্ল্যানিং হচ্ছে, এরা পার্বত্য চট্টগ্রামের ভেতর ঢুকবে।প্রথম টার্গেট রাঙ্গামাটি থেকে চিটাগাং এর রাস্তা ব্লক করা।

আমি শুনেই লাফ দিয়ে উঠলাম। রাঙ্গামাটি আমার নিজের জায়গা। ম্যাট্রিক দিয়েছি রাঙ্গামাটি হাইস্কুল থেকে, সুধাসিন্ধু (সুধাসিন্ধু খিসা, পরবর্তী তে শান্তিবাহিনীর অন্যতম প্রধান কমান্ডার) আমার বেস্ট ফ্রেন্ড, ওই পাহাড়-জঙ্গল আমার চেয়ে ভালো ওইখানে কে চিনে?

এদের সাথে একজন বাঙ্গালী মুক্তিযোদ্ধা গাইড যাবে ওইটাও ঠিক হয়েছে। আমি সোজা মনি ভাইকে গিয়ে ধরলাম, আমি যাবই। উনি জানালেন মনীষ দেওয়ান (পরবর্তী তে বাংলাদেশ আর্মিতে কর্ণেল) নামে একজন ততক্ষণে নির্বাচিত হয়ে গেছে গাইড হিসেবে।মনি ভাই মনে হয় একটু মনঃক্ষুণ্ণও হলেন তাঁর কমান্ড ছেড়ে যেতে চাইছি দেখে। কিন্তু আমি ততক্ষণে ঠিক করে ফেলেছি, আমি যাবোই, যে কোনো ভাবে। শেষে আমার চাপে রাজি হতেই হলো কমান্ডকে। আমি আর মনীষ দুজনেই এদের সাথে যাবো ঠিক হলো।মনীষ ততদিনে এদের সাথে মনে হয় রেকি ও করে এসেছে এক-দুইবার”

“মনীষ দেওয়ান? চিনা চিনা লাগছে নামটা।”
“প্রত্যেক ১৬ই ডিসেম্বর ফোন করে, গভীর রাত্রে।ওই এক দিনই ”
“ইয়েস্, মনে পড়েছে। ওইদিন কেন? ফোন করে কি বলেন?”
“বলে, ‘দোস্ত, মনে আছে অপারেশনটা? তুমি আমি কই ছিলাম?”
“মানে? এই বলতে ফোন করেন উনি? মানে কি?”

“বলছি তো। শোন না। এই কাহিনীতেই আছে। তো যাই হোক, আমি তো দিলাম রওনা এই মাউন্টেন ব্যাটালিয়নের সাথে। আমি আর মনীষ আগে আগে গিয়ে রেকি করে আসি, দুই তিন দিন মুল গ্রুপের সাথে যোগাযোগ থাকে না। আমাদের রিপোর্টের পর ওদের মুভমেন্ট হয়। এর মধ্যে এদের সাথে বেশ খাতির হয়ে গেছে। আমার সাথে যা, মনীষের সাথে আরো বেশি। বেশ হাসি-খুশি লোক গুলো।ডেডলি একটা কমান্ডো বাহিনী মনেই হয় না। এর মধ্যে এক ব্যাটার সাথে আমার খুব বেশি খাতির হয়ে গেলো, তাও আবার কি, চা খাওয়া নিয়ে। বাঙ্গালীকে কেউ যদি চা খাওয়ায় হারাতে পারে, তাইলে এই তিব্বতির দল।

এদের মধ্যে এই ব্যাটা আরো এক কাঠি সরেস। সবাই যখন ঘুমায়, এ ঘুমায় না, মনে হয় রাতজাগা রোগ-টোগ ছিল। ব্যাটা বসে বসে চা খায়। তার মনে হয় চোখে পড়েছিল আমি ও চা পেলে দিন-দুনিয়া ভুলে যাই। সে করত কি, নিজে যখনি চা বানাত, আস্তে আস্তে আমাকে ডাকত, “হেই, শামস, হ্যাভ সাম টি।” ঘুমের দফা-রফা, কিন্তু আমি খুশি ই হতাম। চা বলে কথা! সারারাত কেটে যেত এরপর গল্প করতে করতে।

একটা প্রশ্ন অনেকদিন ধরেই আমার মাথায় ঘুরছিল, এরকম এক চা আড্ডার মাঝখানে ওকে একদিন জিজ্ঞেস করেই বসলাম, ‘আচ্ছা, তোমরা তো শুনেছি ভলান্টিয়ার করেছ এই যুদ্ধে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তোমাদের কি যায় আসে?’

কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে ও আস্তে আস্তে উত্তর দিলো, ‘কি জানো শামস্, আমার দেশটা তো চলেই গেছে। কখনো আর স্বাধীন করতে পারবো কিনা জানি না। যত দিন যাচ্ছে, সে আশা আরো ফিকে হয়ে যাচ্ছে। স্বাধীন তিব্বত না পাই, তোমার দেশটা যদি স্বাধীন করে দিতে পারি এই সুযোগে, আমার জন্য এই অনেক বড়। তোমাদের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে আর আমার দেশে যা হচ্ছে, খুব বেশি তফাত নেই।আমি না পাই, তুমি যেন স্বাধীন দেশ পাও, এইটুকুই আমার সুখ।’

আমি ওর দিকে চুপ করে তাকিয়ে ছিলাম।ওই রাত্রে আর গল্প বেশি দূর জমে নি, পরদিন ভোরে আবার বড় অপারেশন ছিল।

টার্গেট চ্যাংড়ামারি। রাঙ্গামাটি-চিটাগাং প্রধান সড়ক বন্ধ করতে হবে।ভোরের দিকে আমরা ফায়ারিং শুরু করি পাকিস্তানি আর্মির কলামের উপর।মুহূর্তের মধ্যে প্রচণ্ড গোলাগুলি শুরু হয়ে গেলো চার দিকে। সারাদিন ধরে এই চলল, কখনো থেমে থেমে, কখনো একটানা গুলি, বৃষ্টির মত চারদিকে পড়ছে। মাটি থেকে মাথাই তুলতে পারি না, টার্গেট করবো কি। থেমে থেমে আন্দাজে গুলি করে যাই। আমার পাশেই ছিল ও।

সারাদিন একই ভাবে কেটে গেলো, হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়ার অবস্থা। আস্তে আস্তে রাত নেমে আসার সাথে সাথে গুলির শব্দও একটু একটু করে কমে আসলো। সুবিধা করতে পারবে না বুঝতে পেরে পাকিস্তানি কলামটা সরে যায়।রাত আরো গভীর হওয়ার পর অবশেষে এসএলআরটা সরিয়ে রেখে উঠে বসলাম।ঠাণ্ডা আর মশার কামড় ছাপিয়ে জেগে উঠেছে চা’র পিপাসা। পাশ ফিরে ওকে ধাক্কা দিলাম একটা, ‘হাও এবাউট সাম টি?’

আস্তে করে ঢলে পরে গেলো ও।কপালে ঠিক মাঝখানে একটা বুলেট নিয়ে কতক্ষণ আমার পাশে নিস্তব্ধ হয়ে ছিল ও, আমি বুঝতেই পারি নি……’
আমার রগচটা, নো ননসেন্স বাবার গলাটা কেঁপে ওঠে হঠাৎ।
আমি চুপ হয়ে যাই।

একটু পরে প্রশ্ন করি আস্তে আস্তে, “আর মনীষ আঙ্কেলের ব্যাপারটা?”
“ওই টাও এর কয়েকদিন পরের কথা। আমি মনীষ দু’জনেই রেকি করতে গিয়েছি। প্রায় দুইদিন ক্যাম্পে ছিলাম না। ফিরে এসে দেখি ক্যাম্প ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে, আমরা যখন ছিলাম না পাকিস্তানি একটা রেজিমেন্ট ব্যাপক শেলিং করে আমাদের ক্যাম্পে।

বেশ কিছু তিব্বতি সোলজার হতাহত হয়, শেষ পর্যন্ত ক্যাম্প সরাতে পারে নি পাকিস্তানিরা। আমি আর মনীষ ফিরে দেখি আমরা যে তাবুটায় থাকতাম ওইটা একবারে শেষ, চিহ্ন ও নাই কোনো, একদম ডিরেক্ট নাকি মর্টার পড়েছিল। ক্যাম্পে থাকলে আর দেখতে হত না।এই কথা মনে করতেই মনীশ ফোন করে।”
হেসে গল্প শেষ করলো আব্বু।

“একটা কথা তো বললা না। ওই তিব্বতী ভদ্রলোকের নাম কি ছিল?”
কিছুক্ষণ চুপ থেকে আব্বু বলে উঠল, “মনে নেই রে বাবা। সে কি আজকের কথা! বয়স হয়ে গেছে, কিছুই আর মনে থাকে না।ওর সাথে পরিচয় ও সব মিলিয়ে সপ্তাহ খানেক…………”

----------------------------------------------------------------------------------

গল্প এখানেই শেষ, শুধু দু-একটা কথা বলে যেতে চাই। আমরা জাতি হিসেবে নিমকহারাম, এটা অনেক পুরানো কথা। মুজিবের দম্ভ , “বাঙ্গালী আমার কোনো ক্ষতি করতে পারে না………”, আমরা তাঁকে ভালো মত বাঙ্গালী চিনিয়ে দিয়েছি।

তবু অপরাধবোধে ভুগি যখন মুক্তিকামী তিব্বতীদের সাইটে গিয়ে দেখিঃ

“It would be appreciated

16 December 1971 was the day the Bangladesh War of Liberation ended, and the date has come to connote freedom for the people of Bangladesh. Few in Bangladesh, India or Pakistan, however, remember – or have ever known of – the role played by the SFF………”

এক লাইনে লজ্জিত ক্ষমা প্রার্থনা রেখে আসা ছাড়া আর কিছুই করতে পারি না।

এই নিঃস্বার্থ কিছু অচেনা যোদ্ধার কথা যেন একটু মনে রাখি। এদের নাম স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স। ৩০০০ তিব্বতী সৈন্য বালাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল, এদের মাঝে ৫৬ জন শহিদ হয়। এদের অপারেশন এতই গোপন ছিল, ইন্ডিয়ান কমান্ডের ও বেশির ভাগ জেনারেল এদের অস্তিত্ব নিয়ে কিছু জানতেন না। বালাদেশের যুদ্ধের বিনিময়ে এদের কোন খেতাব মেলেনি, মেলেনি কোন সন্মাননা। গুপ্ত কমান্ডো অপারেশনের সৈন্যদের ভাগ্য নাকি যুগে যুগেই এই।

দেশ স্বাধীন করার কঠিন কাজটাতো আমাদের পিতারা করেই গেছেন, এইরকম ছোটোখাটো কিছু কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ধরনের সহজ কাজের দায় মনে হয় আমরা নিতে পারি। বেশি কিছু না, ওদের কথা ভুলে না গেলেই হল।

সংসপ্তক


মন্তব্য

মূলত পাঠক এর ছবি

চমৎকার অসাধারণ বলে এমন লেখার প্রশংসা করার মানে হয় না, শুধু বলি, আপনার লেখনী সার্থক। কোনোভাবে যদি এই কৃতজ্ঞতাটুকু তাঁদের কাছে পৌছয় তো ভালো হয়, জানি না তার কোনো উপায় আছে কি না।

অমিত এর ছবি

শ্রদ্ধা

একই বিষয় নিয়ে আরেকটি লেখা অন্য একটি ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল।

মৃত্তিকা এর ছবি

সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা আর মুগ্ধতা শ্রদ্ধা
সুন্দর লেখাটির জন্য চলুক

হাসান মোরশেদ এর ছবি

শ্রদ্ধা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

বর্ষা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

মামুন হক এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সংসপ্তক। মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়লাম। শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি।

ওডিন [অতিথি] এর ছবি

সংসপ্তক, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এরকম তথ্যবহুল একটা লেখা দেয়ার জন্য।
আর অমিত ভাই কে লাল সালাম দারুন লিনকটার জন্য।

গত বছর ডিসেম্বরে আমি ধর্মশালায় ঘুরাঘুরি করছিলাম, একদিন একটা দোকানে আড্ডা দেওয়ার সময় আমি প্রথম এদের কথা শুনি। ষাটের দশকের প্রথম দিকে সি আই এ'র সহায়তায় এদের ট্রেনিং দেয়া হয়, চীনের দখলমুক্ত করার জন্য তিব্বতের ভিতরে গেরিলা ওয়ারফেয়ারের পরিকল্পনা ছিলো- পরে যথারীতি সিআইএ পল্টি দেয়-

তিব্বতে '৫৯ এর প্রথম বিদ্রোহে এরা অংশ নিয়েছিলো। আরও পরে ইন্ডিয়ান আর্মি স্পেশাল ফোর্স হিসাবে এদের ট্রেনিং দেয়া শুরু করে। তবে ইন্ডিয়ান আর্মি অফিশিয়ালি এদের অস্তিত্ব স্বীকার করে না। বাংলাদেশের সরকারের কথা আর না বলাই ভালো। আমরা আবার 'এক চিন' নীতিতে অটল বিশ্বাসী !

তবে গতবার ঢাকায় ফিরে ১৬ তারিখে লাল সবুজের সাথে তিব্বতের একটা পতাকাও উড়াইসিলাম! জানিনা দেশদ্রোহিতা হইসে কি না, তবে ভালোই লাগতেসিল!

------------------------------------------
right church, wrong pew!

নিবিড় এর ছবি

মুক্তিকামী যোদ্ধাদের জন্য রইল শ্রদ্ধা


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

বইখাতা এর ছবি

মুক্তিযুদ্ধে তিব্বতীদের ভূমিকার কথা জানতাম না। ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব ভালো লাগলো আপনার লেখা।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

শ্রদ্ধা

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

আহসান আকাশ  [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ সংসপ্তক, লেখাটির জন্য।

লেখাটি আপনার অনুমতি ছাড়াই ফেসবুকে শেয়ার করলাম। সবাইকে জানাতে চাই এদের কথা।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে! শ্রদ্ধা

----------------------------
ইহাসনে শুষ্যতু মে শরীরং
ত্বগস্থিমাংসং প্রলয়ঞ্চ যাতু।
অপ্রাপ্য বোধিং বহুকল্পদুর্লভাং
নৈবাসনাৎ কায়মেতৎ চলিষ্যতি।।

- ললিতবিস্তর

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

যূথচারী এর ছবি

দারুন


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

রাহিন এর ছবি

অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। এ লেখা থেকেই প্রথম জানলাম এ ব্যাপারে। লেখা হিসেবেও দারুন হয়েছে। ফেসবুকে শেয়ার করতে পারি?

সংসপ্তক [অতিথি] এর ছবি

অবশ্যই।

সাফি এর ছবি

এঁদের কথা জানা ছিলনা। শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি। মুক্তিযুদ্ধের এরকম অনেক ছোট ছোট গল্প আছে, যেগুলো সংরক্ষন করা খুবি জরুরী হয়ে পড়েছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।