কাইদান চার : কানহীন হইচি ( শেষ পর্ব )

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: বুধ, ৩০/০৭/২০০৮ - ২:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

small
১ম পর্ব
.................

হইচি যখন ফিরলো তখন সকাল হয়ে গেছে । বুড়ো সন্ত অনেক দেরী করে ফিরেছেন তাই তিনি কিছু বুঝলেন না । তিনি মনে করেছিলেন হইচি হয়ত ঘুমিয়ে আছে তার ঘরেই । রাত জাগবার ফলে হইচি ঘুমালো বেশ সকাল পর্যন্ত । কাউকে কিছুই বলল না তার সেই অদ্ভুত অভিযান সম্পর্কে । মধ্যরাতে আবার এলো সেই সামুরাই, নিয়ে গেল হইচিকে তার প্রভুর মহলে । হইচি আবারও শুনাল তার গান । কিন্তু এইবার ধরা পড়ে গিয়েছিল ও । রাতে যাবার সময় ওকে দেখে ফেলেছিল কোন মঠ ভৃত্য । সকালে যখন ও ফিরে এলো বুড়ো সন্ত ডেকে পাঠালেন ওকে, বললেন , “আমরা তোমার জন্য অনেক চিন্তা করছিলাম । তুমি অন্ধ, এত রাতে তোমার একলা ঘুরে বেড়ানো ঠিক না । তোমার উচিত ছিল কাউকে সাথে নিয়ে যাওয়া । কিন্তু তুমি এতো রাতে গিয়েছিলে কোথায় ?”

“আমাকে মাফ করবেন .. ব্যাপারটা ব্যাক্তিগত ! আর কাজটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল । তাই তখনই আমাকে বের হতে হয়েছিল !” বিরক্তিভরে বলল হইচি । হইচির কথায় পুরোহিত আহত হবার চেয়ে অবাকই হলেন বেশী, বুঝতে পারলেন হইচি কিছু লুকানোর চেষ্টা করছে । তিনি বললেন ,”আচ্ছা ঠিক আছে, তুমি ঘরে গিয়ে বিশ্রাম কর ।” তিনি সেদিন হইচিকে এ নিয়ে আর কিছু জিজ্ঞাসা করলেন না শুধু গোপনে তার কিছু ভৃত্যকে বলে দিলেন হইচির উপর চোখ রাখতে । সে রাতে বৃষ্টি হচ্ছিল বেশ । মাঝরাতে মঠের সব কাজ শেষ করে যখন ঘুমাতে যাচ্ছিল ভৃত্যরা, দেখতে পেল হইচিকে .. বিওয়াটাকে তার কিমোনোয় লুকিয়ে দ্রুত বেরিয়ে যাচ্ছিল ও । তাড়াতাড়ি দুইজন বেড়িয়ে এলো তাদের লন্ঠন জ্বালিয়ে । কিন্তু রাস্তায় নেমে ওরা হইচিকে পেলো না । এমনিতেই যে বৃষ্টি আর যে অন্ধকার, কিছুই দেখা যাচ্ছিল না ভালমতন । এই বৃষ্টিতে রাস্তাও এত বাজে হয়ে যায় যে ঠিকমত হাঁটাও যায় না । ওরা অবাক হল ভীষণ, এত তাড়াতাড়ি হইচি কোথায় গেল ? ও তো অন্ধ ! রাস্তার পাশে প্রতিটা বাড়িতে খোঁজ নিল ওরা, কিন্তু হইচিকে পেল না কোথাও । ভয় পেয়ে খানা-খন্দগুলোতেও খুঁজল, কোথাও নেই হইচি । তখন গভীর রাত, বৃষ্টি থামারও কোন নামগন্ধ নেই । ক্লান্ত বিরক্ত হয়ে ওরা মঠের দিকে পা বাড়াল । সাগরের তীর ঘেষে যখন ওরা এগুচ্ছিল হঠাৎ থেমে গেল দূর থেকে আসা বিওয়ার শব্দে । কেউ খুব উঁচুলয়ে বিওয়া বাজাচ্ছে, শব্দটা আসছে সাগরের পারে আমিদাইজির সমাধিস্থল থেকে । দ্রুত পা চালাল ওরা ওদের টিমটিমে লন্ঠন বাগিয়ে । যখন খানাখন্দ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে ওরা সমাধিস্থলে পৌঁছল দেখতে পেল হইচিকে, ঝমঝমে বর্ষায় একলা বসে আছে হেইকি শিশু রাজা আনতকু তেন্নোর স্মৃতিসৌধের সামনে । বিওয়াতে ঝড় তুলে উচ্চলয়ে গান গেয়ে যাচ্ছিল সে, সেই দান-নো-উরা যুদ্ধের শোকগাঁথা । আর তার সামনে, পিছনে, ডাইনে, বায়ে .. তার সবদিকেই, পুরো সমাধিস্থল জুড়েই সেই অদ্ভুত আলোগুলো, হেইকি প্রেতের আলো, জ্বলছিল মোমবাতির মত ! থরথর করে কাঁপতে লাগল ওরা, এতো ওনি-বি একসাথে কেউ দেখেছে কিনা সন্দেহ !
“হইচি ! হইচি !” বলে উঠল একজন, “আপনাকে বশ করেছে ওরা হইচি ! উঠে আসুন !”
কিন্তু হইচি শুনলো না, সে আরো দ্রুতলয়ে বাজাতে লাগল তার বিওয়া, গান গেয়ে চলল উন্মাদের মত ! এবার ওরা আরো কাছে এলো, ঝাঁকাতে লাগল হইচিকে, “হইচি ! প্রভু ! উঠে আসুন এক্ষুনি ! বাড়ী চলুন !”
“এইভাবে আমার গানের মাঝে বাঁধা দিলে তোমরা ? এত লোকের সামনে ? যাব না আমি !” রাগে কাঁপতে কাঁপতে বলল হইচি । কিন্তু তখন ওরা আর শুনলো না কিছুই । একরকম জোর করেই ওরা হইচিকে নিয়ে রওনা দিল মঠের দিকে । বুড়ো সন্ত তখন দাঁড়িয়েছিলেন মঠের দরজায় । মঠে এসে ওরা তাড়াতাড়ি হইচির ভেঁজা জামা পালটে ওকে নতুন জামা পড়তে দিল । যখন হইচি অনেকটা শান্ত, পুরোহিত প্রশ্ন করলেন ওকে, জানতে চাইলেন ওর এমন ব্যবহারের কারন । হইচি তখনও বলতে চাইছিল না । কিন্তু যখন বুঝতে পারল আর লুকিয়ে রাখতে পারবে না, আস্তে আস্তে বলে গেল সবকিছু, সেই সামুরাইয়ের সাথে কথা হওয়া থেকে । বুড়ো পুরোহিত গম্ভীর মুখে শুনছিলেন সব, হইচির বলা শেষ হলে বললেন, “ শুন হইচি ... তোমার সামনে মহাবিপদ । ওহ ! কেন এইসব আমাকে আগে বললে না ! কি সর্বনাশের ব্যাপার ! তোমার গান গাওয়াটাই তোমার কাল হয়েছে ! বন্ধু, তুমি এই রাতগুলোতে কোন বাড়িতে যাওনি ! প্রতিরাতে তুমি চলে গেছ হেইকিদের সেই সমাধিস্থলে, শিশু রাজা আনতকু তেন্নোর সৌধের কাছে, যেখান থেকে আজ নিয়ে আসা হয়েছে তোমায় । এতদিন তুমি যা ভেবেছ, শুনেছ সবই ছিল মায়া, হেঁয়ালী । তবে তারা তোমাকে ডেকে নিত সত্যি, তোমার এত সুন্দর গান, জাগিয়ে তুলেছিল তাদের। কিন্তু তুমি তাদের কথা শুনে আস্তে আস্তে নিজেকে তাদের অধীন করে ফেলেছিলে । তুমি যদি সামনে ওদের আরো কথা মেনে চলতে, তোমাকে আর যেতে দিত না ওরা, ছিড়ে ফেলত ওরা তোমাকে ! আমি দেখেছি, আমি জানি । আগে আর পরে, যেকোন ছুতায়, তোমাকে মরতেই হত ! .. এমন গায়ক ওরা কোথায় পাবে বল ? কিন্তু ওরা আবার আসবে, আজ রাতেই আসবে । তুমি ভয় পেয়ো না হইচি, আমি দেখছি ।” কিন্তু হইচি ভয় পেয়ে গিয়েছিল, বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়েছিল ও পুরোহিতের মুখের দিকে । পুরোহিত একটু থেমে আবার বললেন, “আজ রাতেও আমাকে যেতে হবে একটা কাজে, কিন্তু তুমি ভয় পেয়ো না । আমি তোমাকে বেঁধে দিয়ে যাব । আজ রাতের আগেই তোমার সারা শরীরে লিখতে হবে পবিত্র সব মন্ত্র । ”

সূর্যাস্তের আগেই বুড়ো সন্ত আর তার শিষ্যরা মিলে তৈরী করে ফেলল হইচিকে । তারা তাদের তুলি দিয়ে মন্ত্রপূতঃ করল হইচিকে, হইচির মুখে, বুকে, পিঠে, গলায়, পায়ের চেটো সবখানেই লিখল তারা হান্ন্যা-শিন-কিও’র পবিত্র মন্ত্র । সবকিছু শেষ হলে বুড়ো হইচিকে বলল,
“ আজ রাতে, আমি চলে গেলে তুমি গিয়ে বারান্দায় বসবে আর অপেক্ষা করতে থাকবে সেই সামুরাইয়ের জন্য । তোমাকে ডাকবে ও । কিন্তু যা খুশি তা হয়ে যাক তুমি উত্তর দেবে না, একটুও নড়বে না ! কিচ্ছু বলবে না, চুপ করে পাথরের মত বসে থাকবে যেন ধ্যান করছ এইরকম । যদি একটুও নড়ো বা শব্দ কর ছিড়ে ফেলবে সে তোমাকে সাথে সাথে ! ভয় পেও না আর ভয় পেয়ে সাহায্যের জন্য ভুলেও চিৎকার করো না । বিশ্বাস করো এই মন্ত্রগুলো ছাড়া কেউ তোমাকে বাঁচাতে পারবে না । যা বললাম তা যদি মেনে চল, দেখবে বিপদ কেটে গেছে, আর ভবিষ্যতেও এ নিয়ে আর ভয় পেতে হবে না তোমাকে । ”

রাতে যখন বুড়ো সন্ত তার শিষ্যদের নিয়ে চলে গেল, হইচি এসে বারান্দায় বসল, যেভাবে বলা হয়েছিল তাকে । সে বিওয়াটাকে পাশেই রাখল আর ধ্যান করার মত যোগাসনে বসে চুপ করে রইল । বৃষ্টিতে ভিঁজে তার কাশি হয়েছিল, সে কাশি চেপে রেখে যতটা নিঃশব্দে সম্ভব শ্বাস-প্রশ্বাস চালাতে লাগল । এভাবেই সে বসে রইল কয়েক ঘন্টা ।
ঠিক তখন রাস্তার পাশে, সে শুনতে পেল পরিচিত সেই পদশব্দ । ঝমঝম করে এগিয়ে আসছে এদিকেই ! শ্বাস দ্রুত হল হইচির, মনে মনে প্রার্থনা করে শান্ত থাকার চেষ্টা করতে লাগল ও । পায়ের শব্দ তখন খুব কাছে । একটু পরেই বাগান পেরুলো সেটা আর বারান্দা দিয়ে চলে এলো একদম হইচির সামনে !
“ হইচি !” গমগম করে উঠল সেই কন্ঠ, সেই সামুরাই ! কিন্তু অন্ধ হইচি শ্বাস আটকে বসে থাকল অনড়, অটল ।
“ হইচি !” ভয়ালস্বরে ডেকে উঠল ওটা আবার ! আর একটু পরেই তৃতীয়বার, দানবের মত, ..
“ হইচি !! ”
কিন্তু হইচি একদম চুপ, বসে রইল পাথরের মত । ওটা বলে উঠল,
“ কোন উত্তর নেই ! কিন্তু তা কেন হবে ? কাউকে তো দেখতেও পাচ্ছি না .., নাহ ! এভাবে তো হবে না, কোথায় ও... খুঁজে বের করতেই হবে ।” হইচি শুনতে পেল ঝমঝমে শব্দে ওটা ঘুরে বেড়াচ্ছে বারান্দায়, থেমে গেল ঠিক তার পাশে । ধুকধুকে বুক নিয়ে হইচি বুঁঝতে পারল সে তার হৃদস্পন্দনের সাথেই কাঁপছে । এভাবে বেশ কিছুক্ষন থাকার পর, বলে উঠল আবার সেই গমগমে স্বর, হইচির একদম কাছে,
“এইতো তার বিওয়া ! কিন্তু .. বিওয়াবাদক কোথায় ? ... ও কি ! শুধু দুটি কান ? ও এতক্ষনে বুঝলাম সে কেন উত্তর দেয় নি ! কারন ওর তো উত্তর এবার জন্য মুখই নেই । ওর তো দেখি এই কানদুটো ছাড়া কিছুই বাকী নেই । তো এখন আমি এই কানদুটোই নিয়ে যাব আমার প্রভুর কাছে, প্রভুর আদেশ এভাবেই পালন করতে হবে আমাকে যতটুকু সম্ভব ।”
সাথে সাথে হইচি বুঝল লোহার কিছু আঙ্গুল শক্ত করে তার দুটো কান ধরল আর ছিড়ে ফেলল একটানে ! ভয়াবহ ব্যাথায় কুঁকড়ে গেল ও, অনেক কষ্টে বেরিয়ে আসা চিৎকারটা ঠেকাল ও ! যখন আবার ঝমঝম করে চলে যাচ্ছিল ওটা বারান্দা ধরে, বাগান পেরিয়ে , মাথার দুপাশ থেকে গলগল করে গরম রক্ত বেরিয়ে এলো ওর ।

সূর্য ওঠার আগেই ফিরে আসলেন পুরোহিত । মঠে ঢুকেই তাড়াতাড়ি তিনি ছুটলেন বারান্দার দিকে । পা দেবেন, দিয়েই পিছলে গেলেন থিকথিকে কিছুতে । লন্ঠনের আলোয় দেখে চিৎকার করে উঠলেন তিনি, “ এতো রক্ত !” উঠে ছুটে গেলেন হইচির কাছে, ও তখনো বসে ছিল ওভাবেই, কানের দুপাশ থেকে তখনো গড়িয়ে পড়ছিল রক্ত ।
“ ওহ হইচি ! ” চিৎকার করে উঠলেন তিনি, “এ কিভাবে হল ? কথা বল !”
পুরোহিতের কন্ঠ শুনে হইচি সাহস ফিরে পেল । রক্তক্ষরণে, ব্যাথায় ও তখন ক্লান্ত । ফুঁপিয়ে উঠল ও, কেঁদে কেঁদেই বলে গেল রাতে ঘটে যাওয়া সবকিছু ।
“ ওহ ঈশ্বর ! সব আমার ভুল ! কি ভুল, কি ভুল ! ওহ ! আমাকে ক্ষমা কর হইচি ! তোমার দেহের সবখানেই পবিত্র মন্ত্র লেখা হয়েছিল, শুধু ..শুধু কানদুটো বাদে ! .. আমি মনে করেছিলাম আমার শিষ্যরা তা করবে, কিন্তু .. কি ভুল ! আমি নিজে একবার গিয়ে দেখলাম না .. ওহ !” বলে থামলেন তিনি । ততক্ষনে ছুটে এসেছে মঠের সবাই । তিনি সবাইকে বললেন শীঘ্রই বৈদ্যকে ডেকে নিয়ে আসতে । হইচি তখন অনেকটা শান্ত । তিনি বললেন, “ আমাকে ক্ষমা কর হইচি, আমার ভুলের কারনেই এটা হল । কিন্তু যা হবার তাতো হয়ে গেছে, আমরা এখন বড়জোর তোমার ক্ষত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা সারানোর চেষ্টা করতে পারি .. দুঃখ করো না , খালি ভেবে দেখ তোমার এ থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে যেতে পারত .. যা আর হবে না কোনদিন । প্রাণে বেঁচে গেছ তুমি । আর কোনদিন তোমাকে জ্বালাতে আসবে না এইসব অদ্ভুত আগুন্তুক । ”

বৈদ্যের সুচিকিৎসায় হইচির ক্ষত খুব তাড়াতাড়িই শুকিয়ে যায় । আর তার এই অদ্ভুত ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে সব জায়গায়, রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যায় সে । নানা জায়গা থেকে ধনী সম্ভ্রান্ত লোকেরা এসে ভীড় করে আকামাগাসেকিতে, তার গান শোনার জন্য । তারা তাকে উপহার হিসেবে দিত প্রচুর অর্থ । এভাবেই আস্তে আস্তে একদিন ধনী হয়ে যায় হইচি । আর সেই অদ্ভুত ঘটনার পর থেকে সবাই তাকে চেনে শুধু একটি নামেই, .. ‘মিমি-নাশি-হইচি’ .. কানহীন হইচি ।

Lafcadio Hearn এর The Story of Mimi-Nashi-Hoichi কাইদান অবলম্বনে


মন্তব্য

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

"মিমি-নাশি-হইচি"...

ভালো লাগলো।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

খেকশিয়াল এর ছবি

জেনে আমারও ভাল লাগল ।

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

মনজুরাউল এর ছবি

শব্দের ওপর এত ভাল দখল থাকার পর 'অবলম্বনে' না হয়ে যদি অভাগা এদেশের মানুষদের সুখ-দু:খের কথা হয় ,তাহলে আমরা আরো সমৃদ্ধ হতাম ।

চমত্কার অনুবাদের জন্য ধন্যবাদ।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

খেকশিয়াল এর ছবি

আমার দেশের মানুষের সুখ দুঃখের কথা বলারও চেষ্টা করি ভাই, অন্তত নাগরিক কষ্টগুলো নিয়ে বলি, এ নিয়ে আমার বোকা বোকা কিছু কবিতাও আছে । এই কয়াইদান শুরু করেছিলাম বেশ আগে, এখন কিছুই লেখা হয়ে ওঠে না । তাও চেষ্টা করি । ভাল থাকবেন, ধন্যবাদ আপনাকে ।

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

কীর্তিনাশা এর ছবি

বরাবরের মতো দুর্দান্ত।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

খেকশিয়াল এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

কানহীন হইচির আগের পর্ব নিয়ে কমেন্ট করতে পারি নি। এবারে করলাম। ভাইজান, আপনার গদ্য যে কত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে তা কি খেয়াল করেছেন। প্রথমগুলোতে একটু অনভ্যস্ততার ছাপ ছিল। কিন্তু এখন? তুখোড়! কয়াইদান নিয়ে শক্তভাবেই বইয়ের চিন্তা করুন। লীলেন ভাইকে ধরার প্ল্যান করেছেন, সেটা ভালো প্ল্যান, লেগে থাকুন। আর কয়াইদানের রহস্যময়তা আমাকে ঘিরে রাখে। আজকেও সচলায়তনে ঢুকেই প্রথম গেলাম আপনার লেখায়। দারুণ লিখেছেন। আপনার ভক্ত হয়ে উঠছি রীতিমতো। সময় করে লিখুন। লেখার শক্তি সবার থাকে না।
ভৌতিক লেখার বিশেষ ভূমিকা আছে বাংলা ভাষায়। খুব খুশি হব তিন-চার বছরের মধ্যে আলাদা ঘরানার অনুবাদক এবং লেখক কৌশিক দে-কে আবিষ্কার করতে পারলে।
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

খেকশিয়াল এর ছবি

মৃদুলদা, প্রথমেই নমস্কার নেন । এই কয়াইদানের লেখার পিছনে আপনার যে গুতাগুতি তা কেউ না জানলেও আমি তো জানি, তাই এইগুলির পিছনে আপনার অবদান কিন্তু কম না, আমারে একটু না গুতালে আমি কাজ করি না, কথাটা কিন্তু সত্য । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । দেখি বইয়ের চিন্তা করতেসি, আপনাদের উৎসাহতেই এগিয়ে যাচ্ছি ।
আর হুর মিয়া লজ্জা দেন ক্যা ? দেঁতো হাসি

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

দুর্দান্ত !
১ম পর্ব পড়ে বুঝতে পারছিলাম না ঠিক কি ঘটছে।
ভালো লাগলো খুব, পন্ডিতজী !

..........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সবজান্তা এর ছবি

গুরু, আমার অনুরোধটা রাখেন। জি এইচ হাবীব ছদ্মনামে লিখেন চোখ টিপি


অলমিতি বিস্তারেণ

শেখ জলিল এর ছবি

দুটো পর্বই পড়লাম। অসাধারণ।
যেমন সরস গল্প তেমন সুন্দর অনুবাদ।
ধন্যবাদ।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

খেকশিয়াল এর ছবি

শিমুলজী আপনার ভাল লাগল জেনে আমারও ভাল লাগল

কমরেড দূর হ! আর lord of the rings কিনসস সব ?

জলিলদা নমস্কার, অনেক ধন্যবাদ ।

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সবজান্তা এর ছবি

নাহ ! কালকে কিনুম, আর ভালো কথা আপনার মেমোরিস অফ মাই মেলানকোলিক হোরস টা পড়া হইলে, আমারে এট্টু দিয়েন।


অলমিতি বিস্তারেণ

খেকশিয়াল এর ছবি

ওকিডোকি

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।