ভেনি-ভিডি-ভাগি

ভুতুম এর ছবি
লিখেছেন ভুতুম [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০২/০৬/২০০৯ - ৮:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পড়েছো মোগলের হাতে, খানা খেতে হবে সাথে। মোগলের হাতে পড়লে অসুবিধা কী, বেশ মোগলাই খানা সেঁটে দেয়া যাবে। অসুবিধা হলো আনাম সাহেবের হাতে পড়লে। বেচারার ঘরে দুই মেয়ে - দুটোই গানে দ্রৌপদী আর রান্নায় কিন্নরি। তাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য টিভিতে বসে হাবিজাবি রান্নার অনুষ্ঠান দেখে সেইসব গ্যাস্ট্রোনোমিক গন্ডগোল পাকানো। আনাম সাহেবের তো আর কিছু করার নাই, ঘরের রান্না অমৃত জ্ঞান করে গিলে যান তিনি।

কিন্তু মাঝে মাঝে তিনি ক্ষেপে ওঠেন, দুপুর হলেই পাড়ার রাস্তায় হন্নে হয়ে ঘুরে বেড়ান কোন অচেতন বান্দাকে পান কি না, পেলে বন্দী করে নিয়ে চলেন বাসায়, আর সামনে বসে থেকে গেলান নানাবিধ শিল্পকর্ম। এই ভয়ে আমাদের গলিতে ভরদুপুর আর রাতদুপুরে কোন পার্থক্য পাওয়া যায় না। যোহরের আযান দিয়েছে কি পিলপিল করে সবাই বিভিন্ন দিকে ছোটে - রকের আড্ডা থেকে শুরু করে তরকারিওয়ালার ঠেলা - সবই নিমিষের মধ্যে গলি থেকে গলাগলি করে বেরিয়ে যায়; আর আনাম সাহেব এই ফাঁকা রাস্তায় বেরিয়ে বিড়বিড় করে গালাগালি করতে থাকেন, কাকে কে জানে - নিজের অদৃষ্টকে, না পড়শীদের অদৃশ্য হবার এহেন অপড়শীসুলভ আচরণকে। তবুও মাঝে মাঝে কাউকে না কাউকে ঠিকই পেয়ে যান, আর খাওয়া শেষ হলে সে বেচারার হাতে দু'প্যাকেট স্যালাইন আর রিকশাভাড়াটা গুঁজে দিয়ে বিদায় দেন। সেদিন আর আনাম সাহেবকে পায় কে, আশীবিষে অন্যদেরও দংশাতে পেরে আনন্দে তিনি মেয়েদেরকে নিয়ে ওয়ান্ডারল্যান্ড কি শিশুপার্কে চলে যান।

আবার মাঝে মাঝে দীর্ঘদিন কাউকে পাকড়াও করতে না পারলে উন্মাদসম লাল চোখ করে অন্য গলিতে পাড়ি জমান, কিন্তু এতদিনে আমাদের আশেপাশের গলিতেও খবর হয়ে গেছে, আনাম সাহেবের দাড়ির ডগাটুকু দেখলেই সবাই পাড়ি জমায় নিরুদ্দেশে, নিমিষে দোকানপাটের ঝাঁপ পড়ে যায়। যারা ধরা পড়ে তারা দাবী করতে থাকে তারা রোজাদার, এবং ইফতারির আগেই নিলফামারী বা গফরগাঁও চলে যাচ্ছে চল্লিশ দিনের চিল্লায়, এখন হাজার চিল্লাইলেও তাদের খাওয়ানো সম্ভব না। তখন মেয়েদের ফরমাইশ দিয়ে নানাবিধ রন্ধনকর্ম করান আনাম সাহেব, এরপর বেনামীতে সেসব ফেডেক্স করে পাঠিয়ে দেন কোন আত্মীয়-বন্ধুর বাসায়। দিন দুয়েক পর গিয়ে দেখে আসেন তাদের হাল-হকিকত। অবশ্য বেশিরভাগ সময়ই গিয়ে দরজায় তালা দেখেন তিনি, খোঁজ নিলে জানা যায় রহস্যময় পেটপীড়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে, দুই-চারজন হাসটুকু বাদ দিয়ে সরাসরি পাতালেও নেমে যাবার উপক্রম করছে। এমনকি পত্রিকায়ও কয়েকবার এসেছে এ রহস্যময় আক্রমণের খবর। আনাম সাহেব এক জিঘাংসায় নিমগ্ন হয়ে এসব খবর পড়ে দাড়ি চুমরান আর হাসেন।

এহেন আনাম সাহেবের হাতে একবার আমি পড়েছিলাম। তখন আমরা পাড়ায় নতুন এসেছি। গরমের ছুটি কলেজে, তাই বাসায় বসে গল্পের বই পড়ি, আর পড়ে পড়ে ঘুমাই, আর বিকেল হলে গড়গড়িয়ে চলে যাই ফুটবল মাঠে। দুপুর বেলা বের হবার কোন দরকার হয় নাই এর আগে, কিন্তু কী হলো সেই কালান্তক দিনে, আম্মা এসে বললো মোড়ের দোকান থেকে মুড়ি নিয়ে আসতে। আমিও গায়ে জামা আর পা-জামা পরে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়লাম। রাস্তাঘাট বেশ ফাঁকা ফাঁকা লাগছিলো। দোকানে গিয়ে দেখি দোকানী দোকান বন্ধ করার তোড়জোড় করছে, আমি মুড়ি কিনতে না কিনতেই দোকান বন্ধ করে হাওয়া। আবহাওয়াও ছিলো বেশ গরম, আমি তাই ওসবে মনোযোগ না দিয়ে ঘরের দিকে পা চালালাম। গলির মাঝমাঝি আসতেই একটা বেশ মোলায়েম গলায় ডাক শুনলাম - অ্যাই ছেলে। তাকিয়ে দেখি একটা সোম্যকান্তি বৃদ্ধ - পরে জেনেছি বয়স অত না, রোজ মেয়েদের রান্না খেতে খেতে বুড়োটে মেরে গেছে - হাত তুলে ডাকছে। কাছাকাছি যেতে জিজ্ঞেস করলেন, কিহে নতুন বুঝি? আমি বললাম, জ্বি আংকেল, ঐ বারোর এ তে। সেই বুড়ো বললো, অ, এবারো বারোর এ টিকতে পারলো না, হেহহে। তো শোনো বাবা, নতুন এসেছো, কী নাম তোমার? আমি মিনমিনিয়ে নাম জানাতে তিনি বললেন, চলো বাবা আজ দুপুরে আমার বাসায় খাবে, নতুন কেউ আসলে আমার বাসায় একবার তো খেতেই হবে। তখন যেটা বুঝিনি যে একবার খেলে ওবাসায় দ্বিতীয়বার কেউ যাবে না, আমরন অনশন করে মরে যেতে হলেও। আমি তো তখন খুশী, বাসায় মুড়িটা দিয়েই ছুটলাম আনাম সাহেবের সাথে। হায় তখন কী জানতাম মুড়ি খাওয়াই ভালো।

আনাম সাহেব দাঁড়িয়ে ছিলেন বাসার নিচেই, আমাকে দেখে একগাল হেসে নিয়ে চললেন বাসার দিকে। বাসায় ঢুকে দেখি আলীশান কারবার, বিশাল মার্বেল ডাইনিং-টেবিল, আবলুশ কাঠের চেয়ার ইত্যাদি। উনি ঘরে ঢুকেই হাঁকডাক শুরু করলেন, কইরে মা রা, খাবার দে টেবিলে, সাথে মেহমান। মায়েরা দেখলাম অন্দরমহম থেকে বেরিয়ে এলেন সুড়সুড়িয়ে। চামে আমিও একটু ফুচকি মেরে নিলাম - ছোট মেয়েটার চেহারাটা বেশ মনে ধরে গেলো, মনে মনে লিস্টি করে রাখলাম ফোন নম্বর কি ছাদে ঘোরাঘুরির অভ্যাস আছে কিনা এসব তথ্য সংগ্রহের কথা। তাদের কোমলমতি চেহারা দেখে একটুও কি বুঝেছি যে এই মা'রাই আমাকে মারার ষড়যন্ত্র করছে!

একে একে টেবিলে বিভিন্ন রকম পদ এসে জমা হতে লাগলো। সাথে সাথে আনাম সাহেবের কমেন্টারি - এইটা হলো হাংগেরিয়ান গুলাশ, ঐটা রুলে দে ক্যাটপু, ঐটা রাশান স্যালাড, তারপর ঐ লাললাল যেটা দেখতেছো ঐটার নাম ম্যাশড পটাটো উইথ হ্যামার, ঐটা লে হালুয়া দ্য ক্যারট - এইভাবে হাবিজাবি বিশ-পঁচিশটা বাটি এসে টেবিল ভরে গেলো। আমার তো মুখে জল, পেটও ক্ষিদায় টইটম্বুর। আর মধ্যে মধ্যে ছোট মেয়ের চোখে চোখ পড়েছে দুই-চারবার, মনটাও উড়ু উড়ু লাগছে অল্প অল্প।

দেরি না করে খেতে বসে গেলাম। আনাম সাহেব আদর করে বিশাল এক থালায় ভর্তি করে তুলে দিলেন সব, কোনটার কি নাম ততক্ষণে ভুলে গেছি। চেহারা চেনা চেনা লাগছিলো একটার, মুখে দিলাম। সাথে সাথে বুঝে গেলাম এটা কি চীজ - স্বাদটা পুরাই গুয়ের মতো, আর খেলে লাশ হওয়া ছাড়া গত্যান্তর নাই - নির্ঘাত এটা গুলাশ। ভাবলাম আহা একটা দুইটা পদ খারাপ হতেই পারে। ওটা কোনমতে এককোঁতে গিলে পরের আইটেমের দিকে হাত বাড়ালাম, এটার নাম পেকিং ডাক না কি জানি বলেছিলো। মুখে দিয়ে বুঝলাম এই ডাক পেকিং থেকেই আসছে, এবং পুরা রাস্তা আসছে হেঁটে হেঁটে, রানের মাসল মাশাল্লা যেই শক্ত, কোন মসল্লার সাধ্য নাই একে নরম করে। এটাও ডাইরেক্ট গিলে ফেললাম, পেটে গিয়ে নামলো স্পষ্ট টের পাইলাম, এক খন্ড প্রস্তরযুগের প্রস্তরও এর চেয়ে হালকা আর নরম হবে। আনাম সাহেব দেখলাম নির্বিকার চিবায়ে যাচ্ছেন, আমার দিকে তাকিয়ে একটা এনকারেজমেন্টের হাসি দিলেন। মনে মনে তখন আমি বুড়োর চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করছি। প্লেটের বাকি পদগুলার দিকে তাকিয়ে প্রমাদ গুনলাম, এতোগুলা বিপদ গলাধঃকরণ আমার দ্বারা সম্ভব না, কিছুতেই না। কিন্তু কি করি!

আনাম সাহেব দাড়ির ফাঁখ দিয়ে মুচকি হেসে বললেন, কি বাবা, মজা হইছে না? আরেট্টু দি তোমারে। আমি বলি, জ্বি আংকেল, খুবই মজা। জীবনেও এমন খাবার খাই নাই। কথা সত্য, আসলেই খাই না, খাওয়া সম্ভব না। খাইলে বাঁচতাম না। একে একে অন্য বাটিগুলার দিকে মনোযোগ দিয়ে তাকাইলাম, একটা বাটিতে চিংড়ি বা উচ্চিংড়ে কিছু একটা এখনো নড়াচড়ার চেষ্টা করছে মনে হলো। আরেকটা বাটিতে ম্যাড়মেড়ে সবুজ রঙ্গের তরলের মধ্যে কিছু পটল ভাসছে। একটু শুঁকে দেখলাম, মনে হলো এই পটল খাবার চাইতে পটল তোলা মাচ প্রেফারেবল। আমি ভাবলাম, য পলায়তি স জীবতি। আমার সজীব না হইতে পারি, কিন্তু জীবিত থাকতে হলে পলায়নই একমাত্র পন্থা।

আমি এদিক-ওদিক তাকিয়ে পালানোর উপায় খুঁজতে থাকলাম। জিজ্ঞেস করলাম, আংকেল টয়লেটটা কোনদিক? মনে আশা যদি টয়লেটে যাবার নাম করে আস্তে করে কেটে পড়া যায়। আমার মতলব বুঝতে পেরেই কিনা কে জানে, আনাম সাহেব বললেন, চলো বাবা আমি সাথে করে নিয়ে যাচ্ছি। আমিও বিনয়ের অবতার সেজে যাই, না না আংকেল ছিঃ আপনি কেন কষ্ট করবেন, আমাকে বলুন কোনদিকে আমি ঠিক যেতে পারবো। আংকেলও ছাড়বেন না কিছুতেই, অগত্যা বেহুদা উনাকে বগলদাবা করে বাথরুম চলে গেলাম। উনাকে দরজার বাইরে রেখে ভিতরে গিয়ে কমোডের উপর বসে এপিফানির অপেক্ষা করতে থাকলাম, যদি কিছু আসে দৈববানী তবেই পালানো সম্ভব। এদিকে বাইরে থেকে আনাম সাহেব সমানে হাঁকছেন, হইলো বাবা? আমি আছি বাইরেই।

কোন বুদ্ধি ছাড়াই বের হতে হলো। টেবিলের সামনে গিয়ে বসলাম আবার। এমন সময় হঠাৎই মাথায় আইডিয়া খেলে গেলো। নিজের আইডিয়ায় নিজেই চমৎকৃত হয়ে উঠলাম আর আর্কিমিডিসও কেন নেংটু হয়ে ঘুরেছিলো বেশ বুঝে গেলাম। আংকেলকে বললাম, আংকেল আপনার ঘরে ফোন আছে? এতগুলো মজার খাবার বেঁচে যাচ্ছে, আমার আব্বু আর মামাকে ডাকি? আনাম সাহেবের মুখ দেখলাম পাঁচশো ওয়াটের বাল্বের মতো জ্বলে উঠলো, হ্যাঁ হ্যাঁ বাবা ডাকো ডাকো। তা কি করেন তোমার বাবা? আমি নিপাট ভালোমানুষের মতো মুখ করে বললাম, জ্বি উনি ইনকাম ট্যাক্স অফিসার। আনাম সাহেব দেখলাম একটু বিষম খেয়ে উঠলেন, আর তোমার মামা? জ্বি উনি ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে ঢুকেছেন কিছু দিন আগে। আনাম সাহেবের কপালে দেখলাম কুলকুল ঘাম জমে যাচ্ছে। আমি তাড়া দিয়ে উঠি, হ্যাঁ আংকেল আমাকে একটু টেলিফোনটার কাছে নিয়ে চলুন না। উনি ঘামতে ঘামতেই বলেন, অ্যাঁ মানে ফোনটা না দুইদিন ধরে নষ্ট, মনেই ছিলো না। আমিও এত সহজে ছাড়বো না, আচ্ছা কিছু হবে না আমি ডেকে নিয়ে আসি। আনাম সাহেব বলেন, হেঃ হেঃ আজকে আর কেন, আরেকদিন ঘটা করে দাওয়াত দেয়া যাবে খন, আমি নিজে গিয়ে দাওয়াত দিয়ে আসবো, তুমি খেয়ে নাও বাবা খেয়ে নাও। আমি বললাম না আংকেল আমি এই যাচ্ছি আর আসছি। এই বলে আর কোন অনুমতির তোয়াক্কা না করে দরজা দিয়ে ছিটকে বেরিয়ে আসলাম, ভাবলাম, যাঃ ভাগতে পেরেছি!

পরিশিষ্ট

ঐদিন বিকেলে আনাম সাহেবের বাসার সামনে দিয়ে যেতে যেতে দেখি বিশাল একটা তালা ঝুলছে সদর দরজায়, প্রায় সপ্তা দুয়েক জুড়ে ঐ তালা দেখে পাড়ার লোকেরা হাড় জুড়িয়েছিলো। এরপর আনাম সাহেব ফেরত এলেও আমাকে দেখলে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে রাস্তা পার হয়ে যান এখনো।


মন্তব্য

দময়ন্তী এর ছবি

দেঁতো হাসি
এইটা পড়ে টেনিদার একটা গল্প মনে পড়ে গেল৷
-------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

ভুতুম এর ছবি

হ্যাঁ, আপনি বলার পর আমারও মনে পড়লো। যতদূর মনে পড়ছে সেখানে এক ভদ্রলোক ছিলেন যিনি খেতে ডেকে খাবি খাওয়াতেন জোকস বলে, তাই না?

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

মূলত পাঠক এর ছবি

মজার!

ভুতুম এর ছবি

ধন্যবাদ! হাসি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আরে, শাব্বাস!!! চলুক

ভুতুম এর ছবি

হেহে। ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

শামীম রুনা এর ছবি

বাহ্! মজার!

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

ভুতুম এর ছবি

ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম। হাসি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

সাইফ এর ছবি

ভুতুমদা, লিখলেন কি এইডা, হাসতে হাসতে চোখে পানি আইসা পড়ছে, সবাইরে পড়ানোর মহান দায়িত্ব নিলাম, নমস্য নমস্য।


খোঁজ নিলে জানা যায় রহস্যময় পেটপীড়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে, দুই-চারজন হাসটুকু বাদ দিয়ে সরাসরি পাতালেও নেমে যাবার উপক্রম করছে

মুখে দিয়ে বুঝলাম এই ডাক পেকিং থেকেই আসছে, এবং পুরা রাস্তা আসছে হেঁটে হেঁটে, রানের মাসল মাশাল্লা যেই শক্ত, কোন মসল্লার সাধ্য নাই একে নরম করে।


চামে আমিও একটু ফুচকি মেরে নিলাম - ছোট মেয়েটার চেহারাটা বেশ মনে ধরে গেলো, মনে মনে লিস্টি করে রাখলাম ফোন নম্বর কি ছাদে ঘোরাঘুরির অভ্যাস আছে কিনা এসব তথ্য সংগ্রহের কথা। তাদের কোমলমতি চেহারা দেখে একটুও কি বুঝেছি যে এই মা'রাই আমাকে মারার ষড়যন্ত্র করছে!

আইডিয়া পান কই এমন, চরম চরম। একটু পর পর ফিচিক ফিচিক হাসি বের হয়ে যাচ্ছে, হা হা হা।

ভুতুম এর ছবি

প্রথম কথা, আমি দা-বটি-খুন্তি কোনটাই না, নেহায়েতই ভুতুম। হাসি

অনেক ভালু লাগলো আপনার পছন্দ হয়েছে জেনে। লেখার ইচ্ছেটা বাড়ে এরকম মন্তব্য পেলে।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

সাইফ এর ছবি

এজন্যই তো আমরা পাঠকরা আছি না? এরকম জমপেশ লেখা দিবেন, আমরাও প্রশংসা করতে থাকব, আপনার পরবর্তী লেখার জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করব।

স্নিগ্ধা এর ছবি

মজার গল্প, মজার ভঙ্গি!!

ভুতুম এর ছবি

ধন্যবাদ স্নিগ্ধাপু!

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

সিরাত এর ছবি

কি দারুন ওয়ার্ড প্লে-ই না করছো। তোমার পাশে বইসাই তো পড়লাম, হুশ-হাশ শব্দ তো পাইলাই। চোখ টিপি তোমার গদ্যের হাত দারুন, দারুন। তাও আবার লিখছো অফিসে বইসা বইসা (ও আমার পাশে বইসাই লিখে), বিশাল এক feat-ই কমু!

এন্ডিংটা আরেকটু ভাল হইল ভাল হইতো। তারপরও হাসাইতে পারায় সাড়ে চার মানে পাঁচ!

ভুতুম এর ছবি

ধন্যবাদ সিরাত ভাই। বিরাট প্রশংসা দিয়া ফালাইলেন। হাসি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

ফকির লালন এর ছবি

ভালো লাগলো - সুরেলা।

ভুতুম এর ছবি

ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

লীন এর ছবি

আরে বাহ, অনেক ভালো লিখেছেন। আরও লেখা আশা করছি।

______________________________________
কি জানি কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায়

______________________________________
লীন

ভুতুম এর ছবি

পছন্দ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আমিও আরো লেখার আশা করি। হাসি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

অিভ এর ছবি

আনাম সাহেবের ছোট মেয়ের সাথে ব্যাপার কতদুর আগালো?? হাসি

ভুতুম এর ছবি

ভালোই এগিয়েছে। দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।