আমার শহীদ মিনার ভাঙ্গার অধিকার আমি কাউকে দেই নাই, আমার পতাকা অমর্যাদার অধিকার কাউকে দেই নাই!

রংতুলি এর ছবি
লিখেছেন রংতুলি [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৩/০২/২০১৩ - ১২:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"দেশ, কাল ও শান্তির কথা ভেবে রয়েছি আমরা নীরব
যখন নীরবতা ওরা দুর্বলতা ভাবে রক্ত করে টগবগ"

রক্ত ফুটছে... সকাল থেকে এই খবরগুলো দেখে...

নাস্তিকতা আস্তিকতা যার যার ব্যাপার, ধর্মে কোথাও গায়ের জোরে কিছু করার কথা বলা হয়নি। শাহবাগ আন্দোলনের সাথে আস্তিকতা-নাস্তিকতা কেন জড়ানো হচ্ছে বুঝলাম না। এ আন্দোলন তো কোন ধর্মের বিপক্ষে নয়, বরং ধর্মকে যারা নিজেদের সুবিধায় ব্যবহার করে আসছে তাদের বিপক্ষে। ঠিক এই মুহূর্তে যেমন আন্দোলনকারীদের ইসলামের বিপক্ষে বা নাস্তিকতার লেবাস দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সুবিধাবাদী আচরণ এটাকে বলে। যেখানে সবাই জানে এই আন্দোলনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে - কসাই কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় না হওয়ায় কিভাবে ক্ষোভের তীব্রতায় ফুঁসে উঠেছে দেশ এবং কিভাবে ধর্ম-বর্ণ, দল-মত সব ভেদাভেদ ভুলে নানা শ্রেনীর মানুষ নরপশুগুলোর ফাঁসির দাবিতে তরুণদের সাথে একাত্নতা প্রকাশ করেছে। রাজাকারের ফাঁসি ও জামাত শিবিরের মতো ধর্মভিত্তিক সুবিধাবাদী দলকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ১৭ দিন আন্দোলন চলেছে, হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছে, কিন্তু কোথাও তো কোন বিশৃঙ্খলা হয়নি, আগুন জ্বলেনি, আতংক সৃষ্টি হয়নি। গায়ের জোরে ঘটনা ঘটানো হচ্ছে এখন, তার কারণটাও স্পষ্ট - ধর্মান্ধরা ওই একটা পন্থাই জানে।

'নাস্তিক' 'নাস্তিক' করে গলা ফাটিয়ে এই জামাত-শিবির নামের ধর্মান্ধ সুবিধাবাদী গোষ্ঠী আসলে কি বোঝাতে চাচ্ছে সেটা স্পষ্ট না। এভাবে ফাঁকা ঢিল ছুড়ে তারা আসলে কাকে আঘাত করতে চাচ্ছে? দাবি যদি ন্যায্য হয় এবং সেটা পূরণও যদি আবশ্যকীয় হয়, আর সে দাবির সাথে যদি দেশের অধিকাংশ মানুষ এক হয়, তখন আর সেটা কারো একার দাবি থাকে না, পরিণত হয় গণদাবীতে। তারপর সেটা করিম করলো না রহিম করল তা কোনো গুরুত্বপূর্ন বিষয় না। এখানে 'ইহুদী-নাছারা', 'নাস্তিক-আস্তিক' এসব শব্দ ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা অর্থহীন। কথায় কথায় পবিত্র গ্রন্থ, নবী-রাসূলের নাম ব্যবহার করে তারা মূলত নিজেরাই নিজের অনুভূতিকে সস্তা বস্তুতে পরিণত করছে, অন্য কেউ নয়। "জাত গেলো জাত গেলো বলে, একী আজব কারখানা"... এতো অল্পতে যারা নিজের জাত কুল রক্ষায় দিগজ্ঞানহীন উন্মাদ হয়ে পড়ে, তাদের মূলত গোড়ায় গলদ আছে, তাদের ঈমান প্রশ্নবিদ্ধ। তাদেরকে বলছি - দয়া করে আপনারা ধর্ম-কে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করা বন্ধ করুন, প্লিজ! মানুষ ভালমন্দের তফাৎ করা জানে, সেটা মানুষের উপর ছেড়ে দিন। হুদা গেঞ্জাম সৃষ্টিকারীদের তো আল্লাহ্‌ও পছন্দ করে না।

যেমন মিথ্যাকে হাজারটা ফেক ছবি, ফটোশপ দিয়েও প্রতিষ্ঠা করা যায় না। তেমনি সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে মিথ্যার তকমার প্রয়োজন হয়না। পতিতা, গাঁজাখোর... শাহবাগ ওপেন সেক্স এলাকা, সেখানে ধর্ষণ হচ্ছে... এসব বলে কি আদতে আন্দোলনকারীদের কোন ক্ষতি করা গেছে না তাদের মনের জোর কমানো গেছে, বরং উল্টা নিজেদেরকেই সাধারণ মানুষের কাছে ধর্মবেশ্যায় পরিণত করেছেন আপনারা।

যেই শহীদমিনারে আমরা ছোটবেলা থেকে বাবা, চাচাদের হাত ধরে গিয়েছি, সন্মান ভরে স্মরণ করেছি সেই বীরযোদ্ধাদের যাদের আত্নবলিদানে আজকে আমরা প্রাণ ভরে মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারি, মনের কথা লিখতে পারি। পুরো বিশ্ব যে শহীদদের সম্মান দিয়ে ২১ ফেরুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে গ্রহণ করেছে। অথচ এদেশে থেকেও, এ বাংলা ভাষায় কথা বলেও কোন সাহস বলে আপনারা এই স্বাধীন দেশের শহীদ মিনারের গায়ে হাত দেন?!

আমার ছয় বছরের ছোট্ট ছেলেটাও জানে নিজ দেশের পতাকাকে কেমন করে ভালোবাসতে হয়, স্কুলের অ্যানুয়াল ফাংশনে সে নিজ হাতে জাতীয় পতাকা আঁকে, টিভি বা কম্পিউটারে কোথাও পতাকা দেখলে আনন্দে চিৎকার করে ওঠে - "মা দেখো বাংলাদেশ"! অথচ সে জন্মের পর থেকেই আছে দেশের বাইরে। আর আপনারা কোন ধর্মগুরু, কোন কেতাবের দীক্ষায় যে দেশে আলো বাতাসে শ্বাস নেন, যে পতাকার তলে বেঁচে থাকেন, ছত্রাকের মত বংশবিস্তার করেন, সে পতাকাকে অমর্যাদা করার সাহস পান?! ছিঃ

ধর্মান্ধদের কাছে আমার প্রশ্নঃ কেন নাস্তিকতার অজুহাতে কাউকে নির্মমভাবে চোরা/গুপ্ত হত্যা করা হবে? কেন শহীদমিনারের মত বাঙ্গালীর আত্নঅনুভূতির কেন্দ্রে আঘাত করা হবে? কেন অহিংস কোনো আন্দোলনে সহিংস অস্ত্রধারী পান্ডারা আক্রমন করবে? যে দেশে বাস করছেন সেদেশের পতাকার প্রতি কেন সামান্যতম সম্মানবোধ আপনাদের জন্মালো না? কোন ধর্মে মানুষকে নিজ দেশের জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করতে শেখায়? কোন ধর্মে এই পাশবিকতার দীক্ষা দেয়া হয়?


ছবিসূত্র

এরা ধর্মাদ্ধ, মানুষ নয়!

আমার শহীদ মিনার ভাঙ্গার অধিকার আমি কাউকে দেই নাই, আমার পতাকা অমর্যাদার অধিকার আমি কাউকে দেই নাই!

জয় বাংলা!


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

রক্ত গরম হয়ে আছে সকাল থেকে। কিছু করতে পারছি না। মন খারাপ

রংতুলি এর ছবি

আমারো একই অবস্থা! রাগে গা জ্বলছে!

মর্ম এর ছবি

সচলায়তনে এই লেখাটা মিস করছিলাম। অনেক ধন্যবাদ লেখার জন্য।

শহীদ মিনার আর জাতীয় পতাকার বোধ ওদের নেই। বাংলাদেশে এ দৃশ্য দেখতে হবে কখনো ভাবিনি, কখনো না। এদের নিয়ে আশা করার কিছু নেই, ওদের কখনো সুমতি হবে না, কখনো দেশপ্রেম আসবে না।

অসম্ভব খারাপ লাগছে।

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

রংতুলি এর ছবি

এদৃশ্য দেখতে হবে আমিও কখনো ভাবিনি। হতভম্ব!

আমার পতাকার মূল্য আমার শহীদ মিনারের মূল্য ওদের দিতেই হবে!

sonhita এর ছবি

nastikota chara other ar kono defence nei. oder trap e pora theke sobaike shabdhan thakte hobe. eta other purono ebog akmatro chal. gono jagoron moncho khokhono khali rakha jabena. shahbag dhore boshe thakte hobe.

ora shaheed minar bhegeche, amder pobitro potaka chireche.................tarporo ora ei deshe probol bhabhe exist korche. amader poth shohoj noi. amra asole talebander shathe lorchi.

sorkar ke druto podokhep nite hobe. gonojagoron kormider sorbochho nirapotta dite hobe. robibarer hortal rukhte sorkarke sorbochho babostha nite hobe. so manush jeno rastai namte pare tar sob daitto sorkarke nite hobe. sob jamat shibirke arrest korte hobe.

chora gupta hamla age theke detect korte hobe.

ei sorkar jodi amder dake druto action na nei tobe amra aro kothin podokhep nite badho hobo.

jamater ajker tandobe keo bhoi paben na.....................oshubho shaktir porajoi hobei.................

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

মন্তব্যের ঘরে Ctrl + Alt + a চেপে নিশ্চিন্ত মনে উপরের কথাগুলো লিখে যান। দেখবেন বাংলায় লেখা হয়ে গেছে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রংতুলি এর ছবি

অশুভ শক্তির পরাজয় হবেই!

আমার পতাকার মূল্য আমার শহীদ মিনারের মূল্য ওদের দিতেই হবে!

বাউলিয়ানা এর ছবি

সরকারের এখন অনেক দায়িত্ব। প্রথমত তাদের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ চালিয়ে নিতে হবে দ্রুততার সাথে। একই সাথে মসজিদের ইমাম আর মাদ্রাসার শিক্ষক/্প্রিন্সিপাল এদের প্রশিক্ষনের অধীনে আনতে হবে। দেশের ইমাম প্রশিক্ষন কেন্দ্রগুলোকে ঢেলে সাজাতে হবে। আজকে প্রায় প্রত্য়েকটা মসজিদে ইমামরা শাহবাগ নিয়ে খুতবা দিয়েছে। তারা মুসল্লিদের এটা বিশ্বআস করিয়েছে যে সেখানে নাস্তিকেরা এক হয়ে দেশের শেষ করে ফেলতেসে। এটা অতি ভয়ন্কর একটা বিষয়। আমাদের পাড়আয় ৪টা মসজিদ। প্রতিটাতে গড়এ ৫০০ করে হলে ২০০০ মুসল্লি শুধু একটা পাড়আয়! এভাবে চলতে দিলে একজন সাধারণ মুসল্লিও একদিন নারায়ে তাকবীর বলে রাস্তায় নিমে পড়বে। সুতরানং ইমামদের প্রশিক্ষনের বিষয়টা নিয়ে এখনি ভাবতে হবে।
আমি জানিনা দেশে মসজিদ ব‌্যবস্থাপনা আছে কীনা। মালয়েশিয়আ-সিনংগাপুরে দেখেছি সাপ্তাহিক খুতবা মুসলিম পরিষদ (বা এমন কমিটি) থেকে পাশ/অনুবাদ করিয়ে নিতে হয়। এটাও জরুরী। একজন ইমাম শত শত মানুষকে কী বলছে সেটা জানা থাকা জরূরী। একটা সমাবেশ হবার আগে সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিতে হয়। তাহলে খুতবা দেবার আগে কেন নয়? শত শত মুসল্লি, যাদের বড় একটা অনং্শ অশিক্ষিত, তারা ইমামের কথা দিয়ে চালিত হতে পারে। যেটা আজকের মত সহিনং্স ঘটনার জন্ম দিতে পারে।

রংতুলি এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটা মন্তব্যের জন্যে। 'মাটির ময়না'র বাউলের সে লাইনগুলো মনে পড়ে গেল - "কোরান-হাদিস বুঝতে কিছু জ্ঞানের প্রয়োজন, দুই পাতা সিপারা পইড়া বুঝবে কি মদণ। নিজেরাই বুঝেনা অন্যরে বুঝায়, সব লোকেরে ভুল বুঝাইয়া কাঠমোল্লারা খায়।" দুঃখের বিষয় হলো আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে গানটির এলাইনগুলো চরম বাস্তব।

মসজিদের ইমাম এবং মাদ্রাসার শিক্ষকদের আলাদা কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে এটা অস্বীকার করার উপায় নাই যে, তাদের কাছ দেশের জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশ দিক নির্দেশনা পায়। সুতরাং মসজিদ, মাদ্রাসাগুলো প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার মধ্য আনা অন্তত জরুরী। বর্তমানে অবস্থার প্রেক্ষিতে মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলোর উপর প্রশাসনের বিশেষ নজরদারি রাখা উচিৎ, যাতে করে শেখানে সাধারণ মানুষরের ধর্মীয় অনুভূতিগুলো পুঁজি করে তা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কোনো দল বা গোষ্ঠী নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে। প্রতিটা মসজিদের জুম্মার নামাজের পর খুৎবাগুলোও স্থানীয় প্রশাসন দ্বারা অনুমোদন/পাশের আওতায় আনা জরুরী, গত শুক্রবারের মত সহিংস ঘটনা এড়াতে হলে আসলেই এর বিকল্প নাই।

বাউলিয়ানা এর ছবি

আমি এরকম কাউন্সিলের কথা বলতে চাইছিলাম।

রংতুলি এর ছবি

চলুক

শাহীন হাসান এর ছবি

‘জাতীয় পতাকার অবমাননা’ এও দেখতে হলো! আর কতো দেখতে হবে, আরও ভয়াবহ আগুন কী আছে সমুখে??? এবার ঘুরে দাঁড়াবার সময়, ভুল হলে গোটা জাতিই স্বাধীনতা হীন হয়ে পড়বে। জামাতের রাজনীতি দ্রুত নিষিদ্ধ হওয়া উচিৎ ... করা হোক ॥ ...

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

রংতুলি এর ছবি

জাতীয় পতাকা অবমাননার মূল্য ওদের দিতে হবে। এর পরেও যদি এই কাণ্ডজ্ঞানহীন দলটি নিষিদ্ধ না হয়, তাহলে লজ্জায় আমাদের মরে যাওয়া উচিৎ।

অমি_বন্যা এর ছবি

ওরা মানুষ না ধর্মান্ধ। আসলেই তাই আর যে কারণেই ওরা আজ মত্ত হয়েছে আমাদের দেশের অস্তিত্বের উপর হামলায়। ওদের রুখতেই হবে।

রংতুলি এর ছবি

ওরা মানুষ না ধর্মান্ধ।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

কাজ কাম কিচ্ছু করতে পারতেছিনা। এই শুয়োরদের একটা ব্যবস্থা না করলেই না। জয় আমাদের হবেই।

জয় বাংলা।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

রংতুলি এর ছবি

এরপরেও যদি এরা টিকে থাকে, তাহলে লজ্জায় আমাদের মরে যাওয়া উচিৎ।

জয় বাংলা!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ওদের কাছে প্রশ্ন করা মানে ওদের আলোচনায় অংশগ্রহনের সুযোগ করে দেওয়া এবং 'গুরুত্বপূর্ণ' করে তোলা- আমরা সেটা না করি। এখন প্রতিরোধই আমাদের একমাত্র হাতিয়ার।

এরা গলা ফাঁটিয়ে গোলাম আজমকে ভাষা সৈনিক দাবী করে, এরাই আবার শহীদ মিনার ভাঙ্গে- ভণ্ডামীর চুড়ান্ত!

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রংতুলি এর ছবি

কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না, মানুষ যত নিকৃষ্টই হোক না কেন যে দেশে জন্মে, যে দেশে বাস করে, খায়-পরে, সে দেশের পতাকার সাথে এ আচরণ কিভাবে করতে পারে!!! পৃথিবীর আর কোনো দেশে এরকম কোনো ঘটনার নজির আছে কিনা আমার জানা নেই। কাল থেকে এতো বেশি অস্থির লাগছে যে কোনো কিছুতেই মন বসাতে পারছি না। আমাদের দেশটা আসলেই হতভাগ্য। হতভাগ্য আমরাও। এর পরেও যদি পশুগুলো এদেশে টিকে থাকতে দেখি তাহলে শ্রেফ লজ্জায় মরে যাওয়া উচিৎ!

আমার পতাকার মূল্য আমার শহীদ মিনারের মূল্য ওদের দিতেই হবে!

জুন এর ছবি

সেটাই। প্রতিরোধ।

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

রংতুলি এর ছবি

প্রতিরোধ।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

রাগে ক্রোধে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। ঐ শয়তান, নিমকহারাম গু আজমের বংশধরদের দেশ ছাড়া করতে হবে, হবেই হবে। জয় আমাদের হবেই।

জয় বাংলা।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

রংতুলি এর ছবি

এদৃশ্য দেখতে হবে কখনো ভাবিনি। আমি হতভম্ব! এর মূল্য নিমখারামগুলোর অবশ্যই দিতে হবে!

গগন শিরীষ এর ছবি

আমরা শুধু আস্ফালন করে যাচ্ছি,আসলেই এদের প্রতিরোধ করার মত প্রস্তুতি আমাদের আছে কিনা সেটা নিয়ে আমি গভীরভাবে সন্দিহান।জামাত কে নিষিদ্ধ করা হবে কিন্তু আর তারা হাসিমুখে ঘরে ফিরে যাবে এটা আশা করা যায়না।তারা ভয়াবহ প্রতি আক্রমন করবে,তারা মানুষের মাথা ফাটাতে দ্বিধা করেনা কিন্তু আমরা তো চাইলেই তাদের স্তরে নামতে পারবনা।সভ্যভাবে মোকাবেলা করার মত প্রস্তুতি আমার অন্তত চোখে পড়ছেনা।
-গগন শিরীষ

রংতুলি এর ছবি

স্থম্ভিত! স্বাধীনতার চার দশক পরেও যারা একটি স্বাধীন দেশের পতাকা পুড়াতে পারে, শহীদ মিনার ভাঙতে পারে, তারা সেই দেশের জন্য কতটা পুষে রাখা কালসাপ! প্রকাশ্যে এ জঘন্য রাষ্ট্রদ্রোহীতার সামিল অপরাধ করেও কি তারা পার পেয়ে যাবে? যে দল একটি দেশের সার্বভৌমত্বের জন্যে স্পষ্টই হুমকি তা কেন নিষিদ্ধ করা হবে না? শুধু নিষিদ্ধই নয় বাংলাদেশের আইনানুযায়ী এধরণের রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধের যে শাস্তি, তাও তাদের দিতে হবে, দ্রুত! এ পতাকা কোন সস্তায় পাওয়া বস্তু নয়, এর সাথে যাচ্ছেতাই আচরণ করার অধিকার কাউকে দেয়া হয় নাই!

অতিথি লেখক এর ছবি

কারা আমাদের চেতনার এই পতাকাকে ছিঁড়ে শহীদদের, বীরাঙ্গনাদের, আর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করেছে??? তারা কারা??? এরা হচ্ছে জামাত-শিবিররূপী হায়েনা... তারা এখনও তাদের বাপদের পরাজয় এর জ্বালা ভুলতে পারেনি। এসব পিশাচদের প্রতি সেই ছোট্ট শিশুটিও প্রচন্ড ঘৃণায় থুথু ফেলে... আমাদের আবেগ, আমাদের স্বাধীনতা হচ্ছে আমাদের বাংলা ভাষা। সেই বাংলা ভাষা যাদের অবদানে পেয়েছি তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বানানো শহীদ মিনার ভেঙ্গে দিয়েছে সেইসব বর্বর পিশাচ, এই দেশেরই আলো হাওয়ায় বড় হওয়া বেঈমান, বিশ্বাসঘাতকেরা। আমাদের চেতনার রঙ আমাদের পতাকা, আমাদের স্বাধীনতা প্রতীক আমাদের স্মৃতির শহীদ মিনার--- এগুলো অবমাননা করার অধিকারতো কাউকে দেয়া হয়নি... সেইসব বর্বর পিশাচদেরতো এই অধিকারও নেই, তোদেরতো ক্ষমতাও নেই পতাকা আর শহীদ মিনারের মর্ম বোঝার কারণ তোদের শরীরে পাকিদের রক্ত। তোরা কিভাবে বুঝবি আমাদের কাছে এই পতাকা, শহীদ মিনারের মর্যাদা কত... যে পতাকা কে ছুঁয়ে দিলে নিজেকে পবিত্র মনে হয়, যে শহীদ মিনারের কাছে গেলেই চোখ দিয়ে নিজের অজান্তে সেইসব ভাষা সৈনিকদের জন্য পানি এসে পরে-তা তোদের বোঝার ক্ষমতা কোনোদিনও হবে না।

আমারআমি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।