একটি তুলসীগাছের মায়া

কুলদা রায় এর ছবি
লিখেছেন কুলদা রায় [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৪/০৮/২০১০ - ৮:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

autoকদিন খুব গরম গেল। এখন কদিন নরম। জানালা দিয়ে শীতল হাওয়া আসে। তুলসী পাতা শির শির করে।

মনে পড়ছে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর একটি তুলসীগাছের কাহিনী গল্পটি। দেশবিভাগ নিয়ে গল্প। একদল লোক একটি ছেড়ে যাওয়া বাড়ি দখল করেছে। বাড়িটিতে আছে একটি তুলসীগাছ। এখানে কেউ সন্ধ্যাকালে গড় হয়ে প্রণাম করত। তারা নেই। গাছটি শুকিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মানুষ 'মানুষ' বলেই তুলসীগাছটি সবুজ হয়ে উঠেছে।

এই মানুষগুলো দরিদ্র কেরানী বটে কিন্তু সবাই ভদ্রঘরের ছেলে। এদের মধ্যে মতিনের খুব সখ বাগানের। ফুলের বাগানে বসে থাকতে চায় বেতের চেয়ারে। আর আমজাদ চায় গুড়গুড়ি টানতে। কাদের নামের লোকটির শুধু গল্প করার ইচ্ছে। আর আছে মোদাব্বের। তুলসীগাছটি যখন ওদের চোখে পড়ছে—তখন মোদাব্বের হুঙ্কার দিয়ে উঠেছে, বলছি না, উপড়ে ফেল। কারণ অতি সোজা। 'আমরা যখন এ বাড়িতে এসে উঠেছি তখন এখানে কোনো হিন্দুয়ানির চিহ্ন আর সহ্য করা হবে না'। ওরা খারাপ।

কিন্তু তুলসীগাছটি মূর্তিমান তাদের সামনে একটি পরিবারের অস্তিত্ব জানান দিয়ে উঠেছে। তারা সুখে দুঃখে হাসি আনন্দে থেকেছে। কারো মৃত্যু এসেছে। কিন্তু তারা এ বাড়িটি ছেড়ে যায় নি। তুলসী তলায় শান্ত শীতল প্রদীপ জ্বলে উঠেছে। এই প্রদীপ জ্বলার জন্য তো দেশভাগ হয় নি। প্রদীপটি নিভে গেছে। নিভে যাওয়াই সঙ্গত মনে হয় এই সব কেরানীকুলের। তারা জানে হিন্দুদের অবিচার-অত্যাচারের অশেষ দৃষ্টান্ত। এসব আলাপ করে তাদের সান্ধ্যবাসর গরম হয়ে ওঠে। যে লোকটি মকসুদ, তিনি বামপন্থী হলেও তিনি একা। একা বলেই মোদাব্বর যখন বলে—ওরাই তো সবকিছুর মূলে, তখন কিন্তু তার প্রতিবাদটা থেমে যায়। বিশ্বাসের কাঁটাটি বাম দিক থেকে ডান দিকে হেলে থেমে যায়।

পরিবারটির সেই শ্যামশ্রী কর্ত্রীটি কোথায় গেছে কারো জানা নেই। এরা কেউ কেউ কল্পনা করে-- হয়তো তারা আসানসোল, বৈদ্যবাটি, লিলুয়া বা হাওড়ায় রেলওয়ে-পট্টিতে কোন আত্মীয়ের ঘরে আশ্রয় নিয়েছে। অথবা কোনো ট্রেনে চলেছে—তাদের এখনো আশ্রয় জোটে নি। তার মন পড়ে আছে এই তুলসীতলায়। দেশান্তরী। এরকম একটি বাড়ি ছেড়ে গেল। এখন তারা শেকড়হীন। এরকম বাড়ি তাদের মর্মে শুধু আছে।

তুলসীগাছটির উপড়ে যাওয়ার কথা। কিন্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি-- কেউ উপড়ে ফেলছে না। তার তলাটির আগাছাগুলো তুলে ফেলা হয়েছে। প্রতিদিন পানি দেওয়া হচ্ছে। খোলাখুলিভাবে না হলেও লুকিয়ে-লুকিয়ে তার যত্ন নিচ্ছে।
গল্পটি আরেকটি এগুলে দেখতে পাই—রাষ্ট্র এই বাড়িটিকে দখল নিয়েছে। ওরা কজন দরিদ্র কেরানী দখলে রাখতে পারে নি। রাষ্ট্র কি সেই ছেড়ে যিওয়া মানুষদের জন্য বাড়িটিকে দখলমুক্ত করেছে এইসব দুর্বল দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে? তাদের ডেকে আনতে চায় এই পুরণো ভিটায়? না। রাষ্ট্রই মূলত দখলকারী। রাষ্ট্র মানুষের ভেতরে পুরে দিতে চায় বিভাজন রেখা। কোনো পার্থক্য আছে কি সেই ছেড়ে যাওয়া পরিবারটির সঙ্গে আর এই কয়েকদিনের জন্য বসবাসকারী মানুষদের মধ্যে? নেই। এরা সবাই শেকড়হীন।

আর তুলসীগাছটি? আবার শুকিয়ে গেছে। তলায় ঘাস বেড়ে উড়েছে। সেই গৃহকর্ত্রীটির ছলছল চোখের কথা কেউ মনে করার নেই। মাত্র ছয়টি পৃষ্ঠার গল্প। নিরাভরণ বর্ণনা। ঘটনার ঘনঘটা নেই। নেই সংঘাত। একটি বাড়ি দখলের মধ্যে দিয়ে দেশত্যাগী মানুষের গল্পটি নির্মমভাবে মোচড় দিয়ে ওঠে। এই তীব্র মোচড় বলে ওঠে-- সাম্প্রদায়িকতা শেষ কথা নয়। বোঝা যায় সাতচল্লিশের এই দখলকারী মানুষগুলো বায়ান্নোতে এসে কেন ঘুরে দাঁড়াল—তার ভেতরের কারণটি। কেন একাত্তরে রুখে দাড়িয়েছে সেই অচলায়তন রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে। গল্পটির ভেতরে এসব কোনো কথা নেই। কিন্তু স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। বার্তাটি আমাদের কানে এসে লাগে।

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর স্বপ্ন ও বাস্তবের এক প্রদোষান্ধকারের ভাষ্য রচনা করতে ভালবাসেন। সে ভাষ্যটিতে আমাদের প্রাচীন বর্ণনা পদ্ধতির ভিয়েনটির দেখা মেলে। মনে হয়—কোন এক পুরনো মানুষ বলছেন আমার জীবন ও মৃত্যুর, ঘৃণা ও ভালবাসার, পরাজয় ও বিজয়ের পরণকথা। শুনতে শুনতে দেখতে পাই আমাদের সেই বাড়িটিকে যে বাড়িটিতে একদা মানুষজন থাকত। এখন নেই। নির্মম দেশভাগ তাদের তাড়িয়ে নিয়ে গেছে। কিন্তু তুলসীগাছের মায়া ছেড়ে যাওয়া মানুষের ছায়াটিকে আমাদেরকে প্রাণের মধ্যে গেঁথে দিচ্ছে। এর কোনো বিভাজন নেই।

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর এই গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬৫ সালে ‘দুই তীর ও অন্যান্য গল্পে’। তখন আমি জন্মেছি। আর এখন ২০১০। মাঝখানে পাঁচল্লিশটি বছর কেটে গেছে। সে সময়ে যে আখ্যান আর ভাষা নিয়ে তিনি কাজ করেছেন—সে পথে আমরা হাঁটতে পারি নি। সেই বামপন্থী মকসুদের মত দিনদিন বাম দিক থেকে আমাদের মাথাটি ক্রমশ ডানদিকে হেলে যাচ্ছে। এই কথাটিও কারো কণ্ঠে শুনতে পাই না। তাই মনে হল—এই নরম দিনটিতে তুলসীগাছটির কথা। আর তার মায়াটির কথা। আমরা তো জানি--কোথাও কিছু মায়া রহিয়া যায়।


মন্তব্য

কুলদা রায় এর ছবি

মুশকিল হল এডিট করা যায় না। করতে পারলে ভাল হত। অনেক বানান ঠিক করা যেত।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

পদ্ধতি ১: পরিবর্তীত লেখাটি contact এট sachal এ পাঠিয়ে দিন

পদ্ধতি ২: এডিট করে পুনরায় মডারেশনের জন্য জমা দিন। এই পদ্ধতিটা এইমাত্র চালু করা হয়েছে। চেষ্টা করে কাজ হলো কিনা জানাবেন অনুগ্রহ করে?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

টেস্ট করে দেখেছি। দ্বিতীয় পদ্ধতিটি কাজ করছে। ধন্যবাদ।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

কুলদা রায় এর ছবি

কিন্তু টাইটেলটা তো এডিট হয় নি। ওটা তুলশীগাছ হয়ে আছে। হবে--তুলসীগাছ।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

অম্লান অভি এর ছবি

সে সময়ে যে আখ্যান আর ভাষা নিয়ে তিনি কাজ করেছেন—সে পথে আমরা হাঁটতে পারি নি। সেই বামপন্থী মকসুদের মত দিনদিন বাম দিক থেকে আমাদের মাথাটি ক্রমশ ডানদিকে হেলে যাচ্ছে। এই কথাটিও কারো কণ্ঠে শুনতে পাই না। তাই মনে হল—এই নরম দিনটিতে তুলশীগাছটির কথা। আর তার মায়াটির কথা। আমরা তো জানি--কোথাও কিছু মায়া রহিয়া যায়।

হেলতে হেলতে আমরা হয়ে পড়ছি বড় বেশী ধর্মান্ধ আর সাম্প্রদায়িক। প্রবন্ধালোচনায় মূল লেখার অনুরণন তোলায় ধন্যবাদ যদিও আমার মূল লেখাটা পড়া নেই ।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আপনি ভালো না। খালি খোঁচাখুঁচি করেন ... শান্তি থাকি, নির্বোধ থাকি।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের এইচএসসিতে এই গল্পটা ছিল পাঠ্যসূচিতে। তখনি গল্পটা অসাধারণ লেগেছিল কিন্তু পরীক্ষার জন্য পড়তে হতো দেখে গল্পের আসল স্বাধটা পাইনি যেটা আপনার লেখা পড়ে আজকে নতুন করে পেলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটির সাথে নতুন করে পরিচইয় করিয়ে দেয়ার জন্য।

পাগল মন

জাহামজেদ [অতিথি] এর ছবি

লেখাটা পড়ে ভালো লেগেছে। সাম্প্রদায়িকতার মৃত্যু হোক...

জাকির জাহামজেদ

পল্লব এর ছবি

আরে, এই গল্পটা তো পড়সি! ইন্টারের বাংলা বইতে ছিল।

পড়ে খারাপ লাগসিল অবশ্য।

সেই বামপন্থী মকসুদের মত দিনদিন বাম দিক থেকে আমাদের মাথাটি ক্রমশ ডানদিকে হেলে যাচ্ছে।

খাঁটি সত্য।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তার আগে বলেন এতো আগে পড়া গল্প এরকম মনে রাখেন কী করে? আমি সম্ভবত অনেক আগে পড়েছিলাম গল্পটা। আপনার লেখা পড়ে আবছা আবছা মনে পড়ছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

গল্পটা অসাধারণ। এই গল্প নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা পড়েছি। ছফার পুষ্প বৃক্ষ এবং বিহঙ্গপুরাণে তুলসীগাছের প্রসঙ্গ আসতেই সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এসে গেছেন।

--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

কুলদা রায় এর ছবি

আমার একটা আগ্রহ ভাষাভঙ্গি। সেকারণে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহকে মনে থাকে। তিনি তার নিজের জন্য একটি ভাষা ভঙ্গি তৈরি করেছিলেন--গদ্য-পদ্যের মাঝামাঝি। এক ধরনের চিন্ময়ভাব এসে পড়ে প্রপাতের মত। কখনো মনে হয় না--কোনো বানানো গল্প পড়ছি। আর আখ্যানের মত করে আরবী-পারসী-উর্দু শব্দ সহজভাবে বসিয়ে দেন প্রমিত বাংলার পাশে। অসাম্প্রদায়িক বাংলার মত তারা মিলে মিশে যায়। কখনো বলে না, বাংলাদেশের জন্য আলাদা ধর্মগন্ধী বাংলা দরকার। কিছু লোকজন এই নিয়ে খুব মাতামাতি করছেন।

তার ভাষাভঙ্গিটা দেখতে পাই সৈয়দ শামসুল হকের লেখায়। তবে হকের লেখা পড়তে গেলে সব সময় মনে হয়--বানানো গল্প পড়ছি। তিনি জোর করে মাথায় ঢুকিয়ে দিতে চাইছেন। সৈয়দের লেখার ভঙ্গিটা প্রবঞ্চকের মত মনে হয়। যে ধরনের লাবণ্য থাকলে প্রাণে আরাম মেলে তা হকের লেখায় পাই নি। এর কারণ হতে পারে, হক পরিশ্রমী কারিগর। প্রতিভার অভাবে শিল্পী হতে পারেন নি।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

কূলদাদা,

"আর আখ্যানের মত করে আরবী-পারসী-উর্দু শব্দ সহজভাবে বসিয়ে দেন প্রমিত বাংলার পাশে। অসাম্প্রদায়িক বাংলার মত তারা মিলে মিশে যায়।"

'আরবী-পারসী-উর্দু শব্দ' যা স্বাভাবিকভাবে বাংলায় ব্যবহৃত হয়, সেটা কিন্তু বাংলাই। কেবল সেগুলোর রুট নিয়ে মাথা ঘামালে একটা বিপত্তি আছে। কারণ, ওই কথিত 'প্রমিত বাংলা'র শব্দগুলোও কিন্তু অন্যবিধ রুটের হতে পারে। তাই না? কিন্তু সেক্ষেত্রে ওই শব্দগুলোর রুটের দিকেও তাকাই না কেন?

উৎসভেদে শব্দের শ্রেণীবিচারের সাথে সম্প্রদায়ের ছাপ্পা কি ধর্মাচরণের যোগ পুরোপুরি অগ্রাহ্য করলেই আমার মনে হয় অসাম্প্রদায়িক হওয়াটা সহজ হবে।

নইলে কাজটা কঠিন।

আরেকটা সম্পূরক : ঢাকায় লেখ্য 'প্রমিত' ভাষার বিরোধিতারকারীদের অনেকেই বামছদ্মবেশী সাম্প্রদায়িক। আপনি জানেন। কিন্তু তাই বলে 'প্রমিত ভাষা'র বিরোধিতার জায়গাটা কিন্তু উন্মুক্ত থাকতে হবে। কারণ, এর মধ্যে শ্রেণী ও প্রকাশভঙ্গীর স্বাধীনতা এই দুটো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জড়িত।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

কুলদা রায় এর ছবি

সহমত।
একজন লেখক তার মতো করে ভাষাভঙ্গি তৈরি করবেন। খুব স্বাভাবিকভাবে তিনি তার আখ্যানের উদ্দেশ্যে সেটা প্রয়োগ করবেন। উৎস খোঁজার মধ্যে দিয়ে ঘোড়া খুঁজতে যাওয়াটা একটা রাজনীতি। সেটা ঘোড়া হতে পারে অশ্বমেধের --অথবা সতেরজন সৈনিকের। আমাদের সকল নিয়ে চলাচল।
ধন্যবাদ অনিন্দ্য।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

হিমু এর ছবি

এই আরবি-ফারসি-উর্দুর ব্যবহার স্বাভাবিক কি না, সেটাও চিন্তা করে দেখা যেতে পারে।

সলিমুল্লাহ খানকে আমার মাঝে মাঝে সৈয়দ মুজতবা আলীর অনুকারী বলে মনে হয়। তিনি বাক্যে আরবি-ফারসি ঢোকাতে গিয়ে এমন বিদঘুটে সব শব্দ এনে হাজির করেন, যেগুলো বাংলায় গত একশো বছরে হয়তো উচ্চারিত হয়নি। সেগুলো স্বাভাবিক নয়। কোনো কিছুকে দৌলতমন্দ [ঋদ্ধ], দানিশমন্দ [প্রুডেন্ট, বাংলা কী হবে?] বলে লেখার পেছনে আঁশটে গন্ধটাই শুধু পাই। একটা সময় ছিলো, যখন আরবি-ফারসি জ্ঞান পাণ্ডিত্যের লক্ষণ ছিলো। এখন সেই সময় গত হয়েছে বলেই মনে করি। ফস করে পরীক্ষাকে ইমতিহান লিখলে তাই চোখের সামনে আলীসাহেবের বদলে ফররুখ আর গোলাম্মোস্তফার চেহারা ভাসে। জ্ঞানী হওয়া এক জিনিস, আর জ্ঞানীর ভেক ধরা ভিন্ন।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

বেশক হুজুর চোখ টিপি
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

কুলদা রায় এর ছবি

সলিমুল্লাহ খানকে তো কনস্টিপেশনের ক্রনিক রোগী মনে হয়। সব সময় দাঁত কিড়ি মিড়ি দিয়ে আছেন। পাঠক যেন ওনার ছাত্র-পোলাপাইন। আকাঠ মুর্খ। ওদের ঠেঙ্গানি দিয়ে শেখাতে চান।
ওনার আরবী-ফারসী-উর্দু শব্দ প্রাণ থেকে আসে না, গান (বন্দুক) থেকে আসে। শব্দ যখন আমাদের জীবন যাপন থেকে আসে তখনতো তার উৎস নিয়ে ভাবে না। খান সাহেব এইখানেই ভীষণ উদ্দেশ্যপূর্ণ এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের রুগী।
ধন্যবাদ হিমু।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

অতিথি লেখক এর ছবি

খাঁটি কথা...!!

অম্লান অভি এর ছবি

@মুর্শেদ ভাই
সংশোধনের সুযোগ উন্মুক্ত করায় ধন্যবাদ

এই লেখায়

পদ্ধতি ২: এডিট করে পুনরায় মডারেশনের জন্য জমা দিন। এই পদ্ধতিটা এইমাত্র চালু করা হয়েছে। চেষ্টা করে কাজ হলো কিনা জানাবেন অনুগ্রহ করে?
তার প্রকাশ দেখে ভালো লাগল। নজু ভাইয়ের লিঙ্ক থেকে এই লেখাটি পড়তে এসেছিলাম সকালে তাই ধন্যবাদ।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

লেখাটা খুব ভালো লেগেছে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

কুলদা রায় এর ছবি

ধন্যবাদ।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

সৈয়দ আফসার এর ছবি

ভালো লাগল।
কুলদা, ভালো থাকুন।
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!

__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার অন্যান্য লেখার মতো প্রাণবন্ত ও অভনব!

কাজী মামুন

Bimal Kumar Chakraborty এর ছবি

আমার জন্ম দেশ ভাগের সণ্ধিক্ষনে বরিশাল জেলায়। এখন নিবাস কোলাকাতায় । "একটি তুলসি গাছের মায়া" পরলাম । তুলসি গাছটা কোনো কালেই মরবে না । ভয় নেই, ওকে কেউ মারতে পারবে না। ওর শেকড় যে অনেক গভীরে।

\

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।