মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র কারিগর

কুলদা রায় এর ছবি
লিখেছেন কুলদা রায় [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১১/০৩/২০১৩ - ১০:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র কারিগর
কাহিনী সংক্ষেপ--

বরিশালের এক গ্রামে মোতালেব কারিগর নামে একজন হাজামকে একঘরে করার ফতওয়া দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি একাত্তরে পবিত্র কোরআন শরিফ হাতে নিয়ে মিথ্যে কথা বলেছেন। তিনি লোকচক্ষুর আন্তরালে চলে যান।

মোতালেব কারিগরকে বহুদিন পরে নূপুর নামে একজন গবেষক খুঁজে বের করেন। তিনি অনেক চেষ্টা করে সাক্ষাৎকার নেন। কারিগরের এই অপরাধের পেছনের ঘটনাটি বের করেন।
একাত্তরে ওইগ্রামে পাকবাহিনী হিন্দুদের হত্যা করতে আসে। তখন কারিগর একটি কোরআন শরিফ হাতে নিয়ে বলেন-এই গ্রামে এখন কোনো হিন্দু নেই। যারা হিন্দু ছিল, তাদেরকে তিনি খাৎনা করে মুসলমান করেছেন। পাকসেনারা তখন গ্রামে হত্যাকাণ্ড না করে চলে যায়। যাওয়ার সময় পাকসেনারা কারিগরকে আদেশ দইয়--যাদের তিনি মুসলমান করেছেন তাদের নামের তালিকা দিতে হবে। সেটা না পেলে পরে এসে পাকনারা গ্রামটি্তে আক্রমণ করবে। সবাইকে মেরে ফেলবে।

তখন কারিগর আর তার স্ত্রী গুলবাহার রাত জেগে একটি তালিকা তৈরী করেন। আশেপাশের সকল হিন্দুদের একটি তালিকায় লেখেন। তাদের নামের একটি করে মুসলমান নাম দেন।
এইভাবে একটি জনপদের জনগোষ্ঠী প্রাণে বেঁচে যায়।
পরে কারিগর বলেন যে, সেদিন যে কোরআন শরিফ মাথায় নিয়ে হিন্দুদের বাঁচাতে গিয়ে পাকসেনাদের কাছে মিথ্যে বলেছিলেন সেটা আসলে কোরআন শরিফ নয়। সাধারণ একটি বই।
এইভাবে একটি ধর্মগ্রন্থ দিয়ে আরেকটি ধর্মগোষ্ঠীর মানুষদের একজন সাধারণ কারিগর মৃত্যর হাত থেকে রক্ষা করেন।
এই কারিগর চলচ্চিত্রটি ধর্মের উন্মত্ততার বদলে উদার মানবিক দিকটিকেই উন্মোচন করেছে। আবহমান বাঙালীর সম্প্রীতির আখ্যানটিই আমাদের সামনে নতুন করে প্রকাশ করেছে।

কারিগর চলচ্চিত্রের কাহিনী, সম্পাদনা ও পরিচালনা : আনোয়ার শাহাদাত।
প্রযোজক : চ্যানেল আই।

এই লিংকে কারিগর চলচ্চিত্রটি সম্পুর্ণ আপলোড করা হয়েছে।

http://www.youtube.com/watch?v=tY34B71ws44


মন্তব্য

কুলদা রায় এর ছবি

http://www.youtube.com/watch?v=tY34B71ws44

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই লেখাটা 'কারিগর' মুভিটির রিভিউ বা তার বিশেষ কোন দিক নিয়ে আলোচনা নয়। এখানে কেবল গোটা কাহিনী সংক্ষেপে বলে দিয়ে তার ইউটিউব লিঙ্ক দেয়া হয়েছে। গোটা কাহিনী পাঠকদের বলে দিলে মুভিটি দেখার ব্যাপারে পাঠকদের আগ্রহ কি কমে না বাড়ে?

লেখক আনোয়ার শাহাদাত ইউটিউবে মুভিটি আপলোড করেছেন। উনি কাহিনীর মালিক সেটা ঠিক, কিন্তু মুভির মালিক তো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চ্যানেল আই হবার কথা। উনি কি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন সাপেক্ষে মুভিটি ইউটিউবে আপলোড করেছেন? যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে বলার কিছু নেই। কিন্তু যদি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়া ইউটিউবে মুভি আপলোড করা হয়ে থাকে তাহলে ব্যাপারটি কি আইনসঙ্গত থাকে?

পোস্টের কনটেন্টের দায় লেখকের, সচলায়তন তার জন্য দায়ী নয় সেকথা সত্য। কিন্তু প্রশ্নবিদ্ধ লিঙ্কসম্বলিত (যদি অননুমোদিত হয়ে থাকে) পোস্ট ধারণ করাটা কি জরুরী?


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ডাউনলোড করতেছি। দেখে এসে আরেকবার মন্তব্য করবো। তবে কাহিনী শুনে চলুক

সামি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।