মিগুয়েলের আয়না : তেওতিহুকান থেকে কুষ্টিয়ার ভাড়ারা গ্রাম

কুলদা রায় এর ছবি
লিখেছেন কুলদা রায় [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৬/০৭/২০১২ - ১:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


পর্ব এক

মেক্সিকো সিটি থেকে ৩০ মাইল দূরের একটি প্রাচীন শহর। এটাকে বলা হত পিরামিডের শহর। নাম তেওতিহুকান। এ শহরে গেলে ঈশ্বর হওয়া যায়। এ শহরে এসেছি। এখানে মিগুয়েলের সঙ্গে দেখা। মিগুয়েল বলল, তার ভগ্নিপতির নাম রাজু আলাউদ্দিন। কবি। কবিতা লেখে। এখন আবাস ঢাকা।

মিগুয়েল ঘুরে ঘুরে শহরটি দেখাল। এই শহরে তিন হাজার বছর আগে মিগুয়েল নামে এক লোক চিকিৎসা বিদ্যা শিখছিল। পূর্বসূরীদের ইতিহাসও তার আগ্রহের বিষয়। কিন্তু এই ইতিহাস পাঠ করতে করতে তার মনে হত—এই লেখা ইতিহাসটাই আসল ইতিহাস নয়। এর বাইরে আরও কিছু সত্যি আছে। সেই সত্যিটা জানার ব্যাকুল বাসনা তার ছিল।

মিগুয়েল একদিন পাহাড়ের একটি গুহায় ঘুমিয়ে ছিল। হাঠাৎ করে দেখতে পেল তার সামনে একটি লোক ঘুমিয়ে আছে। লোকটি আগে ছিল না। যে দেখছে আর যাকে দেখছে—দুজনে ভিন্ন দুটো লোক। লোকটিকে সে ধরে দেখতেও পারে। জামাজুতো সব মিগুয়েলেরই। লোকটির নাক চোখ মুখ গা হাত পা সব তারই। তাহলে ঐ লোকটিও আর কেউ নয়—মিগুয়েল নিজেই। মিগুয়েল নিজেই দুটো লোক হয়ে আছে। যে ঘুমন্ত মিগুয়েলকে দেখছে—সে ঘুমন্ত মিগুয়েলেরই আরেকটি রূপ।

সেদিন ছিল শুক্লপক্ষের একাদশী। কাস্তের মতো সূক্ষ চাঁদ উঠেছে। আকাশ পরিস্কার। মেঘ নেই। আকাশ ভরা অসংখ্য তারা। এই আকাশ ভরা তারা দেখতে দেখতে মিগুয়েলের মধ্যে অন্যরকম কিছু ঘটে গেল।

মিগুয়েল তার নিজের হাতের দিকে তাকাল। তার হাতটি থেকে আলো বের হচ্ছে। তার পুরো শরীরটা খুঁটে খুঁটে দেখল। সব কিছুই আলোময়। রক্ত মাংস নেই—তার শরীরটা আলো দিয়ে গড়া। বিস্ময়ে বলে উঠল—আমি আলো দিয়ে তৈরী! আমি তারা দিয়ে তৈরী! তার নিজের কণ্ঠটি থেকেও আলো বের হচ্ছে।

তারাগুলোর দিকে মিগুয়েল চেয়ে দেখল। বুঝতে পারল—এই তারাগুলো আলো তৈরী করতে পারে না। আলোই তারাগুলোকে তৈরী করেছে। এই জগতের সব কিছুই আলো দিয়ে তৈরী। আলোই সব কিছু সৃষ্টি করেছে। এই মহাকাশ শূন্য নয়। চারিদিকে যা কিছু আছে সব কিছু্‌ই জীবন্ত। আলো হল এই জীবনের বাহক। আরেকটু খেয়াল করে দেখল—আলোরও জীবন আছে। আলোতে সকল তথ্য আছে। আলো দিয়ে সব কিছু জানা যায়।

মিগুয়েলের প্রথমে ধারণা হয়েছিল সে তারা দিয়ে তৈরী। পরে বুঝল সে তারা নয়। অথচ তারার মধ্যে সে আছে।

এই তারার নাম দিল টোনাল (Tonal)।তারার মধ্যে যে আলো আছে তার নাম দিল নাগুয়েল (Nagual)।এই শব্দটির অর্থ প্রভু। এই আলো ও তারার মধ্যে ছন্দময় শৃঙ্খলা ও মহাকাশ আছে। এটা তৈরী করেছে জীবন বা ইনটেন্ট (intent)।

এই জীবন বা ইনটেনট ছাড়া এই তারা ও আলো অস্তিত্বহীন। জীবনই হল শেষ কথা ও সর্বোচ্চ শক্তি। জীবনই হল সৃষ্টিকর্তা। জীবনই এইসব কিছু সৃষ্টি করেছে।
আমাদের চারিদিকে যা কিছু অস্তিত্ববান—দেখতে পারছি, শুনতে পারছি, ছুঁতে পারছি, এ সব কিছুই জীবিত সত্ত্বা থেকে সৃষ্টি হয়েছে। সব কিছু জীবিত সত্ত্বার সম্প্রসারিত রূপ। এই জীবিত সত্ত্বাটির নাম হল ঈশ্বর। মিগুয়েল জীবনে প্রথম বারের মতো জগতের সব কিছুর মধ্যেই ঈশ্বরকে দেখতে পেল। সবকিছুই যেন অখণ্ড সত্ত্বা। সব কিছুই ঈশ্বরের মধ্যে অবস্থান করছে। সব কিছুতেই ঈশ্বর রয়েছে। সব কিছু মিলিত চেহারাই এই ঈশ্বর।

মিগুয়েল একটি সিদ্ধান্তে এলো—মানুষের এই দেখাটা আসলে আলো দিয়েই আলোকে দেখা ছাড়া আর কিছু নয়। আলোকে দেখতে হলে আলো দিয়েই দেখতে হয়। আলোই দেখছে আলোকে।

এই জগতের প্রতিটি বস্তুই (Matter) আয়না (Miirror) ।আয়না থেকে আলো প্রতিফলিত হয় এবং আয়নাটিই আলোর ছবি বা মূর্তি তৈরি করে। এই জগৎটা হল মায়া (Illusion)।আমাদের স্বপ্নগুলো কুয়াশা বা ধোঁয়ার মতো সবকিছুকে আড়াল করে রাখে। আমরা প্রকৃত বস্তুকে দেখতে পাইনা। প্রকৃত বস্তু হল ভালোবাসা—ভালোবাসা হল পবিত্র (pure)আলো।

মিগুয়েলের এই আবিষ্কারটি তার জীবনকে বদলে দিল। যখন সে বুঝতে পারল—প্রকৃত অর্থে সে কী, তখন সে অন্য সকল মানুষকে ভালো করে দেখল, জগতের দিকে চোখ মেলে চাইল—দেখতে পেল, সে নিজে যা—এই সব কিছুই হল তাই। সবকিছুর মধ্যে তার নিজেকে দেখতে পেল। প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে, প্রতিটি পশুপাখি, কীট পতঙ্গ, প্রাণীর মধ্যে, প্রতিটি গাছপালার মধ্যে, জলের মধ্যে, বৃষ্টির মধ্যে, মেঘের মধ্যে, মাটির মধ্যে—সে কেবল নিজেকেই খুঁজে পেল। দেখতে পেল—জীবন আসলে নানাভাবে Tonal এবং Naguel এর মিশ্রণ। এই দুটির মিশ্রণে কোটি কোটি জীবনের বিস্তার ঘটছে।

এই অল্প সময়ে মিগুয়েল সব কিছুর মধ্যে একটি সংযোগ (connection) বুঝতে পারত পারল। সে খুবই চমৎকৃত হল। তার হৃদয় শান্তিতে পূর্ণ হয়ে উঠল। সে দেরী না করে অন্যান্য লোকদেরকেও তার এই দর্শন বা আবিষ্কারটি জানাতে লেগে গেল। কিন্তু এটা ব্যাখ্যা করার মতো ভাষা সে খুঁজে পেল না। একে ভাষা দিয়ে ব্যাখা করা যায় না। এটা অনির্বচনীয়। সে নানা ভাবে সবাইকে বোঝাতে চেষ্টা করল—কেউ তার কথা বুঝতে পারল না। শুধু তারা বুঝতে পারল তাদের পরিচিত মিগুয়েল আর আগের মিগুয়েল নেই। সে পাল্টে গেছে। তার চোখ ও কণ্ঠ থেকে আনন্দ ঝরছে। তারা আরও লক্ষ করল, সে আর আগের মতো কোনো কিছুকে সন্দেহ করে না—কোনো কিছুর পরিচয় নিয়ে বিচার করতে বসে না। সব কিছুই তার জানা। সে অন্য কারো মত নয়।

মিগুয়েল সবাইকে ভালো করে বুঝতে পারছে--কিন্তু কেউ-ই তাকে চিনতে পারছে না। তারা বুঝতে পারছে এই লোকটি ঈশ্বরের মতো কেউ। শুনে সে হাসল। বলল, এটাই সত্যি। আমি ঈশ্বরই। আমিই সে। সে-ই আমি। শুধু আমি একা নই—তোমরাও ঈশ্বর। আমি, তুমি, তোমরা—সবই সেই একই জন। এক অখণ্ড সত্ত্বা। আমরা আলোর মূর্তি। আমরা ঈশ্বর। তখনো লোকজন তাকে বুঝতে পারল না।

মিগুয়েল বুঝতে পারল, সে আসলে একটি আয়না। এই আয়নায় সবাই নিজেকে দেখতে পায়। এই লোকগুলোও আয়না। লোকগুলোর আয়নায় মিগুয়েল তার নিজেকে দেখতে পায়। সে বলল, সবাই আসলে আয়না। কিন্তু সে যেভাবে অন্যের আয়নায় নিজেকে দেখতে পায়, অন্যরা সে ভাবে তার আয়নায় তাদেরকে দেখতে পারছে না। তখন সে বুঝতে পারল প্রত্যেকে একটা স্বপ্নের ঘোরে আছে। তারা জেগে নেই—স্বপ্নের মধ্যে থাকার কারণে নিজেদেরকে চিনতে পারছে না।

এর একটা কারণও আবিস্কার করল মিগুয়েল। বুঝতে পারল, আয়নাগুলোর মধ্যে কুয়াশা বা ধোঁয়ার বেড়া বা দেয়াল আছে। এই কুয়াশার দেওয়ালটি আসলে আলোর মূর্তি থেকেই সৃষ্টি হয়েছে। এটাই মানুষের স্বপ্ন।

মিগুয়েল বুঝতে পারছিল সে যা শিখেছিল হঠাৎ করে—সি নিজেও তা ভুলে যাবে তাড়াতাড়ি। এই উপলদ্ধিগুলো সে বারবার মনে করার চেষ্টা করল। সুতরাং সে নিজেকে ধোঁয়াময় আয়না বলে ডাকার সিদ্ধান্ত নিল। সে জানত এই জগতের সকল বস্তুই আয়না। আয়নারগুলোর মধ্যেকার ধোঁয়া বা কুয়াশাই আমাদেরকে প্রকৃত পরিচয় থেকে থেকে দূরে রাখে।

সে বলল, আমি ধোঁয়াময় আয়না। আমি তোমাদের সবার মধ্যে আমার নিজেকে দেখি। এই নদীটিও আমি। গাছটিও আমি। মাছগুলোও আমি ছাড়া অন্য কেউ নয়। যে গরুগুলো চরছে তারাও আমি। বাতাস, আকাশ, পোকা মাকড়, যে শিশুটি আজকে জন্ম নিল, যে যুবকটি মাটিতে বীজ বপন করছে, যে নারীটি কলসী ভরে জল আনছে, যে বৃদ্ধটি একটি পুরনো গীত করছে—সবই আমি। সব কিছুকে নিয়ে আমি এক বড় আমিতে জীবন্ত হয়ে আছি। কিন্তু আমরা আমাকে চিনতে পারছি না এই ধোঁয়া বা কুয়ার কারণেই। এই ধোঁয়াই স্বপ্ন। আয়নাটি তুমি। তুমি সেই লোক যে স্বপ্ন দেখে।

এই শহর থেকে অনেক দূরে কুষ্টিয়ার ভাড়ারা গ্রামে আরেকজন মিগুয়েল জন্মেছিলেন। তিনিও গান গেয়ে এই আয়নার কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন, বাড়ির কাছে আরশিনগর—সেথা এক পড়শী বসত করে/ আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

এই আরশিনগরটাই লালন ফকিরের আয়নামহল। সেটা নিয়ে আরেকটি পর্বে আলাপ করা যাবে।


মন্তব্য

ফারহিন  এর ছবি

পড়তে পড়তে শেষটায় অন্যজগতে চলে গেলাম যেন। আমাদের অঞ্চলেও একটা গান আছে "আয়না বসাইয়া দে মোর কলবের ভেতর"

আপনার লেখা মানেই অন্যকিছু যেন প্রাণ থেকে বার করে আনা।

কুলদা রায় এর ছবি

ধন্যবাদ।

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

শাব্দিক এর ছবি

ভাল লাগল।

কুলদা রায় এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে।

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

জুন এর ছবি

আপনার লেখা পড়লেও মন্তব্য করা হয়ে উঠেনা। আসলে লেখা গুলো এত সমৃদ্ধ হয় যে নিজেকে মন্তব্য করার যোগ্য মনে হয়না ঠিক। আজকেও কোনও মন্তব্য নয়, শুধু ভাল লাগাটাই বলে গেলাম। গুরু গুরু

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

কুলদা রায় এর ছবি

আপনি সুন্দর লেখেন। চার লাইনে অসাধারণ কমেন্ট করেছেন। এই ভালোলাগাটাকেই পুরনোগ্রন্থে আনন্দ বলা হয়েছে। আমরা আনন্দ থেকে সৃষ্টি হয়েছি। আমরা আনন্দ সৃষ্টি করছি। আগামীতেও আনন্দ সৃষ্টি হবে। এই আনন্দ আপনার মধ্যে আছে বলেই আনন্দ খুঁজে পাচ্ছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

নীড় সন্ধানী এর ছবি

পড়তে পড়তে ঘোরের মধ্যে চলে যাওয়ার মতো একটি লেখা। আমার ভেতরেও আমি সেই আয়নাটিকে দেখতে পেলাম যেন। লালন ফকিরের আয়নামহল নিয়ে আপনার কাছ থেকে একটি লেখা চাই।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

কুলদা রায় এর ছবি

লালন ফকিরের আয়না মহল নিয়েই লিখব পরের পর্বটি। এখান থেকে আমরা রবীন্দ্রনাথের আমি যখন তার দুয়ারে ভিক্ষা নিতে যাই-তে যাব। ধন্যবাদ আপনাকে।

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

রাজু আলাউদ্দিন  এর ছবি

কুলদা রায়, আপনার লেখাটিতে আমার নামের উল্লেখ থাকায় আমি একটু অস্বস্তিতে পরেছিলাম এই ভেবে যে লেখাটি সম্পর্কে আমার নিরপেক্ষ মন্তব্যকে কেউ না আবার প্রতিদান বলে মনে করে। লেখাটি সম্পর্কে দুটো কারনে মন্তব্য করছি। ১ যে-জায়গাটি নিয়ে লিখেছেন তা আমার খুব চেনা জায়গা, ফলে কিছু বলার জন্য মন নিশপিষ করছিলো। ২ লেখাটি পড়ে ভালো লেগেছে। খারাপ লাগলে চুপচাপ থাকতাম। আয়নার যাদু ও বহুত্ব, এক ও বহুত্বের অভিন্নার্থ তৈরি, বোর্হেসীয় ছায়া, তারপরে এইসব কিছুকে লালনের সাথে সম্পর্কিত করা--এসব ভালো লেগেছে। পরের পর্ব পড়ার আশায় থাকলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটি আমি দিনের বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকবার পড়েছি। ভীষণ ভালো লেগেছে।
নাগুয়েল শব্দটির অর্থ যেমন প্রভু, তেমনি 'টোনাল' শব্দটির মানে কি -- জানতে ইচ্ছে করছে।

"লালন ফকিরের আয়না মহল নিয়েই লিখব পরের পর্বটি। এখান থেকে আমরা রবীন্দ্রনাথের আমি যখন তার দুয়ারে ভিক্ষা নিতে যাই-তে যাব।" চলুক পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

সৌরভ কবীর

কুলদা রায় এর ছবি

টোনাল শব্দটির অর্থ করা হয়েছে শিষ্য। নাগুয়াল অর্থ প্রভু বা গুরু। গুরুর কাছ থেকে শিষ্যরা জ্ঞান পায়। তখন শিষ্যরা জ্ঞানী হয়। জ্ঞানটি আসলে গুরুরই। গুরু শিষ্যের মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত হন।
এই টোনাল শব্দটির আরেকটি অর্থ করা হয়েছে--সেটা হল দিনের শক্তি। আর নাগুয়েল অর্থ করা হয়েছে রাতের শক্তি। সেই রাধা আর কৃষ্ণের ব্যাপার। প্রকৃতি-পুরুষের ঘটনা। এটা নিয়ে পরবর্তী পর্বে আলোপ করা হবে।

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সৌরভ কবীর

কড়িকাঠুরে এর ছবি

এ আলো হচ্ছে জ্ঞান । যে ব্যক্তি এই আলোর(জ্ঞানের) সন্ধান পান তিনিই জ্ঞানী এবং পরবর্তীতে গুরু । যিনি তাঁর শিষ্যকে ধরিয়ে দেন যে কিভাবে এই আলো কে দেখা যায় । আর সবার মাঝেই এ আলো বর্তমান- তবু একজনকে কারও অধীনস্ত হতে হয় আলো দেখা শেখার জন্য ।

নাগুয়াল এর কাছে আলো আছে টোনালের কাছেও তাই । কিন্তু টোনাল জানে না কীভাবে এই আলো দেখতে হয় যেটা জানে নাগুয়াল । এর জন্য টোনাল যায় নাগুয়াল এর কাছে- শিষ্য হয় । এখানে নিজের ভেতরে কীভাবে আলোটাকে দেখতে হবে, অপরের মাঝে কীভাবে আলোটাকে দেখতে হবে- সেই দেখতে শেখাটাই হল মূল ।

জানি না উদ্ভট কোন কিছু বললাম কিনা । ভুল শুধরে দেবেন । ধন্যবাদ ।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

সৌরভ কবীর

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পথিক পরাণ এর ছবি

ও সে ক্ষনেক ভাসে শুন্যের উপর ক্ষনেক ভাসে নীরে
-----
সে আর লালন একখানে রয়
লক্ষ যোজন ফাঁকরে --

লালনের অসাধারণ প্রতীকী কথাগুলো মনে পড়ে গেলো।

চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।