চমৎকার! মারা যাক দু-একটা ইঁদুর এবার!!

পথিক পরাণ এর ছবি
লিখেছেন পথিক পরাণ [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৬/১১/২০১২ - ৪:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মনোসন্তোষপুর নামটি অতি মনোরম। নিশ্চিন্তপুরের মনোসন্তোষপুরে আমরা সবাই অতি নিশ্চিন্তে মনে সন্তোষ নিয়েই ছিলাম। সকাল বিকাল নিশ্চিন্তপুরের রাস্তায় ছোট ছোট ময়লা পায়ে পুরনো ছেড়া স্যান্ডেলের ঘর্ষণে মৃদু ধুলোময় পথে রেহানারা ছুটে চলে। আমরা আমাদের পোর্শে সিডানের চৌকশ চালকের পেছনের সীটে আয়েশে হেলান দিয়ে গাড়ির কালো মোটা কাঁচের ওপার থেকে পথ চলার নিয়ম না জানা ওদের ভীরু পায়ে এগিয়ে চলা দেখি। ওদের আমরাই জীবন দিয়েছি বটে!

অতি ভোরে গত রাতের ডেলা পাকানো ভাতের উপর একটু বাসি ডাল অথবা পাশের ডোবার নাপা শাকপাতা মেখে গলা দিয়ে কোনমতে নামিয়েই ওরা ওড়না ঠিক করতে করতে ত্রস্তে পথে নামে। আটটার আগেই কারখানায় পৌঁছুতে হবে যে! নইলে সেদিনের বেতন কাটা। এসব জেনে আমাদের কাজ নেই। কারখানাটি জাঁকিয়ে বসার আগে আমাদেরও এমন অনেক কষ্ট পোহাতে হয়েছে। আমাদের বন্ধু ফরহাদ ঠিকাদারি করে এইতো সেবার কুরবানির হাট থেকে বিশাল সাইজের গরুর রশি ধরে আমার ছেলের সামনে দিয়ে হেঁটে চলে গেল। অত বড় গরুর রশি ধরার সাধ্য আমাদেরও একদিনে হয়নি। আর আরেক বন্ধু সেবাব তো কি এক ব্যবসা করে প্রায় প্লেনের টিকিট হাতেই থাকে। আজ পাতায়া তো কাল হাওয়াই। আমাদেরও কি একটু সখ আহ্লাদ জাগে না মানুষের মত বেঁচে থাকতে! গার্মেন্টস শুরুর সময় কি বিশাল ব্যাংক ঋণের বোঝা। বোঝাটা নামে নাই এখনও মাথা থেকে।

আমাদের কারখানার ঢোকার মুখটি অতি সরু। তাতে অবশ্য রেহানাদের কষ্ট হয়না তেমন। আমরা এমন ব্যবস্থা করে রেখেছি যাতে রেহানারা কখনোই অনেক বেশি ক্যালোরি গলধঃকরণ করে যথেষ্ট স্বাস্থ্যবতী হয়ে এইসব সরু গলিপথে উঠতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত না হয়। আর তাছাড়া এই জায়গার প্রতি বর্গমিটার জমির দাম জানেন? সিঁড়ি আর গলিপথের জন্য অত জায়গা ছেড়ে দিলে কতগুলো মেশিন বসানোর জায়গা নষ্ট হবে সে খেয়াল আছে? এছাড়াও আছে। এইসব নোংরা শ্রমিকদের বদস্বভাব তো আপনি জানেন না জনাব! সিঁড়ি বড় করে দিলে এরা কেবল দুদ্দার সিঁড়ি ধরে উঠবে আর নামবে। সিঁড়ি তো আর সাকিব আল হাসানের ক্রিকেট খেলার মাঠ নয়! আবার সিঁড়ি বড় করে দিলে কোন গণ্ডগোলের খবর পেলে সব নেমে আসবে একসাথে। ওসব চলবে না বাপু! কায়দা করে একটা সরু সিঁড়ি ধরেই সব্বাইকে উঠতে নামতে হবে।

এরপর ধরুন কাজ তো শুরু হল। কিন্তু নামেই কাজ! একটু সুযোগ পেলেই পাশের মালেকা বা রহিমাদের সাথে এন্তার গল্প জুড়ে দিতে ওস্তাদ একেকজন। ছোট ছোট পেটে এতসব গল্প কি করে যে এরা ধরে রাখে! এতেই কি শেষ? না। চুপটি করে কেউবা একটা সূচ ওড়নায় গেঁথে নেয়। কেউবা টুকরো কাপড় বাঁধে চুলে। দামি কাপড় ভুলভাল কেটে ফেলে একাকার করে। এই করে কারখানার অর্ধেক অপচয় ওরা ঘটায় বলেই না ওদের পাহারা দেবার জন্য এত্তগুলো মাইনে দিয়ে ওভারশিয়ার, ম্যানেজার আর কিসব হাবিজাবি লোকজন পুষতে হয়। নিজেরা একটু ভদ্র সভ্য হলে তো আর অন্য লোক দিয়ে পাহারা দিতে হত না। বরং পাহারাদারদের বেতন বোনাসও ওদের বেতনে যোগ হতে পারত।

তারপর আছে হরতাল। ইদানিং শুরু হয়েছে আরেক উপদ্রব। বেতন বোনাস দিতে একদিন দেরী সইবে না মশাইদের। তেড়েফুঁড়ে রাস্তায় নেমে পড়বে। ইয়া বড়বড় ঢিল ছুড়ে এত সুন্দর কাঁচের দালানগুলোর দফারফা করবে। গাড়ি ভাংবে। বলি, একটা গাড়ি কিনে দেখেছে এরা কখনো? কিংবা তিন মাসের গোটা মাইনে জমিয়ে নিদেন পক্ষে একটা টিনটেড গ্লাস? এইরকম একটা কাঁচের দাম আঁচ করতে পারলে বোধকরি কোনোদিন এই বিচ্ছুগুলো ওগুলো ভাংতে পথে নামত না। আসলে সমস্যা হয়েছে গোড়ায়। এদের কোন শিক্ষাদীক্ষা না দেয়াতে এমন বেয়ারা বেয়াদব হয়ে উঠেছে একেকটা। গেঁয়োচাষা ভুত হয়ে ছিল খালি গায়ে।

কারখানায় জায়গা করে দেয়াতে তবু দুবেলা খেতে পাচ্ছে।

ফি বছর বাড়ি ফেরার সময় একটা রঙিন ফুলতোলা ছাপা শাড়ি গায়ে উঠছে।

চাইকি ঠোঁটে লিপস্টিক আর গালে রুজ পাউডারও মাখছে কেউ কেউ, তা যতই সস্তা হোক।

তবুও যদি একটু কৃতজ্ঞতাবোধ থাকতো ওদের।

তাইতো আমাদেরও কিছু ‘পেশীমানব’ রাখতে হয় কারখানায় ওদের সামলাতে। খেয়াল করেছেন কি? পেশীমানবদের পেছনে আরও কিছু ডলার টাকায় কনভার্ট হয়ে হাত গলে বেড়িয়ে গেলো।

আসল কথাটাই তো বলা হয়নি এখনও। বিদেশী ক্রেতাদের সামলেছেন কখনো? হাহ। কাপড় কিনতে এসে ব্যাটারা কি আদিখ্যেতাই না শুরু করে। তোমার কারখানায় আলো কম। মেশিন ভাল না। কর্মীদের ইউনিয়ন নেই। বেতন বোনাস এত কম দেয়া হয় কেন? কারো কারো বয়স একটু কম মনে হল যেন! নাবালিকা নাকি? ফায়ার এস্টিঙ্গুইসার কোথায়?

একটা কিছু খুত ধরতে পেলেই সোজা অরেঞ্জ কিংবা রেড মার্ক। কাপড় কেনা বন্ধ। পুরো লক আউট সিচুয়েশন।

--- ধুর! কি সব যে বলেন উনারা! পুরো ব্যবসাই মাটি। কারখানায় আলো কম তাতে কি। আপনার পোশাকের রঙ তো আর চটে যাচ্ছে না মশাই! ট্রেড ইউনিয়ন নেই, তাতেই ওদের দাবী দাওয়া সামলাতে প্রাণ ওষ্ঠাগত। মনে হয় মাঝে মাঝে নিজেই ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন লিডার হয়ে যাই। তারপর ঝুঁট কাপড়ের ব্যবসা। ব্যবসাই ব্যবসা!!

আর কি বললেন? বয়েস কম! কি যে বলেন না! ওদের আকারই এমন। ওরা তো ককেশিয়ান আর মোঙ্গলয়েড না যে একেকজন ষাঁড়ের মতন হাতেপায়ে তেড়েফুঁড়ে বেড়ে উঠবে। আমাদের কাছে কিন্তু সবার এইজ সার্টিফিকেট রাখা আছে। এক্কেবারে জেনুইন। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জননেতারা নিজ হাতে লিখে দিয়েছেন। আমাদের কারখানা পুরোটাই নাবালক অথবা নাবালিকা মুক্ত।

ফায়ার এস্টিঙ্গুইসারের কথা কি যেন বললেন! আমাদের এখানে আগুন লাগার কোন সম্ভাবনা নেই। এইযে কর্মীদের দিকে তাকান। এরা গ্রামের মানুষ। গ্রামে কোন দমকল বাহিনী নেই। ফায়ার এস্টিঙ্গুইসার দূরে থাকুক। ও জিনিস ওরা দেখেওনি জীবনে। গ্রামে আগুন লাগলে নিজেরাই বালতি ভরে পানি ঢেলে নিভিয়ে ফেলতে পারে। আমরা অবশ্য সে ভরসায় থাকিনি। সব ফ্লোরে ফায়ার এস্টিঙ্গুইসার সাজানো আছে। দমকল কর্মীও নিয়োগ দেয়া আছে। এইযে দেখুন। বেতন বইয়ের মাস্টার রোলের পাতায় আগুন নেভানোর কর্মীদের বেতন বিলির স্বাক্ষর। তাছাড়া ফায়ার সার্ভিসের তদন্তের সনদটা কিন্তু কারখানায় ঢোকার মুখেই লটকানো আছে। দেখবেন একটু?

তবুও। আজ কি যে হল! আগুনটা কিন্তু ওদের বেখেয়ালেই লেগেছে কোথাও। আর আগুন লেগেছেই যখন। তখন একটু ধৈর্যও ধরতে পারত সবাই। অথচ সবাই হুড়োহুড়ি করে বেরুতে গেল। উফ। এদের একটু যদি শিক্ষাদীক্ষা হত কোন কালে।

আর পত্রিকাগুলোর কথা কি বলব। এত্তগুলো টাকার কাপড় আর দামি মেশিনপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেলো। কই! কেউতো একটা ছোট লাইনে জানতে বা জানাতে চাইল না কারখানার কত টাকার ক্ষতি হয়ে গেলো! সবাই শুধু মৃতদের নিয়েই আহাজারি করছে। আগুন লাগলে তো কিছু পুড়বেই। তবুও তো ৫০/৬০ জনকে চিনতে পারা গেছে। ওরা একেবারে পুড়ে যায়নি। আমাদের তো কত হ্যাপা সামলাতে হচ্ছে। এক লক্ষ টাকায় ওদের একেকজনকে অন্তত আরও তিন বছর খাটাতে পারতাম। যাহ্‌। টাকাগুলো একেবারে বেড়িয়ে গেল। এদিকে ইনস্যুরেন্স ওয়ালাদের কথা কি আর বলব। আমাদের পুরো ক্ষতি কি আর ওদের থেকে আদায় করা যাবে! শ্রমিক মরে গেলে আবার পাওয়া যাবে। এদেশে মানুষ বড়ই সহজলভ্য। বছর খানেক শিখিয়ে পড়িয়ে নিলে ওরা আবার ঠিকঠাক ওয়াল মার্ট বা ডেনিমের ছাঁটে ঠিকঠাক সেলাই ফোঁড়াই শিখে নিতে পারবে। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি একবার? সময়মত কাপড় দিতে না পারায় চুক্তিটা বাতিল হয়ে গেলে কতদিন ব্যবসা বন্ধ হয়ে থাকবে? একটা দেশের সবাই এমন মুর্খ আর অবুঝ হয়ে গেলে কি করে চলে?

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

২।

আমি জানিনা তাজরিন ফ্যাশন গার্মেন্টসটির মালিক দেলোয়ার হোসেন তার অতি আদরের কন্যাটির নামে তাঁর প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করেছেন কিনা। আমি এমনকি এও জানিনা যে তাজরিন নামে আদৌ তাঁর কোন কন্যা আছেন কিনা। না থাকলেও ক্ষতি নেই। ‘’তাজরিন ফ্যাশন’’ গার্মেন্টস এর নামকরণের মাহাত্য উপলব্ধির জন্য এই অখাদ্য আবজাব লেখা নয় কোনক্রমেই।

আমি শুধু এইটুকু প্রার্থনা করব- আমাদের গার্মেন্টস মালিক মহাশয়গণের অতি আদরের কন্যাদের যেন কোনদিন একেকটা রেহানা লতিফা আর জরিনাদের মতন আরও অনেককে একটা ছোট্ট ঘুপচি সিঁড়ি বেয়ে, মাথার উপর যতটা উপরে উঠলে আকাশটাকে অনেক কাছে মনে হয় এমন একটা উচ্চতায় উঠে একটা বদ্ধ ঘরের প্রায়ান্ধকার প্রকোষ্ঠে নিজেদের ফুসফুস নিংড়ে বেড়িয়ে আসা কার্বন ডাই অক্সাইড ভাগ করে দিনভর অপুষ্ট দুর্বল ক্ষীণপায়ে দাড়িয়ে থেকে সেলাই ফোঁড়াই করার একফাঁকে ধেয়ে আসা আগুনের ফুলকি আর লেলিহান শিখার ভেতর নোংরা ছিন্ন ওড়না চেপে ধরে নিজেদের ক্ষুধার্ত শরীরের জ্বলন্ত মাংসপিণ্ড হয়ে উঠার গল্পটি পড়তে না হয়। আপনাদের রাজকন্যাদের দয়া করে অন্য কোন সভ্য দেশে পাঠিয়ে দিতে পারেন, যেই দেশে গার্মেন্টস কারখানা নেই, কেবল ওয়াল মার্ট আছে। বিশ্বাস করুন, ওয়াল মার্টের ছাপ লেগে গেলে একবার এইসব পুঁজিবাদীর জ্বলন্ত পুঁজির পুঁতিগন্ধময় নোংরা বাষ্প পুতঃপবিত্র হয়ে যাবে নিমেষে।

আর আমরা কেউ কেউ, যারা এইসব ছোট খাট মৃত্যুকে গুরুত্বপুর্ণ করে তুলতে চাইছি, তারা অল্প কিছুদিনের ভেতর হয়ত আরও বড় একটা ঘটনার আবর্তে ঢুকে পড়ব অনায়াসে, যেমনটি সমুদ্রের জোয়ারে একটা ছোট ঢেউকে বড় একটা ঢেউ বিলীন করে দেয়।

জাতি হিসেবে আমরা অতি বিরল প্রজাতির দর্শক। সেই যে, যেদিন পলাশীর প্রান্তরে সিরাজউদ্দৌলা বেনিয়া ইংরেজদের হাতে এন্তার মার খেয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল, সেদিন সেই আম্রকাননে একটি বড় আমগাছের আড়ালে আমরাও দাড়িয়ে দেখছিলাম সিরাজের পতন। সিরাজ আমাদের কেউ নন। সিরাজের পতন আমাদের ভ্রু কুঞ্চিত করেনি। আমরা সিরাজের পক্ষে একেকটা মাটির ঢ্যালা তুলে ইংরেজদের তাড়া করিনি।

নিশ্চিন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সারে সারে সাজানো লাশের সারি আমরা দেখেছি। এই লাশের স্তুপে আমাদের কেউ নেই। এইসব লাশের সারিবদ্ধ স্তুপের উপহারদাতাদের বিরুদ্ধেও আমাদের কোন অনুযোগ নেই।

হে প্রগাঢ় পিতামহী! আমরা তোমাদেরই কি চমৎকার অনুসরণ করছি দেখো!!


মন্তব্য

নীল আকাশ এর ছবি

মন খারাপ শ্রদ্ধা

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

মন খারাপ

শাব্দিক এর ছবি

আমি শুধু এইটুকু প্রার্থনা করব- আমাদের গার্মেন্টস মালিক মহাশয়গণের অতি আদরের কন্যাদের যেন কোনদিন একেকটা রেহানা লতিফা আর জরিনাদের মতন আরও অনেককে একটা ছোট্ট ঘুপচি সিঁড়ি বেয়ে, মাথার উপর যতটা উপরে উঠলে আকাশটাকে অনেক কাছে মনে হয় এমন একটা উচ্চতায় উঠে একটা বদ্ধ ঘরের প্রায়ান্ধকার প্রকোষ্ঠে নিজেদের ফুসফুস নিংড়ে বেড়িয়ে আসা কার্বন ডাই অক্সাইড ভাগ করে দিনভর অপুষ্ট দুর্বল ক্ষীণপায়ে দাড়িয়ে থেকে সেলাই ফোঁড়াই করার একফাঁকে ধেয়ে আসা আগুনের ফুলকি আর লেলিহান শিখার ভেতর নোংরা ছিন্ন ওড়না চেপে ধরে নিজেদের ক্ষুধার্ত শরীরের জ্বলন্ত মাংসপিণ্ড হয়ে উঠার গল্পটি পড়তে না হয়। আপনাদের রাজকন্যাদের দয়া করে অন্য কোন সভ্য দেশে পাঠিয়ে দিতে পারেন, যেই দেশে গার্মেন্টস কারখানা নেই, কেবল ওয়াল মার্ট আছে। বিশ্বাস করুন, ওয়াল মার্টের ছাপ লেগে গেলে একবার এইসব পুঁজিবাদীর জ্বলন্ত পুঁজির পুঁতিগন্ধময় নোংরা বাষ্প পুতঃপবিত্র হয়ে যাবে নিমেষে।

চলুক

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

অতিথি লেখক এর ছবি

আর আমরা কেউ কেউ, যারা এইসব ছোট খাট মৃত্যুকে গুরুত্বপুর্ণ করে তুলতে চাইছি, তারা অল্প কিছুদিনের ভেতর হয়ত আরও বড় একটা ঘটনার আবর্তে ঢুকে পড়ব অনায়াসে, যেমনটি সমুদ্রের জোয়ারে একটা ছোট ঢেউকে বড় একটা ঢেউ বিলীন করে দেয়।

চলুক

একটি জেলীফিশের স্মৃতিশক্তি সকল আমাদের সামষ্টিক স্মৃতিশক্তির চাইতে বেশী বলেই মনে হয় আজকাল। মন খারাপ

ফারাসাত

অতিথি লেখক এর ছবি

কিছুতেই মনের জ্বালা মিটছে না । আপনার লেখা পড়ে আরো মনটা ভারী হয়ে গেল । শুধু মনে হচ্ছে আমরা দিন দিন কি গন্ডার হয়ে যাচ্ছি ? কবে আমাদের হাত হবে প্রতিবাদে মুখর !!! যদি এই রকম ঘটনার জন্মদাতাদের পুড়িয়ে মারতে পারতাম!!! নয়তো নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে এর প্রতিবাদ করতে পারতাম !!!
(পান্থজন)

সুমাদ্রী এর ছবি

দু'সপ্তাহ সময় দিন। সবার মগজ থেকে এই ঘটনা সরিয়ে ফেলব আমরা।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

হ্যালো সুইপার!! হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

হ্যালো সুইপা।।।র!! হাসি

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

মন খারাপ হৃদয় খুড়ে কেবলি ব্যথা জাগে মন খারাপ


_____________________
Give Her Freedom!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।