সম্পর্ক ০২

রাসেল এর ছবি
লিখেছেন রাসেল (তারিখ: রবি, ১৩/০৪/২০০৮ - ৭:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরণ বিজ্ঞপ্তি
নিজ দায়িত্বে পড়বেন- হয়তো এটা চলবে অনেক দিন- কিংবা হঠাৎ ঠেমে যাবে। প্রাপ্ত বয়স্ক পাঠকের জন্য লিখিত- কোনো শব্দ বা বাক্যে আহত বোধ করলে সেটা পাঠকের নিজের মানসিক সমস্যা- সেটার দায় নিতে আমার আপত্তি আছে।
----------------------------------------------------------------

চান্দ পোয়াতি হইলে চান্দের লাবন্য বাড়ে, ফিনকি দিয়া বাইরায় জোছনার দুধ। চান্দের সাথে সোমত্ত মাইয়্যা মানুষের রক্তের যোগাযোগ। চান্দ পুরুষ্টু হয় আর সোমত্ত মাইয়্যাদের কামনা বাড়ে। শইলের রসেও জোছনা উঠলায়।

কার্তিক মাসের পুন্নিমায় কুয়াশা তিরতির কইরা কাঁপে বাঁশ গাছের ডগায়- খন্দের ধান কাইট্যা নিয়া যায় লাল ঝান্ডা- একটু আড়াল কইরা বইয়া আছিলাম খন্দের সাথের ডাঙায়, সামনের পুকুরে ঝুপ্পুস কইরা কি যেন পড়লো? আমি ভয়ে কাঠ, এমনিতেই জায়গাটার বদনাম, তার উপরে রমিজ হুট কইরা মইরা গিয়া আবারও বুঝাইয়া দিছে কানাই মুন্সীর ঠাঁই ভালা জায়গা না।

শইলে কাঁটা দিয়া উঠছে এক্কেরে, বাতাস যাইতাছে বাঁশ ঝাড়ের ভেতর দিয়া , শনশন আওয়াজ হইতাছে, বাঁশের ডগা কাপতাছে, আমার ভয়ে পেচ্ছাপ হয় হয় অবস্থা। নিজেরেই কইলাম মিয়া মাইদ্যাগো নাহান ভয় পাওন কি উচিত তোমার? তুমি না একা একা শ্মশানকালীর মন্দির থেইক্যা বেল পাতা আর সিন্দুর নিয়া আইছিলা শিউলিরে বশ করণের লাইগ্যা। সেইদিন কি ভয় পাইছিলা তুমি? শালা মাইগ্যার নাহান বাতাসের আওয়াজে মুইত্যা দিলে হইবো?

আস্তে আস্তে গিয়া উঁকি দিলাম, আর কইয়েন না ভাই, দেখি শিউলি মাগী পুকুরের ভিতরে ঝুপঝুপ ডুব দিতাছে। ঠাওড় পাই না আসলেই ঐটা শিউলি নাকি? অনেকসুম অরাই রুপ বদলায়া মানুষরে লোভ দেখায়, কাছে গিয়া ধরলে রক্ত শুইষ্যা খায়। এইভাবেই মারা গেল রমিজ, অরে নাকি ডাক দিছিলো শেয়াল ডাকার পহরে। কে ডাকছিল কইতে পারে নাই শিউলি। রমিজ ঘর থেইক্যা বাহির হইছিলো ঠিকই কিন্তু আর ফেরত আসে নাই। অর লাশটা পাইছিলো জমির, চোখ খুবলাইইয়া নিয়া গেছে কে য্যান? কান্ধের উপরে একটা লম্বা দাগ, আর কি। শইলডা শক্ত হইয়া ছিলো, নখের ভিতরে ছিলো মাটি আর মাটিতে আঁচরের দাগ ছিলো ঠিকঠাক, তয় আর কিছুই ছিলো না।

পুলিশ আইসা লাশ নিয়া গেছিলো ভ্যানে কইরা। পোসমর্টেমে তেমন কিছুই পাওয়া যায় নাই, পায়ের নীচে একটা হালকা কাটা দাগ ছাড়া আর কিছুই পায় নাই, শিউলিও কাউরে সন্দেহ করে নাই। একটা ইউডি দাখিল হইছিলো, কয়েক দিন পুলিশের কর্তা এইদিকে আইছিলো শিউলেরে সান্তনা আর নিরাপত্তা দিতে। পরে সেই দারোগাই নিজের নিরাপত্তার জন্যে সইরা গেছে।
কি হইছিলো কেউই জানে না? কেউ কইলো শিউলি বটি হাতে ধাওয়া করছে দারোগারে, কেউ কইলো দারোগা না কি রাইতের বেলায় কিসের আলামত পাইছিল, কেউ সঠিক কইতে পারে নাই, তবে এক দিন দুপুরে দারগা শালা আইছিলো। জল্পনা আগে বাড়ে নাই, শিউলিও কাউরে কিছু কয় নাই।
মানুষের মন ভুলতেই চায়, মানুষ ভুইল্যাই গেছে, দেখতে দেখতে ৫ মাস হইয়া গেলো, এখনো মানুষ এই কানাই মুন্সীর ঠাঁইরে ডরায়, বিকাল বেলায় এইখানে আইতে চায় না। সন্ধ্যা থেইকা পুরা নিশুতি রাতের মতো চুপচাপ হইয়া যায় জায়গাটা। এমন কি পাখীও ডাকে না কোনো।

আমারই শালার কপালটা খারাপ, নাইলে এইখানে জমি পাই, তয় জমিতে রস আছে, একটু খাটলেই দরদর কইরা রস ছাইড়া দেয়, কুমারি মাইয়ার মতো ফলবন্ত জমি, শুধু কায়দা কইরা ধরতে হয়, একবার বুঝসুজ হইয়া গেলে জমি বান্দা মাগীর মতো তোমার হাতের কেনা গোলাম, নতুন বউ আর চাষের জমি সবই বশ মানে, ঠিকমতো চষতে পারলে ঠিকই পায়ের কাছে মাথা গুঁইজ্যা পইড়া থাকে, তয় নিয়মমতো সোহাগ দিতে হয়।

কড়া হাতে হাল দাও আর নিয়মমতো সোহাগ দাও, সোনা ফলাইবো জমি, তেমন পুরুষের মতো পুরুষ হইলে লাঙলের ফলা এক্কেরে পাতালে গিয়া ঠেকপে। সেইরম চষতে পারলে বৌ আর জমি বান্দা মাগীর মতোই পায়ের কাছে পইড়া থাকবে। নৌকা আর বৌ বুঝলা মিয়া শক্ত হাতে চালাইতে হয়, কইছিলো জমির মাঝি। এই যে দেখো রমিজ মারা গেলো, ক্যান মারা গেলো কও দেখি নি? বৌটারে বেশী সোহাগ করতো। বৌ যা কইছে তাই করছে, শাসন করতে শিখে নাই। বৌটাও ঢলানি, আমি নিজেই দেখছি নদীর পাশে আইস্যা গুজগুজ করতো সাদিকের লগে।
হইতেও পারে, মানুষরে বিশ্বাস নাই, সুন্দর মুখ হইলেও মানুষের খুন করতে বাধে না, সুন্দর মুখ হইলেই সে দুষী হবে না এমন না। শিউলির মুখটায় লাবনইয়ে মাখামাখি, গেরামের ভিতরে সুন্দরী কইলে সুন্দরী, সবাই একনামে চিনে শিউলিকেই। সবাই একটু হাসির আশায় বইস্যা থাকতো। সবাই এই সুন্দরের বশ।
ছাদেক, রশীদ, ছামাদ সবাই শিউলির একটু হাসি দেইখ্যাই গইল্যা যাইতো। সেও কম চ্যাংরামি করছে তখন। কেষ্টপুরের গুনীনের কাছে গেছিল বশীকরণ শিকড় আনতে। সেই শিকড়ের নানান হ্যাপা। শিকড়ে কালী দেবীর কপালের সিন্দুর আনতে হবে, শ্মশানের আধপোড়া নাড়ী আর সিন্দুর পিষে সেই শিকড় বাধতে হবে শিউলির ঘরের চালে। ১ সপ্তাহ সময় দিবেন খালি। যেই হউক তোমার কাছে ছুইট্যা আইবো। এই তাবিজ যেনসেন তাবিজ লয়, অব্যর্থ । কম করে নাই, হরি ডোম মারা যাওয়ার পরে তক্কে তক্কে ছিলো। শ্মশান থেইক্যা সবাই ফেরত গেছে, নেতাই ডোম আগুনটা উস্কায়া গাঁজার দম দিয়ে বুঁদ। সিএ সময় লাশ পোড়ার গন্ধে ঠেলে বমি আসছে, কিন্তদ আধপোড়া লাশ ঘেঁটে ঠিকই নাড়ী খুঁজে নিয়ে আসছিলো।
চ্যাংরা বয়েসে মানুষ কত কি করে।
শিউলি যখন রমিজকে বিইয়া করলো, কেউ কোনো কষ্ট পায় নাই। রমিজের মতো জোয়ান আশে পাশের ৩ গ্রামে আর কই? ইয়া বিশাল সিনা, সেইরকম চওড়া কাঁধ, হাতের গুল্লি ঠুমা ঠুমা। হালের জমি আছে ২০ কানি, এর পরেও রমিজ আধি নেয় আরও ১০ কানি। ২ জোড়া হালের বলদ। গোঁইয়ারের মতো খাটতে পারে, ৪ দিনে ২০ কানি জমি লাঙল দিতে পারে। মুখের কোণে সারাক্ষন হাসি লাইগ্যা আছে। মরা ই্শষার জ্বলুনী ছিলো সবার ভিতরেই, তবে ওরা কেউই রমিজের প্রতিদন্ডী ছিলো না। ক্ষোভ ছিলো না কোনো, মৃত প্রণয়ের আঁচে কে কে পুড়েছে কে জানে।
রমিজ মরে যাওয়ার পরে শিউলিকে নানা কান কথা চারপাশে উড়ে বেড়ায়। তবে সবাই এক বিষয়ে নিশ্চিত, রমিজের মৃত্যু যেভাবেই হোক না কেনো সেটাতে শিউলির একটা ভুমিকা আছে।

শিউলি প্রথম কয়েক দিন একটু চুপচাপ আছিলো, অহন আবার আগের মতোই মুখ টিইপ্যা হাসে, হাসতে হাসতে কান্ধের আঁচল সইরা যায়, এই মাগীই রমিজের মতো জোয়ানটারে খাইছে। এই মেয়ে যেনসেন মেয়ে লয়, এই মেয়ে নিঘঘ্যাত ডাইনী, উপরে দেখন যায় না, তয় ঠোঁটের নীচে রক্তের ছাপ পাওন যাইবো।

মুখ দেখে ভবিষ্যত বিচারের বই পইড়াও বুঝা যায় এই শিউলির কুনো দোষ নাই, দোষ উর চেহারার- দুষ উর ভাগ্যের, চেহারা তো উই নিজে বানায় নাই, শিউলি যহন গোসল সাইরা উপ্রে আসলো, এই ফিনফিইন্যা জোছনায় অর শাড়ী লেপটায়া ছিলো গাওত। অত রাইতে মাগী কি করে এইখানে? এত রাইতে কেন গোসল করতে লাগে হ্যার?
একদলা থুতু ফেইল্যা নিজেরেই কইলাম, এই মাগীর জন্যি তুই নিজের জান বাজী রাইখ্যা গেছিলি শ্মশানকালীর মন্দিরে?
দেখো কার লগে আশনাই করছে। কওন যায় না কিছুই, রমিজ ছিলো যখন তখনই অন্য পোলাগো দিকে তাকাইয়া থাকতো। এই মেয়ে যেনসেন মেয়ে লয়, যার দিকে তাকায় তার কলিজার রক্ত শুইষ্যা খায়া ফেলায়। সেই পোলার হুঁশ থাকে না আর। লিশ্চিত এই মেয়ে কামাখ্যা থেকে ফুসলানি মন্তর শিইখ্যা আইছিলো কোনো, নাইলে দড়িতে বান্ধা ছাগলের নাহান অর চারপাশে ঘুরঘুর করে পোলারা।
এমন কি এমুন জুয়ান রমিজ হ্যায় শিউলিরে ঘরে বান্ধতে পারে নাই। সে নাকি পুন্নিমা রাইতে নদীর পাশ দিয়ে দৌড়াইতো আর মিটিমিটি হাসতো। সে হাসি দেখলেই বুঝা যায় এই মাইয়া জ্বিনে ধরা।

শিউলি চইলা যাওয়ার পরে মনে চাইলো অর পিছন পিছন গিয়া দেখি অয় কি করে। খন্দ ভালা হইলে ইচছা আছিল অরে বিয়ার প্রস্তাব পাঠামু। তয় এইরম মেয়ে যার চেহারায় লিখাই আছে এই মেয়ে স্বামীঘাতিনি হবে তার লাইগ্যা বিয়ার প্রস্তাব দেওয়া ঠিক না, কিন্তু কইলাম কি, এই মাইয়া নিঘঘ্যাত ডাইনি। যার দিকে একবার চোখ তুলে তাকায় তার আর হুঁশ থাকে না।
ভয় কাইট্যা গেলো। জহির, জয়নাল স্যাঙাত জুটাইছে। অরা লাল ঝান্ডার লোক। আমার ১০ কানি জমির বর্গা , জোতদারের সম্পদ কাইট্যা নিয়া সর্বহারাদের দিবো হেরা। গলা কাটে, ক্ষেতি জ্বালাইয়া দেয়। এখনও চৌধুরির কাছে পাওনা আছে ৩ হাজার টাকা। এই খন্দ গেলে আর ফেরত দেওয়া হইবো না। কিয়ের শিউলি কিয়ের রমিজ চোখের সামনে ভিটা আর চৌধুরির মুখ ভাইস্যা উঠে। মনটা উশখুশ করে শুধু, মন শালার এক লাম্বারের চুতমারানি। শিউলির শাড়ী আমারে আন্ধা কইরা ফেলায়। যা হওয়ার হইবো। এই ভরা পুন্নিমায় কে আইবো এইখানে।
মজা নদীর শইলডা শুকায়া গেছে, চারপাশে ঢোলকলমীর ঝোপ। জমির মাঝির নৌকা উবুত হইয়া নদীতে ডুব খায়। আমি ডাঙা পাড়াইয়া রমিজের ভিটার দিকে যাই।
এই রাইতেও দেখি, শিউলি দরজায় বইয়া আছে। গায়ে ভিজা গামছা জড়াইয়া রাখছে। শইল গরম হইছে । এই শীতের রাইতে গলায় মাফলার শক্ত কইরা বান্ধি। শিউলির বিকার নাই। যেমুন আছিলো তেমনই বইয়া থাকে। আমি দূরে থেইক্যা খাড়ায়া খাড়ায়া শিউলীরে দেখি। কতা মিছা না, পুন্নিমার সাথে যুবতী মাইয়ার সম্পক্ক আছে। শইলে চান্দের আলো খলবল খলবল করে। রক্তে কামনার আগুন জ্বলে।
চান্দের সাথে মাইনষের সম্পর্ক আছে, সাইন্স কথাটা মিথ্যা কয় নাই। নেহায়তে ভদ্র মাইয়ারাও আস্তা পুরুষখাগী মাগী হয়া যায় এক্কেরে। কাত্তিকের পুন্নিমায় ঠান্ডা চান্দের আলোও ম্যান্দা মাইরা যায়। জার বাড়ে, আমার হাঁটুতে হাঁটুতে ঠকঠক বাড়ি খায়। গলা শুকাইয়া কাঠ হইয়া আছে। যামু কি যামু না বুঝতে পারতেছিলাম না।
কানের কাছে গুপী মন্ত্রের মতো ভাইস্যা আসে কেষ্ঠপুরের গুনীনের কথা। মিয়া বুইঝ্যা দেখ, এইটা কিন্তু সংগঘাতিক বান। একবার মারছো ত মাইয়া পাগল হইয়া ছুইট্যা আইবো তোমার কাছে। তোমার ভিতরে যদি কুনো পাপ থাকে তাইলে এইবেলা কয়া ফেলাও? নাইলে বান কিন্তু তোমার উপরে গিয়া পড়বে। এই পুটলির আশে পাশে যতক্ষণ থাকবো, ততক্ষ্ণ ডাঙায় তুলা মাছের মতো ছটফট করবো ঐ মাইয়া। সেই মেয়ের শইলের রসে উথাল্পাথাল হইতে থাকবে।
বুঝলা মিয়া মানুষের শইলে আর কি আছে, সবটাই পানি। রক্ত টগবগ কইরা ফুটবে, আশিকে দিওয়ানা হইয়া যাইবো। তোমার ভিতরে কোনো পাপ নাই কইতাছো তাইলে।
কথা মিছা না ভাইজান। মাইনষের শইলেও রস জমে বুঝলেন নি ভাইছাব। আমার ভিতরে রক্ত টগবগ কইরা ফুটে, গলা শুকাইয়া যায়, চোখ টানটান হয়া থাকে, খালি তিয়াস লাগে। শক্ত কইরা ডালিমের ডাল ধইরা থাকি। আঙ্গুল সরে না। আমার শইলখান শিরশির করে। গলা দিয়া আওয়াজ বাইরায় না।
খালি মনে হয় যদি শিউলি হাছা হাছাই ডাইনী হয়, যদি আমারে টাইন্যা ঘরের ভিতরে নিয়া গেলো। তখন কি করুম। ধরেন পুরুষের রক্তখাওয়া শিউলী আয়া আমার হাত ধরে, তাইলে নিশিপাওয়া মাইনষের মতো আমিও মরতে চইলা যাবো। রমিজের খুবলানো চোখ আমার দিকে তাকায়া থাকে। কই রমিজের চোখ কই? ঐটা একটা খালি গত্ত, সেই গত্ত থেইকা আগুন বাইরায়। আগুন বাইরায় আর গলগল রক্ত বাইরায়। আমার দুব্বল লাগে। সেইসুম বাগানে আয়া বৈয়া পড়ে শিউলি। আমার দিকে তাকায়। আমার কইলজ্যা শুকায়া যায়।

কি করো এত রাইতে এইখানে? বোবায় পাওয়া মাইনষের মতো মাথা নাড়ি, কোনো কথা কইতে পারি না।
কি হইলো? এইরকম ভুতে পাওয়া হইয়া খাড়ায়া আছো ক্যান? কিছু কইবা?
আমি সেইখানে আছিলাম, মিথ্যা কমু না, যা দেখছি হাচাই কইতাছি। শিউলির চোখে কিসের নেশা? রক্তের নেশা? এই মাগীই তাইলে রমিজ মিয়ার রক্ত খাইছে, কইলজা খাইছে। উরে বাপরে কাছাইয়া আইতাছে। আমার হাত-পা সরে না।
তারপর আমার আর কিছু মনে নাই।
ঘুম ভাঙলো যখন তখন দেখি কানাই মুন্সীর ঠাঁইয়ে পইড়া আছি। ক্যামনে আইলাম, কখন আইলাম কিছু মনে নাই।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

মাপ করবেন, লেখাটা নির্গুন বা মানিক বন্ধোপাধ্যায়ের মতো লাগে কেন? নাকি আখতার ইলিয়াস? একটু দ্বন্দ্বে আছি।

আলমগীর

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- একটু আয়েশ কইরা বসলাম ঘটনা তাইলে পাক খাইতাছে মনে কইরা। হের পরেই দেহি ঠাঁইয়ে পড়া। এইটা এট্টা কাম করলেন?

তয় ভূমিকাটা জোশ হৈছে লেখাটার।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।