পথের গল্ল ০৪

রাসেল এর ছবি
লিখেছেন রাসেল (তারিখ: রবি, ২৭/০৪/২০০৮ - ১০:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুপুরের গরমটা চান্দিতে গিয়ে লাগে, মোসাদ্দেকের হাঁশফাস লাগে, তেষ্টায় গলা শুকায়, বাসা থেকে আনা পানিটা গিলে াবার চেয়ারে বসে। রাস্তার উপরে ছোটো ছাতায় রোদ বাধা মানে না, ফাঁকফোকর দিয়ে ঠিকই চামড়ায় হামলা দেয়। খোলা চামড়ায় বর্শার মতো বিধে রোদের ফলা।
আশেপাশে মানুষের ভীড়। সবাই গন্তব্যে যেতে চায়, তার অবশ্য কোথাও যাওয়ার নেই। সকাল থেকেই একঠায় বসে থাকতে হবে এখানে, সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা, ওর ডিউটির সময়। রাস্তার উপরে একটা বাস্কে ১০ পদের টিকেট সাজিয়ে বসে থাকবে, নানা রকম মানুষ আসবে, ঢাকা শহরের বারো ভাজা লোকেরা এখানে থেকে ফারাংগেটে যাবে, যাবে গুলশাল বনানি, আজিমপুর আর মহাখালী, তার কোথাও যাওয়া হয় না, মিরপুর থেকে সকালের আঁধার না কাটতেই ব্যাগে টিকেটের থোকা ধরে আসতেই হবে, রোদ, ঝড় বৃষ্টি বিরাম নেই, সবটা দিনই তার কাজ থাকে, শহরের মানুষের এখানে ওখানে যাওয়ার বিরাম নেই, এ লাইনে বাস নেই তেমন, মালিকের বাসের কাটতি ভালো, এমন আরও ১৮ জন বসে আছে বাসলাইনের দুই পাশে, সবারই একই অবস্থা।
সিএনজির দাম বেড়েছে, প্রতি ঘন মিটার দাম দ্বিগুন হয়েছে, মালিক ঠিক করেছে টিকেটের দাম বাড়াবে, অবশ্য দাম যে বাড়বেই এটা ও নিশ্চিত ছিলো, পরিবহন মালিক সমিতির উপরের দিকের পদে থাকা মালিকের অবশ্য তেমন ঠেকে নেই সরকারের নীতিমালা মেনে চলার। সরকার বলেছে সিএনজি চালিত বাসের ভাড়া বাড়বে না, এমনও কি হয়?

বাংলাদেশে চালের দাম বাড়লেই যানবাহন খরচ বাড়ে, মিরপুরের পল্লবীর পেছন থেকে এখানে আসতে ওর আগে লাগতো ৪ টাকা, এখন লাগে ৬ টাকা, কোনো কারণ নেই তবে সবাই মিলেই টিকেটের দাম বাড়িয়েছে। লোকাল বাসের ভীড়ও বেড়েছে । সকাল বেলা রোদের তেজ বাড়তে না বাড়তেই রাস্তায় নামে তখনও ঢাকা শহরের রাস্তা শুনশান, এরপরও যাত্রী ঠিকই জুটে যায়, বাসটা সম্পূর্ণ ভরে না, এর পরেও বাসের ভিতরে ঘামে গোসল হয়ে যায় তার।
সেই সকাল থেকে বসে আছে, মাঝে মাঝে উঠে আশে পাশে দুই কদম হেঁটে আসা এই হলো তার বিশ্রাম।
মহিলাটা চেচাচ্ছে, ভীষণ রকম চেচাচ্ছে। আরে বাবা টিকেটের দাম ধরে দেওয়ার আমি কে? মালিক বলছে টিকেটের দাম বাড়াও, মালিক নতুন দামের টিকেট জমা দিয়ে গেছে।
দুপুরের রোদটা চান্দিতে ঝাঁকি দিচ্ছে, আর মেজাজ ঠান্ডা রাখতে পারে না মোসাদ্দেক। আপনার যদি যাওয়ার হয় এই ভাড়ায় যান, নাইলে অন্য বাস দেখেন। এত প্রশ্নের জবাব দিতে পারবো না।
মহিলা তীব্র তেজে জ্বলে উঠে। এইসব ছোটোলোক মানুষেরা এমন মুখের উপরে কথা ছুড়ে দিবে, বেয়াদ্দপের মতো কথা বলবা না, এই রকম ছোটোলোকের মতো চেচাচ্ছো ক্যানো?
মহিলার সাথে আশেপাশের পুরুষেরাও লাফিয়ে উঠে, সবারই চান্দিতে বৈশাখের রোদের তেজ। সবাই হুংকার দিয়ে লাফিয়ে পড়লো।
কয়েক ঘা দিলেই শালার গরম ঠান্ডা হবে- এমন উপদেশ দিয়ে শার্টের হাতা গুটিয়ে তেড়ে আসা যুবকের দিকে তাকিয়েও গলার তেজ কমে না মোসাদ্দেকের।
ভাই খারাপটা কি বললাম, মালিকে ভাড়া বাড়াইছে, আপনার পোষাইলে যাইবেন না পোষাইলে যাইবেন না। এইখানে এত প্রশ্নের কি আছে। আপনের যদি কোনো অভিযোগ থাকে আপনে মালিককে জানান।
মিনমিন করে সামনের মেয়েটা বললো ঐ মিয়া তোমার টিকেটে তো মালিকের নাম্বার নাই। পাশের ছেলেটার হাতে ঝাঁকুনি দিয়ে বললো, এই দ্যাখো এইখানে টিকেটে তো মালিকের নাম্বার নেই। শালা তোমার মালিকের কাছে ফোন করে হবেটা কি? কেউ তো ফোন ধরবে না।
আরেকজন টিকেট চটজলদি দেখে সিদ্ধান্ত দেয়, কৈ ফোন করবো কইয়া দে? তোর মালিক তো ফোন নাম্বার দেয় নাই টিকিটে।
মাঝবয়সী একজন পাশে দাঁড়ান এসে। ভাই এর দোষ কি বলেন? ওতো যা করতেছে মালিকের নির্দেশেই করতেছে। মালিক দাম বাড়াইছে টিকেটের, ও কি করবে?
মোসাদ্দেক কল্কেতে ধোঁয়া পায় এতক্ষণে। সবাই মারমুখি না এখনও।অবশ্য অভিযোগের তীর ঘুরে যায় পরক্ষণেই। ব্যাটা মেয়ে মানুষ দেইখ্যা পুরুষত্ব দেখাও।
আরে ভাই পুরুষত্ব দেখাইলাম কই? কত যাত্রী আছে আসতেছে যাইতেছে, কে মাইয়া কে পুরুষ খেয়াল করার টাইম আছে? উনার যদি না পোষায় যাবে না। আমি কি করবো?
তোমার মালিককে বলবা একটা নোটিশ টাঙ্গাইয়া দিতে। একটা নোটিশ টাঙ্গাইয়া দিলেই মামলা ফিনিশ।
ওর ব্যবহার ঠিক নাই, কাস্টমারের সাথে কেউ এইরকম ব্যবহার করে?
ঢাকা শহরের প্রায় সবগুলো বাসই সিএনজিতে চলছে। এরপরও যখন তেলের দাম বাড়লো তখন এক দফা বাড়লো টিকেটের দাম। কারণটা কি? যাত্রীকে জানানো হলো তেলের দাম বাড়ছে।
তেলের দাম বাড়ছে তো তোদের কি? তোদের গাড়ীতো সিএনজিতে চলে।
এইটা মালিকরে গিয়া জিগান। মালিকে দাম বাড়াইছে। আমরা মালিকের হুকুম মানতেছি।

এইসব ফ্যাঁকড়া নিয়ে ঢাকার রাস্তায় চলাফেরা ভালো লাগে না। দুপুরে শহরটা জলন্ত চুলার মতো হয়ে যায়। সেখানে অল্প আঁচে মানুষ আর সবুজ সিদ্ধ হয়। মহাখালীর সামনের রাস্তার উপরে আঁকা দাগগুলোও এঁকেবেঁকে গিয়েছে সূর্যের তেজে। পীচ লেগে যায় জুতার সোলে। স্যান্ডেলের নীচে নরম পীচে পা দেবে যায়। শহরের আশেপাশে সবুজ নেই। তবে মানুষ নিরুদ্বেগ। মানুষের চিন্তার কিছু নাই, কাঁচা পয়সার জোয়ার এখন । আগে ঢাকা শহরের সমস্ত এপার্টমেন্টের ক্রেতা নামে বেমানে রাজনীতিবিদ আর সচিবেরা। এখন সময় বদলেছে। এখন দেশে সামরিক সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। দুর্নীতিবিরোধী কন্ডম লাগিয়েছে, দেশে নাকি দুর্নীতির জন্ম হবে না। তবে আশ্চর্য বিষয় হলো গত ১৫ মাসে দেশে দুর্নীতি কমে নি বরং বেড়েছে। বড়ই আশ্চর্য বিষয় হলো এখন যেটুকু এপার্টেমন্ট বিক্রী হচ্ছে সেগুলো কিনছে পুলিশের অফিসার, মেজর অবঃমেজর আর নিয়ম মতোই আমলারা। সামরিক বাহিনীর সদস্যদের হাতে এত পয়সা আসে কোথা থেকে? তারা নিজেদের জন্য সুলভে প্লটের বরাদ্দ নিচ্ছে। সমস্ত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য আড়াই কাঠা জমির বন্দোবস্ত করতে হবে কত খাস জমি লাগবে আমি জানি না, তবে সামরিক খাঁই কম না।
উঁচু উঁচু বাসা উঠছে, কোনোটাই খালি থাকছে না, দেশের মানুষের দারিদ্র বাড়ছে, তবে দরিদ্র কমে যাচ্ছে আনুপাতিক হারে। মানুষ মরছে পুষ্টির অভাবে। পুষ্টির অভাবে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমছে আর সামান্য অসুখেই টেঁসে যাচ্ছে বেটারা।
এইসব ভাবতে ভাবতে দুপুরের রোদে হাঁটতে ভালো লাগে না। মনটা একটু ছায়া চায়। রাস্তায় বড় এপার্টেমেন্ট বিল্ডিং আর শপিং মল। শপিং মলগুলো আবার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। তার পাশ দিয়ে গেলে গায়ে দোজখের বাতাস লাগে। রাস্তায় গাড়ীর পাশে দাঁড়ালে গায়ে গরম বাতাসের হল্কা লাগে। সবাই শালার এসি লাগিয়ে জ্যামে বসে আছে। জ্যাম ছুটবার নাম নেই। আমার হাতে সময় কম। তাই আমিই একা রাস্তা পার হই, গাড়ীগুলোকে পাশ কাটিয়ে।
সন্ধ্যার একটু পর থেকে কোথা থেকে যেনো ঠান্ডা বাতাসের ঝলক আসে। এই বাতাসের দাম কোটি টাকা। শহরের বিভিন্ন বাসার নানাবিধ খাঁজ এড়িয়ে যখন আমার দরজার সামনে কড়া নাড়ে আমি বুঝতে পারি বাতাস আসছে। তবে এটা সাপ্লাইয়ের পানির শেষাংশের মতোই। এক ঝলক আসে, এরপরে খানিকক্ষণ শোঁ শোঁ হুঙ্কার দেয়, আবার আসে, আবার থেমে যায়। কষ্ট বাড়ে।
রাত গভীর হলে আবার আড্ডা থেকে ফিরি বাসায়। চালের দাম বাড়তি। তেলের দাম বাড়তি, আমাদের গাঁটের পয়সা চলে যাচ্ছে। বাসের টিকিটের দাম বাড়ে, রিকশা ভাড়া বাড়ে। তেলের দাম বাড়বে, ড্রাইভার আর গাড়ী পোষার ক্ষমতা নাই। আমাদের ভরসা এই পাব্লি ট্রান্সপোর্ট। সেখানেই এই ঝামেলা। বাসের লাইনে দুপুরে যাদের দেখলাম তারা সবাই খারাপ মানুষ এমন না, তারাও আমার মতোই, তাদেরও বাজেট বরাদ্দ আছে, বাস ভাড়া বাবদ দৈনিক ৩০ টাকা, এর ভেতরে যদি প্রতি লাইনে ২ টাকা করে বাড়ে তাহলে বাস ভাড়ার বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এই আকালের বাজারে সেটা সম্ভব না।
এরা হয়তো সেই পকেটের সমীকরণ মিলিয়ে লাইনের বাসে লাইন দিয়ে উঠে, নিয়ম ভাঙে মাঝে মাঝে তবে অধিকাংশ সময়েই এরা লাইনটা ভাঙে না। এরা ১২ জাতের মানুষের সাথে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে লোকাল বাসে উঠবে না, এইটুকু স্বাচ্ছন্দের খোঁজ এরা করে। আর লাইনের বাসে পকেট মার উঠে না। এখানে পকেট মার উঠে সুবিধা করতে পারবে না তেমন। এটাও একটা নিশ্চয়তার জায়গা।
এরাই বাসায় ফিরবে যখন তখন মেজাজ খারাপ করবে, কারণ ট্যাপে পানি নাই, ওয়াসার পানিতে গন্ধ, খাওয়া যায় না, পানি কিনে খেতে হবে। ওয়াসার পানি খাওয়া আর মুত খাওয়া সমান। সকালে লোকাল বাস থেকে ঝাঁপিয়ে নামা মানুষটার শরীর দেখে আঁতকে উঠেছিলাম মনে পড়লো। লোকটার শার্ট গায়ের সাথে লেপ্টে আছে, মনে হচ্ছে কেউ এক বালতি পানি বেখায়ালে ছুড়ে দিয়েছে। এই মানুষগুলোর জন্যই নেঁচেকুঁদে বগলের দাগসহ রেক্সোনার বিজ্ঞাপনের মডেলরা নাক কুঁচকে থাকে।
তবে রাতের দিকে মনটা ফুরফুরে লাগে। তেমন থকথকে ভীড় নেই, রাস্তা ফাঁকা, শীতল হাওয়া দিচ্ছে। এর উপরে রিকশাওয়ালাও একেবারে নিয়মিত ভাড়া চেয়েছে। সিএনজির দাম বাড়ায় রিকশাওয়ালা বেশী ভাড়া চেয়েছিলো, একজন খেঁকিয়ে উঠলো, শালার তেলের দাম বাড়লো না সিএনজিের দাম বাড়লো তাতে তোমার কি? তুমি কি সিএনজিতে রিকশা চালাও?
গভীর রাতে দুরের খ্যাপে এই ভাড়া পাওয়াটাও কঠিন, কোনো কথা না বলেই উঠে বসলাম। রিকশা চলছে, রিকশাওয়ালার ফেঁসে যাওয়া, ফেটে যাওয়া শার্ট, তার ক্লান্ত প্যাডেল মারা দেখছি। সিগারেটে টান দিচ্ছি অল্প অল্প। মনে গুনগুন গান আসছে। সেটাকেও দমিয়ে রাখছি না।
রিকশাওয়ালা পেছন ফিরে বললো ভাই আপনার ছেলে মেয়ে কয়টা।
একটাই।
বাৎসল্যবোধ উঠলে উঠে সময় সময়।
আপনার ছেলেমেয়ে কয়জন?
৩টা।
আপনার বাসা কই? অমপুর,
অংপুরেই?
না অংপুরে না পীরগঞ্জ।
বড় ছেলের নাম মোস্তাফিজুর রহমান, নুরুন্নবী,
ছোটোছেলের নাম মোফাজ্জলুর রহমান, ছোটোটার নাম ফখরুদ্দীন।
ছোটোটার বয়েস ৭ মাস।
বললাম বন্যার আগে হইছে?
হুমম, মাইয়্যা চাইছিলাম কিন্তু পোলা হইছে।
ছেলেদের স্কুলে দিছি, আমার বড় ছেলেটা ৫এ বৃত্তি পাইছে। ওর টিচাররা বলছে মোস্তাফিজুরের জন্য ভাববা না, ওরে আমরাই মানুষ কইরা দিবো।
ভালো লাগলো শুনে। মানুষের ভেতরে এখনও এই বোধটা কাজ করে।
বুঝলেন ভাই ছেলেমেয়ে পড়াশোনায় ভালো হইলে স্কুল থেকে নিজেরাই ডাকে নিয়ে যায়।
আমার ছেলেকে নিয়ে কম টানাটানি হইছে, স্কুলের হেডমাস্টার আসে বাসায় বসে ছিলো। তোর ছেলেক আমার স্কুলে দে।
ছোটোটাও পড়ে।
সামনে বামে যান ভাই। একটু সামনে গিয়ে ডানে গলি দেখছেন, ঐ ট্রাকের পিছনে, ঐখানে যাইতে হবে।
ফখরুদ্দীন নামটা শুনেই ভালো লাগে। ইরাক যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের অধিকাংশ সাদ্দামের জন্ম হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ খবরসচেতন, দেশের পরিবর্তনের খবর রাখতে চায়, দেশের নতুন নায়কদের বরণ করে এভাবেই।
দোকানের সামনে রাখেন ভাই।
পকেট থেকে ভাড়া গুনে দেই। এর পরে মনে হয় ঠাকচ্ছি হয়তো, আরও ৫ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া যায়, আমার নিয়ত ছিলো ঐ ভাড়ায় আসবো।
ভাই ৫টা সিগারেট। পকেটের ৫ টাকার কয়েনটা নাড়াচাড়া করি। দেবো কি দেবো না ভাবি? এর ভেতরেই অন্য একটা ভাড়া পেয়ে সেই মানুষটা চলে গেলো, ভাই ভালো থাকবেন, আপনার ছেলেটা ভালো থাকুক।
শালার মধ্যবিত্তছলনা, পকেট থেকে ৫ টাকা দিয়ে দিলেও তেমন কমতি পড়তো না কিন্তু ঐ ৫ টাকাই বের করতে পারলাম না।


মন্তব্য

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

শুরুটা একেবারে আমার জীবনের দৈনন্দিন ঘটনা ------- আর পরের গুলোও তা-ই ------- জীবননির্ভর একটা ভাল লেখার জন্য অভিনন্দন।
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।