গ্রানাডার পথে...

কবি এর ছবি
লিখেছেন কবি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৮/১০/২০০৮ - ৭:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[ভালোই আছি। অনেক দিন ধরেই ভাবছি গ্রানাডা আসার প্রথম দিন গুলির কথা লিখব।]

ফ্রান্স এ এস সপ্তাহ Induction Week কাটানো শেষ হয়ে গিয়েছিলো চোখের নিমিষেই। ১লা সেপ্টেম্বরে রওনা হতে হবে। ৩০ তারিখ আবিষ্কার হল আমার জন্য EasyJet [www.easyjet.com] যে বুকিং দেয়া হয়েছে সেখানে ব্যাগ-বোজকা এর কথা বলা হয় নাই। আমার মত একি অবস্থা চাইনিজ পোলা "ইউ হু (YU HU)" এর। (অনেক ঝামেলা করেও আর কিছু করা যায় নাই, পরে আমারে জেনেভা এয়ারপোর্টে ২০ইঊরো বাড়তি গুনতে হয়েছে।)

এখানে একটা মজার জিনিস বলে রাখি। আমি ফ্রান্স এ ছিলাম[url=http://en.wikipedia.org/wiki/Saint-Étienne] Saint-Étienne[/url] এ ।আর আমাদের টারগেট হল স্পেনের গ্রানাডা। (জেনেভা,সুইজারল্যান্ড---মালাগা,স্পেন) হল আমাদের প্লেনের রুট।
আমি তো প্রথমে জেনেভা শুনে লাফ দিয়ে ঊঠছিলাম, আবার সুইজারল্যান্ড ঢুকতে হবে নাকি? পরে শুনি না,জেনেভা এয়ারপোর্টে দুইটা সাইড আছে, আমাদেরকে ঢুকতে হবে ফ্রেঞ্চ সাইড দিয়া।

একদম সক্কাল বেলা সব মিলে Student Residence এর নীচে আসল আমাদের বিদায় দিতে। আমরা দুইটা টিম একসাথে রওনা হলাম, আমাদের সাথে বাকীরা লিও(Lyon) এয়ারপোর্টে নেমে যাবে। ওরা যাবে ফিনল্যান্ডে। আর আমাদেরকে নিয়ে বাস যাবে জেনেভা নামিয়ে দিয়ে আসতে।

একদম পারফেক্ট টাইমিং করে এয়ারপোর্টে এসে গেলাম। জীবনে অনেক সি্কিঊরিটি পার হয়েছি, কিন্তু এইটাইপের নিরাপত্তা জাল এর ভিতর দিয়া আসতে হয় নাই, তবে খুব সিস্টেমেটিক তাই ্টাইম লাগে না। Easyjet এ ঢোকার পরে মনে পড়ে গেলো কয়েকদিন আগে ইন্ডিয়া থেকে স্পেনের ভিসা আনতে গিয়া ্কলিকাতা-দিল্লী SpiceJet এর কথা। একি মডেলের জ়েট, শুধু এইটা নতুন নতুন লাগতেছে। ফ্লাইটের মধ্যে সেই জিনিসপাতি বেচাবিক্রি। সেই একি চিত্র। ্পার্থক্য হলো ইঊরো-রুপির।

তবে যে জিনিসটা ভোলার না তা হইল ফ্লাইটে কোন মেয়ে ক্রূ নাই, সব পোলা। হায়রে হায় কই ইঊরোপে আইলাম, না কই আইলাম !!

দুই আড়াই ঘন্টা লাগছিল মনে হয়, ভালমত মনে নাই। মালাগা আমার দেখা সবচেয়ে ্নীরব এয়ারপোর্ট। লোকজন খুব কম।

সেখান থেকে গ্রানাডার বাসে ঊঠলাম। তার আগে টুনা মাছের sandwich খেলাম।

গ্রানাডার বাস স্টেশনে আমাদের জন্য প্রফেসর ওয়েট করছিলেন। প্রফেসরকে খাবি্যারকে যতটা বুড়া মনে করছিলাম এইলোক ততটাই যুবক। সবচেয়ে বড় কথা ভালো ইংলিশ বলে এবং চমতকার সেন্স অফ হিঊমার সম্পন্ন তা পরিচয়ের ১০মিনিটেই বুজে গেলাম।

হোস্টেল আগে থেকে বুকিং দেয়া ছিল। বাসা ভাড়া করার আগে ৩দিন সেখানে থাকতে হয়েছিল এবং সেটা ছিল করুন Experience.


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ভাই,
বাংলা ইংরেজী মিশিয়ে লিখলে পড়ার ফ্লো নষ্ট হয়।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

কবি এর ছবি

বাংলা কয়েকটি বর্ণ টাইপ করতে না পারার কারনে ইংলিশ দিয়েছিলাম, পরে এখন মাঊস দিয়ে পারছি। যেমন ক্ষ

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ম্যালাদিন আগে (যদি স্মৃতি প্রতারণা না করে) হাসনাত আবদুল হাইয়ের ভ্রমণকাহিনী ‌আন্দালুশিয়া'য় মুসলিম স্থাপত্যে ভরা গ্রানাডার কথা পড়েছিলাম। লেখার অসাধারণ গুণপনায় তখনই গ্রানাডাকে ভালোবেসেছিলাম। সে ভালোবাসা থেকেই আপনার লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

কবি এর ছবি

সামনের সপ্তাহে গ্রানাডার বিখ্যাত আল-হা্মরা দেখতে যাওয়ার কথা।
ছবি ও তথ্য সহকারে পেশ করবার চেষ্টা করব।

রণদীপম বসু এর ছবি

ভাই, দয়া করে লেখার ভেতরে তাড়াহুড়ো করবেন না। বিভিন্ন সাবজেক্ট-এর লিংক দিচ্ছেন এটা ইতিবাচক ব্যাপার। কিন্তু আপনার লেখার ভেতরে ছোট্টভাবে সেসবের পরিচয়টা উঠে আসা দরকার। লিংকে ঢুকলে লেখার ফ্লোটা সত্যি নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া লেখাটা দেবার সময় আপনি যদি মনে করেন যে প্রিণ্ট মিডিয়াতে প্রকাশিত হচ্ছে, তাহলে লিংকে ঢুকার প্রয়োজন বাদ দিয়ে কীভাবে বিষয়বস্তুটাকে নান্দনিক উপস্থাপন করা যায়, সেটাও আপনাকে ভাবতে হবে। আমি চাচ্ছি আপনি সেভাবেই ভাবুন। লিংক তো অবশ্যই দেবেন। তাতে লেখার তথ্যসমৃদ্ধির সাথে সাহিত্যগুণ আরো বেড়ে যাবে। আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে আরো বেশি।

লেখা চলতে থাকুক। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। ধন্যবাদ।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

কবি এর ছবি

কাচা হাতের লেখা। পরের লেখাতে জিনিস গুলি খেয়াল রাখব।

তীরন্দাজ এর ছবি

গ্রানাডা ঘুরে এলাম এবছরের জুনে। সে ভ্রমণ কাহিনী পড়ে দেখতে পারেন। আপনারও নিশ্চয়ই খুব ভালো লেগেছে ওখানে।

আপনার অভিজ্ঞতাও পড়বো।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

কবি এর ছবি

আল-হামরা নিয়ে আপনার লেখা পড়ে মুগ্ধ হলাম। সামনে কখনো এখানে আসলে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
আপনা্র জন্য একটা টাপাস পাওনা রইল।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

কাচা হাতের লেখা। পরের লেখাতে জিনিস গুলি খেয়াল রাখব।

-সব কাঁচাই এক সময় পাকে। ভয় পাইয়েন না! দেঁতো হাসি
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।