ছোট্ট গোল রুটি - ০৪

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি
লিখেছেন সংসারে এক সন্ন্যাসী (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/০২/২০০৮ - ৬:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, এই সিরিজটি পুরোপুরি সুশীল হবে। অতএব "স্পেশাল" কিছুর আশা করে কেউ হতাশ হলে সন্ন্যাসীকে দোষ দেয়া যাবে না দেঁতো হাসি

(খুদে রসগল্পের এই সিরিজে প্রকাশিতব্য অধিকাংশ গল্পই সোভিয়েত যুগের। রুশ ছাড়াও ইউক্রেনীয়, বেলারুশীয়, জর্জিয়ান বা অন্য সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলোর লেখকদের লেখা গল্পের অনুবাদও ছাড়া হবে এই সিরিজে। গল্পগুলো অবশ্যই মজার কৌতুকের মতো হাসি-উদ্রেককারী নয়, তবে পাঠকদের মনের ভেতরে একটা মুচকি হাসি যদি অন্তত জেগে ওঠে, তাতেই আমার তৃপ্তি।

অধিকাংশ গল্পই রুশ ভাষা থেকে অনূদিত। কয়েকটি ইউক্রেনীয় থেকে।

আজকের গল্পটি এক ইউক্রেনীয় লেখকের।)

__________

খিদে

অলেগ গ্রিশ্যেনকো

লোমশ হাতে একটা ছুরি তুলে নিলো লোকটি। ধার দেয়ার পাথরে ধার দিলো ধীরে-সুস্থে। তারপর এক হাতে ওকে ধরে ছুরিটা বসিয়ে দিলো ওর চামড়ার ভেতরে। লোভী চেহারায় পরম তৃপ্তির অভিব্যক্তি নিয়ে সে আস্তে আস্তে ছাড়িয়ে ফেললো ওর পুরো চামড়া। তারপর ছুরির তীক্ষ্ন অগ্রভাগ দিয়ে উপড়ে ফেললো ওর ছোট ছোট কালো চোখ।

এর পরে ছুরিটা পাশে রেখে দিয়ে ওকে টেবিল থেকে তুলে নিয়ে সে তত্ক্ষণাত্ ফেলে দিলো ফুটন্ত পানিতে।

সেদ্ধ হয়ে গেলে ছুরি গেঁথে ওকে সে তুলে ফেললো পানি থেকে, লবণ ছেটালো ওর শরীরের ওপরে, তারপর লোলুপের মতো বসিয়ে দিলো তার তীক্ষ্ন ধারালো দাঁত।

এক মিনিটের মধ্যে আর কোনও কিছুই অবশিষ্ট রইলো না আলুর।


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এক আলু ছিলতেই আপনের এতো আয়োজন তাইলে আসল কাম করার সময়তো মনে হয় পুরা হোমারের এপিকরেও হার মানাবেন।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

কথা হইলো, এইটা আমার রচনা না। আমি জাস্ট পিছনে পিছনে বাজনা বাজাইছি (অনুবাদন যারে কয়)। তাই আপনার অভিযোগ/খোঁচা আমার গায়ে লাগলো না হো হো হো

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

হুমম

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

হুমম-এর বদলে হুমম হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

মজা পেলাম তো!

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

সেটাই তো লক্ষ্য!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ধুসর গোধুলীর মন্তব্য....
হা হা হা হা

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

ধুসর গোধূলি ওই টাইপেরই। তাঁর চিন্তাধারার লাইন ওই একটাই, তবে পদে পদে নাউজুবিল্লাহ-আস্তাগফিরুল্লাহ বলে ওজুর বদনা নিয়ে দৌড়াদৌড়িতে তিনি কিন্তু সবার আগে! আল্লাহ তাঁর হেদায়েত করুক হো হো হো

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

না, মানে আপনার লাইগ্যা দোয়া করলাম। তয় আল্লা কি নাস্তিকের দোয়া লইবো? হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পিডা খাওনের সময় মুখ বন্ধ কইরা রাইখেন। পিডার সময় কথা কওয়া বহুত খারাপ কাম, তয় দোয়া করা খারাপ না।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অমিত আহমেদ এর ছবি

জটিলস্য।
এই গল্পের অনুবাদ রহস্য পত্রিকায় পড়েছিলাম।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

অনুবাদটা আমারই ছিলো হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অমিত আহমেদ এর ছবি

কন কি! তাহলে "লেখক-সম্পাদক" লেখাটার অনুবাদও কি আপনার ছিলো? আপনার ওই অনুবাদ পড়ে এত ভালো লেগেছিলো যে আমি নিজেও বেশ ক'টা লিখে ফেলেছিলাম!

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

হ্যাঁ।

এক সময়ে রহস্য পত্রিকায় প্রকাশিত "খুদে রসগল্প" সিরিজটি চালু করেছিলাম আমিই।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

দ্রোহী এর ছবি

ওরে খাইছে। আপনেই সেই পাব্লিক?


কি মাঝি? ডরাইলা?

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

খাইছে মানে? ডরাইলেন নাকি, মাঝি? হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এক সময়ে রহস্য পত্রিকায় প্রকাশিত "খুদে রসগল্প" সিরিজটি চালু করেছিলাম আমিই।

অবাক হলাম না। কারণ আগেই একবার বলেছি, অবাক হওয়ার ক্ষমতা আপনি নষ্ট করে দিয়েছেন! চোখ টিপি ছোটবেলার প্রিয় সব স্মৃতির সাথে জড়িয়ে ছিলেন, এখনও তা বেড়েই চলেছে। অসম্ভবরকম সন্মানিত, এবং একইসাথে ভাগ্যবান অনুভব করছি আপনার সাথে পরিচিত হতে পেরে। আমি ধন্য হাসি
_______________
বোকা মানুষ মন খারাপ

মহিউদ্দিন ডালিম এর ছবি

কোথায় যেন ইংরেজিতে গল্পটা পরেছিলাম ৷ তখন এত ভালো লাগে নাই কিন্তু বাংলাতে পড়ে খুব ভালো লাগছে ৷ছহ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।