তুমি মাতা, তুমি বধূ, তুমি কন্যা- তুমিই সুন্দরী রূপসী

শেখ নজরুল এর ছবি
লিখেছেন শেখ নজরুল [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৮/০৩/২০১০ - ১:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়নের রূপরেখা সরল, নাকি বৃত্তাকার? যে যাই বলুক, এই প্রশ্নের জবাব পাওয়া খুব সহজ নয়। কারণ গত এক দশকে বাংলাদেশের নারীর অধিকার যেমন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তেমনি ভূলুণ্ঠিতও হয়েছে। বিষয়টি কেবল যে নারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা নয়; পুরুষের ক্ষেত্রেও এর উত্তর পাওয়া কঠিন; তবে বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা পুরুষতান্ত্রিক হওয়ায় সুবিধার অনেকটাই যে পুরুষই ভোগ করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও সার্বিকভাবে নারীর অগ্রগতি লক্ষণীয়। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সেই চিত্র প্রতিফলিত। যেখানে সংসদীয় গণতন্ত্রের অন্যতম নিয়ামক হিসেবে ২০ ভাগ আসনে নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার একটি প্রয়াস ছিলো। বর্তমান সংসদের নির্বাচিত ৩০০ সংসদ সদস্যের মধ্যে ১৭ জন নারী সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সংরক্ষিত কোটায় আরও ৪৫ জন নারী যুক্ত হয়েছেন। অর্থ্যাৎ ৩৪৫টি আসনে ৬২ জন নারী সংসদ সদস্য প্রতিনিধিত্ব করছেন।

নারীর ক্ষমতায়নের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ উপ-নেতা, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, কৃষি, শিশু ও মহিলা মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে; এমনকি বিরোধিদলীয় নের্তৃত্বে নারীর প্রতিনিধত্ব বাংলাদেশের নারীর মতায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে অতি সহজে বিবেচনা করা যায়।

স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৬ সালের প্রথম তিন স্তরবিশিষ্ট স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা চালুর অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এই অধ্যাদেশে ইউনিয়ন পরিষদে নারী সদস্যদের জন্য ২২টি সংরতি আসনে মনোনয়নের বিধান সন্নিবেশিত হয়। ১৯৮৩ সালে ইউনিয়ন পরিষদ অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই সংখ্যা দুই থেকে তিনটিতে উন্নীত করা হয়। ১৯৯৩ সালে সংসদে ইউনিয়ন পরিষদ সংশোধিত বিল পাস হয়। সংসদে পাস হওয়ায় এ বিলে নারী সদস্যদের মনোনয়নের বিধান রহিত করে পরো নির্বাচন ব্যবস্থা চালুু করা হয়। ১৯৯৭ সালে পাস হওয়া ইউনিয়ন প্রতিনিধিত্ব সংক্রান্ত দ্বিতীয় সংশোধনীটি তৃণমূল নারীর মতায়নের ইতিহাসে মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ এর ফলে প্রথমবারের মতো মনোনয়ন ও পরো নির্বাচনের পুরনো পদ্ধতিগুলোকে বাদ দিয়ে নারী সদস্যদের সরাসরি নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। এই আইনে ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্যদের সংখ্যা ৩৩ জন রাখা হয়। এবং প্রতি তিনটি ওয়ার্ডের জন্য একজন নারী সদস্য নির্বাচনের বিধান চালু হয়।

জনগণের সরাসরি ভোটে পুরুষ প্রার্থীদের পরাজিত করে যে সব নারী প্রার্থী বিভিন্ন সময় নির্বাচনে জয়ী হন তারা নানান বাধা অতিক্রম করে সফলতার পরিচয় রাখেন। যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে কিছু অনাহূত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। যার থেকে বাংলাদেশকে বের হয়ে আসতে কিছুটা সময় লাগতেই পারে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১৯৮৮ সালে ৭৯ নারী চেয়ারম্যান পদে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অথচ নির্বাচনে পাস করেন মাত্র এক জন। এই সংখ্যা ১৯৯২ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ১৯ জনে। যেখানে ১১৫ নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৯৯৭ সালে ১১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বি নারীর মধ্যে ২০ জন জয়ী হয়। সর্বশেষ ২০০৩ সালের চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ২২ জন সফলতা পান।

২০০৮ সালে প্রকাশিত ‘ন্যাশানাল ওমেন্স ডেভলপমেন্ট’ পলিসিতে সংসদে নারীর জন্য সংরতি কোটা ৩০ থেকে ৪৫ এ উন্নীত হয়। এই সংস্থার অন্যতম ল্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে, রাজনীতি, সামাজ, প্রশাসন এবং অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করা। এই সংস্থা বিশ্বাস করে যে, ২০২০ সালের মধ্যে উল্লেখিত ক্ষেত্রে নারীরা এক তৃতীয়াংশ অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের সামাজিক প্রক্ষাপটে পুরুষের ক্ষমতার সাথে সমন্বয় সাধন করেই নারীকে তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে হয়; কারণ, নারীর সাক্ষরতা, বাল্য ও জোরপূর্বক বিবাহ, পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসন, নির্যাতন এবং চাকুরী ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রতিযোগিতা করেই টিকে থাকতে হয়।

UNICEF এর ২০০৮ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে নারীরা সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে যথেষ্ট নিরাপদ নয়। যেখানে মাত্র ১৩ ভাগ নারীর ক্ষেত্রে সুস্থ জন্মদান প্রক্রিয়া গ্রহণ সম্ভব হয়। তবুও ১৫ কোটি জনাধ্যুষিত এ দেশে, বিশেষকরে মুসলীম ধর্মাবলম্বী রাষ্ট্রে নারীদের সার্বিক উন্নতি আশাব্যঞ্জক। মাধ্যমিকস্তরে বর্তমান নারী শিক্ষার হার গত দশ বছরে বেড়ে প্রায় দ্বিগুন হয়েছে। ১৯৯১ সালে জাতীয় নিবন্ধনে নারী নিবন্ধন যেখানে ৩৩ ভাগ ছিল ২০০৫ সাল পর্যন্ত তা বেড়ে ৫৬ ভাগে উন্নীত হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার বর্তমানে প্রায় ৬০ ভাগে পৌঁছেছে। সম্প্রতি বাল্যবিবাহের হার কমেছে, বেড়েছে পুষ্টিমান। এবং নারীরা মোটা বেতনে চাকুরীর অধিকারও অর্জন করেছে। অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষায় ছাত্রী ও ছাত্রের আনুপাতিক হার ১৯৯২ সালে যেখানে ৩৪:৬৬ ছিল ২০০৫ সাল পর্যন্ত তা বেড়ে ৫০:৫০ এ উন্নীত হয়েছে।

কৃষিভিত্তিক কাজের বাইরে নারীদের বর্তমান অংশগ্রহণ বর্তমানে প্রায় ৬৫ ভাগ। বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৩০ লাখ নারী শ্রমিক গার্মেন্টস শিল্পে অত্যন্ত সফলতার সাথে কাজ করছেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি কিংবা বৃহদ শিল্পে নারীরা উদ্যোক্তা হিসেবেও ব্যাপকভাবে সাফল্য অর্জন করেছে। শিক্ষামাধ্যমে নারীরা অত্যন্ত সফলতার পরিচয় দিচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ৩৫০০০ হাজার সরকারী এবং রেজিষ্টার্ড প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষাদানে ৬০ ভাগ নারী শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন।

চিকিৎসা পেশায় পুরুষের চেয়ে নারীদের মেধা ও সুনাম কখনও কখনও পুরুষদের কাছে ঈর্ষণীয়। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে স্যাটেলাইট ও প্রিন্টিং মিডিয়ার প্রসার অভাবনীয় যেখানে নারীরা সাহস ও সুনামের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। অবস্থাদৃষ্টে প্রতীয়মান যে, নারীরা তাদের অন্ধবলয় ভাংতে সক্ষম হচ্ছেন। জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত নারী সংসদ সদস্যরা পুরুষদের পাশাপাশি সমান কণ্ঠে জাতীয় সমস্যার কথা বলছেন। সমাধানের বিষয়েও অবদান রাখছেন। জাতীয় অগ্রগতিতে নারীরা পুরুষদের পাশাপাশি সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, যদিও তারা সামাজিক-পারিবারিক নির্যাতন, বঞ্চনা থেকে এখনও পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেননি। সামষ্টিকভাবে আজও তারা নানান সামাজিক প্রতিবন্ধকতার শিকার।

বাংলাদেশের নারীদের অগ্রগতির সবচেয়ে বড় বাধা পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা। নারীর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বড় বাধা ধর্মান্ধ পুরুষদের বলয়বদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি। শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বৈষম্য যেমন আছে তেমনি আছে চাকরিক্ষেত্রে নানান প্রতিবন্ধকতা। চাকরি গ্রহণ এবং পারিশ্রমিক প্রাপ্তিতে তাদের যেমন বঞ্চনা আছে তেমনি আছে যৌন হয়রানীর মতো স্পর্শকাতর বিষয়। এসব বাধা বিপত্তি দূর হলে সমাজ যেমন উপকৃত হবে তেমনি বিস্তৃত হবে সার্বিক মূল্যবোধের পরিমণ্ডল। আর বলা সহজ হবে-তুমি মাতা, তুমি বধূ, তুমি কন্যা- তুমিই সুন্দরী রূপসী।


মন্তব্য

হাসিব এর ছবি

অনেক বিষয়ে দ্বিমত আছে ও সেই সাথে কিছু যোগ করতে চাই ।

যেমন,

  • কোটা দিয়ে উঠে আসা পদধারিরা তাদের যোগ্যতা দিয়ে উঠে আসলে সেটাকে আমি নারী অগ্রগতির সূচক বলতে রাজি । এরপরও কথা থাকে । ১৭ জন নারী সরাসরি ভোটে নির্বাচিত । এর মধ্যে মতিয়া চৌধুরির মতো নিজের রাজনীতির ক্যারিয়ার নিজের গড়ে তোলা কয়জন ? স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী (বা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী) কি নিজের যোগ্যতায় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়েছিলেন ? উত্তরটা আমরা জানি । এসব বিষয় বিবেচনায় আনলে বাংলাদেশের নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ অত্যন্ত সীমিত আকারে রয়েছে এটা আমি বলতে চাই ।

    একই কথা বলা যায় স্থানীয় সরকার পর্যায়ের অবস্থা সম্পর্কে । কোটা কোন অবস্থার সূচক হতে পারে । তবে এটা স্বীকার্য যে কোটা পদ্ধতি কিছু উদাহরণ সৃষ্টি করে যেটা ভবিষ্যত প্রজন্মকে ঘুরে দাড়াতে সাহায্য করে ।

  • পোস্টের এক জায়গায় মনে দেখলাম আপনি বলছেন ৩০ লাখ নারী শ্রমিক গার্মেন্টস শিল্পে সফলতার সাথে করছেন । এখানে কাজ করছেন পর্যন্ত ঠিক আছে । তবে সেটা সফলতার সাথে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায় । এই ৩০ লাখ শ্রমিকদের মালিকের সাথে দরকষাকষিতে ন্যুনতম ভূমিকায় যেতে পারেন না । কারাগারের মতো কারখানাগুলো কর্মক্ষেত্রে নিদারুণ ব্যবস্থায় শ্রমিক মৃত্যুর খবর নিয়মিত বিরতীতেই পাই আমরা । কর্মক্ষেত্রের পরিবেশের বাইরে দেশে কর্মজীবি নারীদের যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে আইনী কাঠামো, মাতৃকালীন অবকাশ, শিশুদের রাখার জন্য ডেকেয়ার সেন্টার ইত্যাদির কথা বলাইবাহুল্য ।

  • পোস্ট পড়ে মনে হয়েছে পুরুষতান্ত্রিকতা বাংলাদেশেরই সমস্যা । মূলত: এটা পুরো বিশ্বেরই একটা সমস্যা । আমি জার্মানির কথা বলতে পারি । এখানে কোন নারীকে একটু সম্মানজক জায়গায় পৌছতে হলে এখানে তাকে অবশ্যই "টাফ নাট" হতে হয় । গড়পড়তায় বেতনও কম পান পুরুষ সমকর্মীদের থেকে । চুল টেনে ঝুটি করে বেঁধে অফিসে যেতে হয় । (এটা বান্ধবীদের কাছ থেকে শোনা, রেফারেন্স চাইয়েন না চোখ টিপি )

শেখ নজরুল এর ছবি

আপনার সুগঠিত মন্তব্য পুরোপুরি অস্বীকার করা কঠিন। কিন্তু কিছু দ্বিমত আছে- জানি না আপনি স্বীকার করবেন কিনা? তবে আমি বুঝতে পারি এবং বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনা, বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের শুরুটা যে ভাবেই হোক না কেন?- এখন তা রেফারেন্স হিসেবে বিবেচনা করা কঠিন। আর নারী-পুরুষের যে পার্থক্য আছে এবং থাকবে তা হলো, শারিরীক। ধন্যবাদ আপনাকে।

শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

হাসিব এর ছবি

রেফারেন্স বিবেচনায় কঠিন হবে কেন? একজন সাধারণ ঘরের নারী ও একজন একই অার্থ-সামাজিক অবস্থায় বেড়ে ওঠা পুরুষের প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রধান হবার সম্ভাবনা কি সমান ? অবশ্যই না ।

অফটপিক: আপনি মনে হয় প্রথমে বিজয়ে লিখে তারপর ইউনিকোড করভার্ট করেন । এটা করলে "ক্ষ" অক্ষরটা উধাও হয়ে যায় । পরিবর্তিতে এই বিষয়টা মাথায় রাখবেন ।

প্রবাসিনী এর ছবি

নারীর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বড় বাধা ধর্মান্ধ পুরুষদের বলয়বদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি।

শুধু পুরুষরাও না, নারীরাও কিন্তু নিজেদের জন্য বিরাটা বাঁধা। আমরা যে সমাজ ব্যবস্থায় বাস করি, সেইটার ideology নারী পুরুষ নির্বিশেষে একটা বলয়বদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি করে।
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

শেখ নজরুল এর ছবি

সহমত। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

উদ্ধৃতি

বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৩০ লাখ নারী শ্রমিক গার্মেন্টস শিল্পে অত্যন্ত সফলতার সাথে কাজ করছেন।

উনাদের বেঁচেবর্তে থাকাই দায়। মালিক শ্রেণীর মুনাফায় সফলতা আসছে- আর কোথাও না। নারী শ্রমিকেরা এখানে শ্রমমেশিন ছাড়া আর কিছু না। এই ধরণের বাক্য প্রয়োগের আগে খুব খিয়াল কইরা।

শেখ নজরুল এর ছবি

আপনার মন্তব্য ঠিক বুঝলাম না। তবু ধন্যবাদ।
শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।