ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাঙালির অভিষেক।

থার্ড আই এর ছবি
লিখেছেন থার্ড আই (তারিখ: শনি, ০১/০৫/২০১০ - ৪:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রুশনারা আলীরুশনারা আলী
ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে আর মাত্র হাতে গোনা কয়েক দিন বাকী। আগামী ৬ মে জনগন জবাব দেবে তারা কি ১৩ বছরের সেই লেবার পার্টিকেই ক্ষমতায় বহাল রাখবে, নাকি পরিবর্তনের পথে পা বাড়াবে ? নিবার্চনকে ঘিরে যে কয়েকটি জরিপের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে সেই অনুয়ায়ী- লেবার, কনজারভেটিভ কিংবা লিবারেল ডেমোক্রেট কোন দলই একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাচ্ছেনা। সে কারনে এখনও পর্যন্ত নির্বাচনী বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১০ সনের নির্বাচনে ব্রিটেন ঝুলন্ত পার্লামেন্টের পথেই হাঁটছে।

নির্বাচনে যে দলই সরকার গঠন করুক না কেন, চলতি বছর ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সবচেয়ে বড় চমক একজন বাঙালি এমপির অভিষেক! এই বিয়টি এখন শুধু সময়ের ব্যপার মাত্র। বাঙালি অধ্যুষিত বেথনালগ্রীন ও বো নির্বাচনী এলাকায় সব বড় রাজনৈতিক দলগুলো বাঙালি প্রার্থী মনোনয়োন দেয়ার মাধ্যমে ব্রিটেনে বাঙালির তিন দশকের স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নিতে যাচ্ছে। লেবার দলীয় প্রাথী রুশনারা আলীকে ইভিনিংস্ট্যার্ন্ডার্ড পত্রিকা বলছে একহাজার শক্তিশালী লন্ডনারর্সদের মধ্যে একজন। তার প্রার্থীতা নিশ্চিত হয়েছে চার বছর আগেই। সিলেটের বিশ্বনাথে জন্ম নেয়া এই মেধাবী বিলেতে আসেন ৭ বছর বয়সে। গ্রাজুয়েশন করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। বেড়ে উঠেছেন পূর্ব লন্ডনে। তার আদর্শ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে লেবার পার্টির ইশতিহার রচয়িতা মাইকেল ইয়াং। ১৭ বছর আগে যে আদর্শকে ধারণ করে রুশনারা লেবার পার্টিতে যোগ দিয়েছেন সেই পার্টির হয়ে এখন বেথনালগ্রীন ও বো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নেমেছেন। নির্বাচিত হলে রুশনারা কর্মসংস্থানের প্রতি বেশী নজর দিবেন বলে জানিয়েছেন। রুশনারার পূর্ব সূরী উনা কিং ইতিপূর্বে এই আসনের এমপি ছিলেন। বিগত নির্বাচনে জর্জগ্যালাওয়ে উনা কিং কে পরাজিত করে। বেথনালগ্রীন ও বো এর এমপি নির্বাচিত হন। জর্জগ্যালয়ের প্রতিশ্র“তি ছিলো তাকে নির্বাচিত করলে তিনি আগামী নির্বাচনে বেথনালগ্রীন ও বো নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে দেবেন বাঙালির জন্য, জর্জ কথা রেখেছেন। আবজল মিয়াআবজল মিয়া
এবার তার উত্তর সূরী হিসাবে রেসপেক্ট দল থেকে মনোনয়োন পেয়েছেন আবজল মিয়া। সিলেটের গোলাপগঞ্জের বাঘির ঘাটে জন্ম নেয়া আবজল মিয়া বিলেতে আসেন ৬ বছর বয়সে। নৃ-তত্ব ও সামাজিক বিজ্ঞানে গ্রাজুয়েশন করেছেন লন্ডনের গোল্ড স্মিথ কলেজ থেকে। হাউজিং সমস্যার সমাধানের দিকে তিনি নজর দেবেন সবার আগে পাশাপাশি উচ্চ হারে ষ্টুডেন্টদের টিউশন ফির বিরুদ্ধে তিনি, এই সমস্যার কারণে বাংলাদেশীদের মতো দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উচ্চ শিক্ষার হার কমছে।
জাকির খান
নির্বাচনের মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে কনজারভেটিভ দল মনোনয়েন দিয়েছে জাকির খানকে। সিলেটের জগন্নাথপুর উপজেলার দাওরাই গ্রামে জন্ম নেয়া জাকির বাবা মায়ের সাথে বিলেতে আসেন তার বয়স যখন ৫ বছর। বর্তমানে ক্যানারী ওয়ার্ফ গ্র“পের হেড অব কমিউনিটি এফেয়্যার্সের দায়িত্ব পালন করছেন। তার নির্বাচনী অঙ্গীকার টরী দলের অবিভাসন নীতিকে নিয়ে যে বির্তক রয়েছে সেটি দূর করা, অভিবাসীদের বৈধ করে সরকারকে কর দিতে সহায়তা করবেন তিনি। তবে ব্রিটিশ জনগনের কাজের ক্ষেত্র নিশ্চিত করতে অদক্ষ অভিবাসীদের প্রতি তাদের কোন সমর্থন থাকবেনা।

আজমল মশরুর
সিলেটের ছাতকে জন্ম নেয়া আজমল মাশরুর প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন লিবারেল ডেমোক্রেট পার্টির টিকেটে। সিলেট শাহজালাল জামিয়া মাদ্রাসায় লেখাপড়া ছাড়াও ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে আরবি ভাষা ও পলিটিক্সএর উপর মার্স্টার্স করেছেন। ব্রিটেনে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে জনপ্রিয় টকশোর জন্যও পরিচিত আজমল মাশরুর। এছাড়াও গ্রীন পার্টি থেকে ফরিদ বখত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ব্যরিস্টার আহমেদ এ মালিক এই আসনে লড়বেন। সর্ব মোট বেথনাথ গ্রীন ও বো নির্বাচনী আসনে প্রার্থীর সংখ্যা ১১। এছাড়াও ওয়েষ্ট সাফোক নির্বাচনী এলাকা থেকে ওহিদ আহমেদ,কার্সালটন ওয়েলিংটন ও এলাকা থেকে ড. শফি খান, ডেবিজেস থেকে জুনাব আলী, ওল্ডহাম থেকে শহিদ মিয়া, পপলার ও লাইম হাউজ থেকে কবির মাহমুদ এমপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

তবে বেথনালগ্রীন ও বো নির্বাচনী এলাকায় মূল লড়াই হবে লেবার দলের রুশনারা আলী ও রেসপেক্ট দলের আবজল মিয়ার মধ্যেই । ২০০৫ এর নির্বাচনে এই আসনে বাঙালি প্রাথী শাহগীর বখত ফারুক ও সৈয়দ নুরুল ইসলাম দুলুর অবস্থান ছিলো তৃতীয় ও চতুর্থ। সেই নির্বাচনে লেবার দলীয় প্রার্থী উনা কিং কে জর্জ গ্যালাওয়ে মাত্র ৮২৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন। তাই রেসপেক্ট পার্টি তাদের আসন ধরে রাখার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে রয়েছে।

পাঠকের জেনে রাখা ভালো , ১৮৯২ সনে দাদা ভাই নওরজি ছিলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রথম এশিয়ান এমপি। ফিন্সবারী সেন্ট্রাল এলাকা থেকে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন লিবারেল ডেমেক্রেট পার্টি থেকে। বেথনালগ্রীন ও বো নির্বাচনী এলাকা থেকে ১৮৯৫ সনে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন এমএম ভাওয়ান গিরি। তার পর ১৯৮৭ সনে ৮২ বছর পর এশিয়ান প্রতিনিধির অভাব দূর করেন লেবার দলীয় এমপি কিথ ভাজ। চলতি বছর ব্রিটিশ পার্লামেন্টে নতুন ইতিহাস রচনা করতে যাচেছ সংখ্যা লঘুরা। বেথনালগ্রীন ও বো নির্বাচনী এলাকা হতে ১০৫ বছর পর কোন এশিয়ান প্রতিনিধি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রতিনিধি হচ্ছেন, আর সেই প্রতিনিধি একজন বাংলাদেশী বংশদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক।

বি:দ্র: লেখাটির অংশ বিশেষ আজ দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়েছে।


মন্তব্য

সাবিহ ওমর এর ছবি

হয়ত আমাদের কিছু যায় আসে না, কিন্তু এরকম ব্যাপারগুলো জানতে মজাই লাগে। আবজল মিয়া আর রুশনারা আলি নাম দু'টো শুনতে খুব ভাল লাগলো। আমার পৈত্রিক বাড়ি সিলেটের ওদিকটায়। এধরণের আরবি অপভ্রংশগন্ধী নাম ওখানে খুব কমন।

সচল জাহিদ এর ছবি

তানভীর ভাই আপনার লেখাটির সিংহভাগই আজ প্রথম আলোতে 'ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাঙালি' শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে ( প্রথম আলোর লেখাটি আপনারই লেখা অবশ্যই)। দুই একটি ছবি বাদে বাকী খবরটি সেখানেই পড়েছি। পাঠক হিসেবে সচলে প্রথম পাতায় পূনঃপ্রকাশের কোন কারন দেখছিনা কারন ইচ্ছে করলে প্রথম আলোর ওয়েবসাইট থেকেই এটি পড়তে পারি।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

থার্ড আই এর ছবি

কতৃপক্ষ চাইলে লেখা প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দিতে পারেন, এতে আমার কোন আপত্তি থাকবে না।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

অতিথি লেখক এর ছবি

পুরোটাই তো কপি পেস্ট, যদি একই লেখকের। প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ থাকলো। আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।

গোলাপী-মডু এর ছবি

লেখাটির প্রথম আলোতে প্রকাশিত: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-05-01/news/60244

কিন্তু প্রথম আলোয় প্রকাশিত লেখার তুলনায় সচলায়তনে প্রকাশিত লেখাটি তুলনামূলকভাবে পূর্ণ কলেবরে প্রকাশিত। বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। গোলাপী-মডুর মতামত হচ্ছে, এটি প্রথম পাতায় প্রকাশযোগ্য।

কিন্তু যেহেতু এটি গ্রে-এরিয়ায় পড়ে (নিয়ম ভাঙ্গে আবার ভাঙ্গেও না) তাই আমরা বিষয়টি দ্বিতীয়বার ভেবে দেখছি। আপনাদের সহযোগীতা কাম্য।

শরতশিশির এর ছবি

আমি এখানেই প্রথম দেখলাম, যদিও জানি কী হচ্ছে। সবাই নিয়ম করে রোজ 'প্রথম আলো' পড়ে না, আমি নিজেও না। কাজেই থাকুক। বরং এটা দেখে পেপারের লিঙ্ক-এ অনেকেই পড়তে যাবে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

পলাশ রঞ্জন সান্যাল [অতিথি] এর ছবি

সকালে প্রথম আলোতে পড়লাম। পড়ে এসে নেটে বসে তো অবাক। কিরে ভাই, একই লেখা কপি পেষ্ট মারলো কে?আসলে পত্রিকা পড়ার সময় লেখকের নামটা খেয়াল করা হয়নি।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল

তানভীর এর ছবি

থার্ডুদা, আপ্নে থাকেন কই? এক যুগ পরে মনে হয় আপ্নেরে দেখলাম!

থার্ড আই এর ছবি

মিতা, ইচ্ছে তো হয় প্রতিদিন লিখি কিন্তু সময় হয়না। আশাকরি আপ্নারে আর এক যুগ অপেক্ষা করাবো না। আজ রাতেই আরকেটা লেখা নামাবো ।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

রানা মেহের এর ছবি

থার্ড আইয়ের প্রোf পিকটা যে কী জোস খাইছে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

রানা মেহের এর ছবি

থার্ড আইয়ের প্রোফ পিকটা যে কী জোস খাইছে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

থার্ড আই এর ছবি

রানা মেহের, দিনে দিনে যে হারে চুল পাকছে তাই বাল্য কালের ছবি দিয়ে খানিকটা দৃষ্টি আকর্ষণের অপচেষ্টা!
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

গৌতম এর ছবি

বাংলাদেশের সাতটি বিভাগের মধ্যে পড়ালেখার দিক দিয়ে সিলেট বিভাগের অবস্থান সবচেয়ে নিচে। সাক্ষরতার হার, বিদ্যালয়ে ভর্তির হার, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্নের হার, ঝরে পড়ার হার, শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স-- সব দিক দিয়েই সিলেট বাংলাদেশের অন্য সব বিভাগের চেয়ে পিছিয়ে আছে। অথচ আর্থিক দিক দিয়ে বিভাগটি বেশ এগিয়ে আছে। সিলেট বিভাগের প্রচুর মানুষ ইংল্যান্ডসহ মধ্যপ্রাচ্যের নানা দেশে কর্মরত, কিন্তু নিজ বিভাগের শিক্ষার ব্যাপারে সবাই উদাসীন।

যদিও এই ক'জন এখন অন্য দেশের নাগরিক, কিন্তু তাঁদের শেকড়টা যেহেতু সিলেট, তাই তাঁরাসহ প্রবাসী-সিলেটিরা যদি নিজেদের বিভাগকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, তাহলেই কেবল এই খবরগুলো আমাদের মধ্যে আশাবাদ জাগাবে। নইলে আরেক দেশে কে কখন এমপি হচ্ছে, সেগুলো জেনে আমাদের আসলে কোনো লাভ নেই!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

থার্ড আই এর ছবি

গৌতম আপনার সাথে একটা পয়ন্টে খানকিটা ভিন্ন মত পোষন করছি। যাদের কথা আমরা আজকে লিখছি তারা কিন্তু বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে যাচ্ছে না বরং বেথনালগ্রীন ও বো নির্বাচনী এলাকার জনগনের প্রতিনিধিত্ব করারই অঙ্গীকার করেছেন। স্থানীয় অধীবাসীদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ যেহেতু বাংলাদেশী বংশদ্ভুত সেই অর্থে ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের চাওয়া পাওয়া গুলোই প্রাধান্য পাওয়া স্বাভাবিক। তবে অপর ব্রিটিশ নাগরিকদের বিষয়গুলোকেও তাদের বিবেচনায় আনতে হবে।

আর বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে শিক্ষার প্রসারে এই এমপিদের ভুমিকা রাখার পরিধী খুব সীমিত। কেননা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট নামে ব্রিটিশ সরকারের একটি মন্ত্রনালয় রয়েছে যারা অন্নুনত ও উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়নের জন্য সহায়তা করে থাকে। তবে ব্রিটিশ বাংলাদেশীরা যারা প্রতি বছর রমজান মাসে মসজিদ মাদ্রাসার ইট আর জায়নামাজ কেনার জন্য যে পরমিনার দান খয়রাত করেন, সেই অর্থ দিয়ে সিলেট অঞ্চলে বছর বছর গন্ডায় গন্ডায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন সম্ভব। প্রয়োজন পলিসি আর সদিচ্ছা।
আপনাকে ধন্যবাদ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

সাবিহ ওমর এর ছবি

তবে ব্রিটিশ বাংলাদেশীরা যারা প্রতি বছর রমজান মাসে মসজিদ মাদ্রাসার ইট আর জায়নামাজ কেনার জন্য যে পরমিনার দান খয়রাত করেন, সেই অর্থ দিয়ে সিলেট অঞ্চলে বছর বছর গন্ডায় গন্ডায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন সম্ভব।

আপনি এই কথা সিলেটে গিয়ে বলেন, আপনার বাসায় ঐদিন রাতেই বোম পড়বে। এরা জাহানারা ইমামের নামে হল হতে দেয় নাই...আজব পাব্লিক...

থার্ড আই এর ছবি

সাবিহ ওমর আমাদের একটা সমস্যা কি জানেন? যারা এই ভাবে না বুঝে দিনের পর দিন অর্থ ব্যয় করে যাচ্ছে তাদের কিন্তু দেখার সুযোগ নেই তাদের পয়সা আদৌ মসজিদ তৈরীতে ব্যয় হচ্ছে কিনা। আমরা একদল রাজনীতি প্রিয় মানুষ আছি যারা গনহারে এসকল লোককে জামায়াত ও জঙ্গী বলে আমাদের সাথে দূরত্ব তৈরী করে ফেলি। ধর্মভীরু এই মানুষগুলোকে আলোর পথ দেখাতে আমাদের উৎসাহ কম। আমাদের বাসায় বোমা পড়ুক আর আমরা রক্তাক্ত হই এই কথা গুলো কিন্তু আমাদের বার বার উচ্চারণ করতে হবে।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

সাবিহ ওমর এর ছবি

বিরাট গিয়াঞ্জাম...

অতিথি লেখক এর ছবি

অবশেষে সকল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে হাউস অব কমন্সে প্রথম বাঙ্গালী এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রুশনাআরা আলী (http://www.rushanaraali.org/index.php?id=25)। তার বিজয়ের মাধ্যমে লেবার পার্টি টাওয়ার হ্যামলেটসে বিজয়ের ধারায় ফিরে এল । হাউস অব কমন্সে বাংলাদেশীদের নিজেদের একজনকে পাঠানোর স্বপ্ন বাস্তব রূপ পেয়েছে রুশনাআরা আলীর বিজয়ের মাধ্যমে ।
রুশনাআরা আলীর কাহিনী অন্যান্য বাংলাদেশী ব্রিটনদের মত একইরকম । মাত্র ৭ বছরের মাথায় তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ থেকে বিলাতে আসেন । তবে অন্যান্য অভিভাসীদের থেকে তার পরবর্তী জীবনের কাহিনী একটু আলাদা । অক্সফোর্ডের গ্রাজুয়েট আলী কমিউনিটির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে আত্মনিয়োগ করেন এবং সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ।
২০০৯ সালে প্রকাশিত সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০০ লণ্ডনারের তালিকায় তার নাম ছিল যা তাকে পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসে । তার চেহারার গ্ল্যামার এবং বাস্তবজ্ঞান তাকে অন্যান্য ইস্ট লণ্ডনার থেকে আলাদা করে । টাওয়ার হ্যামলেটসে 'সামার বিশ্ববিদ্যালয়' প্রতিষ্ঠা তার বিশেষ কীর্তি ।
দেখা যাক হাউস অব কমন্সে তার পারফর্মেন্স কি রকম ?

ওলি
oli

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।