গ্লাইস আইনস

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: বুধ, ০১/০৮/২০০৭ - ৩:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এইটাও সামহোয়ার থিকা কাটপেস্ট চোখ টিপি

বছর দুই আগের কথা। স্টুটগার্ট থেকে কাসেলে পৌছতে রাত ১২টা বেজে গেল। স্টেশন থেকে বের হবার মুখে ধুন্ধুমার বৃষ্টি। জ্ঞানীলোকের মতো ছাতা ছাড়াই বেরিয়েছিলাম বাসা থেকে। সুতরাং স্টেশনে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্দি। মেজাজ ৯ম এ উঠে গেল। বার্গার কিং এ গেলাম মুততে। গিয়ে দেখি টয়লেট বন্ধ। ভ্রাম্যমাণ বীয়ার রসিকদের প্রবাহ ঠেকাতে এই ব্যবস্থা। অনুরোধ করে কোন রকমে প্রাণরক্ষা হলো। তারপর আবার বাইরে। এই মাথা ঐ মাথা করলাম মিনিট বিশেক। বৃষ্টি থামার নাম নেই।

স্টেশনের এক কোনায় রেস্টুরেস্ট কাম বার কাম উইকেন্ড ডিসকো "গ্লাইস - ১"। সেখানে কি যেন একটা পার্টি। এন্ট্রি ফি ৩ ইউরো। ২ দিন আগে পাওয়া বেতনের টাকা পকেটে কুড়কুড় করছিল। বৃষ্টির অবস্থা দেখে ঢুকে পড়লাম সাত-পাঁচ ভেবে। ঢোকার মুখেই সেরম একপিস মসলা তরুণী ফ্রি টাকিলা এগিয়ে দিল। তার ঋদ্ধি কামনা করে গিলে ফেললাম কোঁৎ করে। তারপর অন্দর মহলে প্রবেশ। বারের সামনে জটলা। লাইন ভেঙে এগিয়ে একটা সাদা বীয়ার নিয়ে গেলাম নাটমঞ্চের দিকে। দেখি অনেক নাচানাচি চলছে তবে খুব ভদ্রধরণের। জাবড়াজাবড়ি দুরে থাক নারী-পুরুষ রীতিমতো দূরত্ব বজায় রেখে নড়াচড়া করছে। তবুও আলো-আঁধারিতে দাড়িয়ে নাচ দেখতে থাকি। ডিসকোর নাচানাচিতে কোনকালে নেই। মানে আমি পারি না আর কি। পাশে এক স্বর্ণকেশী জানতে চাইলো কয়টা বাজে? বললাম। সে ধন্যবাদ দিয়ে ঢুকে গেল নাচে। একাই। একটু পরে দেখি আরো এক স্বর্ণকেশী তার সাথে জুটলো। এর মধ্যে ডিজে সালসার ঘোষনা দিল। বাম কাঁধে পাপবুদ্ধি খোঁচায় নেমে পড় বরখুরদার নেমে পড়। সাড়ে চার ইউরো এভাবে জলে দেওয়া ঠিক না। একটা কিছু কর।

মানসিক প্রস্তুতি নেবার চেষ্টা করছি। এমন সময় কুড়কুড় করে শুরু হলো সালসা। এ কি! গোলাম রসুল আর সর্বাত্মক ভেজিটেরিয়ান জোড়ায় ভরে গেল লাউঞ্জ! বাম কোনা থেকে দেখি এক অতিকায় গামা ভদ্রলোক হাসি হাসি মুখে এদিকে তাকায়। পকেট থেকে এন্ট্রির রশীদটা দেখলাম আলোতে এসে। দেখি লেখা আছে Party for brothes and sisters! Others stay at home

তারপর? বৃষ্টিতে ভিজে পরদিন কম্পক্ষে ৪৯ টা হাঁচি দিছি।


মন্তব্য

অরূপ এর ছবি

ফাঁকিবাজ!!! লিখতে শরম লাগে?
রেগে টং

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এমন চিপায় পড়ছি যে শরম টরম সব উদ্বায়ূ হইয়া গেছেগা...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

চিপায় যখন আছেন তখন চাইপা ধরেন। শরমটা আপনাকে মোকাবেলা করেন আর রস যা পাওয়া যাবে তা এইখানে দেন।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

সুমন চৌধুরী এর ছবি

অশ্লিল......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

সবুজ বাঘ এর ছবি

নিরীহ বিস্কুটখাইকা আছো কেমুন?

সুমন চৌধুরী এর ছবি

একটু আগে দুইটা নাকই বন্ধ ছিল। মিনিট দশেক হয় একটা খুলছে। নাক বন্ধ থাকলে মনে হয় দুনিয়া একজায়গায় দাড়াইয়া রইছে। আকাশে খাচ্চৈরা মেঘ। ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব কিন্তু ঠান্ডা না। জ্যাকেট না পড়লে ঠান্ডা লাগে। পড়লে ঘামে চুপচুপা। এইরকম একটা অশ্লিল দিনেও দুই একটা ছোটখাটো আনন্দের কথা থাকতে পারে। এই যেমন আইজকা রাইত আটটায় রওনা দিমু মিউনিখ। ফিরুম রোববার। তুমার খবরকি?
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

সবুজ বাঘ এর ছবি

আমারো নাক বদ্দ। উফরুন্তু গলায় কাশ। কতা কউন নাগতাছে ফ্যাসফ্যাঁস কইরা। তাই বিশি কিছু কইয়া হারতাছি না, এই মুহূর্তে। একটা নীল রংয়ের ঘুড়া নিয়া একটা ছুট গল্ফ লেকপার চাইতাছি, ক্যামনে হইব?

সুমন চৌধুরী এর ছবি

উত্তম
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।