পাবলিক এনিমিজ

তানভীর এর ছবি
লিখেছেন তানভীর (তারিখ: রবি, ২৬/০৭/২০০৯ - ১২:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ হলে গিয়ে ‘পাবলিক এনিমিজ’ দেখে আসলাম। আমার ইতিহাস-নির্ভর ছবি ভালো লাগে। কান autoঝালাপালা করা গোলাগুলির অংশ ছাড়া এ ছবিটিও মন্দ লাগে নি। তাছাড়া ‘সিক্রেট উইন্ডো’ দেখার পর থেকে জনি ডেপের প্রায় সব ছবিই দেখতে চেষ্টা করি। এ ছবিতে অবশ্য কাহিনীর কারণেই হয়তো জনি ডেপের তেমন অভিনয় করার সুযোগ ছিল না। সে মাপের অভিনয়ও তাই দেখতে পাই নি। তবে সব মিলিয়ে আমার কাছে ভালো লেগেছে।

আমেরিকায় ত্রিশ দশকের সময়কালীন গ্রেট ডিপ্রেশন বা মহামন্দার সময়ে দাগী আসামীদের উৎপাত বেড়ে যায়। জন ডিলিঞ্জার, বেবি ফেইস নেলসন, প্রিটি বয় ফ্লয়েডের মতো ব্যাংক ডাকাতরা এবং আল কাপোনশিকাগো গ্যাংস্টাররা এ সময় ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তোলে। তখন এফ বি আই-এর নাম ছিল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন। জন ডিলিঞ্জারের মতো বিভিন্ন স্টেটে ব্যাংক ডাকাতি করা ক্রিমিনালদের ধরার জন্য BOI-কে একটি ফেডারেল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রয়োজনীয়তা এসময়ে অনুভূত হয় এবং পরিণতিতে এফবিআই জন্মলাভ করে। ব্যুরো ডিরেক্টর জন এডগার হুভার ডিলিঞ্জার ও অন্যান্য দাগী ক্রিমিনালদের ‘পাবলিক এনিমি’ আখ্যা দিয়ে আমেরিকার প্রথম ‘ওয়ার অন ক্রাইম’ শুরু করেন। আমেরিকার ইতিহাসে তাই এ সময়কাল (১৯৩১-৩৪) ‘পাবলিক এনিমি এরা’ এবং এফবিআই উত্থানের সময় হিসেবে চিহ্নিত। উল্লেখ্য মাইকেল মান পরিচালিত এ ছবিটি ব্রায়ান বরোর নন-ফিকশন বই- ‘পাবলিক এনিমিসঃ আমেরিকা’স গ্রেটেস্ট ক্রাইম ওয়েভ এন্ড দ্য বার্থ অফ এফবিআই, ১৯৩৩-৩৪’ অবলম্বনে নির্মিত। হুভার এ সময় জন ডিলিঞ্জারকে (যার ভূমিকায় জনি ডেপ অভিনয় করেছেন) ধরার জন্য এফবিআই এজেন্ট মেলভিন পারভিস তথা ক্রিশ্চিয়ান বেইলকে নিয়োগ দেন। ছবিতে মূলত এফবিআইকে নাকানি-চুবানি খাইয়ে জনি ডেপের বিভিন্ন কার্যক্রম এবং শেষমেষ মেলভিন বা ক্রিশ্চিয়ান বেইলের হাতে কীভাবে ডিলিঞ্জার ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা (বেবিফেইস নেলসনসহ) খতম হয়েছিল তা দেখানো হয়েছে। এক হিসেবে একটা সময়কে তুলে ধরার প্রচেষ্টা বলা যায়। যদিও গোলাগুলির সাউন্ড এফেক্টগুলো বেশি সুখকর নয় এবং সে সময়ের প্রেক্ষিতে একটু অতিরঞ্জিতও মনে হয়েছে।

সিনেমার কাহিনীর মধ্যে আর ঢুকলাম না। ইতিহাসেই থাকি বরং। জন এডগার হুভারের কথা বলছিলাম। হুভার ছিলেন এফবিআইয়ের প্রথম এবং সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ডিরেক্টর। এবার ওয়াশিংটন ডিসি গিয়ে এফবিআই বিল্ডিং দেখে এসেছি, যার নাম- ‘জে এডগার হুভার বিল্ডিং’। হুভারের প্রচেষ্টাতেই ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগশনকে ফেডারেল প্রতিষ্ঠান বা এফবিআইতে পরিণত করা হয় যার অনুঘটক ছিল জন ডিলিঞ্জারের মতো ক্রিমিনালরা- যা আগেই বলেছি। এছাড়া এফবিআইকে আধুনিকীকরণ, অত্যাধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা ইত্যাদির মাধ্যমে হুভার এফবিআইকে একটি দারুণ গতিশীল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন। BOI এবং FBI মিলে হুভার প্রায় ৪৮ বছর ডিরেক্টর হিসেবে ছিলেন! মজার ব্যাপার হচ্ছে জীবদ্দশায় হুভার যতটা হিরো হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তার মৃত্যুর পর ক্ষমতার অপব্যবহারসহ আরো নানা কুকীর্তির খবর বের হয়ে আসে। রাজনীতিকরা তাঁর বিরূদ্ধে নির্যাতন ও অবৈধ প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের অভিযোগ আনেন। এ কারণে আইন করে হুভারের পরবর্তী এফবিআই ডিরেক্টরদের মেয়াদ সর্বোচচ দশ বছর রাখা হয়েছে। এছাড়া এসব অপরাধের খবর জানাজানি হবার পর কয়েকবার সিনেটে এফবিআই বিল্ডিং-এর নাম পরিবর্তন করার প্রস্তাব আসে। এক সিনেটর বলেছিলেন- “এফবিআই বিল্ডিং-এ হুভারের নাম একটা কলংকের দাগের মতন”! তবে বেশ কয়েকবার প্রস্তাব এলেও তার অবদানের কথা ভেবেই হয়তো তা কখনো গৃহীত হয় নি।

শোনা যায়, জন ডিলিঞ্জারকে হত্যার পর এজেন্ট মেলভিন পারভিস মিডিয়ায় খুবই বিখ্যাত হয়ে উঠলে, হুভার তাতে খুবই হিংসা অনুভব করে তাকে নানাভাবে দমানোর চেষ্টা করেন। মেলভিন কিছুদিন পরেই ১৯৩৫ সালে এফবিআই থেকে অবসর নেন এবং আইনজীবি হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬০ সালে বন্দুকের গুলি পরিস্কার করার সময় আহত হয়ে তিনি মারা যান, যদিও প্রাথমিকভাবে অনেকে ধারণা করেছিল যে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। বাজারে গুজব রয়েছে, যে বন্দুকটির গুলিতে তিনি মারা যান সে একই বন্দুক তিনি ডিলিঞ্জারকে হত্যার সময় ব্যবহার করেছিলেন!

যাই হোক, হুভারকে মনে হয় তার জীবদ্দশাতেও লোকজন বেশি পছন্দ করত না। ছবিতে একটা দৃশ্য রয়েছে- ডিলিঞ্জারদের উৎপাতের সময় হুভার যখন সিনেটে এফবিআই করার জন্য আইনি প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন, তখন এক সিনেট হিয়ারিং-এ তাকে জিজ্ঞেস করা হল- তুমি এ পর্যন্ত কয়টা ক্রিমিনাল ধরেছো? হুভার যখন বিশাল হিসাব দিতে যাচ্ছিল আমরা এতগুলো ধরেছি, তাকে থামিয়ে দিয়ে আবার প্রশ্ন করা হলো- না, তুমি নিজে কয়জনকে ধরেছ? বেচারা আমতা আমতা করে বলল- আমি একজন এডমিনিস্ট্রেটর, আমার কাজ ক্রিমিনাল ধরা না। তার মুখের ওপর সোজা বলা হল- তুমি কোন ফিল্ড এক্সপেরিয়েন্স ছাড়া এত বড় একটা ডিপার্টমেন্ট চালাচ্ছ! তুমি তো একটা ফ্রড। চিন্তা করলাম বাংলাদেশের সরকারী সব বিভাগের বড় বড় হর্তাকর্তাগুলোকেও একই প্রশ্ন করা যায়। কেউ কোন ফিল্ড এক্সপেরিয়েন্স ছাড়াই বোধহয় পদগুলো দখল করে আছে। কিন্তু প্রশ্ন করার মত সৎ সাহস বা সদিচ্ছাও কারো নাই।

ছবির শেষ দৃশ্যগুলোও বেশ টাচি। ডিলিঞ্জার গুলি খেয়ে মাটিতে লুটার পরে বিড়বিড় করে কী যেন বলছিল। যে এজেন্ট তাকে গুলি করেছিল সে মাটিতে বসে কান পেতে শোনার চেষ্টা করল। মেলভিন যখন তাকে জিজ্ঞেস করল ডিলিঞ্জার কী বলছিল এজেন্ট বলল-‘আমি কিছু শুনতে পাই নি’। পরে জেলখানায় সেই এজেন্ট ডিলিঞ্জারের গার্লফ্রেন্ড বিলির সাথে দেখা করে বলল- ডিলিঞ্জার আমাকে তার শেষ কথাগুলো বলে গেছে-"Tell Billie for me, 'Bye bye Blackbird.'" ডিলিঞ্জার আর বিলি প্রথম দেখা হওয়ার সময় এ বিখ্যাত গানের তালে তালেই একসাথে নেচেছিল। বিদায়বেলায় তাই ডিলিঞ্জার এ গানের কথা উচচারণ করেই প্রিয়তমাকে বিদায় জানাল।

গ্রেট ডিপ্রেশন ও গ্যাংস্টারদের নিয়ে এরকম আরো হলিউডি ছবি আছে। মূলত এফবিআইয়ের সাথে লিংকটাই এ ছবিটিকে একটু অনন্য করেছে। এ ধরনের ছবি যদি পছন্দ করেন, তবে যারা এখনো দেখেন নি ‘পাবলিক এনিমিজ’ দেখতে পারেন।


মন্তব্য

পারভেজ আহমেদ এর ছবি

'সিক্রেট উইন্ডো' দেখার আগ পর্যন্ত আমি জনি ডেপ-এর খুব একটা ফ্যান ছিলাম না, কিন্তু ডেপ-এর এ বিষয়টা খুব ভাল লাগে যখন দেখি ডেপ কোন মুভিতে নিজেই হিরো, আবার নিজেই ভিলেন (সিক্রেট উইন্ডো/পাইরেটস অফ ক্যারিবিয়ান-এর মতো)। 'পাবলিক এনিমিস' দেখতে অনেক আশা নিয়ে বসেছিলাম যে জনি ডেপ-এর অভিনয়ের কারণেই ভাল লাগবে, সেটা হলো না। 'পাবলিক এনিমিস' কিছুটা বোরিং লেগেছে আমার কাছে। ক্যামেরার কাজ খুব খারাপ, রিয়েলিস্টিক করার জন্য ক্যামেরাম্যানের নড়াচড়া ও ক্যামেরা কাঁপিয়ে সিকোয়েন্স তৈরি (যেটা অনেক একশন মুভির ক্ষেত্রেই এখন স্বাভাবিক) - এগুলো ভাল লাগেনি। আর এত বড় পাবলিক এনিমি জন ডিলিঞ্জার তাকে নিয়ে করা স্পেশাল পুলিশ ব্রাঞ্চ-এর ভেতর থেকে ঘুরে আসে অথচ তাকে কেউ দেখতেই পায়না, তার গার্লফ্রেন্ড যখন পুলিশের কাছে জিম্মি তখন সে সিনেমা দেখতে যায়, তারপর মারা পড়ে - এগুলোও হাস্যকর মনে হয়েছে। মোট কথা, জনি ডেপ-এর ছবি যে রকম মানের হয় (অবশ্যই মনে ইচ্ছেটা থাকে এরকম যে সব ছবিই সিক্রেট উইন্ডোর মতো ঘোর লাগানো টাইপ হবে), সে রকম হয়নি। ... তানভীরকে ধন্যবাদ জানাই সিনেমার রিভিউটা বাংলায় লেখার জন্য।

"চিন্তা করলাম বাংলাদেশের সরকারী সব বিভাগের বড় বড় হর্তাকর্তাগুলোকেও একই প্রশ্ন করা যায়।" ... কে প্রশ্নটা করবে ভাই?!

তানভীর এর ছবি

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। হ্যাঁ, পুলিশ ব্রাঞ্চের ভেতর থেকে ঘুরে আসাটা বেশ হাস্যকর, ডাকাতির দৃশ্যগুলোও নাটকীয়, তবে সিনেমা দেখতে যাওয়া ও মারা পড়ার বিষয়টা সত্যি; যদিও মারা যাওয়ার সময় সে আসলে কোন কথাই উচচারণ করে নি। ওপরে লিংক থেকে ডিলিঞ্জারের জীবনী পড়ে দেখতে পারেন। তবে মাইকেল মানকে আমি কৃতিত্ব দেব এ কারণে যে আর দশজন ছবিটা বানালে মেলভিন পারভিসকেই হয়তো হাইলাইট করত এবং সেটা করাই সহজ ছিল। ডিলিঞ্জারকে হাইলাইট করতে গিয়ে ছবিতে বাড়তি অনেক কিছু ঢোকাতে হয়েছে, যার অনেক কিছু ইতিহাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

অমিত আহমেদ এর ছবি

জনি ডেপের ভক্ত আমি সিক্রেট উইন্ডর আগে; সেই এডোয়ার্ড সিজরহ্যান্ডস-এর সময় থেকে। রিভিউ ভালো লেগেছে। কারিগরি বিষয়গুলো নিয়ে এক-দু'লাইন লিখলে আরো ভালো লাগতো। সিনেমাটা দেখার ইচ্ছে আছে, ফেরত গিয়েই দেখে ফেলবো।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

তানভীর এর ছবি

এডওয়ার্ড সিজরহ্যান্ডস মনে হয় এক সময় স্টার মুভিজে প্রায়ই দেখাত। কাঁচিওয়ালা জনি ডেপকে তখন দেখেছিলাম, মনে পড়ছে দেঁতো হাসি । কারিগরী বিষয়গুলো ভাল বুঝি না। তাই ওপথ মাড়াই নি খাইছে পারভেজ আহমেদ ওপরে একটু বলেছেন ক্যামেরা কাঁপাকাঁপি ইত্যাদি। সম্ভবত বেশি দর্শক টানার জন্য এটাকে একটু বেশি একশনধর্মী বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে, যা না করলেই হয়তো ভালো হতো।

মধ্যসমুদ্রের কোলে এর ছবি

ভালো লাগলো পড়ে। গত মাস থেকেই ঘুরেফিরে এই ছবির ওয়ালপেপার থাকছে আমার ডেস্কটপে। কিন্তু এখনো ভালো টরেন্ট পেলাম না। ম্যারিয়ন কে নিয়ে কিছু বললেন না? আমার খুব প্রিয় একট্রেস।

তানভীর এর ছবি

ধন্যবাদ। আসলে সে অর্থে রিভিউ লিখি নি। সিনেমার কাহিনীর পেছনের গল্পগুলো শুধু ঝালাই করছিলাম। ম্যারিয়নের অভিনয় দুর্দান্ত লেগেছে। নাটকীয়তা আর একশনের মাঝখানে তার অভিনয় ছিল বেশ স্বাভাবিক। বড়ই সৈন্দর্য্য!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দারুণ লাগল রিভিউটা, তানভীর ভাই।

আমি জনি ডেপের চরম ভক্ত। মনে হয় সেই 'সিক্রেট উইন্ডো' দেখার পর থেকেই, অথবা 'ডনি ব্রাস্কো' দেখে। ঠিক মনে নেই। তবে এ পর্যন্ত ওঁর যতগুলো ছবি দেখেছি, মুগ্ধ হয়ে অভিনয় দেখে গেছি। এত দুর্দান্ত অভিনয় কীভাবে যে করতে পারে!

এই সিনেমাটাও দেখার ইচ্ছা আছে।

তানভীর এর ছবি

ধন্যবাদ প্রহরী। দেখে ফেলুন তাড়াতাড়ি।

খেকশিয়াল এর ছবি

আগে দেইখা লই, পড়ে পড়ুম দেঁতো হাসি
জনি ডেপের লগে খাতির আমারো সিজরহ্যান্ড থিকা, যদিও অনেক আগে দেখছিলাম তার নিজের প্রথম মুভিটা, নাইটমেয়ার অন এল্ম স্ট্রিট। অনেক পরে যখন জানতে পারি যে এই মুভিতে সে আছিলো তখন আবার দেখি আর মজা পাই। এরপর তো আর থাইমা থাকতে হয় নাই দাদারে .. স্লিপি হলো, ডনি ব্রাস্কো, ফ্রম হেল, গিলবার্ট গ্রেপ, সিক্রেট উইন্ডো.. ব্যাটার তুলনা নাই। জনি ডেপরে খুইজা বের করে নিকোলাজ কেইজ, সেই প্রথম বলে 'ব্যাটার মধ্যে জিনিস আছে! এরে ধর!'

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

তানভীর এর ছবি

সিজরহ্যান্ড যে জনি ডেপ আমি কখনো খেয়াল করি নাই। পিচচি কোন পোলাপাইন মনে করসিলাম খাইছে তখন অবশ্য চিনতামও না।

রাগিব এর ছবি

তানভীর ভাই, পারলে বনি অ্যান্ড ক্লাইডের সিনেমাটা, আর গল্পটাও পড়ে নিয়েন। সেই সময়কার আউটলদের মধ্যে বনি ব্যতিক্রম -- এক গাদা পুরুষের মাঝে বনি পার্কার স্থান করে নিয়েছিলো, কবি হিসেবে, কিংবা তার স্টাইলিশ ফটোগুলোর জন্য কিনা কে জানে।

বনি তার পরিণতির কথা জানতো, লিখে গেছে এক কবিতায়।

Saga of Bonnie and Clyde
-------------------------

You’ve read the story of Jesse James
Of how he lived and died
If you’re still in need for something to read
Here’s the story of Bonnie and Clyde.

Now Bonnie and Clyde are the Barrow gang,
I’m sure you all have read
how they rob and steal
And those who squeal are usually found dying or dead.

There’s lots of untruths to those write-ups
They’re not so ruthless as that
Their nature is raw, they hate all law
Stool pigeons, spotters, and rats.

They call them cold-blooded killers
They say they are heartless and mean
But I say this with pride, I once knew Clyde
When he was honest and upright and clean.

But the laws fooled around and taking him down
and locking him up in a cell
‘Till he said to me, "I’ll never be free
So I’ll meet a few of them in hell."

The road was so dimly lighted
There were no highway signs to guide
But they made up their minds if all roads were blind
They wouldn’t give up ‘till they died.

The road gets dimmer and dimmer
Sometimes you can hardly see
But it’s fight man to man, and do all you can
For they know they can never be free.

From heartbreak some people have suffered
From weariness some people have died
But all in all, our troubles are small
‘Till we get like Bonnie and Clyde.

If a policeman is killed in Dallas
And they have no clue or guide
If they can’t find a friend, just wipe the slate clean
And hang it on Bonnie and Clyde.

There’s two crimes committed in America
Not accredited to the Barrow Mob
They had no hand in the kidnap demand
Nor the Kansas City Depot job.

A newsboy once said to his buddy
"I wish old Clyde would get jumped
In these hard times we’s get a few dimes
If five or six cops would get bumped."

"The police haven’t got the report yet
But Clyde called me up today
He said, "Don’t start any fights, we aren’t
working nights, we’re joining the NRA."

From Irving to West Dallas viaduct
Is known as the Great Divide
Where the women are kin and men are men
And they won’t stool on Bonnie and Clyde.

If they try to act like citizens
And rent a nice little flat
About the third night they’re invited to fight
By a sub-gun’s rat-tat-tat.

They don’t think they’re tough or desperate
They know the law always wins
They’ve been shot at before, but they do not ignore
That death is the wages of sin.


Someday they’ll go down together
And they’ll bury them side by side
To few it’ll be grief, to the law a relief
But it’s death for Bonnie and Clyde.

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | কুহুকুহু

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

তানভীর এর ছবি

ধন্যবাদ। উইকি থেকে কাহিনী পড়লাম। ইন্টারেস্টিং! সিনেমা যদি কখনো পাই দেখে ফেলব।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

তানভীর ভাই- রিভিউ ভালো হয়েছে।
একসময় জনি ডেপের মুভি খুব আফ্রহ নিয়ে দেখতাম। নাইন্থ গেট, ডনি ব্রাস্কো, পাইরেটস- এইসব। দুঃখজনক- এই প্রজন্মের সবচে প্রতিভাবান অভিনেতাদের একজন হয়েও কেবল বাণিজ্যিক ছবিই সে করে গেলো।
... দেখি, সুযোগ পেলে এটা দেখবো।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

খেকশিয়াল এর ছবি

আচ্ছা বাণিজ্যিক বলতে কি বুঝাতে চেয়েছেন?
আমার কাছে মনে হয় কেউ 'এবার একটা আর্ট ফিল্ম করি' বা 'না এবার বাণিজ্যিক' এভাবে সিদ্ধান্ত নেয় না, আমার মতে নেয়া উচিত না। কাহিনী দেখেই নেয়।

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আমি আসলে ঠিক ঐ অর্থে বাণিজ্যিক বলি নাই। জনি ডেপের বেশীর ভাগ মুভিই দেখেন- অপরাধভিত্তিক থ্রিলার। অনেকেই কিন্তু এরকম থ্রিলার করেছেন, আল পাচিনো- ডি নিরো; এবং তাঁদের গুলো বেশীরভাগ মানুষের প্রিয় ছবির তালিকাতেই থাকবে।

আবার জনি ডেপের বেশীর ভাগ মুভিই ঠিক ঐ পর্যায়ের না (ব্যক্তিগত মত)। খেয়াল করে দেখেন- সে কিন্তু কোন যুদ্ধ বা রোমাণ্টিক ছবি করে না- তাই অনেকটা একঘেঁইয়েমি চলে আসছে ওর প্রতি...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

খেকশিয়াল এর ছবি

জনি ডেপের ডেডম্যান, হোয়াটস ইটিং গিলবার্ট গ্রেপ, অ্যারিজোনা ড্রিম, বেনি এন্ড জুন মুভিগুলো দেখা না থাকলে দেখে ফেলুন, অন্যরকম। ডেডম্যানের তো কোন তুলনা হয় না। যুদ্ধের মুভি করে নাই তবে অনেক আগে প্লাটুনে ছোট পার্ট ছিল।

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ওকে বস- চেষ্টা করবো দেখে ফেলার...। ---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

ফাইন্ডিং নেভারল্যন্ড কেমন লাগসে?
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

খেকশিয়াল এর ছবি

অসাধারণ!! অসাধারণ!! তুলনা হয় না!!
কি জানি বাদ দিতাছি বইলা মনে হইতাছিল, থ্যাঙ্কু ভাই

হ শব্দশিল্পী ভাই, ফাইন্ডিং নেভারল্যান্ড মাস্ট দেইখেন না দেইখা থাকলে

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

দেঁতো হাসি
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

তানভীর এর ছবি

ধন্যবাদ শব্দশিল্পী। খেকশিয়াল কিন্তু ঠিকই বলেছে- সবাই কাহিনী দেখে আসলে ছবি করে। আর সব ছবিরই একটা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য থাকে। ক্যাপিটাল অনুযায়ী টার্গেট হয়তো কম-বেশি এবং নির্মাণ শৈলী অনুযায়ী টার্গেট অডিয়েন্সে ভিন্নতা থাকে। কাজেই বাণিজ্যিক ছবিও আর্ট ফিল্ম হতে পারে। যেমন- মেমেন্টো বা ইটারনাল সানশাইন অফ দ্য স্পটলেস মাইন্ড। (সূত্র) জিম ক্যারি নিশ্চয়ই আর্ট ফিল্ম করবে সে উদ্দেশ্যে ওই ছবি করে নাই দেঁতো হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।