জাহেদ সরওয়ার এর ব্লগ

কত রাত্রিইতো বিফলে গেলো একটা রাত অন্তত তাকে দিও
তৃষিত হরিণ হয়ে নামবে সে তোমার রোমাঞ্চিত যমুনায়
নারীদেহ নয় শুধু দেহ- সভ্যতার কারাগার
কবিতো সভ্যতার জেলখানায় জন্মনেয়া, অনাথ-
তার কলমের ডগায় দুনিয়ার ভবিষ্যত

তোমার দেহে যত গান আছে সে তার স্বরলিপি জানে
খুঁজে নেবে নিয়ন জ্বলা সুরঙ্গ, ঘাষে ঢাকা পথ-
সেই সুর, যা পায়নি খুঁজে বেথোভেন, মোজার্ট, বাখ
পিয়ানোতে সুর তোলা তার সবকটি আঙুল জানে
দেহের ...

হারমান তুবে মার্কিন তরুণ কবিদের মধ্যে জনপ্রিয়। ততদনি পর্যন্ত তার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে যতদিন আরেক তরুণ কবি কোলম্যান বার্কস সোল অফ রুমি নামে রুমির কবিতার অনুবাদ প্রকাশ করেন নি। এটা হচ্ছে নিউইর্য়কারের ভাষ্য। এ কবিতাটি নিউইর্য়কারের একটি সংখ্যা থেকে অনুদিত। স্বাধীনতা নেয়া হয়েছে ব্যাপক।

তাদের যত মিল পাখি বাদুড় মৌমাছি মথ
আর প্রজাপতির সাথে।
তাদের নিয়ত যোগাযোগ হেয়ার ড্রেসার
ম...

দেহ থেকে দেহ খুলে নিয়ে কবর থেকে নেমে
বাজারে প্রস্থান করি, মৃত মাছগুলো দেখি
সঙ্গম শেষে যেভাবে তুমি পড়ে থাকো নিথর
রক্ত মাখা গরু ঝুলে আছে
ওপারে ছেনি হাতে ধূর্ত কসাই

মুহুর্তে আমাকে নিয়ে ঘুরে উঠে এই বাজার
যেন আমি অই রক্ত মাখা ঝোলানো গরু
আমার চারিদিকে নিরাপদ দুরত্বে ছেনি হাতে
তোমরা সবাই কেটে বিক্রি করবে আমার মাংশ

বাজারের থলেটা ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখি
ফের নেমে যাই কবরে
মেতে উঠি সঙ্গম...

মাই ফরবিডেন ফেস মুলত আফগানিস্তানে তালেবান শাসকদের আমলে এক বন্দীনি তরুনীর জীবন কথা। এ বইতে সোভিয়েত শাসন থেকে সাম্প্রতিক তম হামিদ কারজাইয়ের শাসন কাল পর্যন্ত বিস্তৃত। লতিফার মতে তালেবানরা ইসলাম তথা শরিয়ার নামে রামরাজ্যই কায়েম করেছে মুলত। আর এই তালেবানদের মদত দাতা হচ্ছে পাকিস্তান, ওসামা বিন লাদেন আর আমেরিকা। সোভিয়েতের সময় নারীদের জন্য স্কুল গমন ছিল বাধ্যতা মুলক। সোভিয়েতরা চল...

লিখে দাও যত তাড়াতাড়ি পারো সাক্ষ্য তোমার
নিজের চেহারা দেখ নাই কতদিন আয়নায়
তাকাওনি সাদা হয়ে যাওয়া চুলের দিকে
আহা মরণ, তোমার বন্ধুদের টেনে নিয়ে যাচ্ছে
গর্তে, চিতায়।
কলম তুলে নিওনা লেখার খাতা থেকে জাহেদ
সে যে কোনো মুহুর্তে তোমারও ঘাঁড় মটকে দিতে পারে।

কোথাও না কোথাও ছড়ানো আছে নিশানা
তোমার গুপ্ত যাত্রার
কোনো না কোনো হাতের গোপন রেখায়
লেখা আছে তোমার মুক্তি
কোনো না কোনো বইয়ে ঝিলিক দিচ্ছে সেই আলো
যা দেখাবে আত্ম আবিস্কারের পথ

আহা এখন তোমাকে শুধু তৈরী করতে হবে জাহেদ
সেই পথ,রেখা,নিশানা খোঁজে নেবার চোখ।

কেন তুমি বলো ‌‌'আমার আত্মা'
আত্মা কি তোমার হতে পারে কখনো ?
শুধু সার ভর্তি দেহটাই তোমার
যা শুধু গোরস্তানের মাটিকেই উর্বর করে
আর যতসব বস্তাপচাঁ সুখের আকর
যার ভেতর লুকিয়ে থাকে
আত্মা নামের বিদ্যুত।
দেহে মাংশ বাড়াতে বাড়াতে
কামে আর ঘামে তুমি অচেনা করে তোলো তাকে।

অধম জাহেদ
আত্মা পরমমহাবিশ্বের সাথে তোমার
সম্পর্কের অস্থায়ী বুনিয়াদ।

কিসের সন্ধানে আজ দিশেহারা তোমার আত্মা
কত শতাব্দীর জমানো পাপ আর ক্রন্দনে
ফুঁসে ওঠে বুকের অতলান্তিক
তুমি শুধু ভাসমান পৃথিবীর এক ভাসমান
গন্তব্যহীন মানুষ।-ভেসে বেড়াও বাতাসের জোরে।

আত্মাকে মুক্ত করে দাও মাংশের গুহা থেকে জাহেদ
যেন সে পথ চিনে ফিরে যেতে পারে চির প্রশান্ত চিদাত্মার কাছে।

যত খুশি বুকে নাও প্রিয়তমদের
শত চুম্বন আর শৃংগারে
হারিয়ে ফেলোনা নিজের নির্জনতা

যত খুশি ভালবাসো শিশুদের জাহেদ
শিশুজন্মের রাতে তথাগত বুদ্ধের
গৃহত্যগের কাহিনী ভুলে যেওনা।

যখন তোমার আত্মার সমুদ্রে ঘূর্ণি হাওয়া বয়
যখন মিছা মনে হয় এতদিনের জানা সকল বিষয়
শুধু ধারনা আর ইন্দ্রিয়ের গান যখন আর
তৃপ্ত করেনা তোমার অনন্ত তৃষ্ণাকে_

তখনইতো বেরিয়ে পড়ার সময় জাহেদ
বোখারা,গ্রীস কিংবা নিশাপুরের দিকে।