আফগান দুহিতা লতিফার জীবন কথা 'মাই ফরবিডেন ফেস'।।

জাহেদ সরওয়ার এর ছবি
লিখেছেন জাহেদ সরওয়ার (তারিখ: শুক্র, ৩১/০৭/২০০৯ - ৪:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাই ফরবিডেন ফেস মুলত আফগানিস্তানে তালেবান শাসকদের আমলে এক বন্দীনি তরুনীর জীবন কথা। এ বইতে সোভিয়েত শাসন থেকে সাম্প্রতিক তম হামিদ কারজাইয়ের শাসন কাল পর্যন্ত বিস্তৃত। লতিফার মতে তালেবানরা ইসলাম তথা শরিয়ার নামে রামরাজ্যই কায়েম করেছে মুলত। আর এই তালেবানদের মদত দাতা হচ্ছে পাকিস্তান, ওসামা বিন লাদেন আর আমেরিকা। সোভিয়েতের সময় নারীদের জন্য স্কুল গমন ছিল বাধ্যতা মুলক। সোভিয়েতরা চলে যাওয়ার পর কম্যুনিষ্ট সরকার নজীবুল্লাহর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে যায়। পরে তালেবানরা নজীবুল্লাহ আর তার ভাইকে হত্যা করে মেইন স্কোয়ারে ঝুলিয়ে রাখে। তাদের মৃত দেহ কংকাল না হওয়া পর্যন্ত। তালেবানদের আমলে সবচাইতে বেশী র্নিযাতিত হয়েছে আফগানের নারী সমাজ। তারা গরু ছাগলের ঝাকের মত নারীদের কে তাড়িয়ে ফিরত। তাদের কে ধর্ষন করত। তাদের জন্য শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হল। পরে লতিফা ফ্রেঞ্চ একটি ম্যাগাজিনের সহায়তায় ফ্রাঞ্চে পালিয়ে যায়। বইটি পড়তে ভাল লাগে। মানবাধিকারের পক্ষ থেকে অভিমানি হয়ে উঠতে পারে যে কোনো পাঠক।


মন্তব্য

রণদীপম বসু এর ছবি

বড়ো বেশি সংক্ষিপ্ত রিভিউ।

জাহেদ ভাই, আমি যতটুকু জানতাম সচলের প্রথম পাতায় একই ব্লগারের সর্বোচ্চ দুটো পোস্ট স্থান পেতে পারে। আজ এখন আপনার দেখছি তিনটা পোস্ট ! নিয়ম পাল্টেছে কিনা কে জানে। নয়তো মডুভাইদের তীক্ষ্ণ নজর পড়েনি এদিকে। একটা কিছু হবে।

আপনাকে কষ্ট দেয়ার জন্য বলি নি কিন্তু। আমার জানার অস্পষ্টতা প্রকাশ করলাম।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।