গল্প লেখার গল্প-৩(শেষ পর্ব)

s-s এর ছবি
লিখেছেন s-s (তারিখ: বুধ, ১৭/০৬/২০০৯ - ১২:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গল্প লেখার গল্প-১

গল্প লেখার গল্প-২

১৯৭৯ এর মাঝামাঝি সময়ে মিডনাইটস চিলড্রেন লেখা শেষ করি আর পাঠিয়ে দেই আমার বন্ধু প্রকাশক লিজ ক্যালডার কে যে তখন জোনাথন কেইপে কাজ করতো। পরে জানতে পরেছি প্রাথমিক পাঠ-প্রতিক্রিয়া ছিলো সংক্ষিপ্ত আর চূড়ান্ত রকমের নেতিবাচক - "লেখকের উচিত ছোটগল্পে হাত পাকানো, অন্ততঃ যদ্দিন না উপন্যাস লেখার কায়দাকানুন তার রপ্ত হয়" গোছের। লিজ দ্বিতীয় একটা মতামত চেয়ে পাঠালো। এবার মনে হয় ভাগ্যদেবী একটু প্রসন্ন ছিলেন কারণ দ্বিতীয় পাঠিকা সুসানা ক্ল্যাপ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন এবং তার পর আরও একজন বিখ্যাত প্রকাশক ক্যাথেরিন কার্ভারও! লিজ বইটা কিনে নিলো, অল্প কিছুদিনের মধ্যে অ্যালফ্রেড ক্নফের বব গটলিবও। আমার খণ্ডকালীন কপিরাইটারের চাকরিটা ছেড়ে দিলাম (ইতোমধ্যেই ওগিলভি অ্যান্ড মাথের থেকে আমি আয়ার বার্কার হেজেম্যান নামে আরেকটা বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ নিয়েছিলাম)। "ওহ্", ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টেরের কাছে পদত্যাগপত্র নেবার সময় সে বললো: "ইউ ওয়ান্ট আ রাইজ?" আমি বুঝিয়ে বললাম যে তা নয়, আমি শুধু প্রয়োজনীয় নোটিশ দিচ্ছি যাতে আমি চলে যেতে পারি এবং পুরোদস্তুর লেখক হিসেবে কাজ করতে পারি। সে বললো: " আচ্ছা, ইউ ওয়ান্ট আ বিগ রাইজ।" কিন্তু মিডনাইটস চিলড্রেনের বুকার পাওয়ার রাতে অভিনন্দন জানিয়ে এই লোকটিই আমাকে টেলিগ্রাম পাঠিয়েছিলো। ওতে লেখা ছিলো: "আমাদের মধ্যে একজন পেরেছে।"

লিজ ক্যাল্ডারের সম্পাদনা আমাকে অন্ততঃ দু'টো খারাপ ভুলের হাত থেকে বাঁচায়। মূল পাণ্ডুলিপিতে দ্বিতীয় একটা নারী সাংবাদিক "দর্শক" চরিত্রও ছিলো; "মাইটি পিকল উওমেন" পদ্মার কাছে সেলিম তার জীবনগাঁথার যে পৃষ্ঠাগুলো পড়ে শোনাতো সেগুলো আবার সেই অফ-স্টেজ সাংবাদিককেও পাঠানো হতো। কেইপের সব পাঠকরাই একমত হলেন যে, এই চরিত্রটা অপ্রয়োজনীয় এবং আমি খুব কৃতজ্ঞ যে তাঁদের পরামর্শ গ্রহণ করেছিলাম। সময়ের গিঁট খোলাবার একটা ব্যাপারেও লিজের সাহায্য খুব ফলপ্রসূ ছিলো। পাণ্ডুলিপির গল্পটা ১৯৬৫ এর ইন্দো-পাক যুদ্ধ থেকে হঠাৎকরেই কেমন যেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষার্ধে লাফ দেয়, তারপর পাক খেয়ে আসে ঐ যুদ্ধে সেলিমের ভূমিকা নিয়ে কথা বলবার জন্য, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের সময়টার সাথে আবার তাল মিলিয়ে নেয় এবং তারপর ফের এগিয়ে চলে। লিজ অনুভব করেছিলো, এই জায়গাটায় অনেক বেশি এগোনো পিছোনো আছে যাতে পাঠকের মনোযোগ ক্ষুণ্ণ হতে পারে। আমি গল্পটাকে ক্রমানুসারে সাজানোর ব্যাপারে একমত হয়েছিলাম এবং আবারও খুব স্বস্তি পাচ্ছি ভেবে, যে হয়েছিলাম। ভালো একজন প্রকাশকের ভূমিকা প্রায়শঃই গৌণ হয়ে যায় সম্পাদকের বিনয়ের কারণে। কিন্তু মিডনাইটস চিলড্রেন যে স্তরের কাজ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে, লিজ ক্যাল্ডার ছাড়া তা হয়তো আরো একটু নিম্নমানের কিছু হতো।

বইটার প্রকাশ একের পক এক শিল্প ধর্মঘটের কারণে পিছিয়ে যাচ্ছিলো, কিন্তু অবশেষে ১৯৮১ এর এপ্রিলের গোড়ার দিকে লন্ডনে এটি প্রকাশিত হলো। ৬ই এপ্রিল আমি আর আমার প্রথম স্ত্রী ক্ল্যারিসা লুয়ার্ড মিলে আমাদের বন্ধু টনি স্টোকসের ল্যাংলি কোর্ট, কোভেন্ট গার্ডেনের ছোট্ট আর্ট গ্যালারিতে এর উদ্ যাপন উপলক্ষে একটা পার্টি দিলাম। সেই দাওয়াতের কার্ডটা এখনও আছে আমার কাছে, বইয়ের প্রথম পাওয়া কপিটার মধ্যে গোঁজা, আর আমার এখনও মনে আছে প্রথম সেই অনুভূতিটা, সবকিছুর আগে, স্বস্তির! বইটা যখন শেষ করেছিলাম, তখন আমার মনে ক্ষীণ একটা সন্দেহ ছিলো যে এদ্দিনে হয়তো ভালো কিছু লিখতে পারলাম, কিন্তু অনিশ্চিত ছিলাম আমার সাথে কেউ একমত হবে কি'না সে ব্যাপারে। নিজেকে বলেছিলাম, যদি মোটের ওপর বইটা সবার অপছন্দনীয় হয় তাহলে জানবো যে ভালো বই কাকে বলে তা আমি জানিই না, এবং সম্ভবতঃ ভালো বই লেখার জন্য অযথা সময় নষ্ট বন্ধ করা উচিত। বইটার আগমনী সেই সন্ধ্যায় অনেক ওঠাপড়া ছিলো বুকের ভেতর এবং সৌভাগ্যক্রমে প্রতিক্রিয়ার সবগুলোই ছিলো ইতিবাচক, ফলে কোভেন্ট গার্ডেনের সেই বসন্তসন্ধ্যায় আমার মনে একটা ফুরফুরে ভাব ছড়িয়ে পড়লো।

পশ্চিমে লোকজন নিছক ফ্যান্টাসি হিসেবে মিডনাইটস চিল্ডরেন পড়লেও প্রাচ্যের মানুষের কাছে এর আবেদন ছিলো বাস্তবধর্মী, প্রায় ইতিহাসের কাছাকাছি একটা বইয়ের মতো।('আমি তোমার বইটা লিখতে পারতাম'- ১৯৮২তে ভারতে ভাষণ দেবার সময় এক পাঠক আমায় বলেছিলেন,'ওই সবকিছুই আমি জানি।') কিন্তু চমৎকার ব্যাপার হচ্ছে বইটা প্রায় সবখানেই বিপুল পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে যা এর লেখকের জীবনকে আমূল পাল্টে দেয়। তবে একজন পাঠিকা ছিলেন, যিনি আদৌ একে পাত্তা দেননি - তিনি ইন্দিরা গান্ধী, এবং ১৯৮৪তে, প্রকাশের তিন বছর পর, ইতোমধ্যে আবারও প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, এর বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হলেন তিনি- এই দাবী তুলে যে একটিমাত্র বাক্য দ্বারা তাঁর মানহানি ঘটেছে। ২৮তম অধ্যায়ের শেষের আগের অনুচ্ছেদ ছিলো সেটি,'এ ওয়েডিং', যেখানে সেলিম শ্রীমতী গান্ধীর জীবনের ছোট্ট একটা অংশ নিয়ে কথা বলে। অংশটা ছিলো: 'It has often been said that Mrs. Gandhi's younger son Sanjay accused his mother of being responsible, through her neglect, for his father's death; and that this gave him an unbreakable hold over her, so that she became incapable of denying him anything.' তুচ্ছ ব্যাপার, আপনি হয়তো ভাববেন, মোটা চামড়ার একজন রাজনীতিবিদের একজন লেখকের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেওয়ার মতো কিছু নয়,' casus belli' প্রতিষ্ঠার জন্য একটা অপ্রচলিত পছন্দের জায়গা, তাও এমন একটা বইয়ে যেটা ইন্দিরাকে জরুরী অবস্থার অনেক অপরাধের জন্য একেবারে ছিবড়ে করে ছেড়েছে অন্য অনেক ক্ষেত্রে। বিশেষতঃ এটা এমন একটা ব্যাপার ছিলো যা নিয়ে ভারতে তখন এন্তার কথাবার্তা চলছিলো, বহুবার ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়েছে এবং তিনি যখন মানহানির মামলা করলেন আবশ্যিকভাবেই জোরেসোরে পুনঃমুদ্রিত হলো ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে(একটা প্রথম পাতার শিরোনাম ছিলো "দ্য সেনটেন্স মিসেস গান্ধী ইজ অ্যাফ্রেইড অফ')। তবু তিনি আর কারো বিরুদ্ধেই মামলা করলেন না।

বই প্রকাশের আগে কেইপের উকিলরা শ্রীমতী গান্ধীকে নিয়ে আমার সমালোচনার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং আমাকে পরামর্শ দেন আমার দাবীগুলোর সপক্ষে তাঁদের একটা চিঠি লিখতে। এই চিঠিতে আমি তাঁদের মনঃপূত হয় এমনভাবে আমার গদ্যকে প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, কেবলমাত্র একটি বাক্য বাদে, যেটি, আমি আগেই বলেছি, প্রমাণ করা শক্ত ছিলো,কারণ এটা তিন জন মানুষকে নিয়ে, যাদের মধ্যে দু'জন মৃত, এবং তৃতীয়জন আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। যাই হোক, আমি যুক্তি দিয়েছিলাম যেহেতু আমি তথ্যটিকে পুরোমাত্রায় গুজব হিসেবেই উপস্থাপন করছি, এবং যেহেতু এই একই কথা আগে ছাপা হয়েছে, আমরা হয়তো বেঁচে যাবো। উকিলরা মেনে নিয়েছিলেন সেকথা; এবং তারপর তিন বছর বাদে সেই একটিমাত্র বাক্যকে একিলিসের হিলের মতই বর্শার ফলায় বিঁধতে চাইলেন শ্রীমতী গান্ধী। আমার মতে ঘটনাটি কোনোভাবেই কাকতালীয় ছিলোনা।

কেসটা কখনও আদালত অবধি পৌঁছোয়নি। মানহানির আইন খুবই প্যাঁচালো, এবং মানহানিকর গুজবটি পুনঃউত্থাপন মানে আপনি নিজে আবার সেই মানহানি ঘটাচ্ছেন, আমরা তা করেছিলাম, সুতরাং টেকনিক্যালি আমরা দোষী ছিলাম। শ্রীমতী গান্ধী ক্ষতিপূরণ চাননি, তাঁর দাবী ছিলো পরবর্তী সংস্করণগুলো থেকে শুধু ওই বাক্যটার অপসারণ। এর বিরুদ্ধে আমরা একমাত্র যে পথটা নিতে পারতাম সেটা চরম ঝুঁকিপূর্ণ হতো: আমাদের বলতে হতো জরুরি অবস্থাকালীন সময়ে তাঁর কর্মকাণ্ড এতোটাই জঘন্য ছিলো যে তাঁকে সজ্জন মানী ব্যক্তি বলে মানা কষ্টকর, আর সেজন্য তাঁর মানহানির প্রশ্ন অবান্তর। অন্যভাবে বলতে গেলে, আমরা বস্তুতপক্ষে ওঁর দুষ্কর্মের জন্য ওঁকে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করাতাম। কিন্তু, সবকিছুর পর যদি ব্রিটিশ আদালত এটা মানতে অস্বীকার করতো যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী অসচ্চরিত্র মানুষ, তখন আমাদের অবস্থা হবে সোজা বাংলায় "ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি"। স্বভাবতঃই কেইপ এই পথ অনুসরণে ব্যাগ্র ছিলোনা, এবং যখন পরিষ্কার বোঝা গেলো যে বইটার বিরুদ্ধে ওঁর মূল অভিযোগের জায়গা এটাই, আমি ব্যাপারটা ফয়সালা করতে রাজি হলাম। মিডনাইটস চিল্ডরেনের জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত অধ্যায়গুলোর চিত্রণ বিবেচনায় আনলে বলতেই হয় শত হলেও তিনি অভূতপূর্ব কিছু স্বীকার করেছেন। আমার কাছে মনে হয়েছিলো, এইরকম স্বীকারোক্তির ব্যাপারে তাঁর আগ্রহ যেন বইটার ওই অন্ধকারকালের বর্ণনাকে অসাধারণ বৈধতা দিলো। ভারতে এই সমঝোতার যা প্রতিক্রিয়া হয়েছিলো তা প্রধানমন্ত্রীর অনুকূলে যায়নি বলাই বাহুল্য। অল্প কয়েক সপ্তাহ পর,আশ্চর্যজনকভাবে, তিনি মারা যান- তাঁর শিখ দেহরক্ষীদের হাতে ৩১শে অক্টোবার ১৯৮৪তে নিহত হন। 'আমরা সবাই যারা ভারতকে ভালোবাসি' আমি একটি সংবাদপত্রের কলামে লিখেছিলাম, 'আজ শোকাহত'। আমাদের মতানৈক্য সত্ত্বেও এর প্রতিটি অক্ষর ছিলো আমার ভেতর থেকে উৎসারিত।

এটা এদ্দিনে পুরোনো গল্প হয়ে গেছে। আমি কিছুটা এখানে মহড়া দিলাম কারণ গোড়া থেকেই আমার দুঃশ্চিন্তা ছিলো সমসাময়িক 'উত্তেজনাকর' বিষয়ের অন্তর্ভুক্তি একটা ঝুঁকির ব্যাপার- ঝুঁকি মানে সাহিত্যের ঝুঁকি বোঝাতে চাইছি, আইনগত নয়। আমি জানতাম, একদিন, শ্রীমতী গান্ধী আর জরুরি অবস্থা এ সবকিছুই আর সমসাময়িক থাকবেনা, কাউকেই আর তেমন উদ্বেলিত করবেনা এবং নিজেকে বলেছিলাম, সেই সময়ে আমার বইটা হয় আরও খারাপ হবে- কারণ সেটি প্রামাণ্যতা হারাবে- নইলে এটা আরও ভালো হবে- কারণ একবার যখন সমসাময়িকতা বিলুপ্ত হবে, বইটার সাহিত্যিক কাঠামোটা একলাই দাঁড়িয়ে থাকবে, এবং হয়তো আরো বেশি প্রশংসিত হবে। স্বভাবতঃই আমি দ্বিতীয়টা আশা করেছিলাম, কিন্তু সে বিষয়ে নিশ্চিত হবার কোনো উপায় ছিলোনা। সেজন্যই মিডনাইটস চিল্ডরেন প্রথম প্রকাশের পঁচিশ বছর পর আজও যে আগ্রহ জাগাচ্ছে, এটা খুব নিশ্চিন্ত করে আমাকে।

১৯৮১ তে মার্গারেট থ্যাচার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, ইরানে অ্যামেরিকান বন্দীদের ছেড়ে দেওয়া হয়, প্রেসিডেন্ট রেগান গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন, ব্রিটেন জুড়ে বর্ণবাদী বিক্ষোভ চলতে থাকে, পোপ গুলি খেয়ে জখম হন, পিকাসোর গুয়ের্নিকা স্পেনে ফিরে যায় এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত খুন হন। সেটি ছিলো ভি এস নাইপলের " অ্যামং দ্য বিলিভারস" এবং রবার্ট স্টোনের "আ ফ্ল্যাগ ফ্রম সানরাইজ" এবং জন আপডাইকের "Rabbit is Rich" এর বছর। অন্য সব বইয়ের মত মিডনাইটস চিল্ডরেনও ইতিহাসের সন্ধিঃক্ষণের উপজাতমাত্র, সেই সময়ের রূপরসস্পর্শগন্ধে এমনভাবে গড়া যার সবটা তার লেখকের পক্ষেও জানা সম্ভব নয়। আমি খুব প্রীত যে আজ, আমূল বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতেও এটা একটা পড়বার যোগ্য ভালো বই বলে গণ্য হয়। যদি আরও এক কি দুই প্রজন্ম টিঁকে যায়, তাহলে হয়তো বইটা বেঁচে থাকবে। সেটা দেখার জন্য আমি থাকবোনা। কিন্তু এর প্রথম বাধাটি সাফল্যের সঙ্গে উত্তরণের সাক্ষী ছিলাম, সে জন্যেই আমি পুলকিত ।

সালমান রুশদী ডিসেম্বর ২৫, ২০০৫ লন্ডন

(শেষ)


মন্তব্য

সাইফ এর ছবি

S-S দাদা, ভালো আছেন? কই ডুব মারসিলেন? অসাধারণ একটা সিরিজ শেষ করে ফেললেন।

s-s এর ছবি

আরেহ্ সাইফ দাদা! জ্বী জনাব, মাইনকা চিপির মধ্যে আছি, ডুবেই আছি তাই। এই লোকটার নেখা নিয়ে আরও কয়েক মাস ডুবে থাকপো। সুমায় নিয়া পড়া নাকপে ইনার কারবার।

ফারুক হাসান এর ছবি

প্রতিটি পর্বই খুব ভালো লেগেছে, অনুবাদের শক্ত কাজটা এত চমৎকারভাবে শেষ করার জন্য অভিনন্দন!

s-s এর ছবি

ধন্যবাদ ফারুক। সবগুলো পর্ব পড়ে আমিও বুঝতে চাইছিলাম অনুবাদটা পোক্ত হলো কি'না। অলমিতি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

গ্রেট অনুবাদ গ্রেট লেখা

s-s এর ছবি

গ্রেট লীলেনজি! ধন্যবাদ, অনেক ধন্যবাদ!!

বিপ্লব রহমান এর ছবি

চমৎকার ধারাবাহিক। হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

s-s এর ছবি

ইয়ে বি।র , এটা আসলে ধারাবাহিক নয়, আমার সচলে বহুদিন আসা হয়না, আলস্য ও সময় বের করতে না পারার একটা যোগফলের কারণে এটা তিন পর্ব হয়ে গেছে, অবশ্য রুশদীর বইয়ে ডুবে থাকাটাও কারণ, জীবনের জটিলতাও। ধন্যবাদ আপনাকে।

রানা মেহের এর ছবি

চমতকার একটা সিরিজ শেষ করলেন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

s-s এর ছবি

তাই রানাদিদি? ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।