কালের ছড়া - ১৮

আকতার আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন আকতার আহমেদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/০৫/২০০৮ - ১২:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যাদের ঘামে ঘুরছে তোমার
“অর্থনীতির” চাকা
যাদের শ্রমের বিনিময়ে
এত্তো ভালো থাকা

তাদের জীবন অর্ধাহারে
অনাহারেই কাটে
তবু তুমি যে পথ দেখাও
সে পথ ধরেই হাঁটে!

তোমার মুখে যখন শুনি
এসব লোকের দাবী
আমি তখন বিস্মিত হই
অবাক হয়ে ভাবি-

হঠাত্ কেন “ভালোবাসা”
জাগল তোমার এতো..
ঠিক তখনই মনে পড়ে
আজ “পহেলা মে” তো !

০১ মে ২০০৮


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

উচিত কথা
ভাল লাগছে

অভী আগন্তুক

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন! সময়োপযোগী! ভাল্লাগলো....

সৈয়দ আখতারুজ্জামান

বিপ্লব রহমান এর ছবি

গুল্লি
---
মে দিবসে সরকারও একটি রাষ্ট্রীয় ছড়া (শ্লোগান?) প্রচার করছে:

শ্রমিক-মালিক একপক্ষ
উৎপাদন বৃদ্ধি মূল লক্ষ্য।

জোক অব দা ডে! হো হো হো


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

শ্রমিক-মালিক একপক্ষ
উৎপাদন বৃদ্ধি মূল লক্ষ্য।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার ছড়া গুলো সবই পড়ি।
এইটাও সুন্দর। 'কালের ছড়া' নাম টা জুতসই হয়েছে! হাসি

শেখ জলিল এর ছবি

দারুণ! যেন চাবুক!!

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

বিবাগিনী এর ছবি

অসম্ভব দারুণ!‌‌

::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

‌‌::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

চমৎকার !

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍প্রশংসা করতে করতে আমার কথা শেষ হয়ে গেছে। অতএব (বিপ্লব)

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব দেবো। কিন্তু কী পাবো তার বদলে? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আকতার আহমেদ এর ছবি

অভী আগন্তুক, সৈয়দ আখতারুজ্জামান, বিপ্লবদা, শিমুল ভাই, বিবাগিনী, জলিল ভাই, সুলতানা পারভীন শিমুল, সন্ন্যাসীদা -
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপনাদের !
প্রশংসাতো অনেক হলো.. এবার সমালোচনা শুনতে চাই ।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

এই যে... সমালোচনা এসে গেছে...
হঠাত্ কেন “ভালোবাসা”
জাগল তোমার এতো..
ঠিক তখনই মনে পড়ে
আজ “পহেলা মে” তো !
এখানে "ঠিক তখনই মনে পড়ে" লাইনটাকে দেখুন টেনে টেনে লম্বা করতে হচ্ছে ছন্দটাকে ধরে রাখবার জন্য!
"ঠিক তখনই পড়ল মনে" বললে কিন্তু ছন্দটা একদম খাপ খেয়ে যায়।
ভুল বললাম কি মোশায়? একে একে আপনার ছড়া পড়ছি, আর কমেন্ট করে চলেছি... কালের ছড়া ১৮ আর ১৯-এর ক্ষেত্রে একটা মজার জিনিস খেয়াল করলাম, আপনার লাস্ট প্যারাটাতে, যেখানে আপনি মোক্ষম আঘাত হানবেন, সেখানেই আপনি কেমন যেন ঝিমিয়ে পড়েন, ছন্দের ঘনত্ব ততটা থাকে না!
এই ব্যাপারটা কেন, আপনি কি শেষ প্যারায় আসতে আসতে ততক্ষণে ক্লান্ত? একের পর এক ছন্দ মেলাতে মেলাতে? তাহলে সময় নিন, ছড়াটা রেখে দিন চোখের সামনে থেকে সরিয়ে। পুরোপুরি ভুলে যান সেটা। এক বেলা পার করে ওবেলায় আবার দেখতে বসুন ছড়াটা, তখন মূল মনোযোগ দেবেন লাস্ট প্যারাটায়... কারণ ওটাই কিন্তু আপনার এন্ডিং, আপনার ছড়ার টুইস্ট পার্ট, ঐ প্যারাটা পড়েই কিন্তু পাঠকের ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে যাবার কথা... ওটাকে দুর্বল রাখা যাবে না!
দেখলেন তো, আমি কীরকম বদমাশ সমালোচক?
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

তানিম এহসান এর ছবি

হু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।