উইকিলিকস

ভ্রম এর ছবি
লিখেছেন ভ্রম [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৮/০৪/২০১০ - ৫:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উইকিলিকস মূলত এমন একটি সংগঠন যা সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ‘টপ সিক্রেট ডক্যুমেন্ট’ সাধারন মানুষের নজরে আনতে প্রকাশ করে। খুব অল্পসময়েই উইকিলিকস সরকার ও বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ভয়ের কারন হয়ে দাঁড়ায় তাদের বিভিন্ন তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য। ২০০৮ সালে স্যারা পেলিনের ইমেল এবং বিতর্কিত গুয়ান্তানামো বে তে নির্যাতন বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য তাদের মধ্যে অন্যতম।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই উইকিলিকের ইউএস মিলিটারীর বাগদাদে ইরাকীদের উপর হামলা বিষয়ক নতুন তথ্য ফাঁস নিয়ে বেশ আলোচনা শোনা গেছে। অবশেষে ৫ই এপ্রিল উইকিলিকস ইউএস মিলিটারীর ১২ জুলাই ২০০৭ সালে বাগদাদে করা একাধিক আক্রমণের একটি ফুটেজ প্রকাশ করেছে যা নিয়ে মিডিয়ায় বেশ তোলপাড় হচ্ছে। হেলিকপ্টার গান-সাইট থেকে ট্যাক্টিকাল ইউনিটের তোলা এই ফুটেজে দেখা যায় ইউএস মিলিটারী রয়টার্সের দুজন সাংবাদিকসহ বার জন ইরাকীকে নির্মম ভাবে হত্যা করে। আহতদের সাহায্য করতে একটি ভ্যান এলে আবারো আক্রমণ করা হয় এবং এতে সেই ভ্যানে থাকা দুজন শিশু গুরুতর আহত হয়।

(তাড়ায় থাকলে এই ভিডিওটি দেখুন। ৩ মিনিটের কম)

(সময় থাকলে অবশ্যই এটা দেখুন)

ভিডিও চিত্রটির ব্যাপারে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র জ্যাক হ্যাঞ্জলিক বলেছে এটা সেদিন ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনার একটি অংশ মাত্র। এতে যেভাবে কাটছাঁট করে আক্রমণ ও আক্রমণ পরবর্তী অবস্থা দেখানো হয়েছে আসলে তেমনটি ঘটেনি। সে আরো বলেছে ভিডিও তে দেখানো ইরাকীদের সবার হাতেই একে৪৭ এবং আরপিজি ছিল সেজন্যই মূলত আক্রমণ করা হয়। কিন্তু ফুটেজে পরিষ্কার দেখা যায় রয়টার্সের দুজন ফোটসাংবাদিকের কাধে ক্যামেরা। যদিও সেখানে উপস্থিত ইরাকীদের কয়েকজনের কাছে একে৪৭ থেকে থাকতেও পারে তবে তারমানে এই দাঁড়ায় না যে তাদেরকে এভাবে নির্মম করা যাবে। রয়টার্স সাংবাদিকদের মৃত্যুর ব্যাপারে জ্যাক হ্যাঞ্জলিক “খুবই দুঃখজনক” ছাড়া আর তেমন কিছুই বলেনি। ইউএস মিলিটারী পরোক্ষভাবে রয়টার্স সাংবাদিকদেরই দোষারোপ করেছে সেই সময়ে সেখানে অবস্থান করার জন্য।

উইকিলিকস থেকে মিলিটারীকে বলা হয়েছে তারা যদি প্রমাণ করতে চায় যে উইকিলিকসে প্রকাশ করা ফুটেজটি সত্য নয় বা কাটছাঁট করে অন্যভাবে প্রকাশ করা হয়েছে তাহলে তারা যেন মূল সংস্করণটি সবার সামনে তুলে ধরে। এ প্রসঙ্গে জ্যাক হ্যাঞ্জলিক বলেছে তারা ভিডিওটির মূল সংস্করণ খুঁজে পাচ্ছেনা!

ভিডিওতে ইউএস মিলিটারীর কথাবার্তা শুনে মনে হয় তারা “মডার্ন ওয়ারফেয়ার” বা সে জাতীয় কোন ভিডিওগেম খেলছে। এক এক জনকে বর্বর ভাবে হত্যা করে তারা যেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তা দেখে যে কারো গায়ের রক্ত হিম হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। হাসি ঠাট্টা থেকে শুরু করে “লুক এ্যাট দ্যা ডেড ব্যাস্টার্ড” সহ নানারকম উক্তি সোজা মাথায় গিয়ে বিঁধে।

মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে উইকিলিকসে বলা হয় তারা খবর পেয়েছে ইউএস ইন্টেলিজেন্স উইকিলিকস বন্ধ করে দিতে তৎপর কারন তারা জেনে গেছে উইকিলিকসে এই ভিডিওটি প্রকাশ করা হবে। ইউএস ইন্টেলিজেন্সের মতে উইকিলিকস যেরকম গোপন এবং স্পর্শকাতর বিষয় মানুষের সামনে তুলে ধরে তা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিশাল ঝুঁকি। ইউএস ইন্টেলিজেন্স উইকিলিকসের বিভিন্ন কর্মী ও সম্পাদকের ওপর করা নজর রাখছে, অনুসরণ করছে, তাদের অনেকেরই কম্পিউটারসহ ব্যক্তিগত জিনিসপত্র পরীক্ষা নিরিক্ষা করে দেখছে এ বিষয়ে গত কয়েক সপ্তাহে উইকিলিকসের ট্যুইটার ফিডে বহুবার বিভিন্ন রকম খবর প্রকাশ পায়। কারন হিসেবে তারা এই ভিডিওটির কথাই উল্লেখ করে বলে একারনেই ইউএস ইন্টেলিজেন্স ন্যাশনাল সিকিউরিটির দোহাই দিয়ে উইকিলিক বন্ধ করে দিতে চাইছে যেন সত্য সাধারন মানুষের কাছে না পৌঁছায়।

যদিও হয়তো জাতীয় নিরাপত্তার কথা চিন্তা করলে আসলেই উইকিলিকস কোন কোন ক্ষেত্রে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে এটা যেমন ঠিক, তেমনি অন্যদিকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, গণতন্ত্র, মানবতা ও মানবাধিকারের নামে সরকার কি করছে বা কি ধরনের ভূমিকা পালন করছে সেটা জানার অধিকারও মানুষের আছে, এটাও ঠিক। আজকের দিনে যেখানে ফেইসবুক, ট্যুইটারসহ বিভিন্ন রকম সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটের দাপটে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া ছোটর চেয়েও ছোট খবর মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে যায় মুহূর্তের মধ্যে, সেখানে উইকিলিকসের মত অল্প সময়েই সামাজিক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে নানারকম বিতর্কিত বিষয়ে ঝড় তোলা সফল একটি মাধ্যমকে আটকানো যাবে কি? কোন সংবাদ, কোন সংবাদ মাধ্যমকেই থামানো যাবে কি? যদিও উইকিলিকস কোন সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট না বটে তবে তথ্য প্রচারের প্রক্রিয়াটা কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সেরকম, পৃথিবীর যে কোন জায়গা থেকে যে কেউ যে কোন তথ্য সবাইকে জানাতে পারে। শুধু পার্থক্যটা এই যে উইকিলিকসে এমন সব তথ্যই প্রকাশ করা হয় যা সরকার মানুষকে জানতে দিতে চায়না।

নাগরিক সাংবাদিকতা বা সিটিজেন জার্নালিসাম এর ধারণাও এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। “কথিত আছে” যে উইকিলিকসের জন্য যারা কাজ করেন তাদের কাউকেই কোন পারিশ্রমিক দেয়া হয়না, বেশিরভাগই ভলান্টিয়ার এবং অনেকেই সাংবাদিকতার সাথে জড়িত নন। এ ব্যাপারেও অনেকে প্রশ্ন তুলতে পারে যে যারা পেশাদার বা প্রাতিষ্ঠানিক অনুশীলন প্রাপ্ত নন তাদের দেয়া খবরকে কতটা গুরুত্ব দেয়া যায় কিংবা তারা কি আদৌ জানবেন কিভাবে খবর, বিশেষ করে স্পর্শকাতর খবর গুলো মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। ২০১০ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে বলা হয়েছে বিবিসি তাদের নিউজ স্টাফকে বলেছে সোশাল মিডিয়া যেমন ট্যুইটারকে “প্রাইমারি নিউজ সোর্স” হিসেবে ব্যাবহার করতে।এটাকে একটা বিরাট “ফান্ডামেন্টাল চেইঞ্জ” বলতেই হয় কারন ২০০৯ সালেই এডিটোরিয়াল গাইডলাইনসে সোশাল মিডিয়ার কথা তারা বলেছে মাত্র একবার, তাও আবার “রি-ইউজ অফ কন্টেন্ট” হিসেবে হুঁশিয়ার করতে। অন্যদিকে হাইতির ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় এনপিআর ট্যুইটার এবং ফেইসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন রিপোর্ট করেছে, স্নোবল মেথডের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া অনেক মানুষকে খুঁজে বের করেছে। সোশাল মিডিয়া এবং নাগরিক সাংবাদিকতাকে এখন পাত্তা দিতেই হয়।

ইন্টারনেট আর সোশাল মিডিয়ার উত্থানে সরকার এখন আর আগের মত চাইলেই যা ইচ্ছা তাই সাধারন মানুষের চোখের আড়ালে রাখতে পারেনা। সাংবাদিকতার এর এই নতুন গণতান্ত্রিক আঙ্গিক সবাইকে সবকিছু জানার অধিকার দিয়ে থাকে, তা সরকার চাক আর না চাক। সে ক্ষেত্রে এসময় উইকিলিকসের পথ আটকে দেয়াটা অনেককে ক্ষুব্ধ করতে পারে কারন এই ভিডিও চিত্রটি দেখার পর অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে তাদের কাছ থেকে এরকম আরো কি কি লুকানো হচ্ছে।

তথ্যসূত্রসমূহঃ
http://www.guardian.co.uk/media/pda/2010/feb/10/bbc-news-social-media
http://www.mediabistro.com/baynewser/soc_media/haiti_and_new_media_how_npr_is_using_twitter_and_facebook_to_report_on_the_earthquake_148999.asp
http://wikileaks.org/
http://en.wikipedia.org/wiki/Wikileaks
http://www.vancouversun.com/news/Leaked+video+shows+military+forces+shooting+Reuters+journalists+civilians/2765874/story.html

(প্রচুর ভুল আছে জানি, বানান থেকে শুরু করে ব্যাকরণ। অনেক শব্দেরই বাংলা জানা নেই বা এই মুহূর্তে মনে পরছেনা সে জন্য অনেক দুঃখিত। যাদের কাছ থেকে সাধারণত বানান বা অনুবাদের ক্ষেত্রে সাহায্য পাই তারা খুব স্বাভাবিক এবং সেইজন্যই তারা সবাই এখন ঘুমাচ্ছে! তত চিন্তা ভাবনা করে বা গুছিয়ে লেখা না। সেমিস্টারের শেষ সময়, মাথা ঠিক নেই। বড় রকমের ভুল করে থাকলেও ক্ষমা করে দেবেন, তিন তিনটা পরীক্ষা!)


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমেরিকান আর্মি পুরো ব্যাপারটিকে প্রায় ভিডিও গেইমসের মতোই করে ফেলেছে। মানুষ হয়ে মানুষ মারতে কারোরই ভালো লাগে না। তাই ভিডিও ইউনিট, রিমোট ইউনিট এসবের ব্যবহার করা হয়। এতে করে সরাসরি মানুষ মরতে দেখা যায় না। তাই অপরাধবোধও হয় না।

তবে সামনাসামনি যুদ্ধের ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ভ্রম এর ছবি

ঠিক।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই ভিডিও কয়েকদিন আগেই দেখে খোমাখাতায় শেয়ার দিয়েছিলাম। আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ, এটাও শেয়ারে দিচ্ছি।

ভিডিওর মধ্যে কি খেয়াল করে দেখেছেন, খুনিগুলা ঐ মেডিকদেরকেও দোষ দিচ্ছিল ঐ সময় ঐখানে যাওয়ার জন্য, বাচ্চাদের বাবামাকে দোষ দিচ্ছিল বাচ্চাদেরকে ঐখানে রাখার জন্য। এদের কাজগুলো যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়ে। কিন্তু কি লাভ! আমেরিকার সরকারের স্বভাব গত কয়েক দশকে একচুলও বদলায়নি, আমেরিকার সাধারণ মানুষের অজ্ঞতাও কমেনি। দ্বিতীয়টা না হলে প্রথমটাও কখনও হবে না।

==========
আশাহত

ভ্রম এর ছবি

কয়েক বছর আগেও না হয় বলা যেত যে আমেরিকান মিডিয়া সাধারন মানুষকে জানায়না বা জানতে দিতে চায়না বলে মানুষ জানেনা কিন্তু এখন তথ্যের অবাধ বিচরণের যুগেও যদি তারা না জানে বা জানতে না চায় তাহলে তো আর কিছুই বলার থাকেনা।

সাফি এর ছবি

ভিডিওটার জন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই অপেক্ষা করে ছিলাম, বিশেষ করে উইকিলিক এর টুইটার ফিড এ অস্থিরতা দেখার পরে। আপনার বিশ্লেষন ভাল লাগলো।

এখানে কয়েকটা কথা বলে রাখি - ভিডিও ফিড এ সৈন্যদের যে উল্লাস বা ভিডিওগেমার সুলভ মানসিকতা দেখা গেছে - তা মূলত নিজেকে প্রবোধ দেওয়া বা মানুষ হত্যাকে জাস্টিফাই করার জন্য। বাচ্চাগুলোর উপস্থিতি জানার পরে সেটা অন্যের দোষ বলে চালানোও অনেকটা সেই মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। সৈন্যদের আচরণে ক্ষুব্ধ হওয়ার চেয়েও আসলে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়েছে যারা তাদেরকে সামনে আনা। এ ঘটনাটা ঘটে যাওয়ার পরেই আসলে সেটাকে ভুল হিসেবে স্বীকার করে নিয়ে ভবিষ্যতে যেন এমন না হয় আর সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়াই উচিত ছিল।

আশংকাজনক কথা হলো এরকম একটা ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে, না জানি এমন আরও কত ভিডিও আছে!

ভ্রম এর ছবি

ক্ষমা প্রার্থনা বা ভুল স্বীকার যে তারা কখনোই করবেনা তাতে কোন সন্দেহ নেই। কে জানে আরো কতজনকে এভাবে মেরেছে...

ভ্রম এর ছবি

হাসি

বর্ষা এর ছবি

কি ভয়ংকর

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

ভ্রম এর ছবি

আসলেই...

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

এটা নিয়ে ভেবেছিলাম একটা পোস্ট দিব। আপনি পোস্ট দিলেন দেখে খুশি হলাম। ভ্যানে গুলি করাটা নিশ্চিত যুদ্ধাপরাধ। একদিন এগুলোর বিচার হবে। তবে, সে বিচারেও যুদ্ধের গুটি এই সৈন্যগুলোকে কেবল সাজা দিলে হবে না। বুশ আর তার বরাহগোষ্ঠী পর্যন্ত যেতে হবে।

ভ্রম এর ছবি

সেইই...পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ সেদিনের অপেক্ষায় আছে।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

চলুক
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

ভ্রম এর ছবি

হাসি

_প্রজাপতি এর ছবি

আসলেই ভয়ংকর, দেখে মনে হল "ভার্চুয়াল কপ" খেলছে ।

একটা মাত্র ফুটেজ আমরা দেখলাম, এরকম নির্মম হত্যাকান্ড কতো হাজারে হাজারে না হয়েছে। স্বার্থপরের মত শোনালেও ভাগ্যমান মনে হচ্ছে নিজেকে যে ইরাক বা আফগানিস্তানের মত হতভাগ্য দেশে জন্মাইনি।
-----------------------------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

ভ্রম এর ছবি

আসলেই...

অতিথি লেখক এর ছবি

নিজেদের এত সৌভাগ্যবান মনে করার কোন কারণ নাই। আমেরিকা বা কোন বড় ভাই টাইপ দেশের আমাদের দেশে কিছু দরকার পড়লেই একই ভাগ্য হতে পারে।

==========
আশাহত

নাশতারান এর ছবি

এই পৃথিবীতে আমরা বেঁচে আছি!

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ভ্রম এর ছবি

সেইই...অন্তত বেঁচে তো আছি...

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ক্যামেরা দেখলে একে-৪৭ মনে করে, আর কি বাকি রইল? পুরা ভিডিওটা দেখার পর তব্দা খাইয়া বসে আছি, বলার মত কিছু খুঁজে পাচ্ছি না মন খারাপ

মিনিভ্যানের উপরে গুলি করার জন্যে কিভাবে তড়পাইতেছিল বাঞ্চোত কপ্টার পাইলট। এই পশুদেরকে একটু একটু করে অত্যাচার করে মারা উচিত।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ভ্রম এর ছবি

অস্থির হয়ে ছিল গুলি করার জন্য... মানুষ এত্ত নির্মম হতে পারে...

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

এই বিষয়ে যারা খোঁজ রাখছেন, তাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য একটা প্রোফাইল বেরিয়েছে মাদার জোন্স পত্রিকায় - উইকিলীক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিক/প্রাক্তন হ্যাকার জুলিয়ান আসান্জ-এর পরিচিতি। ভদ্রলোকের গল্প পুরাপুরি জেমস বন্ডের সাংবাদিক ভার্শন। নতুন এই ডিজিটাল যুগের একজন সত্যিকারের বীর।

হত্যাকান্ড এইরকম আরো কত হাজারে হাজার ঘটেছে কেউ বলতে পারবে না। এইটা প্রকাশ হলো কারন রয়টার্স এর পেছনে জোকের মত লেগেছিল আর পেন্টাগনের ভেতর থেকে কেউ একজন ভিডিওটা উইকিলীক্স-এ আপ্লোড করে দেয়। দেখে ভিয়েতনামের কুখ্যাত মি লাই হত্যাকান্ডের কথা মনে পড়ে গেল। এইসবের বিচারও হয় না কখনো।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

ভ্রম এর ছবি

আমি শুনেছিলাম ভিডিওটি মাস তিনেক আগে উইকিলিকসের হাতে এসেছে এবং এরপর থেকেই তারা ফেইসবুক ও ট্যুইটারে বলে এসেছে যে ৫ই এপ্রিল তারা এটা প্রকাশ করবে। হতে পারে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই তারা এতদিন অপেক্ষা করেছে নাহলে সাধারণত উইকিলিক কিছু জানতে পারলে বা প্রমাণ পেলে সাথে সাথেই তা প্রকাশ করে। পেন্টাগন থেকে কেউ উইকিলিকসে এটা আপলোড করেছে নাকি সে বিষয়ে কোথাও কিছু দেখিনি হতে পারে চোখে পরেনি। জুলিয়ান আসানজ আরটি'র সাথে এক সাক্ষাৎকারে অবশ্য বলেছেন ভিডিওর সাবটাইটেল উইকিলিকস দিয়েছে অডিও ট্র্যাক থেকে এবং তিনমাসেরও বেশি সময় ধরে তারা এই ভিডিও নিয়ে কাজ করেছে।

মামুন হক এর ছবি

অবশেষে ৫ই এপ্রিল উইকিলিকস ইউএস মিলিটারীর ১২ জুলাই ২০০৭ সালে বাগদাদে করা একাধিক আক্রমণের একটি ফুটেজ প্রকাশ করেছে যা নিয়ে মিডিয়ায় বেশ তোলপাড় হচ্ছে।

--দুঃখের বিষয় হলো এই তোলপাড় পর্যন্তই শেষ, কাজের কাজ কিচ্ছুটি হয়না। ন্যায় বিচার এবং বিশ্ব শান্তির পথে অন্যতম প্রধাণ অন্তরায় আমেরিকা নামের এই দানব রাষ্ট্র। সারা পৃথিবী তাদের বলাৎকারের শিকার আর যত দোষ মোল্লা ঘোষ...

ভ্রম এর ছবি

কদিন পর হয়তো এই খবরটিও হারিয়ে যাবে... দুঃখের বিষয় হলো এরকম আরো কত ঘটনা ঘটেছে, রোজ ঘটছে তার খবর হয়তো কখনোই কেউ জানবেনা...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অমানুষ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

সতের মিনিটের ফুটেজ দেখে আম্রিকান সেনাদের এক্সট্রিমিজম বুঝলাম। অমানুষ, সব অমানুষ।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌ইরাকে হয়তো হাজারো হত্যাকান্ড ঘটেছে এরকম। একটা দেখেই বোঝা গেল আমেরিকান সৈন্যরা হেলিকপ্টার থেকে মানুষকে ভিডিও গেম কায়দায় কিভাবে টোটকা মারে। পাখী মারা চেয়েও সহজ মানুষ মারা।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

এটা তো মাত্র সতের মিনিট। আরও হাজার হাজার মিনিটের হাজার হাজার অনাচার চলছে, চলবে। আমাদের কিছুই করার নেই হয় তো।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।