প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রেলিয় নারীদের ভূমিকা

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি
লিখেছেন ভূঁতের বাচ্চা (তারিখ: বুধ, ২২/০৪/২০০৯ - ১০:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবার পর থেকেই কর্মক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয় নারীদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরু করে। সেসময়ে নারীদের সাপ্তাহিক বেতন পুরুষদের চেয়ে অনেক কম ছিল; এটাকে নারীকর্মীদের সংখ্যা বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কমে যাবার একটি কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এসময়ে বেশিরভাগ অস্ট্রেলিয় নারীরা গৃহকর্ত্রী হিসেবেই কর্মরত ছিল। যুদ্ধের এক পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র থেকে সংগ্রহকৃত পাঁচ লক্ষেরও বেশি তরুণদের বাধ্যতামূলকভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বাধ্য করা হয়। এসব খালি পদ যেখানে নারীকর্মীদের দিয়ে পূরণ করা সম্ভব ছিল, সেটি না করে অস্ট্রেলিয় সরকার নির্বিকার দায়িত্ব পালন করেন।

বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পর থেকে বাড়ির বাইরে কাজ করতে আগ্রহী নারীদের সংখ্যা বেড়ে যায়। ১৯১৪ সালে যেখানে মোট জাতীয় কর্মশক্তির মাত্র শতকরা ২৪ ভাগ ছিল নারী সেখানে ১৯১৮ সালে এসে কর্মশক্তিতে নারীদের ভূমিকে বেড়ে দাঁড়ায় শতকরা ৩৭ ভাগ। তবে সংখ্যায় আগের চেয়ে বেশি নারীরা অংশগ্রহণ করলেও তাদের বাঁধা কিছু কাজের গণ্ডি থেকে কিন্তু তারা বেড়িয়ে আসতে পারেননি। তৎকালীন সময়ে মেয়েরা শুধুমাত্র পোষাকশিল্প, পাদুকাশিল্প, খাবার এবং মুদ্রণশিল্পের সাথেই কর্মরত ছিল। কর্মীদের ইউনিয়নগুলো এসময় নারীদের কে আরো বিপুল পরিমাণে এবং অন্যান্য শিল্পে যোগদান করতে বাঁধা প্রদান করছিল। তাদের ভয় ছিল যে আরো অধিক পরিমাণে নারীরা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যোগদান করলে বেতনভাতা কমে যাবে তুলনামূলক হারে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিপুল সংখ্যক নারীরা যুদ্ধে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ প্রকাশ করে সরকারের কাছে। যেসব পদের জন্য তারা আবেদন জানিয়েছিল তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- রাঁধুনি, স্ট্রেচার বহনকারী, গাড়ির চালক, অনুবাদক ইত্যাদি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে তৎকালীন অস্ট্রেলিয় সরকার নারীদের এসব আবেদন সরাসরি নাকচ করে দেয়। তবে নারীদের বিভিন্ন সংগঠন যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এসব সংগঠনের মধ্যে ছিল- অস্ট্রেলিয়ান ওমেন'স ন্যাশনাল লীগ, দ্যা অস্ট্রেলিয়ান রেড ক্রস, দ্যা কান্ট্রি ওমেন'স এসোসিয়েশন, দ্যা ভলান্টারি এইড ডিটাচমেন্ট, দ্যা অস্ট্রেলিয়ায়ন ওমেন'স সার্ভিস কর্পোরেশন, এবং দ্যা ওমেন'স পিস আর্মি এবং ওমেন'স ক্রিশ্চিয়ান টেম্পেরেন্স ইউনিয়ন। কিছু কিছু নারীরা এসময়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য তরুণদের উৎসাহিত করা, অস্ট্রেলিয়ান আর্মিতে যোগদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করা, বিদেশী শত্রুদের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে সতর্ক করা এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণের কাজ করতো।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হু, অস্ট্রেলিয় নারীরা বেশ ইয়ে...

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

"ইয়ে" মানে কি বুঝাইলেন শিমুল ভাইয়া ? চোখ টিপি
--------------------------------------------

--------------------------------------------------------

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অস্ট্রেলিয়ায় অনেক বাঙ্গালী মেয়ে পড়তে গেছে, তারাও ইয়ে...
তাদের কথা মনে হইলে... ইশ্... উদাস দুপুর...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

নজু ভাইয়াও দেখি 'ইয়ে' 'ইয়ে" শুরু করলেন। কি মুশকিল !
---------------------------------

--------------------------------------------------------

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক দেরিতে পড়লাম।

এতো ছোট লেখা কেন? আরো বিস্তারিত লিখতে পারতেন। যাই হোক, লেখাটা ভালো লেগেছে।

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

আসলেই আরো অনেক কিছু যোগ করা যেত কিন্তু সময়ের সল্পতা, আমার অলসতা ইত্যাদি মিলিয়ে আর পাঠকদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিতে চাইনি।
--------------------------------------------

--------------------------------------------------------

মুশফিকা মুমু এর ছবি

অনেকদিন পর পড়লাম বলে সরি টুত, ভাল লিখস! চলুক

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

পড়েছে জেনে খুশি হলাম। দেরি হলেও ব্যাপার না। সরি বলার কিছু নাই।
-------------------------------------

--------------------------------------------------------

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।