অপারেশন মোনায়েম খান কিলিং (দুই)

বিপ্লব রহমান এর ছবি
লিখেছেন বিপ্লব রহমান (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৬/১২/২০০৭ - ৫:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্ব
মোজাম্মেল হক, বীর প্রতীক

“রোগ - শোকের ভয়ে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং না নিয়েই ত্রিপুরা থেকে দুই ভাই পালালেন, দেশে গ্রামের বাড়িতে ফিরলেন। তারপর?” আমি তাকে জিজ্ঞেস করি। মোজাম্মেল হক একটু স্থির হয়ে দম নেন। তারপর স্মৃতি হাতড়ে বলতে শুরু করেন আবার।

“তো ঢাকার গ্রামের বাড়ি ভাটারায় ফিরে সবার কাছে সত্যি কথাটাই বললাম। বাড়ির লোকজন তো মহাখুশী, যাক, ঘরের ছেলে ভালোয় ভোলোয় ঘরে ফিরেছে। ওই সব যুদ্ধের ভুত পালিয়েছে।”

“তখন রহিমুদ্দীন মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিয়ে গ্রামে ফিরে আসে। সে আমাকে বলে, ইন্ডিয়ায় যে গেরিলা ট্রেনিং নিয়েছি! আর হাতিয়ার আমাদের দিয়েছে! বুঝলি, তোদের মতো ভীতুদের আর দরকার নেই। এবার আমরাই দেশ স্বাধীন করে ফেলবো।”

“রহিমুদ্দীনের কথাটা আমার খুব মনের ভেতরে গিয়ে লাগে। ১০ - ১৫ দিন খুব অস্থিরতার মধ্যে কাটে। একদিন তাঁকে আবার ধরি, রহিম ভাই, আমি ভুল করেছি, তুমি আমাকে ট্রেনিং এ পাঠাও। আমি যুদ্ধে যাবো। সে কিছুতেই রাজী হয় না। শেষে আমাকে বলে, মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার আগে তোমাকে সাহসিকতার পরীক্ষায় পাস করতে হবে। পাস করলে তারপর দেখা যাবে।”

“আমি রাজী হলে, জুন - জুলাই মাসে রহিমুদ্দীন এক সন্ধ্যায় আমাকে একটি হ্যান্ড গ্রেনেড দেয়। এর ব্যবহার শিখিয়ে দিয়ে বলে, এই বোমার ৩৬ টি টুকরো আছে। এটি ফাটলে ৩০ গজের মধ্যে যারা আছে, তারা সবাই মারা যাবে। তোমাকে এটি বিদেশীদের মার্কেটে মারতে হবে। পারলে সাহসিকতার পরীক্ষায় পাস।”

*
শরণার্থী, ১৯৭১
“পরে গ্রেনেডটিকে আমি প্যান্টের পকেটে নিয়ে রহিমুদ্দীনসহ গুলশান ২ নম্বর ব্রিজের পাকিস্তানী চেক পোস্ট সহজেই পার হয়ে যাই। সেখানে পাক সৈন্যদের সহায়তা করতো যে বাঙালি, সে আমাদের গ্রামেরই এক লোক। তাছাড়া ছাত্র হিসেবে আমার পরিচয়পত্র ছিলো। আমার অসুবিধা হয় না।”

“দুজনে একটা বেবী ট্যাক্সি নিয়ে গুলশান ১ নম্বর ডিআইটি মার্কেটে যাই। সেখানে বিদেশীদের আনাগোনা। রহিমুদ্দীন ‘রেকি’ করে বলে, এখানে সুবিধা হবে না, প্রচুর মিলিটারির পাহারা।”

“আমরা দুজনে একটি আরেকটি বেবী ট্যাক্সি নিয়ে মহাখালি টিবি হাসপাতাল গেটের দিকে যেতে থাকি। পথে বিদেশী পতাকা ওড়ানো একটি বাসা দেখি। ট্যাক্সি ঘুরিয়ে আবারো ওই পথে যাওয়ার সময় রহিমুদ্দীন আমাকে ইশারা করে। আমি চলন্ত বেবী ট্যাক্সি থেকে গ্রেনেডটির পিন খুলে ওই বাড়ির ভেতর ছুঁড়ে মারি।”...

“কিছুদূর যাওয়ার পরেই বিকট শব্দে গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হয়। অবাঙালি বেবী চালক ব্রেক কষে আমাদের বলে, কেয়াঁ হুয়া হ্যায়? রহিমুদ্দীন তাকে ধমকে বলে, বোমা ফুটায়া! সালে লোগ, চালাও বেবী!”

“কিছুদূর গিয়ে আমরা বেবী ছেড়ে দিয়ে ঘুর পথে বাড্ডায় এক আত্নীয়র বাসায় ওই রাতটি কাটাই। পরদিন পত্রিকায় দেখি, বড় বড় হেড লাইনে খবর -- দুস্কৃতিকারীরা বিদেশী দূতাবাসে গ্রেনেড হামলা করেছে! সেটি কোন দূতাবাস ছিল, এখন আর মনে নেই।”...

*

“তারপর?” বালক - বিস্ময়ে আমি জানতে চাই।

মোজাম্মেল ভাই বলেন, “আর কী! রহিমুদ্দীনের পরীক্ষায় পাস। একদিন রাতে বাড়িতে ফিরে দেখি মা কাঁঠালের পিঠা বানিয়েছেন। সেই পিঠা খেতে খেতে মাকে আমি বলি, মা, আমি কাল সকালেই ট্রেনিং নিতে ইন্ডিয়া যাবো। আমাকে কিছু টাকা দিতে পারো?”

“মা বলেন, তোর বাবা তো বাড়িতে নেই। আর আমার কাছে তো টাকা - পয়সা থাকে না। দেখি, তোর চাচীর কাছে কিছু পাওয়া যায় কী না।”

“মা টাকা ধার করতে চাচীর বাসায় গেছেন। একটু পরে চাচা এসে আমাকে ধমকানো শুরু করলেন, এই সব কী? দুদিন পর পর যুদ্ধ, যুদ্ধ করে বাসায় অশান্তি করা! একবার আমার ছেলেকে (চাচাতো ভাই সাঈদ। ওই যে অসুখ - বিসুখের ভয়ে আমরা দুজন ত্রিপুরা থেকে ট্রেনিং না নিয়েই পালালাম!) উস্কানী দিয়ে ইন্ডিয়ায় নিয়ে গেলি। ট্রেনিং না নিয়েই পালিয়ে এলি। এখন আবার ট্রেনিং এর যাওয়ার জন্য বায়না ধরা।... এবার যেতে হলে তুই একই যা। আমার ছেলেকে সঙ্গে নিবি না!”

“আমি বললাম, টাকা দাও, না দাও, এবার আমি যাবোই। একাই যাবো, মরতে হলে একাই মরবো। তোমার ছেলেকে এবার নেবো না।”

“তো পরদিন ভোরে মা’র ধার করা ২৪৬ টাকা নিয়ে আমি গুলশান ২ নম্বর বাস স্ট্যান্ডে যাই। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা রহিমুদ্দীন আগে থেকেই আমার জন্য অপেক্ষা করছিল। দুজনে ইপিআরটিসির বাস ধরে ভাঙা পথে কুমিল্লা পৌঁছাই। আবার সেই গোমতি নদী পর হয়ে পৌঁছাই মেলাঘর ট্রেনিং সেন্টারে। সেখানে ২ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর এটিএম হায়দার আমাকে দেখেই রহিমুদ্দীনকে ধমক, কী সব পোলাপাইন নিয়ে এসেছো! এই সব দিয়ে কী যুদ্ধ করা যায়? রহিমুদ্দীন আমার পক্ষে ওকালতি করে বলে, স্যার, ও ছোট হলেও খুব সাহসী। ঢাকার বিদেশী দূতাবাসে হ্যান্ড গ্রেনেড চার্জ করেছে!”

*
গেরিলা ট্রেনিং, ১৯৭১

“শুরু হলো ট্রেনিং? কী কী অস্ত্র চালানো শিখলেন?”

“হ্যাঁ, মেজর হায়দারের সম্মতিতে এইবার সত্যি সত্যি গেরিলা ট্রেনিং শুরু হলো মেলাঘরে। ২১ দিনের ট্রেনিং এ আমি লাইট মেশিন গান (এলএমজি), কয়েক ধরণের রাইফেল, স্টেন গান, প্লাস্টিক এক্সপ্লোসিভ, এন্টি ট্যাংক মাইন, ১৬ ইঞ্চি মাইন, ফসফরাস বোমা, গ্রেনেড থ্রোইং, অ্যামবুশ প্রশিক্ষণ নেই।”

“২১ দিন পর ১৫ জন নিয়ে আমাদের ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গেরিলা গ্র“প তৈরি হলো। এর গ্র“প কমান্ডার হলেন এমএন লতিফ। আর সেই রহিমুদ্দীনকে করা হলো ডেপুটি কমান্ডার।”

“একদিন মেজর ফেরদৌস, ক্যাপ্টেন আয়েন উদ্দীন ও আনোয়ার হোসেন (বীর প্রতীক) আমাদের একটু ভাল খাইয়ে - দাইয়ে রাতের বেলা বিদায় দিলেন। কিন্তু যাদের সীমান্ত রেকি করতে পাঠানো হয়েছিলো, তার ঠিক ভাবে ডিউটি না করেই ক্লিয়ারেন্স দেয়। আমরা ১৫ জন কুমিল্লার সিএনবি রোডে উঠতেই পাক সেনাদের অ্যামবুশের মুখে পড়লাম। তিন - চারটা ব্যাংকার থেকে শুরু হলো ক্রমাগত মেশিনগানের গুলি।”

“ওই রাতে এক পাট ক্ষেতে পালিয়ে পরদিন বুকে ভর দিয়ে একটু একটু করে আবার ইন্ডিয়ার মেলাঘরে পৌঁছাই। দেখি আমরা ১৫ জনই অক্ষত আছি। কিন্তু মেজর হায়দার এবার বেঁকে বসলেন, এদের মর‌্যাল ডাউন হয়ে গেছে। এদের দিয়ে আর যুদ্ধ হবে না! তিনি নির্দেশ দিলেন, আমাদের কোনো একটি গেরিলা ইউনিটে গোলা বারুদ বহনকারী হিসেবে যোগানদারের দায়িত্ব পালন করতে!”

*

মোজাম্মেল হক বলে চলেন, “এই কথায় সবার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। এতো কষ্ট করে ট্রেনিং নিলাম, আর শেষে কী না যোগানদার! আমরা কী যুদ্ধ করবো না!”

“আমি বুদ্ধি করে প্রতিদিন রুটিন করে মেজর হায়দারের অফিসের সামনে অ্যাটেনশন হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে লাগলাম। ১৫ - ২০ দিন পর উনি আমাকে ডেকে বললেন, এই তোর কী হয়েছে? প্রত্যেক দিন এখানে দাঁড়িয়ে থাকিস কোনো? আমি বলি, স্যার আমাদের যুদ্ধে পাঠান। আমরা মরতে ভয় পাই না। মেজর সাহেব বলেন, তোদের দিয়ে তো যুদ্ধ হবে না। তোদের মর‌্যাল বলতে আর কিচ্ছু নেই। আমি নাছোড়বান্দা, না স্যার। আমরা পারবো। আমাদের একটা অপারেশন দিয়েই দেখুন না!”

“মেজর হায়দার বলেন, তুই কাউকে মারতে পরবি? কোনো চিন্তা না করেই বলি, স্যার, পাকিস্তানের স্পীকার আব্দুল জব্বার খানকে মারতে পারবো। মেজর সাহেব আমাকে একটা চড় মারেন। বলেন, বেয়াদব, জানিস, এটা কতো কঠিন কাজ? আচ্ছা, তুই ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসিন্দা পাক গভর্নর মোনায়েম খানকে মারতে পারবি?”
“এইবার আমি বলি, স্যার, এটা আমার জন্য অনেক সহজ। আমি তার বাসা চিনি। ছোট বেলায় তার বাসার ওখানে খেলতে গিয়েছি। আমার এক দূর সম্পর্কের জব্বার চাচা তার বাসার গোয়ালা।”

“মেজর হায়দার হেসে হুকুম দেন, গেট টেন, উল্লুক কা পাঁঠা।”

“সঙ্গে সঙ্গে আমি ১০ টা বুক ডন দিতে লেগে যাই। বুঝতে পারি, আমাকে মোনায়েম খান কিলিং অপারেশনের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে!”

“এবার আমি তাকে পাল্টা প্রশ্ন করি, স্যার, যদি অপারেশন সাকসেস হয়, আমাকে কী পুরস্কার দেবেন?”

“তুইই বল, তুই কী চাস?”

“অপারেশন শেষে আমি আপনার কোমরের রিভলবারটা চাই!”

“গেট লস্ট! উল্লুক কা পাঁঠা!”

“...ক্যাম্পে ফিরে গ্র“পকে এই খবর বলি। কেউ বিশ্বাস করে না। একটু পরে অর্ডার আসে, আমাদের ঢাকায় অপারেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে! খুশীতে সবাই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে।”

*
মুক্তিবাহিনী, ট্রেনিং ক্যাম্পে
“এরপরেও সীমান্তের একটি ছোটখাট যুদ্ধে আমাদের সাহসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। আমরা ১৫ জনের গ্র“প নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে পৌঁছাই। সঙ্গে যার যার হাতিয়ার জামার নীচে আর ব্যাগের ভেতর লুকানো।”

“সেখান থেকে আমি ভাটারার গ্রামে ফিরি। আমার মাথায় তখন একটাই চিন্তা -- অপারেশন মোনায়েম খান।”...

“আমি মোনায়েম খানের গোয়ালা জব্বার চাচাকে খুঁজে বের করে তাকে সব কিছু বলি। তিনি আমাকে বলেন, তুই তার রাখাল শাজাহানের সঙ্গে খাতির কর। তোর কাজ হবে। খবরদার, আমার কথা কিছু বলবি না!”

“জব্বার চাচা একদিন দূর থেকে শাজাহানকে চিনিয়ে দেন। সে তখন বনানীতে মোনায়েম খানের বাসার পাশে গরু চড়াচ্ছে। আমি তার সাঙ্গে এটা - সেটা গল্প জুড়ি। মোনায়েম খানের ওপর রাখালের খুব রাগ।”

“কথায় কথায় শাজাহান বলে, মোনায়েম খান একটা জানোয়ার! আমাকে বেতন তো দেয়ই না, উল্টো নানান নির্যাতন করে। একেকটা সিন্ধী গাই ২০ - ২৫ সের দুধ দেয়। এক ফোঁটা দুধও আমাকে খেতে দেয় না। গাই দোয়ানোর সময় মোড়া পেতে সে নিজেই বসে থাকে, যেনো দুধ চুরি না হয়। পাঁচবার বাসা থেকে পালিয়েছি। প্রত্যেকবার পুলিশ দিয়ে আমাকে ধরিয়ে এনেছে। মুক্তিরা এতো মানুষকে মারে, এই ব্যাটাকে মারতে পারে না!”

“আরেকটু খাতির হওয়ার পর একদিন শাজাহানকে আমি বলি, আমার সঙ্গে মুক্তিদের যোগাযোগ আছে। আপনি যদি সহায়তা করেন, তাহলে আমি তাদের খবর দেই, আপনি মোনায়েম খানকে মারার ব্যবস্থা করুন। শাজাহান রাজী হয়। আরও দু - একদিন ঘোরানোর পর শাজাহান অস্থির হয়ে পড়ে, কই, আপনার মুক্তিরা তো আসে না!”

“একদিন বিকালে আমি একটি চটের ব্যাগে আমার স্টেন গান, দুটি ম্যাগজিন, একটি হ্যান্ড গ্রেনেড আর একটি ফসফরাস বোমা নিয়ে শাজাহান ভাইয়ের কাছে হাজির হই। তাকে বলি, আজ সন্ধ্যায় একটু দেরীতে গরুগুলোকে মোনায়েম খানের বাসায় ঢোকাতে হবে। আর আমাকে লুকিয়ে নিয়ে যেতে হবে বাসার ভেতর। সেই প্রথম শাজাহান ভাই বোঝেন, এতোদিন আমার কাছে মুক্তিবাহিনীর যে গল্প তিনি শুনেছেন, আমিই সেই মুক্তি বাহিনী! তিনি আমার প্রস্তাবে রাজী হন।”

(চলবে)


মন্তব্য

বিপ্লব রহমান এর ছবি

বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমে মোজাম্মেল হকের বিশেষ সাক্ষাতকার পড়ুন এখানে


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এই বীরত্বগাঁথা পড়েছিলাম বেশ আগেই ।
তবু আবার পড়তে,বারপবার পড়তে এতোটুকু ক্লান্তি নেই ।
কৃতজ্ঞতা বিপ্লব রহমান ।

ইতিহাসের পাতা ভরে থাকলো রামশ্যাম যদুমধুতে আর আমাদের আসল নায়কদের আড়ালে ঠেলে দেয়া হলো ।

auto
১৬ই ডিসেম্বর,রেসকোর্স ময়দানে আত্নসমর্পন করতে আসা নিয়াজীর একপাশে অরোরা,একপাশে মেজর হায়দার বীরোত্তম,জেনারেল জিয়ার প্রতিহিংসা ও মুক্তিযোদ্ধা নিধন কর্মসুচীর আরেক শিকার ।
-----------------------------------------
মৃত্যুতে ও থামেনা উৎসব
জীবন এমনই প্রকান্ড প্রচুর ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

মেজর এটিএম হায়দারের এই করুণ পরিনতি সম্পর্কে খানিকটা জানতাম। ছবিটা মনে মনে আমিও খুঁজছিলাম। আপনি তথ্যটা উল্লেখ করায়, ছবিটা দেওয়ায় খুবই ভাল হয়েছে। থ্যাঙ্কস।


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ঠিক। আর আওয়ামী লীগের আমলে এই বীর প্রতীকই আবার দুই মাস জেল খাটেন। কী অদ্ভুত বৈপরীত্য।

দ্রোহী এর ছবি

চলুক বর্ণনা। সাথে আছি, থাকবো।


কি মাঝি? ডরাইলা?

sulfo sanpah এর ছবি

অসাধারণ, এক নিঃশ্বাসে শেষ করলাম। বাকিটা না পড়লে হাঁসফাঁস লাগছে।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বিপ্লব ভাই। আপনার কারণেই জানতে পারছি ----।

থার্ড আই এর ছবি

চলুক..........
-------------------------------------
জল ভরো সুন্দরী কইন্যা, জলে দিছ ঢেউ।
হাসি মুখে কওনা কথা সঙ্গে নাই মোর কেউ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

বিপ্লব রহমান এর ছবি

সঙ্গে থাকার জন্য আবারো সবাইকে ধন্যবাদ। আপনাদের আগ্রহে শেষ পর্ব এখনই দিচ্ছি।


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।