সচলের রোদ্দুরে..

বিপ্লব রহমান এর ছবি
লিখেছেন বিপ্লব রহমান (তারিখ: সোম, ২৩/০৬/২০০৮ - ২:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

..(কতো লোকে নাইওর যায় রে, এই না আষাঢ় মাসে/ উকিল মুন্সী নাইওর যাবে কার্তিক মাসের শেষে / আষাঢ় মাইসা ভাসা পানি রে...)

কৈশর-প্রথম যৌবনের লিটল-ম্যাগের পাঠ চুকে যাওয়ার পর নিউজ ছাড়া আর কিছুই লেখা হয়নি। এক সময় ডায়রীতে লেখা হতো ব্যক্তি কথনের একান্ত অক্ষরমালা। ট্রাংক ভর্তি ছিলো সেই সব খেরোখাতা, পাহাড় ও সমতলে তোলা একগাদা ফটো, ছিলো প্রেম-অপ্রেমের কার্ড, চিঠির বান্ডিল।

জীবনের এক বাঁকে হীরে ভেবে কাঁচ তুলে নেওয়ার ঝড়ের রাত্রে আছড়ে ভেঙে ফেলা হয় সব কয়েকটি ইমেজ। হররোজ চুনোপুঁটি ধরে ক্লান্ত রহিম যেনো ছুটি নিতে চায়। সেই রহিম এই রহিমের ভেতর ছোট মানুষ হয়ে প্রবেশ করেন। ট্রাংকের ভেতর কেরোসিন ঢেলে কেমন চমৎকার বহ্নি-উৎসব হয়েছিলো...লোড শেডিং অন্ধকার ঘরের দেয়ালে জুড়ে ফেল্ট পেন আর পেন্সিলে লেখা ফোন নম্বর আর টুকরো সংলাপ জ্বলে উঠেছিলো...যেনো ফসফরাস! আহ্, লেট আহমেদ উল্লাহর আট নম্বর ট্রাংক!

অক্ষরের ঘানি টেনে টেনে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে, অনেকটা জীবন ক্ষয় করার পরেও কী জানা গেলো, কোথা সেই মোক্ষলাভ? কই? কই? কই? অর্জুন, হে অর্জুন, তুমি তো জানতে, নিশ্চিত জানতে, অহর্নিশি মায়ার খুশী, শুধুই জ্ঞান দুই চোখে...আরও জানতে জীবনের যাগলিং! জানতে ভিখুর খুন-খারাপির কাজ-কারবারও।...

*

টরেন্টো প্রবাসী বন্ধু সেরীনকে লেখা হয়, মাথার ভেতর কুড়তে থাকা ব্যক্তিগত অক্ষররাজী। ব্লগর ব্লগর আর লগর লগর লটর পটর ঘড়ঘড়...সেরীন বলেন, আপনি লিখুন, নিজের জন্য লিখুন, কারো কথা না ভেবে লিখুন, যা মন চায়, তা-ই লিখুন। সেরীন, প্রিয় সেরীন, ও বেদনার বন্ধু আমার!

কী আশ্চর্য, সেই সব লেখার বেশ কয়েকটি প্রবাসী বাংলা ট্যাবলেয়েডে ছাপার হরফে প্রকাশ হয়। পাহাড়ের বন্ধু মহল কয়েক দশক ধরে লেগেই আছেন, ক্লান্তি দেয় না অবসর। পাহাড়ের পর পাহাড়, অরণ্যের গহিনে বার বার ডাকেন নিখোঁজ মেনলে ম্রো...আর কল্পনা চাকমা। স্মৃতি কোষে সেই শরণার্থী শিশু, যে তার চাকমা কথা রিপোর্টারের নোট বুকে লিখে দিয়েছিলো--আমার দেশ্চান খুব গম লাগে--কাঁচা হতের সেই বাক্যটির বেদনা তাড়া করে ফেরে নির্ঘুম মাঝ রাতে। প্রথমে নিউজপ্রিন্ট-বলপয়েন্ট, তারপর টাইপরাইটার আর ব্লু মনিটরে অ্যাপেল ম্যাকিন্টস, আরো পরে উন্ডোজ-৯৮ এ লেখা হতে থাকে সংবাদ আর নেপথ্য সংবাদ কথিকা...বদল হতে থাকে অফিসের পর অফিস।...

*

আরো পরে, বছর দুকে আগে ডেস্কটপে লেখা কিছু লেখা পড়ে পিঠ চাপড়ে দেন অমি রহমান পিয়াল। আপনি ব্লগে লিখুন না কেনো? গুগল বা ইয়াহুর কঠিন ইংরেজীর সহজ পাঠ নয়। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, সামহোয়ারিন বাংলা ব্লগ। তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ!

ডেস্কটপে জমতে থাকা এমএসওয়ার্ড কাটপেস্টে লেখা হতে থাকে আনাড়ি ব্লগারের ইউনিকোড হরফ। সহকর্মিরা প্রথমে মুচকি হাসেন, পরে একে একে স্বাক্ষরযুক্ত হন কেউ কেউ। মাসকাওয়াথ আহসান, ব্রাত্য রাইসুরা ততোদিনে সেলিব্রেটি ব্লগার! আর আরিফ জেবতিক কিছু লিখলেই পছন্দের প্রিয় পোস্ট!

ছিলো পাঠের তীব্র আনন্দ। ছিলো লেখা প্রকাশের পর মন্তব্য পাওয়া আর ‘আপনাকে বিপ্লব’ এর সমবেত অট্টহাসিও। আস্তে আস্তে প্রথম প্রেম ঘুচে যাওয়ার যন্ত্রণাটুকু ফিরে আসে। মনচায় আবারও মদের গ্লাসে ডুবিয়ে দিতে অশ্র“জল, সেই সম্পর্ক ভাঙাভাঙির কালবেলা...

চমক ভাঙে ব্লগের পাতায় খোঁচাখুচির অবাক পাঠে! মহান আলি, ঢালি, রাগু, ছাগু, গালাগালি আর গলাগলির সমবেত চিৎকার...ব্লগার আন-ব্যান আন্দোলন...সামহোয়ার আউট, ব্ল্যাক আউট! ...মুছে যায় কী সাবলীল প্রযুক্তিগত বিঘœতা ছাড়াই মায়াময় লেখাসমূহ...প্রিয় অক্ষর...তোমায় প্রনাম! উবে যায় হঠাৎ পাঠেরও আনন্দ...যেনো মধ্যযুগের অন্তর্জাল সংস্করণ, যেনো ঘুমের ভেতর অস্ত্রপচার, রাত সাবধান!

আবারো ফিরে আসে ডেস্কটপ, একাকী নিজের সঙ্গে কথা বলা, আপনমনে অক্ষর টিপে একা একা পথ চলা...যাগলিং, টম অ্যান্ড জেরির দৌড়ঝাঁপ! এবিসিটিম এর বস্তিবাস!

একই অনুভূতিতে দম বন্ধ হয়ে আসতে চায় ব্লগার বন্ধু রাকিব হাসনাত সুমনের। তিনি মহামান্য বাঁধভাঙাকে লিখলেন, নিজেকে ভাঙার উপায় কী? আইপিসহ আমাকে ব্যান করুন, আমার সমস্ত লেখা মুছে দিন!...

*

আবারও অমি রহমান পিয়াল দেখান এক নতুন ইন্টারফেস...সবুজ ঘেসো জমিতে গরু চড়ান এক চাষা, চিত্ত যেথা ভয়শুন্য, সচলায়তন তার নাম!

আবারও চলে ব্লগর ব্লগর লগর বগর লটপট ঘড়ঘড়। সচলের রোদ্দুরে তিতাস পাড়ের প্রিয় শ্যাজাদি, তিথি আপু, এসএমসিসহ অনেকের সঙ্গে নতুন করে পরিচয়। মাঝে মাঝে জিটকে অরূপদা, সুবিনয় আর অমিতের সঙ্গে খুচরো বাতচিত। ...

সচলের লেখা পড়ে, ‘আপনাকে বিপ্লব’ দেখে নিশ্চিত হন মার্কিন প্রবাসী স্কুল বেলার বাল্যসখা শামীম হক। ব্লগ থেকে ইমেল ঠিকানা নিয়ে চলে বাংলা মেইলরে তুই-তোকারির সংলাপ। আহ, ২৫ বছর পর ফিরে আসে সেই সব ধূসর অতীত।...

*

পুনশ্চ অথবা নিবেদন ইতি:
নকশালাইট প্রায়-অন্ধ বাবা আজিজ মেহের বলতেন, বাবু, প্রতিদিন সকালে দাঁত ব্রাশ করার সময় আয়নায় নিজেকে সেল্যুট করবে। যেনো স্পিনোজার আতœগত ভাববাদ--আমি আছি, ইহা অপেক্ষা সত্যি নাই। কিন্তু হে অর্জুন, রিপোর্টার থেকে পোর্টারে ফসিলাইজড হওয়ার পর সত্যিই কী কোথাও তুমি আছো? অচলাইজড হয়ে না আবার ডুবে যাও টুপ করে হঠাৎ শামুকের মতো গহিন অতলে; যেমন মুমু কথিত সেই অভিমানী এবং অকথিত কেউ কেউ!...
---
ছবি: ভ্যান গখ, অন্তর্জাল


মন্তব্য

সাধক শঙ্কু এর ছবি

ঘ্যাজম্যাজ কইরা লেখতে থাকেন


খোয়াব উড়ে
মিচকা ঘোড়ার কানপাখাতে
মাইট্যা খোলের
বুকের ভিতর শুকনা তাঁতে
ডিগবাজী খায়
খর-বিচালির আস্তাবলে
রাস্তা প্যাচায়
দমভরসার চিমনি জ্বলে


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

আকতার আহমেদ এর ছবি

লেখার জন্য (বিপ্লব)

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

তবুও লিখুন, কেননা অমিয়ভূষণ জানাইছেন 'লিখনে কী ঘটে!'

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

খাসা লিখলেন বিপ্লব জী ! ( এমন গদ্য খুব কমই দেখি এই আয়তনে ! )
টুকটাক স্মৃতিময়তার ভেতর দিয়ে কষ্টলজিয়া ! ( মুর্তালা রামাত - ক্ষমাপ্রার্থনা পূর্বক ) এমন গদ্যে অনেক কিছু ফলে,অনেক কিছুই !বলি কি, বলিহারি !
প্রণম্য !!
---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আমার ছোটবেলার পিচ্চি ডায়রি এখনও আছে দেঁতো হাসি আরেকটা আছে কালো কষ্ট ডায়রি দেঁতো হাসি
খুব ভাল লিখেছেন লেখার জন্য বিপ্লব ভাই কে (বিপ্লব)
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

বিপ্লব রহমান এর ছবি

তাই? সে সব ডায়রীর কিছু পাতা কী ব্লগ সংস্করণ হয়ে সচলে উঠে আসতে পারে না?

হোক না কিছুটা আনন্দ-বেদনা ভাগাভাগি।...শেষমেষ...ব্লগরব্লগরই তো!

‌'শ্যাজাদির ডায়রীর পাতা ছিঁড়ে' এখনো খুব প্রিয় পোস্ট।

---
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

কীর্তিনাশা এর ছবি

অদ্ভুত সুন্দর। কষ্ট কষ্ট ভালোলাগা।

------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনি আরটিভিতে তো?
আরটিভির সাথে আমার একটা বড় চুক্তি স্বাক্ষর হওনের পথে (হয়তো)। কালকা বৈঠক...
হয়ে গেলে মাঝে মাঝে দেখা হইবো। ভালো থাইকেন। ভালো লেইখেন।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

থার্ড আই এর ছবি

আহা এই পথ যদি না শেষ হয়... বলো কেমন হতো...
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

কনফুসিয়াস এর ছবি

দারুন লিখেছেন।
টিভি পর্দায় উপস্থিতির হার কেমন আপনার?

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

শ্যাজা এর ছবি

এই লেখায় আপনাকে কোনমতেই এক বিপ্লব দেওয়া যাবে না গুরুদেব, এক্কেরে পঞ্চ বিপ্লব দিতে হইব হাসি


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

বিপ্লব রহমান এর ছবি

সবাইকে আবারো ধন্যবাদ।
---
কনফুদা, আমি তো এখন পোর্টার, মানে ডেস্ক-ডিউটিতে; অবশ্য মাসে একটা স্পেশাল রিপোর্ট বরাদ্দ আছে। অর্থাৎচেহারা-ছবি দেখার সম্ভবনা প্রায় নেই।
---
শ্যাজাদি, এইভাবে কী লজ্জা দিতে হয়? কী যে বলেন ছাই! হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

স্পর্শ এর ছবি

ভাল লাগলো।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রায়হান আবীর এর ছবি

ভ্যানগখের ছবি
ভিভালদোর সুর
অলিভার স্টোনের মুভি
আর আমার পাকা চুল
রান্না ঘরের নেভানো চুলা
তোমার চুলে কৃষ্ণচুড়া
লা লালা লা লা লা
লা লালা লা লা লা

---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

রণদীপম বসু এর ছবি

সচলে বেনামা অতিথি হিসেবে প্রথম পোস্টেই সম্ভবত সন্ন্যাসীজি প্রথম মন্তব্যে কিছুই না লিখে 'আপনাকে বিপ্লব'-এর যে তারাবাত্তি জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন, এর মাথামুণ্ডু কোন অর্থ থাকতে পারে বুঝিনি তখন। বর্তমান অর্ধসচল অবস্থায় কোনো এক পোস্টে আনোয়ার সাদাত শিমুল এক মন্তব্যে আমার আনাড়িপনার লক্ষণ বুঝেই হয়তো জিজ্ঞেস করেছিলো, আমি এসব সাংকেতিক অর্থ বুঝি কিনা।

অন্যগুলো না বুঝলেও 'আপনাকে বিপ্লব' এর ,মাজেজা বোধয় এখন কিছুটা বুঝতে পারছি।
ধন্যবাদ। লেখাটি ভালো লাগলো।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

পরিবর্তনশীল এর ছবি

জনাব, ভালা আছেন বুঝা যাচ্ছে।

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

ও...........ভাটিয়াল গাঙের নাইয়া............
আবু ভাইরে কইয়ো.. আমায়
নাইওর নিতো আইয়া...

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

রাবাব এর ছবি

আপনার লেখার উৎস কি? বয়েস নাকি অভিঞ্গতা? স্যালুট!

সৌরভ এর ছবি

আপনি চলমান জীবন্ত সাক্ষী অনেক কিছুর। এইসব অভিজ্ঞতা ব্লগের পাতায় আরো চাই।

দেরিতে কমেন্টানোর জন্যে দুঃখিত। এই পোস্টটা এমন সময়ের, যখন সচলায়তনে অনেকদিন লগইন করি নি।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।