কোলাজ

বইখাতা এর ছবি
লিখেছেন বইখাতা (তারিখ: রবি, ১৪/০২/২০১০ - ১:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নীলচে আগুনের দিকে আমি তাকিয়ে ছিলাম একমনে। হাজারটা চিন্তা জট-পাকানো মাথায়। কিছুই ভালো লাগছিল না। কী ভেবে হঠাৎ বাইরে আসতেই আমি তাকে দেখতে পাই।

হাসপাতালের করিডোরের এক প্রান্তে সিঁড়ি, সিঁড়ি দিয়ে উঠে ডানে ভি আই পি রুমগুলি । ওই প্রান্তে ঠিক সিঁড়ির মাথায় খুব মায়াময় মুখের একটা বাচ্চা ছেলে, বসে আছে একটা সাদা মোটাসোটা বিড়ালের সামনে, সতর্ক ভঙ্গিতে । মুখোমুখি বাচ্চা ও বিড়াল – সমান সতর্ক। একটা স্টিল ছবির মত আমার সামনে। আর এই দৃশ্যের পেছনেই দাঁড়িয়ে সে – একরাশ বিষণ্ণতা মেখে তাকিয়ে বাচ্চাটার দিকে। ভাবলাম – তার কে অসুস্থ !

বিরক্ত লাগে ! আর কতবার এই এক কথা ভাববো আমি ! কিন্তু নিজেকে নিয়ন্ত্রণও করতে পারিনা। যেমন শ্বাস নেয়া থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা নাই, যেমন সারা দিন-রাত একটানা ছোটাছুটি আর কাজ করার পর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ঘুমিয়ে পড়া থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনা, তেমনই ঘরে-বাইরে, বাসায়-রাস্তায়-অফিসে, সময়ে-অসময়ে এই চিন্তা থেকে মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনা। বুঝি, এ থেকে আমার মুক্তি নেই। এভাবেই কাটাতে হবে সারাটাজীবন – নির্ধারিত হয়ে গেছে।

ফোনের বিপ্ শব্দ হলো – তাকালাম না। সাকিব নিশ্চয়ই। বুঝিনা - ক’দিন পরেই যাকে সারাজীবনের জন্য স্বীকার করে নিতে যাচ্ছি তার সাথে কথা বলতে এত অনীহা বোধ করি কেন ! ফোন রিসিভ করে আমি আর কোনো কথা খুঁজে পাইনা। সাকিবই কথা বলে যাচ্ছে একটানা - আমি হুঁ-হাঁ করে চালিয়ে যাচ্ছিলাম। বুঝতে পেরে সাকিব নিজেই বললো – ‘আজকে কি কাজের চাপ অনেক বেশি ছিল ? ক্লান্ত লাগছে ?’ রেডিমেড অজুহাত পেয়ে বাঁচলাম। সাথে সাথে প্রতুত্তরে জানালাম – সত্যি আমি ক্লান্ত। ঘুমাতে যেতে চাই। ফোন রেখে ভাবলাম – আমি কি সাকিবকে ঠকাচ্ছি ?!

ছেলেটার মুখটা ছিল বিষণ্ণ – ম্লান। করিডোরের চাপা হলুদ আলোয় তাকে খুব করুণ দেখাচ্ছিল। হঠাৎ মুখ তুলে তাকালো সে – একেবারে আমার চোখে চোখে। কয়েক সেকেন্ড মাত্র। তারপর চোখ সরিয়ে নিলাম দুজনেই। পেছনে কী হচ্ছে না দেখে আমি ফিরে গেলাম গ্যসের নীল শিখার সামনে। পানি টগবগ করে ফুটছে ততক্ষণে।

ডাক্তার যখন গোপনে আমার ভাইয়ের কাছে জানালেন যে আম্মার ক্যানসার হয়েছে – সন্দেহ করছেন তারা – আমার সারা দুনিয়া আঁধার হয়ে গেল। আম্মা কি আর বাঁচবেন না ? কেমন করে বাঁচবো আমি আম্মাকে ছাড়া ? এখন আমি মনে করতে পারি, ওই সময়টাতে আমি কিছুটা কেমন-যেন হয়ে গেছিলাম। ছাড়া ছাড়া, অসংলগ্ন কথা বলতাম হঠাৎ হঠাৎ। রাস্তায় হাঁটতাম একবারে অন্ধের মতো। কোন কথায় হাসতে হবে, কোন কথায় রাগ করতে হবে সবসময় ঠিকমত বুঝতে পারতাম না। কোনো কিছুই ঠিকমত মনে রাখতে পারতাম না। নিজের জন্য নিজেরই মায়া লাগে ওই সময়টার কথা ভাবলে।

সাকিবের সাথে আজকের বিকালটা কাটালাম। সত্যি বলতে কী, ভালোই কাটলো বিকালটা। সাকিবকে বোধহয় আমি পছন্দ করতে শুরু করেছি। তবে তাই যদি হয় তো, সাকিবের চোখে চোখ পড়তেই চোখ সরিয়ে নিচ্ছিলাম কেন আমি ! কেন জানি, ওই মুহূর্তগুলি ভালো লাগছিল না। এখন বুঝতে পারছি, একটা বিফল চেষ্টা আমি নিজের অজান্তেই করছিলাম বার বার। মেলাতে চেষ্টা করছিলাম সাকিবের সাথে ওই ছেলেটাকে, বিভিন্নভাবে, এমনকি নিজেকেও বুঝতে না দিয়েই। মিলছিল না। সেজন্যই বোধহয় থেকে থেকে অনুভব করছিলাম – 'নাহ্ ! এই মানুষটা আমার জন্য না'। আর এই ভাবনাটাই আমাকে শান্তি দিচ্ছিল না একদম। ওই ম্লান চোখের দৃষ্টি থেকে আমি কি কখনো, কোনোদিন মুক্তি পাবো ? জানি, পাবোনা। নিজেকে বুঝাই, এটা কি আদৌ চিন্তা করার মতো একটা বিষয় ?! চিন্তা–ভাবনা করার মতো অনেক জরুরী ব্যাপার কি নেই ! আছে তো অবশ্যই। কিন্তু মন পোড়ে যে !

‘চোখ ফিরাও আম্মা! চোখ ফিরাও !’ মনে মনে চিৎকার করে যাচ্ছিলাম আর বোকার মত আশা করছিলাম আম্মা চোখ ফিরিয়ে নেবে ! কী বুঝে এভাবে তাকিয়ে আছে আমার দিকে ! আম্মার এমন কাতর, অসহায়, দুশ্চিন্তায় ভারী হয়ে আসা চোখের দৃষ্টি আমি সইতে পারি না। বুঝতে পারছে না কেমন লাগছে আমার ! গলা, বুক ব্যথায় অসাড় করে দিয়ে প্রবল বেগে চোখে ধেয়ে আসছে কান্না। জলোচ্ছ্বাসের মতো। আর জলের ঝাপটায় পাথরসম আমি ভেঙে পড়ছি, গলে গলে প্রায় ডুবে যাচ্ছি। আর একটু ! – তারপরই আর বাঁধ দিয়ে রাখতে পারবো না। কিন্তু কারো সামনে কাঁদতে যে আমার খুব বিচ্ছিরি লাগে।

হাসিমুখে সবার সাথে কথা বলে যাচ্ছি যদিও আজ সন্ধ্যার পর থেকেই মনটা ভীষণ বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে। বড় আপার সাথে ফোনে কথা হলো। সাকিব নাকি আপার কাছে জানতে চেয়েছে আমি সত্যিই ওকে পছন্দ করেছি কি না - পছন্দ না হলে তো জোর করে বিয়ে করার কোনো দরকার নাই। খুবই ভালো কথা। কিন্তু আমি কি বিয়েটা করতে চাই না ? সাকিবকে কি আমি পছন্দ করিনা ? হুম, করি তো ! ভালোই পছন্দ করি। সাকিবকে বিয়েও করতে চাই আমি। ওই বিষণ্ণ চোখের দৃষ্টি দিয়ে আচমকা আমাকে আটকে ফেলে হারিয়ে যাওয়া ছেলেটার দেখা আমি সারাজীবনে আর কখনো পাবো কিনা জানিনা। আর দেখা পেলেই বা কী ! সে কি আদৌ আমাকে মন রেখেছে ! জীবনটা নাটক-সিনেমা না, গল্প-উপন্যাসও না। কিন্তু সাকিবকে কি আমি ঠকাচ্ছি ? বুকের ভেতর এক পুরুষের ছবি গেঁথে নিয়ে সারাজীবন অন্য পুরুষের ঘর করে যাবো ! করতে সমস্যা কী ?! কেউ কখনো জানবে না। আমিই জানাবো না। বা আসলে জানানোর মতো কী-ই বা আছে ! শুধুই চোখে চোখে দেখা। আর কিছু তো না ! তবুও !

রাত তখন দশটা প্রায়। আম্মার লাল হয়ে যাওয়া, ফুলে ওঠা পায়ের দিকে তাকিয়ে ছিলাম । ঠিক গোড়ালির কাছেই উঁচু হয়ে একটা ছোট বলের মতো। টিউমার। আমার ইচ্ছা করছিল সারা দুনিয়া লন্ডভন্ড করে দেই। কেন আমার আম্মারই এমন অসুখ হবে ?! কেন আমার পৃথিবীটাই এমন বালির ঘরের মতো ভেঙে পড়বে ! অন্ধকার ঘরে কোনরকম শব্দ না করে কেঁদে যাচ্ছিলাম। প্রাণপণ চেষ্টায় জোর করে শ্বাস ফেলা, নাক টানার শব্দ বা হঠাৎ শব্দ করে কেঁদে ওঠা থেকে নিজেকে সামলে রাখছিলাম। চাইনা, আম্মা কিছু টের পাক। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ। আর তখুনি ! আমি তার ছায়া দেখলাম। আমি নিশ্চিত ওটা সে-ই ছিল। করিডোরের চাপা আলোয় আমাদের জানালায় তার ছায়া পড়েছে। সে যেন ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাল এদিকে একবার, না কি আমরা মনের ভুল জানিনা। ততক্ষণে কান্না থেমে গেছে আমার। দৃষ্টি জানালায় । সে কি আবারও আসবে ?! হুম, ঠিক ! সে পায়চারি করছে আমাদের করিডোরে। প্রবল চেষ্টায় দরজা খুলে বাইরে যাওয়া থেকে নিজেকে আটকালাম । আম্মা অসুস্থ বিছানায়, আর আমি এসব কী করছি ! কী স্বার্থপর মন আমার ! হায়রে মন !

চাচাতো-মামাতো সব ভাইবোনদের সাথে মিলে আড্ডা দেয়ার মত আনন্দ বহুদিন হলো পাইনি আমরা কেউই। আজকে সেরকম একটা আড্ডা জমেছে। আমার আসন্ন বিয়ে উপলক্ষ্যেই। বিয়ে, গায়ে-হলুদের তারিখ ফাইনাল হয়ে গেছে। আমার যে খুব খারাপ লাগছে – তা নয়। হাসছি – কথা বলছি – এইসব ভাবছি, গায়ে হলুদের দিন সবাই তাঁত নাকি জামদানি পরবে, কে কোন গানটা গাইবে এসব নিয়ে আমার নিজের মতামতও দিতে গিয়ে কেন জানিনা থেকে থেকে কেমন একটা তীক্ষ্ণ ব্যথায় প্রায় অবশ হয়ে যাচ্ছি। সবকিছু কেন জানিনা অবাস্তব মনে হচ্ছে। তাহলে সত্যিই আমি বিয়েটা করতে যাচ্ছি ! ওকে আমি কি আর কখনো, কোনোদিন দেখতে পাবো ! আমি জানি, সাকিবকে নিয়ে আমি ভালোই থাকবো । সাকিবকে আমি সুখী করতে পারবো এ বিশ্বাসও আমার আছে। হয়তো সাকিবও তার মনের ভেতর চলতি পথে হঠাৎ দেখা কারো মুখ লুকিয়ে রেখেছে। কোনো হাহাকার জমিয়ে রেখেছে সন্তর্পণে। আমি জানবোনা কোনোদিন।

সেটাই ছিল হাসপাতালে আমাদের শেষ দিন। আম্মাকে ছেড়ে দিচ্ছে হাসপাতাল থেকে । অপারেশনেৱর ধকল ভালোভাবেই সামলে নিয়েছেন আম্মা। দুপুরেই আমরা চলে যাবো। গোছগাছ চলছে। অনেকদিন পর আম্মা বাসায় ফিরবেন। সবার মধ্যে একটা উৎসব উৎসব ভাব। অথচ চোখে পড়ার মত বাজেভাবে আমি বিমর্ষ হয়ে বসে ছিলাম। ভাবছিলাম - তাহলে শেষ হলো ?! ওর দেখা আমি আর কখনো পাবো কি? সে কি এখন হাসপাতালেই আছে ? বারবার বাইরে যাচ্ছিলাম । বৃথাই। সে নেই। ইশ্, আগে যদি জানতাম, আজকে দুপুরেই আম্মাকে ছেড়ে দেবে ? জানলে কী হতো ?! কিছুই না । আমি তো তার সম্পর্কে কিছুই জানিনা। কখনো কথা বলার চেষ্টাও করিনি। সে-ও করেনি। ভাবি – এমন তো হতেই পারে, সে হয়তো ভালবাসে আর কাউকে। বা সে হয়তো সুখে সংসার করছে তার প্রিয় মানুষের সাথে ! অথবা হয়তো এসব কিছুই না। সেও হয়তো আমারই মতো গোপনে আমাকে দেখে নেয় হঠাৎ হঠাৎ। জানিনা। কী হাস্যকর ব্যাপার । কী কষ্টকর ব্যপার ! আমি কী করতে পারতাম ?

তো এইভাবে একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটে গেল আমার জীবনে । আম্মার জীবন-মরণ অসুখটার সাথে সাথে ! ঘটে গেল, আর আমাকে দ্বিচারিণী বানিয়ে দিয়ে গেল। দ্বিচারিণী ! সঠিক শব্দ কী এটাই ! আমি জানিনা ! আমি তাকে অনেক খুঁজেছি। রাস্তায়, রিকশায়, গাড়ির জানালায়, শপিংমলে, অচেনা বাড়ির বাইরের বারান্দায় – বৃথাই। আমার বিশ্বাস সে-ও এই শহরেই কোথাও আছে। হয়তো সে-ও আমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে গোপনে, কাউকে বুঝতে না দিয়ে। বা সে হয়তো স্রেফ ভুলে গেছে আমাকে। আমার কাছে তার পরিচয় বলতে আছে শুধু তার চোখের দৃষ্টি। করুণ, ম্লান, কিছুটা যেন অবাক চোখের দৃষ্টি। এই দৃষ্টি মনের ভেতরের একটা ছোট্ট ঘরে তালাচাবি মেরে রেখে আমি সাকিবকে বিয়ে করতে যাচ্ছি। হয়তো এর সাথে সাথে সাকিবকে কিছুটা হলেও ঠকাচ্ছি।

সিড়িঁ ভেঙে নিচে নামতেই মনটা ভালো হয়ে গেল। বাহারী সব রঙের ফুল ফুটেছে সামনের ছোট জায়গাটায়। দিনটা ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল। বাতাস ছিল হালকা। দীর্ঘ একটা শ্বাস নিয়ে হাঁটছি তখন একমনে। চোখ ফিরিয়ে ছিলাম রাস্তার পাশের পপি ফুলের সারির দিকে। হঠাৎ অনুভব করলাম - সে আমার ঠিক সামনেই – হেঁটে আসছে এদিকেই – আমার মুখোমুখি। একবার চোখ তুলে তাকালো আমার দিকে। আমিও তাকালাম। তারপর, আর কিছুই না ! হাঁটার গতি একটুও না কমিয়ে আমরা পাশ কাটিয়ে চলে গেলাম যে যার গন্তব্যে। কিন্তু আমি আর সে যখন ঠিক পাশাপাশি ছিলাম, মাত্র একটা ক্ষুদ্র মুহূর্ত – সমস্ত ইচ্ছাশক্তি দিয়ে চাইছিলাম, সময় স্থির হয়ে যাক। আর সামনে যাওয়ার দরকার নাই, পেছনে ফিরেও কাজ নেই। এভাবেই কেটে যাক অনন্তকাল । কী ছেলেমানুষি ! তবে ওর উপস্থিতির ঘোরটা কেটে যাওয়ামাত্রই কুঁকড়ে গেলাম লজ্জায়। এই আমিই কি আম্মার চিন্তায় অন্ধ-বধির হয়ে রাস্তায় হাজার হাজার বাস-রিকশার মাঝে বেখেয়ালে হেঁটে বেড়াই ! এটা কি কাউকে দেখে মুগ্ধ হওয়ার সময় ! কাউকে ভালবাসার সময় ! কতটা স্বার্থপর হয়ে গেছি আমি !

একটা অদ্ভুত কথা মনে হলো হঠাৎ । এমন যদি হয়, আমার বিয়ের দিন আমি দেখলাম, কোনো এক পক্ষের হয়ে নিমন্ত্রিতদের মাঝে সে-ও আছে। এটা হওয়া কী খুব অস্বাভাবিক ! হতেও তো পারে ! ভাবতে গিয়ে হাসি পেল আমার । কতদূর ভেবে ফেলেছি আমি। তাহলে তাকে দেখার আকাঙ্ক্ষা আমার এতই বেশি ! সত্যি যদি এমন হয় তো আমি কী করবো ?! উঁহু, এমন হবেনা। আমি চাই না এমন হোক। অন্তত ওই একটা দিন আমি শুধু সাকিবের কথাই ভাবতে চাই। শুধু সাকিবের দৃষ্টির স্পর্শই পেতে চাই। যার মুখ, যার চোখ আমার বুকের ভেতর লুকিয়ে রেখেছি, সে লুকিয়েই থাকুক। মাঝে মাঝে অবসরে, ব্যস্ততার হঠাৎ মুহূর্তে চোখ বুঁজে তার ছবি দেখবো মনে মনে। আর সত্যিটা তো এটাই যে আকাশ আমাদের ওই একটাই। এই একটা আকাশেই তো আমরা আমাদের দৃষ্টি মেলে দেই। এই আকাশের গায়েই আমাদের দৃষ্টি মিলেমিশে এক হয়ে যাবে, আমাদের অজান্তেই – নিশ্চিত আমি ! শুধু এটুকুই আমার পাওয়া – ওর কাছ থেকে।


মন্তব্য

সাইফ তাহসিন এর ছবি

কোথায় হারায় যান খালাম্মা?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

বইখাতা এর ছবি

নানানরকম ঝুটঝামেলার মধ্যে ! পূর্ণ সচল হয়েছেন দেখে ভাল্লাগছে।

তিথীডোর এর ছবি

অনেকদিন পর লিখলে আপু...
চলুক

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

বইখাতা এর ছবি

হুম.....লেখা হয় না....লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু...

দময়ন্তী এর ছবি

ভাল লাগল.
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

বইখাতা এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে।

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

আমাদের এই জীবনের অনুভূতিগুলো বড় অদ্ভুত !
ভালো লাগলো লেখাটি.... হাসি

--------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

বইখাতা এর ছবি

ঠিক ! ধন্যবাদ মউ।

তুলিরেখা এর ছবি

আশ্চর্য কোলাজ!
"সেই একজনারে মন সঁপেছি স্বজন কি আর হয় দু'জন? "
এমন লেখাগুলো পড়তে পাই, সচলে আসা আমার সার্থক!
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

বইখাতা এর ছবি

ধন্যবাদ, অসংখ্য !

আহির ভৈরব এর ছবি

ভালো লাগলো গল্পটা খুব, বইখাতা।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

বইখাতা এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে, আহির ভৈরব।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনুভূতি গুলো আমার অসম্ভব ভালো লেগেছে।

মিতু
রিফাত জাহান মিতু
miturifat@gmail,com

বইখাতা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, গল্পটা পড়ার জন্য, ভালো লাগাটুকু জানিয়ে যাবার জন্য।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।