কবিতা-২৬

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: বুধ, ০৩/১০/২০০৭ - ৬:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মানুষজন্মে এও কি সম্ভব সবিতা, আমাকে শুধু দেখতে হলো-
সেই বুড়ি-দত্যিটাকে সময় মতো সিগ্রেট না খাওয়ালে তোমার
আমার
এক দড়িতেই ফাঁসি হতো তার আগে দীর্ঘকাল
শিরা-উপশিরা কর্তন-প্রক্রিয়া। তথাপি দিন দুপুরেই
কোথায় যেন বেজে উঠলো ঢাকঢোল, কী ঘোষণা রাজার
ওগো পুরবাসী, নেশাগ্রস্থ আমার মেলে না কিছুই বাস্তবে
এখানে আসা-অবধি বীর্যধোয়া ঘুপচিঘর, অন্ধকারে
শ্রবণদর্শনরহিত সবিতা শারীরিক ভাঁজ খুলে খুলে দেখালো
তার সমস্ত অলংকার- অনেক গভীরে দেখলাম জ্বলছে
নীল ধুপবাতি
সন্ধ্যাবধি নির্নিমেষ ডুবে ছিলাম প্রজ্জ্বলন-সুখ ও সৌগন্ধে
বিস্ফোরিত ধুপবাতি হঠাৎ সংক্রমণে ভাসিয়ে দিলো জগৎসংসার
ওগো পুরবাসী, এই কি জন্মের সমস্ত উপহার ?
কোথায় যেন বেজে উঠলো ঢাকঢোল কী ঘোষণা রাজার ?
মধ্যরাতে নিস্তরঙ্গ পাড়ায় ঘোড়ায় খুর ও প্রাসঙ্গিক চাবুকের শব্দে
ভেঙে গেল ঘুম, বেদম বাজছে ঢাকঢোল যেন ডাকা হচ্ছে,
নীলাম এ জমির- আমি শুধু এক মুষ্টি মাটি চাই
কী দাম দিতে হবে বলো ওহে সান্ত্রী সেপাই রাজার,
সত্যচুম, সত্যমাটি কতো দাম কতো দাম ?
জন্মের শেষ উপহার সবিতা তোমার আমার একরাত্রি
একঘরে বসবাস,
বুকে কান পেতে শুনি জ্বাজ্জ্বল্যমূর্তি ঘোড়সওয়ারের চাবুকাঘাতে
নীলাম পরোয়ানা পড়ে শোনায় ঢাকঢোল মধ্যরাত্রির-
এই শরীর বন্ধক রেখে কিনবো তোমাকে সবিতা
ভোরের দেরী নেই বেশী, ওঠো মুখহাত ধুয়ে তৈরী হয়ে নাও।

১৯৮০


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।