কবিতা-২১

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: বুধ, ০৩/১০/২০০৭ - ৬:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পৌষের ভোরে বৃষ্টিধারায় কেঁপে উঠলো সারা মাঠ
জানালার পাশে গলিত মুখের ছায়া দোলে, ছায়া দোলে
স্যাঁতসেঁতে ক্ষুব্ধ প্রান্তরে কালো কাফন পরা মেঘের-
মাটির উদরে ছোরা মেরে গেছে একদল উন্মত্ত যুবক গতরাতে
গলগল তপ্ত রক্তধারায় ভেসে যাচ্ছে জনপদ, মানবিক সম্পর্ক।
এতো কালো চোখ ভাবে বাতাসে ?
ঝাঁকে ঝাঁকে শাণিত তাঁর এফোড় ওফোড় করে যাচ্ছে
গর্ভিনীর পেট, গোলাপ অধিক সুগন্ধি কিশোরীর বুক।

আমি আজন্ম চিনি যারে, এই কি সমুদ্র ?
গন্ডুষে গন্ডুষে সবটুকু নীলজল পান করে
কারা পেচ্ছাবে দিয়েছে ভরে মহাজীবন ?
একি দুর্মদঝড় মহাপ্রপাত নিমেষে আমূল ছিঁড়ে নেয় শিশ্নসমূহ ?
জন্মহীন পৃথিবী-পাথর
আমাকে ছেঁড়ো ছেঁড়ো টুকরো টুকরো করো।

এই প্রলয়ে আমি একাই দেখতে গিয়েছিলাম
এক অসহ্য চোখ ধাঁধাঁনো ফাটল যার ভেতরে ত্রিশূল হাতে
ধ্যান বসে আছে সন্ন্যাসী
তার এক চোখ চাঁদ, অন্য চোখ গোলাকৃতি সেই উবে যাওয়া
সমুদ্রের জল
বহুক্ষন বসে বসে হাঙরের লেজ নাড়ানো দেখলাম
তিমির সঙ্গম দেখলাম
শ্বশানে প্রজ্জ্বলন্ত চিতায় হেলেনের শবদেহ দেখলাম
আর কী দেখবো ভয়ংকর
দুহাতে চোখ ঢেকে দৌঁড়ুতে দৌঁড়ুতে কদর্য কাদায় পা ঠুকে
আমি আমৃত্যু চেঁচাবো তারস্বরে, চেঁচাবোঃ
জন্মহীন পৃথিবী-পাথর
আমাকে ছেঁড়ো ছেঁড়ো টুকরো টুকরো করো।

১৯৭৯-১৯৮০


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।