কবিতা-১৩

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: বুধ, ০৩/১০/২০০৭ - ৭:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই বিষাক্ত দাঁতাল বিকেলে আমি পরিত্যাগ করি সবকিছু,
পরিত্যাগ করি বসনভূষণ মানবিক সমূহ অলংকার
দাঁতে টুকরো করি বাসভূমি, শরীরে শরীরে ঘর্ষণে
যতোটুকু উষ্ণতা ও আলোক সংক্রমণ সেই চন্দ্রাতপে জাগে
হিমসংহার অদিতি-উৎসব-

জন্ম যদি নেই তবে আর প্রয়োজন নেই শুদ্ধসত্ত্ব কুমারীর
এতোসব পিপাসার্ত দুপুর আসে
সমস্ত প্রলয়ের পলিমাটি ইচ্ছাধীন জন্ম দিয়ে যাই
অনুর্বর মাংস ও মাঠে সকল জৈবিক বৃদ্ধি সাংঘাতিক স্থির হয়ে
আছে-
গোলাপের মাধুরী-অঙ্গে আমি আছি কিবা নেই তার সমাধানে
বৎসর বৎসর অর্থহীন কোলাহলে মাটি ও মেঘের অন্তর্বতী বাসভূমি
কামে ঘামে ও রক্তে একাধারে পাথরও উর্বর করেছি,
লাস্যময়ী রাত্রি-পতিতার করুণ বুকে ও বৃষ্টিধারায়
নতজানু, বসতে গেলেই সকল সৃষ্টি পথে তাম্ররেণু
খরা ও বিষে জ্বলে যায় ভুবনপুর-
জীবনভর একগাছি দড়ি খোঁজার জন্য আমি রেখে যাবো না বংশধর
পরিত্যাগ করি বসনভূষণ মানবিক সমূহ অলংকার
দাঁতে টুকরো করি বাসভূমি, মাতৃজঠর;

এই চামড়াছেঁড়া উন্মাদ বিকেল কম্পমান লালার্ত জিভে
চেটে খায় বসবাসে অপরিহার্য অনাদি অহংকার-
এদেশে ওদেশে চিত্রিত পুতুলনাচে উল্লসিত দর্শক নির্বিকার
ভূলে থাকে জন্মের উৎসধারায় কম্পমান সংহার পিপাসা
প্রতি অঙ্গ নাচে অবুঝ ইচ্ছাহীন, অপরাধহীন আকর্তিত মাটি
দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে উদ্ধগিত হুকুমনামা কুকুরীজন্মে;
গোখরা-চোখ পেঁচা তামাটে জিভে ঠুকরে খায় সুর্যালোক
তারায় তারায় উদ্ভ্রান্ত রশ্মিধারা
প্রতারক আলোর চেয়ে ঢের ভালো বিশ্বস্ত আঁধার।

১৯৮০


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।