প্রাক-রাফায়েলিয় ভ্রাতৃসভা - ২

দুর্দান্ত এর ছবি
লিখেছেন দুর্দান্ত (তারিখ: বুধ, ১৭/০২/২০১০ - ৭:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

autoআগের পর্ব।
হান্ট, মিলে আর রসেটি - এরা একজন আরেকজনের চাইতে এতটাই আলাদা, এতটাই স্বতন্ত্র; এরা যে একসাথে হয়ে কিছু একটা করতে পারে তাই আমাকে অবাক করে।

হান্ট বেড়ে উঠেছে সেকালের লন্ডনের ওয়াইজঘাট মানে চিপসাইডে। সদর দরজার বাইরেই কাঁচাবাজার। কাদা, কসাই খানা, ঘোড়ার নাদি। অভাবের সংসার চলে গীর্জার অনুদানে, তার বদলে হান্ট এর ভাই বোনদের নিয়মিত গীর্জায় যেতে হয়। লেখাপড়াটা হয়ে যায়, খালি পেটে ঘুমাতেও হয়না। তবে গীর্জা ঝাড়পোঁছ আর বিশেষ ফুটফরমাসে হান্টকেই শুধু ডাকেন পাদ্রী মশাই। খৃষ্টধর্মকে অনেক কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল শিশু হান্ট এর। এতে ধর্মের প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধ বেড়েছিল কি না আমি জানি না, তবে খৃষ্টধর্মকে নিয়ে তার আগ্রহ বেড়ে গিয়েছিল অনেকটা এটা তার কাজ দেখলেই বোঝা যায়। প্রকৃতির সবকিছুতে স্রষ্টার চিহ্ন খুঁজতে চাইতো সে। কিন্তু মনটাকে বাগে আনতে পারেনি সে কোনদিনই। যৌবনে তার জীবন আলো করে এসেছিল অ্যানি মিলার, এত রূপ, এত প্রেমের পরও হান্ট তাকে ছেড়েছুড়ে চলে গিয়েছিল জেরুজালেমে। সেখানে সে কি পেয়েছিল কে জানে, তবে এংলিকান বা ক্যাথেলিক চিন্তাভাবনা থেকে যে সে অনেকটাই দুরে সরে গেছে সেটা তার কাজের পরিস্কার ফুটে উঠেছিল। তার ছবিতে একটি অবাক করা দায়িত্ববোধ কি দেখা যায় না? যেন বাইবেলের কোন ঘটনা বা যিশুর বানী নিয়ে হান্ট এর মনে কিছু ভাবনা এল তার নিজের মত করেই, যেন সেই ভাবনাকেই তাকে ফুটিয়ে তুলতে হবে তার ছবিতে।

মিলে অন্যরকম। বনেদী ব্যাবসায়ীর ছেলে, সাদাম্পটান আর জার্সিতে তাদের বাপদাদার জমিজমা, লন্ডনে আলিশান টাউনহাউস। টাকা পয়সা মিলেকে টানে না। সে চায় শুধু সবার সেরা হতে, লোকে তার কাজ দেখে বিমোহিত হবে, এটাই তার কাছে বড় পাওয়া। এবং সে তা পারেও, কিন নিখুঁত তার হাতের কাজ প্রকৃতিকে বশ করেছিল মিলে। গাছের পাতা, ফুলের পাপড়ি, ঘাসের ওপর শিশির আর তাতে ঠিকরে পড়া আলো, এগুলো তো ছেলেখেলা। সে মেতেছিল কত বেশী রং দিয়ে সে এসব আটপৌরে বিষয়কে বিশ্বাস যোগ্য রাখতে পারে। আমার চোখে আমি পাতা বলতে শুধুই সবুজ রং বুঝি, মিলে দেখিয়ে দেবে পাতায় রংধনুর সাতটি রংই নাচে, এবং তারপরেই তা সজীব প্রানবন্ত দেখায়। তার ছবিতে গল্প থাকে, তবে পাত্রপাত্রী ছাপিয়ে সে গল্পে প্রকৃতি কথা কইতে শুরু করে। এই অসামান্য যাদুকরের একটি দুর্বলতা; এফি গ্রে।

আর রসেটী? সে খাঁটী ইতালীয়ান স্টালিয়ান। রাজার তাড়া খেয়ে ইতালী থেকে তার বাবা চলে আসে লন্ডনে, সেখানেই আরেক ঘটি ইতালিয়ান পরিবারে বিয়ে-থা করে থিতু হয়। তাদের বাড়ীতে নন্দনকলার একটা পরিবেশটা গোড়া থেকেই ছিল। রসেটি আর ভাই বোনেরা ছোটবেলা থেকেই কিছুটা লেখালেখি করতো। কীটস-বায়রন যেখানে বাবা রসেটির মাথাই খেয়ে বসে আছে, সেখানে ছানা রসেটিরা ছাড়া পায় কি করে। বাবার কিংস কলেজে পড়ান, নানাবাড়ীও ফেলনা নয়। তাই ঠিক অভাবে পড়তে হয়নি রসেটিদের, তবে হঠাত করে বাবা রসেটি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেললে রসেটি পরিবারে কিছুটা হতাশার ছাপ চেপে বসে। তবে আমাদের রসেটির জীবনেও প্রেম এসেছিল। রসেটির সব তোলপাড় করে দিয়ে, এসেছিল, আবার সব কিছু তছনছ করে চলেও গিয়েছিল লিজি সিডল।

তো যা বলছিলাম, হান্ট, মিলে আর রসেটি - এরা এক একজন এতটাই আলাদা, মানে তাদের সামাজিক অবস্থান, বেড়ে ওঠা, ব্যাক্তিগত জীবন সবকিছুইতেই এত বিরাট তফাত, তারা যে একসাথে কিছু করতে পারে, সেটাই আমাকে অবাক করে। তাদের মিলগুলো আসলে কোথায়? গভীর আবেগ, আর নতুনের প্রতি এক আমোঘ আকর্ষন? কীটস, বায়রন, মধ্যযুগীয় রোমান্টসিজম? নাকি ম্যানারিজম বা রয়াল একাডেমির প্রতি তাদের চরম বিতৃষ্ণা?

যাক অনেক কথা হল এবার কিছু ছবি দেখি। আমি এখানে প্রা-রা-ভ্রা দের তিনটি মোটামুটি একই থিমের ছবি বেছে নিয়েছি। থিমের মিল বলছি কেন? কারন তিনটিতেই শোকবহ বিমর্ষতা, আর কিয়ারোস্কুরো বা আলো-আঁধারির অদ্ভুত খেলা আছে। তিনটি ছবি এসেছে তিনটি ক্লাসিক গল্প থেকে। ছবি তিনটিটে তিনজন নারীর আবদ্ধ দশাতেও তাদের যে প্রচন্ড তেজ প্রকাশ পেয়েছে তাকে ইরটিসিজম বলা যায়, এতে আবার কেউ কেউ শাক্ত ধারনার উঁকিঝুকিও দেখে ফেললে অবাক হব না।

তিনটিরই মডেল লিজি সিডল।

auto
প্রথম ছবিটি হান্ট এর দ্যা লেডি অফ শ্যালট। টেনিসনের এই কবিতাটি প্রা-রা-ভ্রা বেশ পছন্দের ছিল। রাজা আর্থারের আলেখ্যের অনেক গল্পের একটি হল গোল টেবিলের স্যার ল্যান্সেলট আর লেডি শ্যালট, ইলেইন এর গল্প। অবিশপ্ত ইলেইন আশা করেছিলেন টগবগ টগবগ ঘোড়ায় চড়ে ল্যান্সেলট তাকে উদ্ধার করবে, কিন্তু তার সেই আশা পুর্ণ হয়না। গল্পের শেষে ভাঙ্গা হৃদয় নিয়ে জীবনাবসান হয় ইলেইনের। এই ছবিতে আমরা দেখি ইলেইন কিছু একটা বুনছিল, তখন সে খবর পায় ল্যান্সেলট তাকে দেখতে আসছে, সেই খবর পেয়ে মাতোয়ারা হয়ে ইলেইন সব কিছু ছেড়েছুড়ে উঠে দাঁড়াচ্ছে।

Out flew the web and floated wide-
The mirror crack'd from side to side;
"The curse is come upon me," cried
The Lady of Shalott.

কিন্তু সে যতই নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চাইছে, ততই আরো বেশী জড়িয়ে পড়ছে। ছবিতে ম্যানারিজমের প্রথম বুড়ো আঙ্গুল এর আলোকসম্পাত, ক্যানভাসের নিচের দিক আলোকিত আর ওপরদিক অনেকটাই অন্ধকার। ইলেইনের পেছনের আয়নাটিতে আমরা দেখছি ফ্রেমের বাইরের কিছু দৃশ্য। প্রথম যখন এটাকে দেখি তখন আমার মনে হয়েছিল ফ্লামান্কো নাচের ছবি এঁকে, তারপর নিশ্চই বেটা বাইন্না হান্ট নানা গল্প ফেঁদেছে। ভিক্টোরিয়ান লন্ডনিরা জিপ্সী-ফ্লামেন্কোকে নিচু জাতের ভেবে যদি ভাল পয়সা না দেয়?

autoহ্যামলেটের ওফেলিয়াকে নিয়ে মিলের ছবি ওফেলিয়া। রাজকুমার হ্যামলেটকে না পেয়েই যে ওফেলিয়া নদীতে ডুবে মরেছে, সেটা পরিস্কার। কিন্তু রাজকুমার হ্যামলেট এতো লিলেখেলার পর কেন ওফেলিয়াকে বিয়ে করল না, সেটা জানা যায়না। এমনকি ওফেলিয়া যখন তাকে ইঙ্গিত করে যে সে ‘রু’ টোটকা খাচ্ছে, তারপরেও যখন রাজকুমার তাকে পাত্তা দিলনা, তখন আর ওফেলিয়া কোন মুঁখে বেচে থাকে?

ছবিটি আঁকা হয়েছিল দুই ধাপে। প্রথমে প্রকৃতি তারপর নায়িকা। কিন্তু কোনটির প্রতি তার আগ্রহ বেশী ছিল, সেটা এখুনি টের পাবেন। প্রকৃতি আঁকতে মিলে ঝাড়া ৫ মাস প্রতিদিন ১১ ঘন্টা করে লন্ডনের দক্ষিনের এক গ্রাম্য নদীতীরে ঝোপের মধ্যে কাটিয়েছে। সেখানের অভিজ্ঞতা তার লেখাতেই পড়ুন

“The flies of Surrey are more muscular, and have a still greater propensity for probing human flesh. I am threatened with a notice to appear before a magistrate for trespassing in a field and destroying the hay... and am also in danger of being blown by the wind into the water. Certainly the painting of a picture under such circumstances would be greater punishment to a murderer than hanging."

এরপর নায়িকা। জামাকাপড় পড়ে লিজিকে বাথটাবে শুয়ে থাকতে হবে। কিন্তু ততদিনে ঠান্ডা পড়ে গেছে। মিলেরা বড়লোক হলেও ঘরে ঘরে আগুন জ্বালাবার মত বড়লোক ছিল না। তাই বাথটাবের নিচে বেশকতগুলো কুপিবাতি জ্বেলে রাখা সাব্যস্ত হল। মিলে কাজে ব্যাস্ত। লিজি ও বাথটাবে শুয়ে দিব্বি ঘুম। এদিকে কখন বাথটাবের নিচের বাতিগুলো কখন নিভে গেছে, সে খেয়াল কারো হয়নি। এর ফলে লিজির নিউমোনিয়ে বেঁধে গেল। সেবার ব্যাপারটা অতটা গড়াল না। লিজির বাবাকে কটা টাকা ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল, সেও আর থানাপুলিশ করেনি।

কিন্তু এই ছবির গল্পের ট্রাজেডী গড়িয়ে পড়ল লিজির জীবনেও। তখন লোকে শক্ত অসুখের অষুধ হিসেবে লডেনাম খেত। লিজি সে দফা সুস্থ হয়ে উঠেছিল ঠিকই, কিন্তু লডেনামের আসক্তি তাকে ছেড়ে দেয়নি। জীবনের আরো কিছু কঠিক বাস্তবতায় সে লডেনামের ওপর আরো বেশী নির্ভরশীল হয়ে পড়ে ও শেষে একদিন সেও ডুবে যায় মৃত্যুর অতলে।

autoসিডলের মৃত্যুতে রসেটি যেন পাগলটি হয়ে যায়। জীবনকে অস্বীকার করে সে। তার যত কবিতা সব সে সিডলের কফিনের সাথে কবর দিয়ে দেয়। সিডলের মৃত্যুর পর ২০ বছর বেঁচে ছিল রসেটি, কিন্তু তার জীবন আর একরকম ছিল না। ক্রমেই বিষন্নতা তাকে গ্রাস করে। ক্লোরালের আসক্তি তার আগে থেকেই ছিল, অনেককাল ধরে তার ব্যাবাহারে তার মানসিক ভারসাম্যও হ্রাস পেতে থাকে। সিডল আর তার ভাবগুরু দান্তে আলেগরিকে মিলে মিশে একাকার করে আঁকতে শুরু করা তার এই ম্যাগনাম ওপাসও রয়ে যায় অপূর্ণ।

(পরের পর্বে সমাপ্য, উইকিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, ছবিগুলো ইন্টারনেটে পেয়েছি)


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই, দূর্দান্ত লাগছে আপনার এই সিরিজটা! এসম্পর্কে আগে কোন আইডিয়াই ছিল না, আপনার এই সিরিজ ও সাথে লিংকগুলো আগ্রহ ক্রমান্বয়ে বাড়িয়েই তুলছে!

আগের পর্বের মন্তব্যে জানতে পারলাম, আপনি দ্বিতীয় পর্বটা ছাড়লেন কমপক্ষে পাঁচ মাস পর চিন্তিত! তাই আনুরোধ করছি, শেষ পর্বটা যদি একটু তাড়াতাড়ি দিতেন!

কাকুল কায়েশ

নৈষাদ এর ছবি

দ্বিতীয় কিস্তি পড়ে তারপর মন্তব্য সহ প্রথম কিস্তিটা পড়লাম (আগে পড়া হয়নি)
প্রথম কিস্তি আরও ভাল লাগল। কৌতূহলোদ্দীপক একটা বিষয়ে আপনার লেখা দু’টো ভাল লেগেছে, তৃতীয় কিস্তির জন্য আপেক্ষা করব।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

পরের পর্ব পেলে একসাথে মন দিয়ে তিনটি পর্বই পড়ব। আগ্রহ পাচ্ছি।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

যাক্‌ লেখাটার দ্বিতীয় পর্ব পাওয়া গেল। আমিতো আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। বর্ণনায় ব্যাপক ফাঁকিবাজী আছে মনে হচ্ছে। হান্ট, মিলে আর রসেটির দেখা কীভাবে হল? কোথায় হল? অথবা আদৌ হয়েছিল কিনা। লিজি সিডল কমন মডেল হলেন কীভাবে? এই কথাগুলোতো এই পর্বেই আসা উচিত ছিল। "দ্যা লেডি অফ শ্যালট"-এর বিশ্লেষণ এই অ্যাতোটুকু! আর "ওফেলিয়া"র বিশ্লেষণ কোথায়?

লিঙ্ক দেয়া ছবিগুলো দেখলাম আর দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেল্‌লাম। এই এক একটা ছবি প্রমাণসাইজের হলে দেখতে চার/পাঁচ ঘন্টা করে সময় লাগতো। ১৭" কম্পিউটার মনিটরে ভালোভাবে দেখতে চোখের উপর চাপ পড়ে। কিন্তু উপায় কী?

এই সিরিজ শেষ হলে গয়্যা নিয়ে একটা লেখা আশা করছি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দুর্দান্ত এর ছবি

এই রে, পড়বি তো পড় মালির ঘাড়ে। ছবি নিয়ে কথা বলার চাইতে এই তিনজন শিল্পীর জীবন নিয়েই আমার বেশী আগ্রহ। তবে ছবি তিনটি নিয়ে আরো কিছু কথা এই পোস্টেই যোগ করে দিচ্ছি শিঘ্রী।
----
হান্ট, মিলে আর রসেটির দেখা কীভাবে হল? কোথায় হল? অথবা আদৌ হয়েছিল কিনা।
এটা বোধহয় শুরুতেই বলেছিলাম, তাদের দেখা হয় রয়াল একাডেমিতে।

লিজি সিডল কমন মডেল হলেন কীভাবে?

লিজি রসেটির ভাইয়ের শালী, হান্ট-মিলে-রসেটির সমবয়স্ক। ছবি আঁকায় আগ্রহ আছে, রয়েল একাডেমিতেও যাওয়া আসা আছে। মিলের বাসায় যে আড্ডা জমতো, সেখানে লিজি, এফি, অ্যানি সবারই যাওয়া আসা ছিল। মানে বলতে চাইছি এরা সবাই একই বন্ধু মহলের। তবে লিজি সে সময়ে শুধু এদেরই মডেল তা নয়, সে সময়ের আরো অনেক উঠতি শিল্পীর সামনে দাঁড়িয়েছিল লিজি। সেকালে যদি সুপারমডেল বলে কিছু থাকতো, তাহলে লিজিই তা হত।

লিজি কেন মডেল হল? আমার মনে হয় তার কারন তার ব্যাক্তিত্ব। গতানুগতিক ভিক্টোরিয়ান সুন্দরী - মানে সোনালী চুল, গোলগাল, ফর্সা, কাঁচা বয়েস এইসব আরকি - সে তো তা নয়। পেশাদার শিল্পী হওয়াটাই ছিল তার লক্ষ। কিন্তু তার পারিপার্শ্বিকই শেষমেশ তাকে মডেল করে তুলল।

মূলত পাঠক এর ছবি

অনেক দিন অপেক্ষায় থেকে থেকে শেষটায় ভুলেই গেছিলাম এই সিরিজের কথা। ভাল্লাগ্লো পড়ে, আরো চাই, আরেকটু, মানে সামান্য বেশি ঘন ঘন। হাসি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

চলুক

দময়ন্তী এর ছবি

চলুক
আমার মত ছবিমুর্খদের জন্য আদর্শ৷ এ পড়লে আরও খুঁটিয়ে ছবি দেখতে ইচ্ছা হয়৷
আপনার এই দুটো পর্বে মুগ্ধ হয়ে ব্যাঙ্গালোরবাসী আমার এক সুহৃদকে এই লিঙ্কদুটি পাঠিয়েছিলাম৷ তিনি নিজে অত্যন্ত ভাল ছবি আঁকেন৷ তিনি আপনাকে নীচের এই বার্তাটি পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেছেন, আমি কপি করে দিলাম৷

************************************************
খুব ভাল লাগল৷ আর্টের উপর লেখা বাংলায় দূর্লভ এবং যে কটি আছে তাতে ধরেই নেওয়া হয় সবাই পণ্ডিত৷

খুব খুব ভাল লাগল৷ এরকম পরিস্কার করে বুঝিয়ে, উদাহরণ দিয়ে লেখা আরও চলুক৷
দীপ্তেন

**************************************************

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

দুর্দান্ত এর ছবি

আপনাকে ও আপনার বন্ধুটিকে অশেষ ধন্যবাদ।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

পড়তাছি। তিন নম্বর পইড়া হয়তো কিছু কমু।

পুনশ্চ : আমিও ছবিমূর্খ চোখ টিপি



অজ্ঞাতবাস

guest-writer এর ছবি

ভাইয়া খুব কাজে দিলো।আরো যদি লিখতেন..............................।।

guest-writer এর ছবি

ভাইয়া পরের পর্ব কোথায়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।