"..............সেই দিন এই মাঠ স্তব্ধ হবে নাকো জানি"

এরশাদ আলমগীর এর ছবি
লিখেছেন এরশাদ আলমগীর (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/১১/২০০৭ - ১২:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই তোলপাড় কোলাহলে সত্যের পারবশ্য
ক্রমেই দৃশ্য পাল্টে দেবে অযুত সূর্যোদয় কিংবা অস্ত।
প্রভাতকে সুদূরের পারে চিনে নেয়া হবে পুনর্বার-
প্রাগৈতিহাসিক দিকচিহ্ন দমিত হবে কালে তবু ধূসর মায়ার।
দর্পিত দৃষ্টি কিছু থাকবে নির্ঘুম - উদাসী প্রহর ‘পরে
স্বপ্নীল চোখেরা মুদে আসে সুদূর মাঠের প্রদীপের মত, নি:স্ব ঘরে-
রাত ভোরে লুপ্ত হলে অন্ধকার –হিম গুন্ঠন সরিয়ে রাখে
অকৈতবের অমিতদৃশ্যরাশি :
উত্তুরে হাওয়ায় আজ বহুদিন পর স্বস্তি ফিরে আসি।
________________________________


মন্তব্য

হাসান মোরশেদ এর ছবি

শিরোনামটা কি জীবন দাস কবি'র নয়?

উত্তুরে হাওয়ায় আজ বহুদিন পর স্বস্তি ফিরে আসি।

স্বস্তি হয়ে কবি নিজেই ফিরে আসেন নাকি স্বস্তি ফিরে 'আসে'?
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বেশ লাগল।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

এরশাদ আলমগীর এর ছবি

শিরোনামটা অবশ্যই জীবনানন্দ দাশের একটি কবিতার। কারণ আমার কবিতার ভাবের জন্য এর চেয়ে উত্তম আর কোন শিরোনাম চিন্তায় আসছিলনা। আর হয়ত খেয়াল করবেন শিরোনামটি এভাবে ----

"..............সেই দিন এই মাঠ স্তব্ধ হবে নাকো জানি"

শুরু করেছিলাম এটা নির্দেশ করার জন্যেই যে শিরোনাম আমার সৃজন নয় বরং অন্য কোন লেখার অংশ।

আর পরবর্তী যে লাইনটি নিয়ে হাসান ভাইয়ের কিছু confusion সৃষ্টি হয়েছে তার ব্যাখ্যা হল-- কবিতার মূল text-এ প্রকাশিত "আসি" শব্দটি আমার কাছে অধিকতর যথার্থ মনে হয়েছে। কারণ লেখকের প্রত্যাবর্তনের প্রতিই এখানে ইঙ্গিত করার প্রয়াস রয়েছে। আর পৃথিবীর কোনকিছুই কি শেষ পর্যন্ত্য অনড় নিয়ম নেমে চলে??.....আর তা যদি হয় মানুষের চিন্তার গতিপথ, তার চাইতে অসম্ভাব্য আর বন্ধুর বোধ হয় মহাবিশ্বে আর কিছু নেই। তবুও আপনার মন্তব্য কবিতাটির একটি close reading এর ফলরূপে আমার কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ--সংশয়ই তো সর্বদা নতুন সম্ভাবনার সন্ধান দেয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।