ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের প্রতি সহমর্মিতা এবং পরামর্শ।

এস্কিমো এর ছবি
লিখেছেন এস্কিমো (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০৮/২০০৭ - ৯:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্বৈরাচারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের একজন কর্মী হিসাবে আজের ঘটনায় বিশেষ ভাবে আলোড়িত হয়েছি।

যখন টিভিতে উত্তাল দৃশ্য দেখছিলাম - এক মহূর্তের জন্যে নিজেই চলে গিয়েছিলাম ৮৮ - ৯০ এর সেই সময়ে।

আহত ছাত্রদের প্রতি রইল আমার সমবেদনা।

আমি গর্বিত যে, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও তাদের অধিকারে প্রতি সংগ্রামে এগিয়ে এসেছে। কষ্ট আর নির্যাতন সহ্য করছে। এগিয়ে যাও কমরেডস! গনতান্ত্রিক অধিকারের বিকল্প নেই। মুক্ত মানুষ হিসাবে পরিনত হবার জন্যে মুক্ত পরিবেশ একটা গুরুত্বপূর্ন শর্ত। লড়াই সংগ্রাম বহমান। যদি নিজেদের উপর চলে আসা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হও --- তাহলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে সমগ্র জাতি।

ন্যয়ের জয় অনিবার্য....

এখানে কিছু কথা বলা জরুরী। এই সংগ্রামে অনেক পানি ঘোলা হবে। ষড়যন্ত্র হবে। লোভ লালসার আগমন ঘটবে। কিন্তু সেই পিচ্ছিল পথগুলো সাবধানে চলতে হবে।

৯০ এর আন্দোলন ছিল বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্যে একটা বিরাট অর্জন। সেই অর্জনকে অনেকাংশে বিনষ্ট করেছে দূর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ এবং রাজনীতিবিদের নামে লুটেরারা। এরা চমতকার মুখোশ পড়ে গনতন্ত্রী সেজে তাদের সুবিধাগুলো তুলে নেয়।

যেমন একটা উদাহরন দেই। একসময় ১৫ দল এবং ৭ দল সারা দেশে আন্দোলন করতো ...আর জামাত বাইতুল মোকাররাম থেকে মগবাজার পর্যন্ত একটা মিছিল করে নিজেদের প্রচারমাধ্যমের সামনে নিয়ে আসতো। খালেদা বা হাসিনা অনেকবার অন্তরীন হলেও জামাতের কোন নেতাকে জেলে যেতে হয়নি।

তেমনি আন্দোলন যখন তুংগে তখন ছাত্রনেতাদের বেচাকেনা শুরু হয়। অন্যদিকে বড় দলগুলো আন্দোলনের স্টিয়ারিং হাতে রাখার জন্যে ছাত্রনেতাদের নিয়োগ দেয়। যারা আন্দোলনের পুরু ফসলকে নেতাদের হাতে তুলে দিয়ে নিজের আখের গুছায়। এগুলো বিশেষ ভাবে নজরে রাখতে হবে।

এই আন্দোলনের সাফল্য কামনা করছি। সেনাবাহিনীকে বুঝতে হবে ...নিজের দেশ দখল করার জন্যে তাদের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন দেওয়া হয়না। সবার নিজের সীমার মধ্যে থাকতে হবে।

গনতন্ত্রের বিজয় অনিবার্য।


মন্তব্য

কেমিকেল আলী এর ছবি

জলপাই নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক

সুজন চৌধুরী এর ছবি


____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

নিজের দেশ দখল করার জন্যই তারা বেতন নেয়, যেমন রাষ্ট্রীয় কাজে বিশেষ অবদানের জন্য জামাতিরা প্লট পায়। ঢাবিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে তাদের ষোলকলা পূর্ণ হয়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

থার্ড আই এর ছবি

ঢাবি কারো নিয়ন্ত্রনে চলেনা।তাদের সে আশায় গুরেবালি। যতবারই এখানে শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে , ততবারই ক্ষমতাশালীরা পরাজিত হয়েছে।
-------------------
জল ভরো সুন্দরী কইন্যা, জলে দিছ ঢেউ।
হাসি মুখে কওনা কথা সঙ্গে নাই মোর কেউ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

অমিত আহমেদ এর ছবি

আমি খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি সেনা বাহিনী কিভাবে আছাড় খায় সেটা দেখার জন্য।


আমার বেলা যে যায় সাঁঝ-বেলাতে
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।